ঢাকা ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
English

জয়পুরহাটে কমেছে সবজির দাম

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
জয়পুরহাটে কমেছে সবজির দাম
জয়পুরহাটে সরবরাহ বেশি থাকায় সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ছবি: খবরের কাগজ

খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের হাটবাজারগুলোতে সরবরাহ বেশি থাকায় বেগুন, শসা, করলাসহ অন্যান্য সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে সবজিগুলোর দাম এখন এতই কম যে বিক্রি করে হাটের খাজনা ও ভ্যান ভাড়া উঠছে না কৃষকদের। ফলে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা।

জেলা শহরের নতুনহাট সবজির পাইকারি বাজারে নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য ফসলের দাম কিছুটা পাওয়া গেলেও বেগুন, শসা, করলার বাজার দর এখন খুবই নিম্নমুখী। কথা হয় সবজি বিক্রি করতে আসা সদর উপজেলার ধারকী চৌধুরীপাড়ার মফিজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, এবার ১৫ শতাংশ জমিতে শসা চাষ করেছেন। নতুনহাটে এক মণ শসা বিক্রি করেন ১০০ টাকায়। কেজি হিসাবে যার দাম পড়ে ২ টাকা ৫০ পয়সা। 

হাটে শসার প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা মণ পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে সেই শসা বিক্রি হচ্ছে এখন ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি। দোগাছী ইউনিয়নের চকভারুনিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘শসা বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। শ্রমিকের মজুরি, পরিচর্যা ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি বিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। কিন্ত এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায়।’

বর্তমানে শসা বাজারে নিয়ে গেলে ভ্যান ভাড়াও উঠছে না বলে মন্তব্য করেন কৃষক আবদুল লতিফ। পাঁচবিবি উপজেলার কাঁশড়া গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে আসা কৃষক দিলিপ কুমার জানান, এবার ২৫ শতাংশ জমিতে উন্নতমানের নবাব জাতের করলা চাষ করেছেন। সেই করলা ৫০০ টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। কেজি হিসাবে যার দাম পড়ছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ খুচরা বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে সেই করলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। 

সদর উপজেলার চকমোহন গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, এক মণ বেগুন পাইকারি বিক্রি করেন ৮০ টাকা। যা কেজি হিসাবে পড়ে ২ টাকা। বাড়ি থেকে হাটে আসার জন্য ৬০ টাকা ভ্যান ভাড়া এবং হাটের খাজনা দিতে হয়েছে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে এই বেগুন এখন ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। নিজের শ্রমের কোনো দামই নেই বলে আক্ষেপ করেন তিনি।

বর্তমানে পাইকারি বাজারে পটোলও প্রতি মণ ৫৬০ টাকা বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা লোকসান গুনছেন বলে জানান বিষ্ণুপুর গ্রামের পটোল চাষি এনামুল হক। গতকাল বুধবার সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৮০ টাকা কেজির বেগুন ২০ টাকা, ১০০ টাকা কেজির পটোল ৬০ টাকা, ৭০ টাকা কেজির করলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, প্রতিটি লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ৬০ টাকা কেজি গাজর ৩০ টাকা, ৮০ টাকার টমেটো ২০ টাকা, ৭০ টাকার ঢেঁড়শ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ৮০ টাকার বরবটি ৬০ টাকা, ৫০ টাকার পেঁপে ৪০ টাকা, ৮০ টাকার কাঁকরোল ৬০ টাকা, ৭০ টাকার লতিরাজ কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ৪০ টাকার মিষ্টি লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ১০০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সবজির দাম কমছে বলে জানান বিক্রেতারা। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে শাকসবজি চাষের প্রস্তুতি শেষ করেন জেলার কৃষকরা। জেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার মধ্যে আগাম জাতের সবজিও রয়েছে। এতে সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। জয়পুরহাট জেলার হাটবাজারগুলোতে করলা, শসা ও বেগুনের অতিরিক্ত সরবরাহ থাকার কারণে দাম কমেছে বলে মন্তব্য করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা পারভীন। সূত্র: বাসস

চট্টগ্রামে চামড়ার দাম পাচ্ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
চট্টগ্রামে চামড়ার দাম পাচ্ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরা
নগরের চৌমুহনী এলাকায় চলছে চামড়া সংগ্রহ। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম মহানগরের পবিত্র ঈদুল আজহার দিন (শনিবার) বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। সংগ্রহ করা চামড়া লাভের আশায় আড়তদারের কাছে নিয়ে গেলে দেখা যায় উল্টো চিত্র। কেনা দাম তো দূরে থাক, তার চেয়েও কম দাম বলছেন আড়তদাররা। এতে বিপাকে পড়েন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এদিকে নগরের কিছু কিছু এলাকায় চামড়া কিনতেই যায়নি কেউ। তাই অনেক কোরবানিদাতা উপায় না দেখে চামড়া দান করেছেন মাদরসা ও এতিমখানায়।

নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা চামড়া বিক্রি হয় চৌমুহনী এলাকায়। সেখানে চামড়া কেনার জন্য অপেক্ষায় থাকেন আড়তদাররা। এবার লবণযুক্ত গরু ও মহিষের কাঁচা চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। তাই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, কেনা দরেও চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না তারা।

নগরের হালিশহর এলাকায় চায়ের দোকান আছে সাব্বিরের। লাভের আশায় তিনি এবার ৬০০ টাকা দরে ১৭টি চামড়া সংগ্রহ করেন। কিন্তু আড়তদারদের কাছে গেলে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বলছে।

সাব্বির বলেন, লাভের আশায় চামড়া কিনে বিপদে পড়লাম। কষ্ট করে চামড়া সংগ্রহ করলাম। কিন্তু লাভ পাচ্ছি না। উল্টো আমার আসল টাকাটাই জলে।

রাইড শেয়ার করে সংসার চালান পাঠানটুলি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আকবর। তিনিও লাভের আশায় ৪৫০ টাকা দরে ৩১টি চামড়া কিনে আড়তদারের কাছে বিক্রি করতে চৌমুহনী আসেন। তার চামড়ার দাম উঠেছে ৪০০ টাকা। 

মোহাম্মদ আকবর বলেন, চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। তাই ভেবেছি ন্যুনতম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পাব। হতাশা কাজ করছে মনে। 

তবে চামড়ার ভাল দাম উঠেছে বলে দাবি করছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন। 

তিনি বলেন, ‘মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকেই লবণযুক্ত চামড়ার দামের সঙ্গে কাঁচা চামড়ার দাম মিলিয়ে ফেলেন। তাই তারা বেশি দামে চামড়া কিনে লোকসানে পড়েন। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকেই চামড়ায় লবণ দেন না। লবণ ছাড়া চামড়া বেশি দামে কেনার সুযোগ নেই আমাদের। যারা লবণ দিয়ে এনেছে ওসব চামড়ার ৭০০-৮০০ টাকা দর উঠেছে।’

এদিকে নগরে বিভিন্ন এলাকায় চামড়া বিক্রি না হবার খবর পাওয়া গেছে। নগরের উত্তর আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. শাহেদ বলেন, আমাদের গলিতে ছয়টি গরু জবাই হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও কেউ চামড়া কিনতে আসেনি। তাই এই চামড়াগুলো এতিমখানায় দান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হবে ট্যানারিতে। আর বকরির চামড়ার প্রতি বর্গফুটের দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

২০২২ সালে সাড়ে তিন লাখ, ২০২৩ সালে চার লাখ, ২০২৪ সালে সাড়ে চার লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিল। এবারও সাড়ে চার লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন আড়তদাররা। এবার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করার আশা করছেন তারা।

তবে চামড়া সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা বাড়লেও কমছে আড়তদারের সংখ্যা। চট্টগ্রাম মহানগরের আতুরার ডিপো এলাকায় চামড়ার আড়তগুলো অবস্থিত। চট্টগ্রামের কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির তথ্যমতে, এই সমিতির সদস্যভুক্ত ১১২ জন আড়তদার রয়েছেন। সদস্যভুক্তি থাকলেও ২০২২ সালে এই ব্যবসায় জড়িত ছিলেন ৪৫ জন। বর্তমানে চামড়া আড়তদারের সংখ্যা আরও কমে ৩০ জনে ঠেকেছ। তারাও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই করছেন প্রতিনিয়ত। বাকিরা অন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকে গেছেন। 

আতুরার ডিপো এলাকার আড়তদাররা জানান, একসময় কোরবানির ঈদ চামড়া ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা আমেজ বয়ে আনত। কিন্তু এখন সেই আমেজ নেই। চামড়া কিনলে সেটা ট্যানারি মালিকদের কাছে লাভে বিক্রি করা যাবে কিনা, ট্যানারি মালিকরা বকেয়া টাকা পরিশোধে গড়িমসি, ঋণ পরিশোধ- এসব নিয়ে ‍দুশ্চিন্তা করতে হয়। ১৯৯০ সালের দিকে চট্টগ্রামে ২২টি ট্যানারি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু চামড়ার দরপতনে ব্যবসায় লোকসান ও ইটিপি (বর্জ্য পরিশোধনাগার) স্থাপন করতে না পারায় ২১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। 

বর্তমানে রিফ লেদার নামক একটি প্রতিষ্ঠান টিকে আছে। প্রতিষ্ঠানটি এবার ৪০ হাজার চামড়া চট্টগ্রামের আড়তদাররদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে। আড়তদারদের দাবি, চট্টগ্রামে আরও ট্যানারি স্থাপন করা প্রয়োজন। চামড়া বিক্রির জন্য ঢাকার ট্যানারিগুলোর উপর নির্ভর থাকতে হয়। এ কারণে প্রতিযোগিতামূলক বাজার না থাকায় ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে কম দামে ও বাকিতে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হতে হয়। এ কারণে চামড়া খাতে সংকট কাটছে না।

অমিয়/

বাংলাদেশ থেকে ১০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি বেড়েছে: আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৬ জুন ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
বাংলাদেশ থেকে ১০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি বেড়েছে: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া

গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে ১০ শতাংশেরও বেশি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

আজ শুক্রবার উপদেষ্টা তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, ‘মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ৪৭৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন বা সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ছিল চার হাজার ৮৫ কোটি ডলার। সে হিসেবে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি।’

এ সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বাড়ার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনও তুলে ধরেন।সূত্র: বাসস

মেহেদী

ঈদের আগে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১০:০২ পিএম
ঈদের আগে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের ঠিক আগ মুহুর্তে দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে দুই হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এব লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৬ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে গত ২১ মে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। তখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এব লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অমিয়/

চুয়াডাঙ্গায় পশুরহাট শেষ মুহূর্তে জমজমাট, হাজার কোটি বিক্রির সম্ভাবনা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় পশুরহাট শেষ মুহূর্তে জমজমাট, হাজার কোটি বিক্রির সম্ভাবনা
ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গার ছোট-বড় আটটি কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড়, দর কষাকষি আর পশু বাছাইয়ের ব্যস্ত জেলার মানুষ। এই ঈদুল আজহা উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় পশু বেচাকেনায় এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় দুই লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। জেলার প্রয়োজন আনুমানিক এক লাখ ২৫ হাজার পশু। ফলে প্রায় ৭৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা হবে।

বর্তমানে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার গরু, ১৪৫টি মহিষ, দেড় লাখ ছাগল এবং প্রায় চার হাজার ভেড়া রয়েছে। বড় গরুর চাহিদা কিছুটা কম থাকলেও মাঝারি গরু এবং ছাগলের বিক্রি বেশ ভালো। মাঝারি আকারের গরু বিক্রি করে অনেকে ভালো লাভও করছেন।

আলমডাঙ্গা পশুরহাট চুয়াডাঙ্গার সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক হাট, যেখানে সবচেয়ে বেশি পশু কেনাবেচা হয়। এছাড়া ডুগডুগি, শিয়ালমারি, গোকুলখালি, নয়মাইল ভূলটিয়া-সহ জেলার অন্যান্য হাটগুলোতেও জমজমাট বেচাকেনা চলছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি পশুহাট পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। তারা হাটের অবকাঠামো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি ও শৌচাগার, যান চলাচলের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জাল নোট শনাক্তকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারাও, যারা হাটজুড়ে নজরদারি এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করছেন।

হাটে বিক্রেতা কালাম আলী বলেন, বড় গরুর ক্রেতা নেই বললেই চলে। একটা গরু বড় করতে প্রচুর খরচ লাগে, কিন্তু হাটে দাম ওঠে না। এতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।

ছাগল ক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, গতবারের তুলনায় এবার ছাগলের দাম কিছুটা কম। পাশাপাশি পশুও অনেক বেশি এসেছে। দেখে-শুনে দামাদামি করে একটা ছাগল কিনব ভাবছি।

ছাগল বিক্রেতা হাসিবুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা ছাগল নিয়ে এসেছি। হাটে ভালোই ভিড়, ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দেব।

গরু বিক্রেতা সুমন হোসেন কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বড় গরু লালন-পালন করতে অনেক খরচ হয়। কিন্তু হাটে তেমন চাহিদা নেই। মাঝারি গরুরই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. শামীমুজ্জামান বলেন, জেলাজুড়ে ছোট বড় মিলিয়ে আটটি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। আমাদের টিম প্রত্যেক হাটে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা, নিরাপদ কেনাবেচা এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের পরামর্শ দিতেও আমরা প্রস্তুত। এবারের মৌসুমে আমরা এক হাজার কোটি টাকার পশু বাণিজ্য আশা করছি।

মিজানুর রহমান/অমিয়/

নতুন বাজেট অনুমোদন ২২ জুন: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
নতুন বাজেট অনুমোদন ২২ জুন: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ২২ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মতামত দেওয়া যাবে ১৯ জুন পর্যন্ত।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘মতামত দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়ত তা আসতে থাকবে। এক দিনে তো আর সব মতামত আসবে না।’

সাধারণত ২৯ জুন অর্থবিল পাস হয় এবং তার পরের দিন নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হয়। এবার যেহেতু সংসদ নেই। তাই রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আগেভাগেই বাজেট পাস করা হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র মানুষের জন্য সুখবর দেখা যাচ্ছে না বলে অনেকেই অভিমত দিয়েছেন। এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুখবর আছে। বাজেটের কোথায় কোথায় পরিবর্তন হয়েছে, তা দেখুন।’ এ বাজেট সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফেরাবে বলেও মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা।

বৈঠকে পুলিশের জন্য গাড়ি কেনাসহ সার, এলএনজি ইত্যাদি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।

টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি স্থবির হওয়ার সুযোগ নেই, ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে ব্যবসা করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলে দিয়েছে, কোন কোন স্থানে ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে লেনদেনের সমস্যা হবে না।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও বেশি ছুটি থাকে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বড়দিনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে ২০ থেকে ২৫ দিন ছুটি থাকে। নেপালে দুর্গাপূজার সময় ৩০ দিন ছুটি থাকে।