ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

যে কারণে কৃতজ্ঞতা জানালেন ছন্দা

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
যে কারণে কৃতজ্ঞতা জানালেন ছন্দা
গোলাম ফরিদা ছন্দা। ছবি: সংগৃহীত

দীপ্ত টিভিতে এরই মধ্যে জনপ্রিয় অভিনেত্রী গোলাম ফরিদা ছন্দা অভিনীত দীর্ঘ চার বছর ধরে প্রচার হয়ে আসা সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘মাশরাফি জুনিয়র’ এরই মধ্যে প্রচার শেষ হয়েছে।

প্রচার শেষ হয়ে গেলেও দর্শকের দীর্ঘদিনের এই ধারাবাহিক দেখার অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে যেন একটু সময় লাগছে। দর্শকও মাঝে মাঝে ভুলে যাচ্ছেন যে ‘মাশরাফি জুনিয়র’-এর প্রচার শেষ হয়ে গেছে। যে সময়টাতে দীপ্ত টিভির পর্দায় ‘মাশরাফি জুনিয়ার’ নাটকটি প্রচার হতো সেই সময়টাতে টিভি সেটের সামনে এখনো অনেক দর্শক ভুল করে রিমোট হাতে নিয়ে বসে যান, এমন খবরও অবগত হচ্ছে ‘মাশরাফি জুনিয়র’ টিম।

একটি নাটকের প্রতি দর্শকের কতটা ভালো লাগা কতটা আগ্রহ জন্মালে এমনটি হয়। ‘মাশরাফি জুনিয়র’ নাটকের গল্পে একটি অন্যতম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোলাম ফরিদা ছন্দা।

ছন্দা বলেন, “এটা কিন্তু কোনো কম কথা নয় যে টানা চারটি বছর ধরে এই ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করছি আমরা। একে অপরের পরিবারের মতো হয়েই কাজ করেছি। এটা সত্যি যে এই ‘মাশরাফি জুনিয়র’ নাটকে অভিনয় করে আমি দর্শকের যে ভালোবাসা পেয়েছি, অভিনয়ের জন্য যে সাড়া পেয়েছি, সেটা আমার সারা জীবন মনে রাখারই মতো। আমি দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ যে আপনারা আমাকে এত এত ভালোবাসা দিয়েছেন। দীর্ঘ এই সময়ে দর্শককে আমরা পাশে পেয়েছি, এটাই অনেক বড় পাওয়া। দর্শকের কাছে প্রত্যাশা থাকবে আগামীতেও যেন দর্শক আমাদের অভিনীত নতুন নাটকও যেন আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন। কারণ আমরা দর্শকের জন্যই নাটকে অভিনয় করি, দর্শকের জন্যই একজন পরিচালক অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তাই দর্শকের কাছ থেকে ভালো মন্দ যাই হোক না কেন, সাড়া পেলে অনুপ্রাণিত হই আমরা।’

‘মাশরাফি জুনিয়র’ ধারাবাহিকের গল্প ও চিত্রনাট্য আসফেদুল হকের। সংলাপ মারুফ ইমনের। ১২৩০ পর্বে ধারাবাহিকটির প্রচার শেষ হয়। এই সময়ে এত দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রচার হওয়া বিরাট সফলতাও বটে। কারণ দর্শকের আগ্রহ থাকাটাই বড় বিষয়। দর্শকের আগ্রহ ছিল বলেই নাটকটি ১২৩০ পর্ব পর্যন্ত প্রচার হয়েছে। এদিকে ছন্দা নিয়মিত অন্যান্য নাটকেও অভিনয় করছেন।

হাসান

তাণ্ডব করতে আবারো একসঙ্গে শাকিব খান-রায়হান রাফী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
তাণ্ডব করতে আবারো একসঙ্গে শাকিব খান-রায়হান রাফী
ছবি: সংগৃহীত

তুফানের সফলতার পর আবারও শাকিব খানকে নিয়ে বড় পর্দায় আসতে চলেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী। নতুন সিনেমার নাম হবে 'তাণ্ডব'।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুকে শাকিব খান ও প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের সঙ্গে একটি ছবি আপলোড করে এ তথ্য জানান রায়হান রাফী। এ সময়  শাকিব খান সিনেমাটির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন। 

সিনেমাটি যৌথভাবে নির্মাণ করতে যাচ্ছে ভারতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ ও বাংলাদেশের আলফা আই এন্টারটেনমেন্ট লি.।

জানা গেছে, এ বছরের মার্চের শুরুতে তাণ্ডব টিমের শুটিং শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে।

গুঞ্জন উঠেছে তাণ্ডব সিনেমার মধ্য দিয়ে প্রায় এক যুগ পর সিনেমায় জুটি বাঁধতে চলেছেন শাকিব ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

মেহেদী/

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জন্মদিন আজ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জন্মদিন আজ
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত শিক্ষক বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জন্মদিন আজ।

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার কালনী নদী তীরের ধল-আশ্রম গ্রামে তিনি ইব্রাহিম আলী ও নাইওরজান দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।

কর্মজীবনে তিনি আমি কূলহারা কলঙ্কিনী, বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না, কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া, কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধুসহ পাঁচশোর উপরে সংগীত রচনার পাশাপাশি ১৬শ’র বেশি গানে সুর দিয়েছেন। এ ছাড়া বাংলা একাডেমির উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজীতে অনূদিত হয়েছে।

বাংলা সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০০১ সালে তাকে একুশে পদক পুরস্কারে ভূষিত করেন।

তিনি বাউলগানের দীক্ষা লাভ করেছেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশের কাছ থেকে। তিনি শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন।

১৯৫৭ সাল থেকে তিনি স্ত্রী আফতাব-উন-নেসাকে নিয়ে (যাকে তিনি সরলা নামে ডাকতেন) তার নিজগ্রামের পাশে  উজানধল গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম মারা যান।

মেহেদী/

বাবা হচ্ছেন পরমব্রত

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
বাবা হচ্ছেন পরমব্রত
ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় বাঙালী অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বাবা হতে চলেছেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পরমব্রতর স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খবরটি জানিয়েছেন।

পরমব্রতের স্ত্রী জানান, তিনি এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জুন মাসেই তাদের প্রথম সন্তান কোলে আসতে পারে।

এমন খবরে উচ্ছ্বসিত পরমব্রতের ভক্ত-অনুরাগীরাসহ সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধবরা। 


মেহেদী/

শফিক রেহমানের হাত ধরে ‘ভালোবাসা পদক’ প্রবর্তন

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
শফিক রেহমানের হাত ধরে ‘ভালোবাসা পদক’ প্রবর্তন
অনুষ্ঠানে শিফক রেহমানসহ আয়োজকরা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ৩৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে যায়যায়দিন ও ইষ্টিশন কমিউনিকেশন্সের আয়োজনে রাজধানীর শেরাটন হোটেল অনুষ্ঠিত হলো একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলন। 

ভালোবাসা দিবসে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শেরাটন হোটেলের আলফ্রেস্কোতে অনুষ্ঠিত হবে ভালোবাসা পদক-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠান।

এতে প্রতিবছর দেশ-মানব-প্রাণ ও প্রকৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘ভালোবাসা পদক’ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি থাকবে আজীবন সম্মাননা, বিশেষ সম্মাননা। স্টার ক্যাটাগরিতে সমাজে উদাহরণ সৃষ্টিকারী তারকাদেরও এ পদকে ভূষিত করা হবে।  অনুষ্ঠানে জানানো হয় এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি উদ্যোগ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক ও বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের প্রচলক শফিক রেহমান ও তাঁর সহধর্মিণী ও ডেমোক্রেসি ওয়াচ এর নির্বাহি পরিচালক তালেয়া রেহমান,  ইষ্টিশন কমিউনিকেশন’স এর সিইও ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন পর্ষদ এর আহ্ববায়ক রুদ্র হক, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাহমুদ দিদার, শেরাটন হোটেলের সিইও মো: শাখাওয়াত হোসেন, ঐতিহ্য প্রকাশনীর কর্ণধার আরিফুর রহমান নাইম ও যায়যায়দিন এর যুগ্ম সম্পাদক সজীব ওনাসিস। 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন উপস্থাপক শ্রাবন্য তৌহিদা। 

ভালোবাসা পদক প্রবর্তন প্রসঙ্গে এ আয়োজনের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পক রুদ্র হক বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস একটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ পেয়েছে। ভালোবাসা শুধু নর-নারীর সম্পর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ কোন বিষয় নয়, এটি বাবা মা ভাই বোনসহ প্রতিটি সম্পর্ক এমনকি মানব প্রাণ প্রকৃতির সর্বত্র বিরাজমান। ভালোবাসার এই বহুমাত্রিকতাই ভালোবাসা পদক ধারণ করতে চায়।’

অনুষ্ঠানে বরেণ্য সাংবাদিক ও ভালোবাসা দিবসের প্রচলক শফিক রেহমান বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস প্রচলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। স্মৃতিচারণে উঠে আসে ১৯৯৩ সালে যায়যায়দিন এর ঐতিহাসিক ‘ভালোবাসা সংখ্যা’র কথা। 

তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস যে এত ব্যাপকতা পাবে তা ভেবে আমি কিছু করিনি। আপন মনের খেয়ালে কাজ করে গেছি। এখন তা যে সারাদেশে সার্বজনীনভাবে পালিত হয় তা দেখে আমি অসম্ভব আপ্লুত। ভালোবাসা পদক প্রবর্তন এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করি উদ্যোগটি সফল ও অর্থবহ কিছু হতে যাচ্ছে।’

ইষ্টিশন কমিউনিকেশনস এর চেয়ারম্যান মাহমুদ দিদার বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস এমন একটি সার্বজনীনরূপ পেয়েছে যা কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। জনমানুষের অন্তর্গত ভালোবাসার আকাঙ্খায় এটি মিশে আছে। আমরা সমুজ্জ্বল ভালোবাসার এই অনুভূতির বহুমাত্রিকতাকে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে শফিক রেহমান ও যায়যায়দিন এর সাথে একাত্ম হয়ে নানা সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহন করবো। যার প্রথম পদক্ষেপ ভালোবাসা পদক ঘোষণা।’ 

অনুষ্ঠানে বক্তারা ভালোবাসা পদক প্রবর্তন এর উদ্যোগটিকে তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন। 

শফিক রেহমান এর স্ত্রী তালেয়া রেহমান উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়ে তাদের কয়েক দশকের ভালোবাসার স্মৃতিচারণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে সকলকে গোলাপ ফুল উপহার দেন শফিক রেহমান। কেক কেটে ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ৩৩ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। 

অনুষ্ঠানটির ক্ষেত্রে সহযোগিতায় ছিল আশিয়ান সিটি ও হসপিটালিটি পার্টনার শেরাটন ও প্রোটিন পার্টনার।

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই
সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

এই বাংলার মায়াভরা পথে আর হাঁটবেন না সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই কিংবদন্তি। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

কিংবদন্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানায়, অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। গত সোমবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বাবা প্রভাত চন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। মা বাণী মুখোপাধ্যায় ও প্রতুলকে নিয়ে দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গে চলে যান তিনি। থাকতে শুরু করেন চুঁচুড়ায়।

অল্প বয়স থেকেই কবিতায় সুর দিতেন তিনি। কবি মঙ্গলচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতা দিয়ে শুরু। নিজেও গান লিখতেন। অথচ প্রথাগত কোনো সংগীতশিক্ষা তিনি নেননি। নিজের হৃদয় নিঃসৃত আবেগকেই সুর ও কথার মেলবন্ধনে বেঁধে ফেলতে শিখেছিলেন।

তার অনবদ্য ও চিরন্তন সৃষ্টিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ‘আমি বাংলার গান গাই’, ‘ডিঙ্গা ভাষা সাগরে’, ‘আলু বেচো ছোলা বেচো’।

প্রতুল বাংলা আধুনিক গান থেকে জাপানি গান, আবার হিন্দি ছবির গান থেকেও উপাদান সংগ্রহ করে সৃষ্টি করেছেন একের পর এক গান।

তার প্রথম অ্যালবাম ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ বের হয় ১৯৮৮ সালে। তবে সেটি যৌথভাবে। প্রতুলের প্রথম একক অ্যালবাম ‘যেতে হবে’ বের হয় ১৯৯৪ সালে। আর শেষ অ্যালবাম ‘ভোর’ ২০২২ সালে।

এ ছাড়া তার অন্য অ্যালবামগুলো হলো- ‘চক্র চাঁদ জোওয়ান চাঁদ বর্ণনা সহ’, ‘লাল কমলা হলদে সবুজ’, ‘দারুণ গভীর থেকে’, ‘বর্ণনার সাথে গিয়েছিলাম লোহার ঘৃণা’, ‘কি আমদের জাত’, ‘ভালোবাসার মানুষ’, ‘কাঁচের বাসনের ঘ্যান ঘ্যান শব্দে’, ‘মা সেলাই করে’, ‘সেয়ে ছোটো দুতি পা’, ‘আমার ধান কাটার গান গাই’, ‘নাকোসি স্কেলে আফ্রিকা’, ‘তুমি ছেঁড়া মাটির বুকে আছিস’, ‘কুট্টুস কোট্টাস’, ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’, ‘তোমাকে দেখছিলাম’, ‘স্বপনপুরে’ প্রভৃতি।

তাছাড়া ‘গোসাইবাগানের ভূত’ ছবিতে প্লেব্যাকও করেছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

অমিয়/