
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার পর তার মেরুদণ্ডে গেঁথে থাকা ছুরির ভাঙা অংশের ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক দুস্কৃতি আচমকাই অভিনেতার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পরে হাতাহাতির সময় ৫৪ বছর বয়সী অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সেই দুস্কৃতি। এ সময় শিরদাঁড়ায় আটকে ছুরি ভেঙে যায়। পরে অস্ত্রোপচার করে ছুরির ভাঙা অংশ বের করা হয়।
লীলাবতী হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার ডা. নিরজ উত্তমণি জানান, এই ছুরিটি অভিনেতার পিঠে প্রায় দুই মিলিমিটার গেঁথে ছিল। এটা যে প্রাণঘাতী হতে পারতো সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গত বৃহস্পতিবার অভিনেতার মেরুদণ্ড থেকে ছুরি বের করতে এবং মেরুদণ্ডের ফুটো হওয়া তরল মেরামত করতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করেন।
ডা. উত্তমণি বলেন, ‘ভোর ৫টায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় শেষ হয়। রাত ২টা নাগাদ তার ওপর হামলা হয়েছিল।’
সাইফের শরীরে ছয়টি ছুরিকাঘাতের ক্ষত ছিল। এর মধ্যে দুটি গভীর, দুটি মাঝারি এবং দুটি অল্প ছিল। তার বাম হাত ও ঘাড়ের দুটি গভীর ক্ষত প্লাস্টিক সার্জারি টিম মেরামত করেছে। সব মিলিয়ে ২০টি সেলাই দিতে হয়েছে অভিনেতার শরীরে।
তিনি বলেন, ‘সাইফ আলি খানকে হাসপাতালে আনার পর আমিই তাকে দেখেছিলাম। উনি রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলেন। সারা গায়ে রক্ত লেগে ছিল। কিন্তু তাও উনি ছেলে তৈমুরের হাত ধরে সিংহের মতো ঢুকেছিলেন। ছবিতে হিরোগিরি করা একরকম। কিন্তু ঘরে কেউ আপনার ওপর আক্রমণ করেছে আর সেখান থেকে এভাবে বেরিয়ে আসা মুখের কথা নয়।’
সবশেষ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিনেতা এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে ভয়ের কারণও আছে।
তাদের কথায়, ‘উনি এখন ভালো আছেন। তার সব প্যারামিটার ঠিক আছে। তাকে আইসিইউ থেকে স্পেশাল রুমে শিফট করা হয়েছে। তার সঙ্গে তেমন ভাবে কাউকে আমরা দেখা করতে দিচ্ছি না। আজ তাকে হাঁটিয়েছি। তার হাঁটতে কোনো অসুবিধা হয়নি। তেমন ব্যথা বা অন্য কোনো উপসর্গ নেই। তবে আমরা তাকে বলেছি যে অন্তত কিছুদিনের জন্য যেন তিনি বিশ্রাম নেন, বিশেষ করে পিঠের ক্ষতের জন্য। নইলে ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়া তাকে অন্তত এক সপ্তাহ বেশি নড়াচড়া করাও নিষেধ করা হয়েছে। কারণ ওঁর মেরুদণ্ডে আঘাতে ফলে ফ্লুইড বেরিয়ে আসছিল। তা যাতে আবার না হয় তাই বেশি নড়াচড়া করতে নিষেধ করা হয়েছে।’ সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
অমিয়/