![এ সপ্তাহের বই](uploads/2024/03/29/1711698878.01_Subornorekha-motif-M.jpg)
ভাষা হলো মস্তিষ্কের পোশাক, আর গ্রন্থ সৃষ্টিশীল মানুষের পোশাক। এ প্রসঙ্গে মার্কিন কবি আর্চিবল্ড ম্যাকলিশের ভাষায়, ‘প্রকৃত সাহিত্যের জন্ম তখনই, যখন ভাষার সৌন্দর্য ও আবেগের ক্রিয়াশীলতা শব্দের আশ্রয়ে রূপ লাভ করে।’…
ঢাকা এখন ও আগামীতে
নজরুল ইসলাম
শ্রেণি: প্রবন্ধ
প্রকাশনী: নগর গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পৃষ্ঠা: ১৬০; মূল্য: ৩০০ টাকা
ঢাকা একটি ঐতিহাসিক শহর, বাংলাদেশের রাজধানী ও সমকালীন বিশ্বের অন্যতম জনবহুল মেগাসিটি। বিগত প্রায় সাত দশকে ঢাকার পারিসরিক ও জনমিতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে অত্যন্ত দ্রুত হারে। পাশাপাশি সুদূরপ্রসারী ভিশনের অভাব, সঠিক ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণের ব্যর্থতা, প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত দুর্বলতা, সুশাসনের অনুপস্থিতি, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি নানা কারণে ঢাকা এখন একটি সমস্যাজর্জরিত মহানগর। একই সঙ্গে ঢাকা সাংস্কৃতিকভাবে খুবই সমৃদ্ধ নগর। সম্ভাবনারও শহর। খ্যাতিমান প্রবীণ নগরবিদ ও শিল্পসমালোচক ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম নানা দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করেছেন রাজধানী ঢাকার বর্তমান সময়কে। আগামীর ঢাকা নিয়ে তিনি ভেবেছেন, স্বপ্ন দেখেছেন। এসব নিয়েই তার ঢাকা এখন ও আগামীতে। তার কিছু প্রণিধানযোগ্য সাক্ষাৎকারও যুক্ত হয়েছে। বইটি নগর পরিকল্পনা, নগর উন্নয়ন ও নগর প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত বিদগ্ধ গবেষকের চিন্তার খোরাক মেটাবে।...
উন্নয়ন কল্যাণ অর্থনীতি: বিচিত্র চিন্তা
সালেহউদ্দিন আহমেদ
শ্রেণি: বাংলাদেশ বিষয়ক প্রবন্ধ
প্রকাশনী: আলোঘর প্রকাশনা, ঢাকা
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ ২০২৪
পৃষ্ঠা: ১০৫; মূল্য: ৩৫০ টাকা
‘উন্নয়ন কল্যাণ অর্থনীতি: বিচিত্র চিন্তা’ বইটিতে ৩২টি নিবন্ধ সন্নিবেশিত হয়েছে। বিষয়গুলো বিভিন্ন তবে একটি মালায় গুটির মতো সবগুলো প্রবন্ধই একটি সমন্বিত রূপরেখা তুলে ধরে। লেখকের প্রধান উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ, সমাজের কল্যাণ এবং মানুষের সার্বিক উন্নয়ন অর্থাৎ শুধুমাত্র প্রবৃদ্ধি, আয়-ব্যয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তার বাইরে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা এসব অর্থাৎ সার্বিক উন্নয়ন। এখানেই শেষ নয়, মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা, তার কথা বলার অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, তার পছন্দমতো কোনো বস্তু কেনা ও ভোগ করা এগুলোও মানুষের সার্বিক চাহিদার অংশ। নির্দিষ্ট একটি সময়ের নিবন্ধ হলেও প্রত্যেকটি নিবন্ধ চিরায়ত অর্থাৎ বিভিন্ন সময়ের জন্যও প্রয়োজ্য। বইটি পড়ে পাঠকমহল বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কিছুটা হলেও জানতে পারবেন এবং উজ্জীবিত করবে- যেন সবাই আমরা বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
বাংলাদেশের নবজাগরণ ও মুসলিম সাহিত্য সমাজ: অন্বেষা-অবলোকন-তত্ত্ব
কাজল রশীদ শাহীন
শ্রেণি: সাহিত্য ও সাহিত্যিক বিষয়ক প্রবন্ধ
প্রকাশনী: দুয়ার প্রকাশনী, ঢাকা
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ ২০২৪
পৃষ্ঠা: ১৮০; মূল্য: ৪২০ টাকা
বইটির প্রকাশক ইমরান মাহফুজ বলেন, ‘ইতিহাসের যাত্রাপথে চলতে চলতে আমাদের অনেক অজানা জানা হয়। তার মধ্যে নবজাগরণ একটি। নবজাগরণ ছাড়া কোনো সমাজ-রাষ্ট্র দাঁড়াতে পারে না। আর আমাদের স্বাধীনতার মাধ্যমে বাংলাদেশের নবজাগরণের সার্থকতা পায়। বলা যায়, এ জাগরণ একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে, যা ইতিহাসের অসামান্য পাঠ। বইটির চিন্তা নানান সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে এলেও কাজল রশীদ শাহীনের গবেষণায় একটি মডেল হিসেবে ধরা যায়। যদিও তিনি বলেছেন, এটি প্রস্তাবনা, তবু এর মূল্য তুলনাহীন। ইতিহাস ও প্রজন্মের দায় অনুভব করে আমাদের কালের ধ্বনি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়।’...
মহাকালের ভাবনা
জুয়েল রাজ
শ্রেণি: প্রবন্ধ
প্রকাশনী: অভ্র প্রকাশন, সিলেট
প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর ২০২৩
পৃষ্ঠা: ২০৮; মূল্য: ৪০০ টাকা
আজকের মুহূর্তই আগামীর ইতিহাস। ইতিহাস শুধু বৃহৎ ঘটনার সমাহার নয়, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মানুষ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাও ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে। সাক্ষী হিসেবে থেকে যায়। সেই সময়েরই সাক্ষী লেখক, আর সেই ভাবনা ও প্রকাশিত এই গ্রন্থ। লেখক তার গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত লেখা গ্রন্থাকারে প্রকাশের আদৌ কি কোনো প্রাসঙ্গিকতা আছে? এই প্রশ্নটা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবতা হলো দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রাত্যহিক জীবনের মতো গত হয়ে যায়। আর এই গত হয়ে যাওয়া সময়ে আমার সেই সংবাদপত্রের সংবাদ, কলাম স্মৃতি থেকে হারিয়ে ফেলি। মূলত লেখার মতো সৃষ্টিশীল একটি উপাদান সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যায়। কিন্তু চলমান সময়কে একজন মানুষ কীভাবে ধারণ করেছে, তার প্রকাশ কী ছিল, সেই বিষয়গুলোকে আগামীর জন্য ধারণ করে রাখে গ্রন্থ। তাই বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেখাগুলোকে এক জায়গায় লিপিবদ্ধ করে রাখার উদ্দেশ্যেই এই গ্রন্থ।...
Call of the Sea
কল অব দ্য সি
এমিলি বি রোজ
প্রকাশক: পাগ প্রেস পাবলিশিং, যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশকাল: ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৪
পৃষ্ঠা: ৪২০; মূল্য: ১৮.৯৯ ডলার
মহাসাগরে অভিযান করে জীবন পার করবে- এমন শখ পোষণ করে স্থূল শরীরের এক রাজকন্যা। তাকে নিয়েই তৈরি হয়েছে এ উপন্যাসের কাহিনি। প্রাসাদে বন্দি অবস্থায় সামনের জীবন তার মোটেই পছন্দ নয়। যাকে ভালোবাসতে পারবে না, তাকে বিয়ে করতেও রাজি নয় সে। বরং সমুদ্রে মৎস্যকুমারীদের খুঁজে বেড়ানোর অভিযানই তার প্রিয়। কিন্তু তাকে বলা হয়েছে, মৎস্যকুমারী বলতে কিছু নেই। সে জানে, তাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক পাঁচজন যুবকের মধ্যে শুধু একজনই রাজকুমারীর মুকুটের লোভে আসেনি। রাজকুমারী কেনা তাকেই পছন্দ করে। তাকে ধরতে যেতেই নাগালের বাইরে চলে যায়। তার পিছু নিতে নিতেই সমুদ্রের ভেতর চলে যায় কেনা। তার জাহাজ-দুর্ঘটনার পরই বুঝতে পারে তার রহস্যের বিষয়। এখন একদিকে ওই যুবককে পাওয়া, আরেক দিকে কেনার রাজ্যের মানুষদের কথা। দুই দিকই রক্ষা করতে হবে কেনাকে।