ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ভারতে ৭ দফা লোকসভা নির্বাচন শুরু শুক্রবার

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩০ এএম
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
ভারতে ৭ দফা লোকসভা নির্বাচন শুরু শুক্রবার
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশটিতে নির্বাচন চলবে ১ জুন পর্যন্ত। সাত দফার এই নির্বাচনে ভারতের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩ আসনের আইনপ্রণেতাদের নির্বাচিত করবেন প্রায় ১০০ কোটি ভোটার।

১৪০ কোটি জনসংখ্যার পরমাণু শক্তিধর ভারত ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে অন্যতম বড় এক প্রভাবশালী রাষ্ট্র। তবে অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক উত্থানের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে প্রসারিত ধর্মীয় মেরূকরণের হাওয়ার কারণে দেশটি এক দশক ধরে আলোচনায়। এবার নির্বাচনেও হিন্দুত্ববাদী প্রচারের হাওয়া প্রবল।

ভারতের এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রায় ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ভোটার। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছিলেন, যা ছিল ভারতের নির্বাচনি ইতিহাসের সর্বোচ্চ। দেশের ২৮টি রাজ্য আর ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চলবে এবারের ভোটাভুটি। এর মধ্যে আজ ভোট গ্রহণ হচ্ছে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একই সঙ্গে আজ আরও নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের বিধানসভার ৬০টি এবং সিকিমের ৩২টি আসনে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয় মেয়াদে জয়ী (হ্যাট্রিক) হওয়ার আশা করছেন। তিনি বলেছেন, তার দল ৪০০-এর বেশি আসনে জয়ী হবে। সাম্প্রতিক জরিপও বলছে, মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও এর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হবে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একাই ৩০৩টি আসন পেয়েছিল। আর এনডিএ জোট পেয়েছিল ৩৫২টি আসন। 

এবারের নির্বাচনে অন্যতম চ্যালেঞ্জ বৃহত্তম বিরোধীদল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষ থেকে। মোদির বিজেপিকে ঠেকাতে এবার বিরোধী ২৬টি দল জোট গঠন করেছে। প্রায় এক বছর আগে গড়া হয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) নামের ওই জোট। এটি গঠনের পর ভারতের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মোদি বিরোধীদের মধ্যে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইন্ডিয়া জোট গঠনের পর কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সফলও হয়েছে বিরোধীরা। এখন দেখা যাক লোকসভা নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসেন? নরেন্দ্র মোদি নাকি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী নেতারা। 

পশ্চিমবঙ্গসহ পূর্ব ভারতের প্রায় সব কটি রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম ও ত্রিপুরা।

পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি দফাতেই ভোট হবে। প্রথম দফায় আজ রাজ্যের উত্তর অঞ্চলের তিন আসন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে নির্বাচন হবে। 

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের সব কটিতে ভোট হয়ে যাচ্ছে প্রথম দফায়। এ ছাড়া বিজেপিশাসিত রাজস্থানে ২৫ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ১২টিতে আজ ভোট হবে।

উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে আজ ভোট হবে ৮টিতে। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের সংঘাতবিধ্বস্ত মণিপুরের দুটি আসনে ভোট হবে প্রথম দফায়। এই রাজ্যের একাধিক গোষ্ঠী ও সংগঠন ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে। আসামের পাঁচ আসন ডিব্রুগড়, জোড়হাট, কাজিরাঙ্গা, লখিমপুর ও সনিৎপুরে ভোট হবে আজ। ভারতের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় আসামে বিজেপি বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

এ ছাড়া পূর্ব ভারতের বিহারের চারটি আসন, ছত্তিশগড়ের মাওবাদী-অধ্যুষিত অঞ্চলের বস্তার আসন, সংলগ্ন মহারাষ্ট্রের আরও অন্তত দুটি মাওবাদী-অধ্যুষিত অঞ্চল চন্দ্রপুর ও গড়চিরোলি ছাড়া মহারাষ্ট্রেরই ভাণ্ডারা, রামটেক ও নাগপুরে ভোট হবে আগামীকাল।

২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৩০৩টি, কংগ্রেস ৫২টি, সমাজবাদী পার্টি ৫টি, বহুজন সমাজ পার্টি ১০, তৃণমূল ২২, ডিএমকে ২৩, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ২২ এবং টিডিপি ২টি আসনে জিতেছিল।

এমএ/

অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে হামলা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২২ এএম
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কে (টিজিভি) অগ্নিসংযোগসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাতে রেল নেটওয়ার্কে কয়েকবার হামলা চালানো হয়। এতে আটলান্টিক অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং পূর্বাঞ্চলের লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
রাজধানীতে অলিম্পিকের উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টা আগে এ ঘটনা ঘটল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান।

হামলার পর বেশ কয়েকটি রুটে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্যারিস-লন্ডন রুটে চলাচলকারী ইউরোস্টার ট্রেনগুলোর যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। কিছু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে এবং কিছু ট্রেনের সূচি পেছানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেলব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে অন্তত পুরো সপ্তাহ লেগে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এতে অলিম্পিকের সময় আগত পর্যটকদের যাতায়াতসেবা নিশ্চিতে সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে প্রশাসন। দ্রুতগামী ট্রেনগুলোর মাধ্যমে দৈনিক ৮০ হাজার যাত্রীকে সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের। ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফ বলছে, টিজিভি নেটওয়ার্ক অচল করে দিতেই বড় ধরনের এ হামলা চালানো হয়েছে।

এসএনসিএফ জানিয়েছে, হামলার ফলে অনেকগুলো লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওইসব লাইনের ট্রেনগুলোকে অন্য পথ দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ চলাচল বন্ধই রাখছেন তারা। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এ ধরনের আক্রমণের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেখানকার লাইনগুলো অক্ষত আছে বলে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যমগুলো।

ফ্রান্সের পরিবহনমন্ত্রী প্যাট্রিস ভার্গ্রেইত সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। দ্রুত রেল যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রাখায় এসএনসিএফকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি অঁদি ক্যাস্তেরা অলিম্পিকের সময় সংঘটিত এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন ‘এটি পুরোপুরি একটি ভয়ংকর ব্যাপার।’ 

এ পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ওইসব পথে নির্ধারিত যাত্রা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে এসএনসিএফ। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের রেলস্টেশনে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। ওই যানগুলোতে করে গাজার দক্ষিণে বড় মাপে হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, খান ইউনিসে তীব্র যুদ্ধের পরও যে হামাসের হাতে যথেষ্ট রসদ রয়েছে, সে ইঙ্গিত মিলছে এর মধ্য দিয়ে। সাত ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরও রয়েছে। হামাসের ঘাঁটি ও গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে ওই কিশোরের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে।

সামরিক বাহিনীর তথ্য বলছে, ৬০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে আক্রমণ চালানো হয়েছে। হেলিকপ্টার ও ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কংগ্রেসের সামনে রাখা বক্তব্য প্রসঙ্গে হামাস বলেছে, সেটি ‘মিথ্যায় পরিপূর্ণ’ এবং এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারটি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন না।

নেতানিয়াহু কংগ্রেসের রাখা বক্তব্যে বলেছেন, ‘অনেকেই মন্দের সঙ্গে দাঁড়াচ্ছেন। তারা হামাসের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন। তারা ধর্ষণকারী ও হত্যাকারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিবাদকারীরাও তাদের সঙ্গে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।’

নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে ক্যাপিটল হিলে ভয়েজ অব জিউসের বিক্ষোভের পর তার ওয়াশিংটন ডিসির হোটেলের সামনেও বুধবার গভীর রাতে প্রতিবাদ হয়। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে শত শত ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীরা ওয়াটারগেট হোটেলের সামনে জড়ো হন। হোটেলের দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড: অ্যারেস্ট নেতানিয়াহু’ লেখা প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৯ হাজার ১৭৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৯০ হাজার ৪০৩ জন। সূত্র: আল-জাজিরা

কে হবেন কমলার রানিং মেট

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২১ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২১ এএম
কে হবেন কমলার রানিং মেট
বাঁ থেকে রয় কুপার, মার্ক কেলি, জশ শাপিরো ও অ্যান্ডি বেশার। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। আগামী মাসে শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে তার দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি পাকাপোক্ত হবে। তবে তার আগেই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করতে হবে হ্যারিসকে, বেছে নিতে হবে রানিং মেট।

কমলা হ্যারিসের হাতে এ কাজ করার জন্য সময় খুব কম। এরই মধ্যে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারকে তিনি নিয়োগ দিয়েছেন একটি টিমের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। ওই টিম কমলা হ্যারিসের জন্য উপযুক্ত রানিং মেট যাচাই-বাছাই করছে, পারিবারিক ইতিহাস থেকে শুরু করে আর্থিক ইতিহাস সবই আমলে নেওয়া হচ্ছে। কিছু নাম এরই মধ্যে সামনে এসেছে।

জশ শাপিরো, পেনসিলভানিয়ার গভর্নর
পেনসিলভানিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ছয় ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের একটি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির উদীয়মান তারকা। শাপিরোর জন্ম মিজৌরির ক্যানসাস সিটিতে। তবে তিনি বড় হয়েছেন পেনসিলভানিয়াতেই। আইনজীবী হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ওই অঙ্গরাজ্যের কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্যাথলিক চার্চের যৌন হয়রানির মামলা সামাল দেওয়া থেকে শুরু করে মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষকে ঢুকতে না দেওয়ার যে চেষ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্প চালিয়েছিলেন- সেটির বিরোধিতাও করতে দেখা গেছে শাপিরোকে।

৫১ বছর বয়সী শাপিরো গত বছর পেনসিলভানিয়ার গভর্নর হয়েছেন। হামাসকে নির্মূলে ইসরায়েলের যে সিদ্ধান্ত, সেটির কট্টর সমর্থক তিনি। 

মার্ক কেলি, অ্যারিজোনার সিনেটর   
সাবেক নভোচারী ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মার্ক কেলি অভিবাসন ইস্যুতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করেন। তার জন্ম নিউ জার্সিতে, বাবা ও মা দুজনেই ছিলেন পুলিশ। ৬০ বছর বয়সী কেলি নাসা ও নেভি থেকে অবসরের পর টাকসনে থাকছেন। তার স্ত্রী সাবেক কংগ্রেসওম্যান গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ডস বন্দুকধারীদের হাতে মারা যান ২০১১ সালে। এর পর থেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সরব কেলি। 

রয় কুপার, নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর
কুপারের সঙ্গে হ্যারিসের পরিচয় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। অঙ্গরাজ্যটির অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করার সময় থেকে তিনি হ্যারিসের সঙ্গে কাজ করছেন। বর্তমানে কুপারের বয়স ৬৭। তিনি ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদপূর্ণ করেছেন। ওই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ২০১৬ সালে ও ২০২০ সালে জয়ী হয়েছিলেন।
 
অ্যান্ডি বেশার, কেন্টাকির গভর্নর
কেন্টাকিতে ২০২০ সালে ভালো পরিমাণে ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ট্রাম্প। তবে ওই অঙ্গরাজ্যেরই বেশ জনপ্রিয় ডেমোক্র্যাট গভর্নর অ্যান্ডি বেশের। ২০১৯ সালে তিনি কেন্টাকি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন। দুই দলের সঙ্গেই ভালোভাবে কাজ করতে পারার রেকর্ড রয়েছে তার। তিনি কেন্টাকিতে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা করেছেন। ৪৬ বছর বয়সী এ ডেমোক্র্যাট মনে করেন, মার্কিনিদের দৈনন্দিন উদ্বেগের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিলেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবে।

গ্রেচেন হুইটমার, মিশিগানের গভর্নর
২০১৯ সালে মিশিগানের গভর্নরের দায়িত্ব পান হুইটমার। ওই অঞ্চলে তিনি সোজাসাপ্টা ক্ষুরধার স্লোগান ব্যবহার করে শক্তিশালী অনুসারী দল গড়ে তুলেছেন। কোভিড-১৯ চলাকালে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সমালোচনাও করেছেন তিনি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ নিয়ে তার ওপর বিরক্ত হয়েছিলেন এবং তাকে ‘মিশিগানের ওই নারী’ বলে ডেকেছিলেন।

জেবি প্রিটজকের, ইলিনয়ের গভর্নর
শতকোটিপতি জেবি প্রিটজকের দলের অন্যতম প্রধান শক্তি। তার আর্থিক সম্পদের অন্যতম উৎস পারিবারিক হোটেল ব্যবসা- হায়াত হোটেলস। তিনি নিজ সম্পদ বাইডেনের প্রচারণায় ব্যয় করেছিলেন। কয়েক দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে এ আইনজীবীর। এর আগে হিলারি ক্লিনটনের ২০০৮ সালের প্রেসিডেনশিয়াল ক্যাম্পেইনে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পিট বুটিগিয়েগ, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিয়েগ ডেমোক্র্যাটিক দলের ভোটারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ২০২০ সালের প্রাইমারিতে তিনি বাইডেন ও হ্যারিস- দুজনের বিরুদ্ধেই লড়েছিলেন। ৪২ বছর বয়সী বুটিগিয়েগ পরবর্তীতে বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন ও ২০২১ সালে তার প্রশাসনে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় পদ পাওয়া প্রথম সমকামী পুরুষ তিনি।

টিম ওয়ালজ, মিনেসোটার গভর্নর
মিনেসোটার ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর টিম ওয়ালজ ২০১৮ সালে মিনেসোটার গভর্নর নির্বাচিত হন। পরে ২০২২ সালে তিনি পুনরায় গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬০ বছর বয়সী এ ব্যক্তি ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের নীতিবিষয়ক কমিটির সহ-সভাপতি। গভর্নর হিসেবে তিনি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতের অধিকার অনুমোদনের পক্ষে কাজ করেছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।

ওয়েস মুর, ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর
ম্যারিল্যান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর ওয়েস মুর। বর্তমানে ৪৫ বছর বয়সী মুর যখন খুব ছোট, তখন তার বাবা মারা যান। সংক্রমণ থাকা সত্ত্বেও তার বাবাকে হাসপাতাল থেকে বেশি আগে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুর বেশ শক্তিশালী বক্তা, তিনি শিশু দারিদ্র্য দূর করতে কাজ করেছেন। তিনি সবকিছু শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। সূত্র: আল-জাজিরা

ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৭

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৭
ইথিওপিয়ায় রবিবার ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭। ছবি: সংগৃহীত

ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে বেড়ে ২৫৭ জন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়বিষয়ক কার্যালয় ওসিএইচআর থেকে জানানো হয়, ওই মৃত্যু আরও বেড়ে ৫০০ জনে দাঁড়াতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ আশঙ্কার কথা জানায় সংস্থাটি।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ ইথিওপিয়ার গোফা এলাকায় গত রবিবার রাতে ভূমিধস হয়। পরে মঙ্গলবার ইথিওপিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশন জানায়, ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ২২৯ জন।

ভূমিধসে বাস্তুচ্যুত এখন অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ইথিওপিয়া রেডক্রস সোসাইটির সহায়তায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মাটিচাপা পড়াদের খোঁজে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

ওসিএইচআর বলছে, ভূমিধসে ২৩ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার। এর একদিন পর ২৪ জুলাই তা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৫১৫ জন। এ ভুক্তভোগীরা আবারও ভূমিধসের কবলে পড়ার প্রবল ঝুঁকিতে আছে। তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। সূত্র: রয়টার্স

আপসানাসহ ৭ এমপিকে বরখাস্ত করল লেবার পার্টি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
আপসানাসহ ৭ এমপিকে বরখাস্ত করল লেবার পার্টি
আপসানা বেগম

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আপসানা বেগমসহ সাত এমপিকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি। দুই সন্তানের সুবিধার (চাইল্ড বেনিফিট) সীমা তুলে নেওয়ার পক্ষে নিজ দলের বিপক্ষে গিয়ে ভোট দেওয়ায় তাদের বরখাস্ত করা হয়। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি)। খবর বিবিসির।

স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সংশোধিত প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়েছে ১০৩টি। বিপক্ষে পড়েছে ৩৬৩ ভোট। বরখাস্ত হওয়া সাত এমপি হলেন সাবেক শ্যাডো চ্যান্সেলর (ছায়া অর্থমন্ত্রী) জন ম্যাকডোনেল, পূর্ব লন্ডনের বাঙালি-অধ্যুষিত পপলার লাইম হাউসের এমপি আপসানা বেগম, রিচার্ড বোর্গান, ইয়ান বার্ন, ইমরান হোসাইন, রেবেকা লং বেইলি ও জারা সুলতানা। 

বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে বেশির ভাগই সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিনের সমর্থক বলে জানা গেছে। করবিন স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে এবারও রয়েছেন। তিনিও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া লেবার পার্টির ৪২ জন এমপি ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। বরখাস্ত হওয়া এমপিদের ব্যাপারে ছয় মাসের মধ্যে পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে লেবার পার্টি। এর মধ্যে কয়েকজনের শাস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দলটি।

ভোট দেওয়ার আগে আপসানা বেগম ফেসবুকে লেখেন, ‘যুক্তরাজ্যে শিশু দারিদ্র্যের সর্বোচ্চ হারের অন্যতম অংশ পূর্ব লন্ডনে। আমি আজ দুটি শিশু সুবিধার সীমা বাতিল করতে ভোট দেব।’

এদিকে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর এক্সে (সাবেক টুইটার) আপসানা লিখেছেন, ‘দুটি শিশুর সুবিধা সীমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি। এটি অনেক পরিবারের জন্য শিশু দারিদ্র্য এবং খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার ক্রমবর্ধমান ও গভীরতর স্তরে অবদান রাখবে। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে।’

২০১৫ সালে কনজারভেটিভ সরকারের তৎকালীন চ্যান্সেলর জর্জ অসবোর্ন চাইল্ড বেনিফিটের ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতি প্রবর্তন করেছিলেন। এ নীতি অনুযায়ী, পরিবারের প্রথম দুই সন্তানের পর তৃতীয় সন্তান চাইল্ড বেনিফিট পাবে না।