ঢাকা ২০ বৈশাখ ১৪৩২, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫

অল্পের জন্য স্বপ্নপূরণ হবে না বিজেপির: সমীক্ষা

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
অল্পের জন্য স্বপ্নপূরণ হবে না বিজেপির: সমীক্ষা

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তৃতীয় মেয়াদে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আসছে শুরু থেকেই। তাদের নির্বাচনি স্লোগানও বলছে, ‘এবার ৪০০ পার’, অর্থাৎ শুধু জয় নয়, বিপুল ভোট পেয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছে তারা। তবে নির্বাচনের ঠিক আগ দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে, ওই স্বপ্ন হয়তো অল্পের জন্য পূরণ হবে না ক্ষমতাসীনদের।

এনডিটিভির সমীক্ষা বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৭২টি জিতবে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১২২টি আসন। বাদবাকি ৪৯টি আসন দুই জোটের বাইরে থাকা দল বা যে কোনো জোট পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনুমিত এই চূড়ান্ত ফলাফল অবাক করার মতো কিছু নয় বলে মনে করছে এনডিটিভি। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে- ২০১৯ সাল থেকেই ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমশ কমে আসছে। 

এনডিএ যে ৩৬৫টি আসন জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে, তা হিসাবে ২০১৯ সালের ফলাফলের তুলনায় ৩.৪ শতাংশ বেশি। সেবার ৩৫৩টি আসন জিতেছিল ওই জোট, তার মধ্যে শুধু বিজেপিরই ছিল ৩০৩টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) পেয়েছিল ৯০ আসন।

২০১৪ সালের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এনডিএ ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ আসন বেশি জিতেছিল। ২০১৪ সালে এনডিএর দখলে ছিল ৩৩৬টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইউপিএ ২০১৪ সালে পেয়েছিল ৬০টি আসন। ২০১৯ সালে ৫০ শতাংশ বেড়ে তাদের ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ৯০-এর ঘরে। এবার ইউপিএ-তে পরিবর্তন এসেছে, ওই জোট এখন পরিচিত ইন্ডিয়া নামে। অনুমান বলছে ১২২ আসন পাবে এই ইন্ডিয়া জোট। তা যদি হয়, সেটি হবে ২০১৯ সালের ফলাফলের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।

সবমিলিয়ে ৯টি জরিপের ফলাফল নিয়ে সমীক্ষাটি করেছে এনডিটিভি। এর মধ্যে তিনটি জরিপ সম্পন্ন করেছিল এবিপি-সি। জরিপ তিনটি হয়েছিল ২৫ ডিসেম্বর, ১২ মার্চ ও ১৬ এপ্রিল। সেই তিন জরিপের শুরুতে অনুমান করা হয়েছিল এনডিএ ২৯৫-৩৩৫টি আসন পাবে, পরে তা গিয়ে ঠেকে ৩৬৬টি, শেষে স্থায়ী হয় ৩৭৩-এর ঘরে। অন্যদিকে ইন্ডিয়া ১৬৩ আসন পাবে বলে মনে করা হলেও দ্বিতীয় জরিপে ১৫৬ এবং তৃতীয় জরিপে গিয়ে ১৫৫তে ঠেকে অনুমান।

টাইমস-ইটিজির জরিপও বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট আবারও ক্ষমতায় আসতে চলেছে। জোটটি ৩৫৮ থেকে ৩৯৮টি আসন পাবে। অন্যদিকে ইন্ডিয়া পাবে ১১০ থেকে ১৩০টি আসন। কোনো জোটেই নেই এমন দলগুলো পাবে ৬৪ থেকে ৬৮টি আসন।

ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স, জি নিউজ-মাট্রিজ এবং টাইমস-মাট্রিজ সবাই পৃথক পৃথকভাবে অনুমানে জানিয়েছে, এনডিএ সাড়ে তিন শর বেশি আসন পাবে এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্ডিয়া জোট পাবে ১০০-এর চেয়ে কম আসন। তবে এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম টাইম মাট্রিজ। তারা বলছে, ইন্ডিয়া জোট ১০৪টি আসন পেতে পারে।

ইন্ডিয়া টুডে-সি ভোটার ৮ ফেব্রুয়ারি ৩৬ হাজার ভোটারের ওপর এক জরিপ চালায়। সেটির ফলাফল বলছে এনডিএ ৩৩৫টি আসন নিয়ে আবারও জয়ী হবে। ইন্ডিয়া জিতে নিবে ১৬৬টি আসন, অন্যান্য দল পাবে ৪২টি আসন।

আট রাজ্যে জয়
এনডিএ আট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী দিল্লি, নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাট এবং উত্তরপূর্বের অরুণাচল প্রদেশ। এনডিএ রাজস্থান, চন্ডিগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতে জয়লাভ করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো থেকে লোকসভায় ৭২ জন এমপি যাবে। ফলে এগুলোতে জিতলে চূড়ান্ত ফলাফলে তা সহায়তা করবে বিজেপিকে। তবে জরিপের ফলাফল বলছে, দক্ষিণ ভারতকে এবারও প্রভাবিত করতে পারেনি বিজেপি। 

২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি দিল্লির সাত আসন, গুজরাটের ২৬ আসন, অরুণাচল প্রদেশের দুই আসন, চন্ডিগড়ের এক আসন, উত্তরাখণ্ডের পাঁচ আসন, হিমাচল প্রদেশে চার আসন এবং দমন ও দিউতে এক আসন জিতে নিয়েছিল। এ ছাড়াও রাজস্থানে ২৫ আসনের মধ্যে ২৪টিতে জিতেছিল তারা। ২৫তম আসনটিও বিজেপি জোটের এক মিত্রই পেয়েছিল।

উত্তর প্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশ
উত্তর প্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশেও বিজেপি ও তার মিত্ররা প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে থাকা ১৪৯টি আসনের মধ্যে এনডিএ ১৩৭টি জিততে পারে। এটি হলে ২০১৯ সালের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি হবে। সেবার বিহারের ৪০ আসনের ৩৯টি, ইউপির ৮০ আসনের ৭৪টি এবং মধ্যপ্রদেশের ২৯ আসনের ২৮ জিতে নিয়েছিল এনডিএ।

বিহারে বিরোধীরা বড় ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছর সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার নিজের জনতা দলকে এনডিএ জোটে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। সবমিলিয়ে বিহারে ৫টি আসন পেতে পারে ইন্ডিয়া জোট।

উত্তরপ্রদেশেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন, ৮০টি। সেখানে আগেভাগেই পথ খুঁজে রাখতে হবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকে। মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস একটি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রে লড়াই
মহারাষ্ট্রে এবার মুখোমুখি হতে চলেছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট এবং মহা বিকাশ অঘাড়ি জোট। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে নামবে বিজেপি। ধারণা করা হচ্ছে, মহারাষ্ট্রে আধিপত্য বিস্তার অবস্থানে দেখা যাবে মহাযুতিকে। ৪৮ আসনের ৩০টি জিতে নেবে তারা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে হিসাবটা হবে একটু আলাদা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৪২ আসনের মধ্যে তার দল জিতে নেবে ২২টি। ২০১৯ সালে বিজেপি সেখানে ১৮টি আসন জিতলেও এবার ১৯টি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কাগজে-কলমে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মিত্র কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পশ্চিমবঙ্গে একটি আসন জিততে পারে। 

বিজেপির ‘দক্ষিণ অভিযান’
বিজেপি ঐতিহাসিকভাবেই দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে ভালো ফলের দেখা পায়নি। বিশেষ করে তামিলনাড়ু ও কেরালাতে। ২০১৯ সালে ওই দুই রাজ্যের কোনোটিতেই একটি আসনও পায়নি তারা। তামিলনাড়ুতে ভোট পেয়েছিল ৩.৬ শতাংশ। অন্যদিকে কেরালায় পেয়েছিল ২.৩ শতাংশ।

এটি এবার বদলে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর তামিলনাড়ুতে দুই আসন পেতে পারে বিজেপি। গত আট সপ্তাহে দশবার সেখানে সফর করেছেন তিনি। তামিলনাড়ুতে ইন্ডিয়া জোট বিজয়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের ৩৩ আসন এনে দেবে দাব্রিড় মুননেত্রা কাঝাগাম (ডিএমকে)। অন্যদিকে অল ইন্ডিয়া আন্না দাব্রিড় মুননেত্রা কাঝাগাম (এআইএডিএমকে) মাত্র চারটি আসন পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

দক্ষিণের অন্যান্য স্থানে বিজেপি কিছুটা সফলতার দেখা পেতে পারে। কর্নাটকে ২৮টি আসনের মধ্যে ২৩টি পেতে পারে এনডিএ। গত বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য সেখানে পরাজিত হয়েছিল তারা।

অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের ২৫ আসনের মধ্যে ১৬টি আবারও জিতে নিতে পারে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি। এ ছাড়া তেলেঙ্গানায় বিজেপি, কংগ্রেস ও ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে। ধারণা করা হচ্ছে, কংগ্রেস সেখানে ৯ আসন জিতে নেবে, বিজেপি পাবে চারটি, বিআরএস পাবে তিনটি। ১৭তম আসনটি পেতে পারে আসাউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম। সূত্র: এনডিটিভি

রাজপরিবারে ফিরতে চান প্রিন্স হ্যারি

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
রাজপরিবারে ফিরতে চান প্রিন্স হ্যারি
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি নিজের পরিবারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে যুক্তরাজ্যে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে পা রাখা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। মূলত ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাতিল হয়ে গেছে তার। আর সে কারণে যুক্তরাজ্যে আসা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জন্য।

এ ছাড়া বাবা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ঠিক করে ফেলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন প্রিন্স হ্যারি। বিবিসিকে দেওয়া এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। 

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, প্রিন্স হ্যারির ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাতিল হওয়ার ইস্যুটি গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। পরে আইনি লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। রাজা তৃতীয় চার্লস এসব ইস্যুতে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘জীবন মূল্যবান’ উল্লেখ করে প্রিন্স হ্যারি বাবার সঙ্গে সব কিছু ঠিক করে ফেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। চার্লসের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়েও তিনি উদ্বিগ্ন। বাবা কত দিন বেঁচে থাকবেন, সে বিষয়টিও তাকে ভাবায় বলে জানান।

বিবিসিকে সাক্ষাৎকারটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী হ্যারি। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমার পক্ষে পরিবারকে নিরাপদে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। … আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। দেশের অনেকে অনেক কিছু করার পরও সব সময় ভালোবেসেছি। আমার যুক্তরাজ্যের কথা মনে পড়ে এবং এটি সত্যিই দুঃখজনক যে, আমি সন্তানদের নিজের মাতৃভূমি দেখাতে পারব না।

২০২০ সালে রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর হ্যারির নিরাপত্তা সুবিধা বাতিল হয়ে যায়। তাকে সাধারণ সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়। হ্যারির দাবি, রাজপরিবারের সুরক্ষাদান সংশ্লিষ্ট নির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিষয়টিকে যথেষ্ট পরিমাণে খতিয়ে দেখেনি, কোনো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন হয়নি তখন।

প্রিন্স হ্যারি জানান যে, রাজা চাইলে এটি সমাধান করতে পারেন। হ্যারি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি শুধু আমন্ত্রিত হলেই নিরাপদে যুক্তরাজ্যে আসতে পারি। আর আমার বাবার হাতে অনেক নিয়ন্ত্রণ ও সক্ষমতা রয়েছে। হ্যারি আরও বলেন, এটি তার (রাজা তৃতীয় চার্লসের) মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে। হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে নয়, সরে দাঁড়ানোর মাধ্যমে এবং যেটি জরুরি, বিশেষজ্ঞদের সেটি করতে দিয়ে- আর তা হলো ঝুঁকি খতিয়ে দেখার মতো বোর্ড গঠন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ আবারও জয়ী

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ আবারও জয়ী
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন। দেশটিতে গত দুই দশকে তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিজয়টি আসন্ন বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে দেশটির মানুষ স্থিতিশীলতাকেই বেছে নিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, আলবানিজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ১৫০টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৮৭টি আসন পেয়েছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট। এই ফলাফল অনেক বিশ্লেষকের পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণ করেছে, যেখানে ধারণা করা হয়েছিল যে দুই প্রধান দলই আসন হারাবে।

জয়ের পর সিডনিতে লেবার পার্টির বিজয় উৎসবে আবেগপ্রবণ আলবানিজ বলেন, ‘এই বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার সময়ে অস্ট্রেলিয়াবাসী আশাবাদ ও দৃঢ়তাকেই বেছে নিয়েছে।’

এদিকে, বিরোধী দল লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডাটন ব্রিসবেনের উপশহরে তার দীর্ঘদিনের আসনটি হারিয়েছেন। গত ২০ বছরেরও বেশি সময় তিনি এই আসনটি ধরে রেখেছিলেন। এই পরাজয় তার রাজনৈতিক জীবনে একটি বড় ধাক্কা, বিশেষ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা করেছিলেন।

পরাজয়ের পর এক বক্তব্যে ডাটন বলেন, ‘এই ফলাফলের জন্য আমি সম্পূর্ণ দায় স্বীকার করছি। আমাদের লিবারেল পরিবার আজ সারা দেশে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের প্রতিপক্ষরা যেভাবে আমাদেরকে চিত্রিত করেছে, সেটিই এই নির্বাচনে মানুষ মেনে নিয়েছে। তবে এখান থেকেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’

এই নির্বাচন শুধু অস্ট্রেলিয়ার নয়, বরং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত ও শুল্কনীতি বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। তার প্রভাব অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতেও পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনেও ‘ট্রাম্প-কার্ড’?
ভোটবাক্সে আবারও আলোচনায় ‘ট্রাম্প-কার্ড’। ঘটনাটি প্রথমে ঘটেছিল কানাডায়। এবার ঘটতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ায়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের বাণিজ্যনীতির প্রভাব অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোকেও প্রভাবিত করেছে।

গত সপ্তাহে এই ‘ট্রাম্প-কার্ড’র জোরেই কানাডাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ‘গভর্নর’ জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টিতেই ভরসা রাখেন। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে সেই ‘কার্ড’ই যেন হাতে তুলে নিলেন অস্ট্রেলিয়াবাসী। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ নিজেকে অনেকটা ট্রাম্পবিরোধী রাখার চেষ্টা করেছেন। কেননা, ট্রাম্পের নীতি অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি করছে। পাশাপাশি, তিনি যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া জোট টিকিয়ে রাখার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। অন্যদিকে, পিটার ডাটন নিজেকে প্রায়ই মার্কিনপন্থি হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি জনগণকে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে নেতা হিসেবে তার বিকল্প নেই। সূত্র: বিবিসি

নতুন পোপ তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প!

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম
নতুন পোপ তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প!
ছবি: সংগৃহীত

খ্রিস্ট ধর্মের ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগদানের এক সপ্তাহ পরেই পোপ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তার একদিন না যেতেই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে তৈরী পোপের পোশাক ‘পাপাল’ পরিধান করা ছবি প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ছবি তিনি শেয়ার করেছেন তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে। তার এই ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। পোস্টটি হোয়াইট হাউজের অফিসিয়াল পেইজ থেকেও শেয়ার করা হয়।

শনিবার (৩ মে) প্রকাশিত তার এ ছবিতে দেখা যায় ট্রাম্প পোপের পোশার ‘পাপাল’ পরিধান করে করোনেশন চেয়ারে আঙ্গুল উচিয়ে পোপের ভঙ্গিতে বসে আছেন।

ছবি: সংগৃহীত

তার এ ছবিতে মজা নিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশ। আবার কেউ কেউ বলছেন তিনি সদ্য পরলোকগত পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছেন এবং তিনি তাকে উপহাস করছেন। খ্রিস্ট ধর্মানুরাগী ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের কেউ কেউ আবার তার এমন কর্মকাণ্ডে ব্যথিত হয়েছেন। তাদের অনেকে বলছেন, সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি এ কাজ কীভাবে করতে পারে?

কেউ কেউ লিখেছেন, ‘ট্রাম্প যখন ধর্ম নিয়ে তামাশা করে তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই?’। আবার অন্যজন লিখেছেন, ‘যারা পোপকে শ্রদ্ধা করেন তারা ট্রাম্পের এমন কাজে ব্যথিত হয়েছেন। ট্রাম্প পোপ সেজে ধর্মনিন্দা করেছেন। তিনি যে সাজ সেজেছেন তা পোপ ছাড়া অন্য কেউ নয়।’

তার এই পোপ সাজাতে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, তা ‘শিশুসুলভ ও অপেশাদার’। অনেকে হতবাক হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কীভাবে এ কাজ করতে পারেন। তারা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প যা মন চায় করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবেন, তা হতে পারে না। সূত্র: এনডিটিভি 

মাহফুজ

ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বিন মুবারক পদত্যাগ করেছেন। 

শনিবার (৩ মে) তিনি তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মুবারক বলেছেন, তিনি ‘অনেক সমস্যার’ সম্মুখীন হয়েছেন, যার মধ্যে দেশটির সরকার পুনর্গঠন করতে না পারাও অন্যতম।

ইয়েমেন সরকারের বরাতে রয়টার্স জানায়, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের প্রধান রাশআদ আল আলিমির সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে তিনি পদত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মুবারক মন্ত্রীসভার ১২ সদস্যকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের জন্য প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের অনুমতি চান কিন্তু এতে সম্মতি দেন নি রাশআদ আল আলিমি।

তার এ পদত্যাগের পর অর্থমন্ত্রী সালেম সালেহ বিন বারিককে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মুবারক ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৫ সালে ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠীর দ্বারা অপহরণের পর আলোচনায় আসেন এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তখন তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনসুর হাদির সঙ্গে হুতিদের সংঘর্ষ চলছিল। 

মুবারক এমন সময়ে পদত্যাগ করেন যখন ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চল হুথিদের উপর মার্কিন বিমান হামলার মাত্রা তীব্র হচ্ছে এবং হুথিদের সকল অর্থ উপার্জনকারী সম্পদ বিশেষ করে জ্বালানির উৎস ধ্বংস করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েকদিনে এ হামলার মাত্রা বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে। শত শত মানুষ প্রাণ হারান গত কয়েকদিনের এ হামলায়।

ইয়েমেন গত এক দশকের বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। ২০১৪ সালে হুথিরা রাজধানী সানা দখল করে নেয় এবং স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে। বর্তমানে হুথিরা ইয়েমেনের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে রেখেছে এবং জনবহুল উত্তর ও লোহিত সাগরের তীরবর্তী পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।

সূত্র: রয়টার্স

নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা পাকিস্তানের

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
আপডেট: ০৩ মে ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম
নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা পাকিস্তানের
ছবি: দ্য ডন থেকে

পাকিস্তান মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা শেষ করেছে।

শনিবার (৩ মে) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, পাকিস্তান ‘আবদালি’ নামে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে, যা ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য একটি ক্ষেপণাস্ত্র। এর পাল্লা ৪৫০ কিলোমিটার।

পাক সেনার ‘সিন্ধু’ নামক মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উৎক্ষেপণ করা হয়।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সৈন্যদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও উন্নত বৈশিষ্ট্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত বিষয়গুলোর যথার্থতা যাচাই করা।

সফল উৎক্ষেপনের পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং সার্ভিস প্রধানরা অংশগ্রহণকারী সৈন্য, বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারা বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় পাকিস্তানের কৌশলগত বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি এবং কারিগরি দক্ষতায় আস্থা প্রকাশ করেছেন।

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে মারাত্মক হামলার পর নয়াদিল্লির আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের মধ্যে পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এই পরীক্ষা চালানো হয়।

পাহেলগামে ২২ এপ্রিলের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই পর্যটক।

এর আগে গত বছরের আগস্টে পাকিস্তান শাহীন-২ ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। সূত্র: ডন

অমিয়/