ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

অল্পের জন্য স্বপ্নপূরণ হবে না বিজেপির: সমীক্ষা

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
অল্পের জন্য স্বপ্নপূরণ হবে না বিজেপির: সমীক্ষা

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তৃতীয় মেয়াদে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আসছে শুরু থেকেই। তাদের নির্বাচনি স্লোগানও বলছে, ‘এবার ৪০০ পার’, অর্থাৎ শুধু জয় নয়, বিপুল ভোট পেয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছে তারা। তবে নির্বাচনের ঠিক আগ দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত সমীক্ষা বলছে, ওই স্বপ্ন হয়তো অল্পের জন্য পূরণ হবে না ক্ষমতাসীনদের।

এনডিটিভির সমীক্ষা বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৭২টি জিতবে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১২২টি আসন। বাদবাকি ৪৯টি আসন দুই জোটের বাইরে থাকা দল বা যে কোনো জোট পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনুমিত এই চূড়ান্ত ফলাফল অবাক করার মতো কিছু নয় বলে মনে করছে এনডিটিভি। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে- ২০১৯ সাল থেকেই ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমশ কমে আসছে। 

এনডিএ যে ৩৬৫টি আসন জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে, তা হিসাবে ২০১৯ সালের ফলাফলের তুলনায় ৩.৪ শতাংশ বেশি। সেবার ৩৫৩টি আসন জিতেছিল ওই জোট, তার মধ্যে শুধু বিজেপিরই ছিল ৩০৩টি আসন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) পেয়েছিল ৯০ আসন।

২০১৪ সালের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এনডিএ ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ আসন বেশি জিতেছিল। ২০১৪ সালে এনডিএর দখলে ছিল ৩৩৬টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইউপিএ ২০১৪ সালে পেয়েছিল ৬০টি আসন। ২০১৯ সালে ৫০ শতাংশ বেড়ে তাদের ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ৯০-এর ঘরে। এবার ইউপিএ-তে পরিবর্তন এসেছে, ওই জোট এখন পরিচিত ইন্ডিয়া নামে। অনুমান বলছে ১২২ আসন পাবে এই ইন্ডিয়া জোট। তা যদি হয়, সেটি হবে ২০১৯ সালের ফলাফলের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি।

সবমিলিয়ে ৯টি জরিপের ফলাফল নিয়ে সমীক্ষাটি করেছে এনডিটিভি। এর মধ্যে তিনটি জরিপ সম্পন্ন করেছিল এবিপি-সি। জরিপ তিনটি হয়েছিল ২৫ ডিসেম্বর, ১২ মার্চ ও ১৬ এপ্রিল। সেই তিন জরিপের শুরুতে অনুমান করা হয়েছিল এনডিএ ২৯৫-৩৩৫টি আসন পাবে, পরে তা গিয়ে ঠেকে ৩৬৬টি, শেষে স্থায়ী হয় ৩৭৩-এর ঘরে। অন্যদিকে ইন্ডিয়া ১৬৩ আসন পাবে বলে মনে করা হলেও দ্বিতীয় জরিপে ১৫৬ এবং তৃতীয় জরিপে গিয়ে ১৫৫তে ঠেকে অনুমান।

টাইমস-ইটিজির জরিপও বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট আবারও ক্ষমতায় আসতে চলেছে। জোটটি ৩৫৮ থেকে ৩৯৮টি আসন পাবে। অন্যদিকে ইন্ডিয়া পাবে ১১০ থেকে ১৩০টি আসন। কোনো জোটেই নেই এমন দলগুলো পাবে ৬৪ থেকে ৬৮টি আসন।

ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স, জি নিউজ-মাট্রিজ এবং টাইমস-মাট্রিজ সবাই পৃথক পৃথকভাবে অনুমানে জানিয়েছে, এনডিএ সাড়ে তিন শর বেশি আসন পাবে এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্ডিয়া জোট পাবে ১০০-এর চেয়ে কম আসন। তবে এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম টাইম মাট্রিজ। তারা বলছে, ইন্ডিয়া জোট ১০৪টি আসন পেতে পারে।

ইন্ডিয়া টুডে-সি ভোটার ৮ ফেব্রুয়ারি ৩৬ হাজার ভোটারের ওপর এক জরিপ চালায়। সেটির ফলাফল বলছে এনডিএ ৩৩৫টি আসন নিয়ে আবারও জয়ী হবে। ইন্ডিয়া জিতে নিবে ১৬৬টি আসন, অন্যান্য দল পাবে ৪২টি আসন।

আট রাজ্যে জয়
এনডিএ আট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী দিল্লি, নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাট এবং উত্তরপূর্বের অরুণাচল প্রদেশ। এনডিএ রাজস্থান, চন্ডিগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতে জয়লাভ করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো থেকে লোকসভায় ৭২ জন এমপি যাবে। ফলে এগুলোতে জিতলে চূড়ান্ত ফলাফলে তা সহায়তা করবে বিজেপিকে। তবে জরিপের ফলাফল বলছে, দক্ষিণ ভারতকে এবারও প্রভাবিত করতে পারেনি বিজেপি। 

২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি দিল্লির সাত আসন, গুজরাটের ২৬ আসন, অরুণাচল প্রদেশের দুই আসন, চন্ডিগড়ের এক আসন, উত্তরাখণ্ডের পাঁচ আসন, হিমাচল প্রদেশে চার আসন এবং দমন ও দিউতে এক আসন জিতে নিয়েছিল। এ ছাড়াও রাজস্থানে ২৫ আসনের মধ্যে ২৪টিতে জিতেছিল তারা। ২৫তম আসনটিও বিজেপি জোটের এক মিত্রই পেয়েছিল।

উত্তর প্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশ
উত্তর প্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশেও বিজেপি ও তার মিত্ররা প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে থাকা ১৪৯টি আসনের মধ্যে এনডিএ ১৩৭টি জিততে পারে। এটি হলে ২০১৯ সালের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি হবে। সেবার বিহারের ৪০ আসনের ৩৯টি, ইউপির ৮০ আসনের ৭৪টি এবং মধ্যপ্রদেশের ২৯ আসনের ২৮ জিতে নিয়েছিল এনডিএ।

বিহারে বিরোধীরা বড় ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছর সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার নিজের জনতা দলকে এনডিএ জোটে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। সবমিলিয়ে বিহারে ৫টি আসন পেতে পারে ইন্ডিয়া জোট।

উত্তরপ্রদেশেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি লোকসভা আসন, ৮০টি। সেখানে আগেভাগেই পথ খুঁজে রাখতে হবে বিরোধী জোট ইন্ডিয়াকে। মধ্য প্রদেশে কংগ্রেস একটি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রে লড়াই
মহারাষ্ট্রে এবার মুখোমুখি হতে চলেছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট এবং মহা বিকাশ অঘাড়ি জোট। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে নামবে বিজেপি। ধারণা করা হচ্ছে, মহারাষ্ট্রে আধিপত্য বিস্তার অবস্থানে দেখা যাবে মহাযুতিকে। ৪৮ আসনের ৩০টি জিতে নেবে তারা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে হিসাবটা হবে একটু আলাদা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৪২ আসনের মধ্যে তার দল জিতে নেবে ২২টি। ২০১৯ সালে বিজেপি সেখানে ১৮টি আসন জিতলেও এবার ১৯টি আসন জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কাগজে-কলমে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মিত্র কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পশ্চিমবঙ্গে একটি আসন জিততে পারে। 

বিজেপির ‘দক্ষিণ অভিযান’
বিজেপি ঐতিহাসিকভাবেই দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে ভালো ফলের দেখা পায়নি। বিশেষ করে তামিলনাড়ু ও কেরালাতে। ২০১৯ সালে ওই দুই রাজ্যের কোনোটিতেই একটি আসনও পায়নি তারা। তামিলনাড়ুতে ভোট পেয়েছিল ৩.৬ শতাংশ। অন্যদিকে কেরালায় পেয়েছিল ২.৩ শতাংশ।

এটি এবার বদলে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর তামিলনাড়ুতে দুই আসন পেতে পারে বিজেপি। গত আট সপ্তাহে দশবার সেখানে সফর করেছেন তিনি। তামিলনাড়ুতে ইন্ডিয়া জোট বিজয়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের ৩৩ আসন এনে দেবে দাব্রিড় মুননেত্রা কাঝাগাম (ডিএমকে)। অন্যদিকে অল ইন্ডিয়া আন্না দাব্রিড় মুননেত্রা কাঝাগাম (এআইএডিএমকে) মাত্র চারটি আসন পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

দক্ষিণের অন্যান্য স্থানে বিজেপি কিছুটা সফলতার দেখা পেতে পারে। কর্নাটকে ২৮টি আসনের মধ্যে ২৩টি পেতে পারে এনডিএ। গত বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য সেখানে পরাজিত হয়েছিল তারা।

অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের ২৫ আসনের মধ্যে ১৬টি আবারও জিতে নিতে পারে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি। এ ছাড়া তেলেঙ্গানায় বিজেপি, কংগ্রেস ও ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে। ধারণা করা হচ্ছে, কংগ্রেস সেখানে ৯ আসন জিতে নেবে, বিজেপি পাবে চারটি, বিআরএস পাবে তিনটি। ১৭তম আসনটি পেতে পারে আসাউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম। সূত্র: এনডিটিভি

ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। ওই যানগুলোতে করে গাজার দক্ষিণে বড় মাপে হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, খান ইউনিসে তীব্র যুদ্ধের পরও যে হামাসের হাতে যথেষ্ট রসদ রয়েছে, সে ইঙ্গিত মিলছে এর মধ্য দিয়ে। সাত ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরও রয়েছে। হামাসের ঘাঁটি ও গাজায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে ওই কিশোরের ওপর অত্যাচার চালানো হয়েছে।

সামরিক বাহিনীর তথ্য বলছে, ৬০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে আক্রমণ চালানো হয়েছে। হেলিকপ্টার ও ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কংগ্রেসের সামনে রাখা বক্তব্য প্রসঙ্গে হামাস বলেছে, সেটি ‘মিথ্যায় পরিপূর্ণ’ এবং এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি যুদ্ধবিরতির ব্যাপারটি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন না।

নেতানিয়াহু কংগ্রেসের রাখা বক্তব্যে বলেছেন, ‘অনেকেই মন্দের সঙ্গে দাঁড়াচ্ছেন। তারা হামাসের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন। তারা ধর্ষণকারী ও হত্যাকারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিবাদকারীরাও তাদের সঙ্গে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।’

নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে ক্যাপিটল হিলে ভয়েজ অব জিউসের বিক্ষোভের পর তার ওয়াশিংটন ডিসির হোটেলের সামনেও বুধবার গভীর রাতে প্রতিবাদ হয়। গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে শত শত ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীরা ওয়াটারগেট হোটেলের সামনে জড়ো হন। হোটেলের দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড: অ্যারেস্ট নেতানিয়াহু’ লেখা প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৯ হাজার ১৭৫ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৯০ হাজার ৪০৩ জন। সূত্র: আল-জাজিরা

কে হবেন কমলার রানিং মেট

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২১ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২১ এএম
কে হবেন কমলার রানিং মেট
বাঁ থেকে রয় কুপার, মার্ক কেলি, জশ শাপিরো ও অ্যান্ডি বেশার। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। আগামী মাসে শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে তার দলীয় মনোনয়নের বিষয়টি পাকাপোক্ত হবে। তবে তার আগেই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করতে হবে হ্যারিসকে, বেছে নিতে হবে রানিং মেট।

কমলা হ্যারিসের হাতে এ কাজ করার জন্য সময় খুব কম। এরই মধ্যে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারকে তিনি নিয়োগ দিয়েছেন একটি টিমের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। ওই টিম কমলা হ্যারিসের জন্য উপযুক্ত রানিং মেট যাচাই-বাছাই করছে, পারিবারিক ইতিহাস থেকে শুরু করে আর্থিক ইতিহাস সবই আমলে নেওয়া হচ্ছে। কিছু নাম এরই মধ্যে সামনে এসেছে।

জশ শাপিরো, পেনসিলভানিয়ার গভর্নর
পেনসিলভানিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ছয় ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যের একটি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির উদীয়মান তারকা। শাপিরোর জন্ম মিজৌরির ক্যানসাস সিটিতে। তবে তিনি বড় হয়েছেন পেনসিলভানিয়াতেই। আইনজীবী হিসেবে ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ওই অঙ্গরাজ্যের কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্যাথলিক চার্চের যৌন হয়রানির মামলা সামাল দেওয়া থেকে শুরু করে মুসলিম দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষকে ঢুকতে না দেওয়ার যে চেষ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্প চালিয়েছিলেন- সেটির বিরোধিতাও করতে দেখা গেছে শাপিরোকে।

৫১ বছর বয়সী শাপিরো গত বছর পেনসিলভানিয়ার গভর্নর হয়েছেন। হামাসকে নির্মূলে ইসরায়েলের যে সিদ্ধান্ত, সেটির কট্টর সমর্থক তিনি। 

মার্ক কেলি, অ্যারিজোনার সিনেটর   
সাবেক নভোচারী ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মার্ক কেলি অভিবাসন ইস্যুতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করেন। তার জন্ম নিউ জার্সিতে, বাবা ও মা দুজনেই ছিলেন পুলিশ। ৬০ বছর বয়সী কেলি নাসা ও নেভি থেকে অবসরের পর টাকসনে থাকছেন। তার স্ত্রী সাবেক কংগ্রেসওম্যান গ্যাব্রিয়েল গিফোর্ডস বন্দুকধারীদের হাতে মারা যান ২০১১ সালে। এর পর থেকেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে সরব কেলি। 

রয় কুপার, নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর
কুপারের সঙ্গে হ্যারিসের পরিচয় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। অঙ্গরাজ্যটির অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করার সময় থেকে তিনি হ্যারিসের সঙ্গে কাজ করছেন। বর্তমানে কুপারের বয়স ৬৭। তিনি ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনার গভর্নর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদপূর্ণ করেছেন। ওই অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প ২০১৬ সালে ও ২০২০ সালে জয়ী হয়েছিলেন।
 
অ্যান্ডি বেশার, কেন্টাকির গভর্নর
কেন্টাকিতে ২০২০ সালে ভালো পরিমাণে ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ট্রাম্প। তবে ওই অঙ্গরাজ্যেরই বেশ জনপ্রিয় ডেমোক্র্যাট গভর্নর অ্যান্ডি বেশের। ২০১৯ সালে তিনি কেন্টাকি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন। দুই দলের সঙ্গেই ভালোভাবে কাজ করতে পারার রেকর্ড রয়েছে তার। তিনি কেন্টাকিতে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা করেছেন। ৪৬ বছর বয়সী এ ডেমোক্র্যাট মনে করেন, মার্কিনিদের দৈনন্দিন উদ্বেগের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিলেই ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবে।

গ্রেচেন হুইটমার, মিশিগানের গভর্নর
২০১৯ সালে মিশিগানের গভর্নরের দায়িত্ব পান হুইটমার। ওই অঞ্চলে তিনি সোজাসাপ্টা ক্ষুরধার স্লোগান ব্যবহার করে শক্তিশালী অনুসারী দল গড়ে তুলেছেন। কোভিড-১৯ চলাকালে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সমালোচনাও করেছেন তিনি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ নিয়ে তার ওপর বিরক্ত হয়েছিলেন এবং তাকে ‘মিশিগানের ওই নারী’ বলে ডেকেছিলেন।

জেবি প্রিটজকের, ইলিনয়ের গভর্নর
শতকোটিপতি জেবি প্রিটজকের দলের অন্যতম প্রধান শক্তি। তার আর্থিক সম্পদের অন্যতম উৎস পারিবারিক হোটেল ব্যবসা- হায়াত হোটেলস। তিনি নিজ সম্পদ বাইডেনের প্রচারণায় ব্যয় করেছিলেন। কয়েক দশকের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে এ আইনজীবীর। এর আগে হিলারি ক্লিনটনের ২০০৮ সালের প্রেসিডেনশিয়াল ক্যাম্পেইনে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পিট বুটিগিয়েগ, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন মন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিয়েগ ডেমোক্র্যাটিক দলের ভোটারদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ২০২০ সালের প্রাইমারিতে তিনি বাইডেন ও হ্যারিস- দুজনের বিরুদ্ধেই লড়েছিলেন। ৪২ বছর বয়সী বুটিগিয়েগ পরবর্তীতে বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছিলেন ও ২০২১ সালে তার প্রশাসনে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় পদ পাওয়া প্রথম সমকামী পুরুষ তিনি।

টিম ওয়ালজ, মিনেসোটার গভর্নর
মিনেসোটার ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর টিম ওয়ালজ ২০১৮ সালে মিনেসোটার গভর্নর নির্বাচিত হন। পরে ২০২২ সালে তিনি পুনরায় গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬০ বছর বয়সী এ ব্যক্তি ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের নীতিবিষয়ক কমিটির সহ-সভাপতি। গভর্নর হিসেবে তিনি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতের অধিকার অনুমোদনের পক্ষে কাজ করেছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।

ওয়েস মুর, ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর
ম্যারিল্যান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর ওয়েস মুর। বর্তমানে ৪৫ বছর বয়সী মুর যখন খুব ছোট, তখন তার বাবা মারা যান। সংক্রমণ থাকা সত্ত্বেও তার বাবাকে হাসপাতাল থেকে বেশি আগে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুর বেশ শক্তিশালী বক্তা, তিনি শিশু দারিদ্র্য দূর করতে কাজ করেছেন। তিনি সবকিছু শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তিতে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। সূত্র: আল-জাজিরা

ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৭

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৭
ইথিওপিয়ায় রবিবার ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭। ছবি: সংগৃহীত

ইথিওপিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে বেড়ে ২৫৭ জন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ওই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়বিষয়ক কার্যালয় ওসিএইচআর থেকে জানানো হয়, ওই মৃত্যু আরও বেড়ে ৫০০ জনে দাঁড়াতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ আশঙ্কার কথা জানায় সংস্থাটি।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ ইথিওপিয়ার গোফা এলাকায় গত রবিবার রাতে ভূমিধস হয়। পরে মঙ্গলবার ইথিওপিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশন জানায়, ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ২২৯ জন।

ভূমিধসে বাস্তুচ্যুত এখন অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। ইথিওপিয়া রেডক্রস সোসাইটির সহায়তায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মাটিচাপা পড়াদের খোঁজে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।

ওসিএইচআর বলছে, ভূমিধসে ২৩ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার। এর একদিন পর ২৪ জুলাই তা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৫১৫ জন। এ ভুক্তভোগীরা আবারও ভূমিধসের কবলে পড়ার প্রবল ঝুঁকিতে আছে। তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। সূত্র: রয়টার্স

আপসানাসহ ৭ এমপিকে বরখাস্ত করল লেবার পার্টি

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
আপসানাসহ ৭ এমপিকে বরখাস্ত করল লেবার পার্টি
আপসানা বেগম

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আপসানা বেগমসহ সাত এমপিকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি। দুই সন্তানের সুবিধার (চাইল্ড বেনিফিট) সীমা তুলে নেওয়ার পক্ষে নিজ দলের বিপক্ষে গিয়ে ভোট দেওয়ায় তাদের বরখাস্ত করা হয়। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি)। খবর বিবিসির।

স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সংশোধিত প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়েছে ১০৩টি। বিপক্ষে পড়েছে ৩৬৩ ভোট। বরখাস্ত হওয়া সাত এমপি হলেন সাবেক শ্যাডো চ্যান্সেলর (ছায়া অর্থমন্ত্রী) জন ম্যাকডোনেল, পূর্ব লন্ডনের বাঙালি-অধ্যুষিত পপলার লাইম হাউসের এমপি আপসানা বেগম, রিচার্ড বোর্গান, ইয়ান বার্ন, ইমরান হোসাইন, রেবেকা লং বেইলি ও জারা সুলতানা। 

বরখাস্ত হওয়াদের মধ্যে বেশির ভাগই সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিনের সমর্থক বলে জানা গেছে। করবিন স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে এবারও রয়েছেন। তিনিও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া লেবার পার্টির ৪২ জন এমপি ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। বরখাস্ত হওয়া এমপিদের ব্যাপারে ছয় মাসের মধ্যে পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে লেবার পার্টি। এর মধ্যে কয়েকজনের শাস্তি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দলটি।

ভোট দেওয়ার আগে আপসানা বেগম ফেসবুকে লেখেন, ‘যুক্তরাজ্যে শিশু দারিদ্র্যের সর্বোচ্চ হারের অন্যতম অংশ পূর্ব লন্ডনে। আমি আজ দুটি শিশু সুবিধার সীমা বাতিল করতে ভোট দেব।’

এদিকে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর এক্সে (সাবেক টুইটার) আপসানা লিখেছেন, ‘দুটি শিশুর সুবিধা সীমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি। এটি অনেক পরিবারের জন্য শিশু দারিদ্র্য এবং খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার ক্রমবর্ধমান ও গভীরতর স্তরে অবদান রাখবে। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে।’

২০১৫ সালে কনজারভেটিভ সরকারের তৎকালীন চ্যান্সেলর জর্জ অসবোর্ন চাইল্ড বেনিফিটের ক্ষেত্রে দুই সন্তান নীতি প্রবর্তন করেছিলেন। এ নীতি অনুযায়ী, পরিবারের প্রথম দুই সন্তানের পর তৃতীয় সন্তান চাইল্ড বেনিফিট পাবে না।

অক্সফামের তথ্য বিশ্বের ধনী ১ শতাংশের আয় এক দশকে ৪০ ট্রিলিয়ন বেড়েছে

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম
বিশ্বের ধনী ১ শতাংশের আয় এক দশকে ৪০ ট্রিলিয়ন বেড়েছে
প্রতীকী ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ ব্যক্তির সম্পদ গত ১ দশকে মোট ৪২ ট্রিলিয়ন বেড়েছে। অতি ধনী ব্যক্তিদের ওপর করারোপ করার প্রধান আলোচ্যসূচি নিয়ে ব্রাজিলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম এ কথা জানিয়েছে।

অক্সফাম সূত্র বলছে, এই বিপর্যয়কর বৈষম্য সত্ত্বেও ধনীদের ওপর কর ‘ইতিহাসের সবচেয়ে নিম্ন’ পর্যায়ে নেমে গেছে উল্লেখ করে এই এনজিওটি বাকি বিশ্বের সঙ্গে ‘অশ্লীল মাত্রার’ বৈষম্যের চরম পরিণতির ব্যাপারে সতর্ক করেছে।  

বিশ্বের জিডিপির ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্বকারী দেশগুলোর গ্রুপ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি ব্রাজিল অতি-ধনীদের কর আরোপের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

রিও ডি জেনিরোতে এই সপ্তাহের শীর্ষ সম্মেলনে গ্রুপের অর্থমন্ত্রীরা অতি-ধনী ব্যক্তিদের ওপর শুল্ক বাড়াতে ও বিলিয়নিয়ারদের ট্যাক্স সিস্টেম ফাঁকি দেওয়া রোধকল্পে উপায়গুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগে কোটিপতি এবং অন্যান্য উচ্চ-আয়ের উপার্জনকারীদের কর পদ্ধতি নির্ধারণ জড়িত।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শীর্ষ সম্মেলনে প্রস্তাবটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক হওয়ার কথা। ফ্রান্স, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কলম্বিয়া এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রস্তাবের পক্ষে কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে বিপক্ষে।

অক্সফাম এটিকে ‘জি-২০ সরকারের জন্য সত্যিকারের লিটমাস পরীক্ষা (সিদ্ধান্ত ও মতামত)’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের অতি-ধনীদের ‘চরম সম্পদ’ এর ওপর কমপক্ষে ৮ শতাংশের বার্ষিক নেট সম্পদ কর কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।

অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের বৈষম্য নীতির প্রধান ম্যাক্স লসন বলেছেন, ‘অতি ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির গতি অনস্বীকার্য।’

অক্সফাম বলেছে, ৪২ ট্রিলিয়ন সংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার দরিদ্র অর্ধেক সঞ্চিত সম্পদের প্রায় ৩৬ গুণ বেশি। এনজিওটি বলেছে, তা সত্ত্বেও, বিশ্বজুড়ে বিলিয়নিয়াররা ‘তাদের সম্পদের ০.৫ শতাংশেরও কম সমতুল্য’ কর দিয়েছেন। বাসস