![রাফায় হামলায় নিহত ৪০](uploads/2024/05/28/Rafa-1716866110.jpg)
রাফা এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলি বোমা হামলায় বেশ কয়েক ডজন মানুষ হতাহত হয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে বিপুল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাসের গ্রুপগুলোর কম্পাউন্ডে দুজন সিনিয়র নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পরে দেখা যায়, আগুন শরণার্থী শিবিরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বহু বেসামরিক মানুষের হতাহতের খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই হামলার ঘণ্টা খানেক আগে হামাস রাফা থেকে তেল আবিবে কমপক্ষে ৮টি রকেট হামলা চালায়। গত জানুয়ারির পর এই প্রথম দূরপাল্লার রকেট হামলা চালানো হলো।
রাফায় হামলা বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নির্দেশের দুদিন পর শহরটিতে আবার হামলা চালানো হলো। সেখানে লাখ লাখ বেসামরিক শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
গাজায় হামলা চালানোর পর এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে ইয়াসিন রাবিয়া ও খালিদ নাগার নামে হামাসের দুজন সিনিয়র নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।
আল-জাজিরা জানায়, নিহতদের মধ্যে একজন পশ্চিম তীরে হামাসের চিফ অব স্টাফ এবং অপরজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি ইসরায়েলে ধ্বংসাত্মক হামলার অন্যতম রূপকার।
আইডিএফ জানায়, নির্ভুল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে হামাস নেতাদের হত্যা করা হয়।
হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল উত্তর-পশ্চিম রাফায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছে। নির্ধারিত মানবিক নিরাপদ এলাকা হতে উচ্ছেদ হয়ে তারা রাফায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
আইডিএফ জানায়, হত্যার জন্য ঊর্ধ্বতন হামাস নেতাদের টার্গেট করা হয়েছিল। তবে বেসামরিক নাগরিক হত্যার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে।
প্যালেস্টিনিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন মুখপাত্র অ্যাসোসিয়েটেড নিউজ এজেন্সিকে জানায়, সিটি সেন্টারের ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে তাল আল সুলতান বসতিস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরুর পর মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, তাল আল সুলতানের বসতিস্থলের পুরোটাই আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
ফাদি দুখান নামে অপর একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক বাড়ির সামনে বসে থাকতে থাকতেই তিনি দেখেন বাড়িটি আগুনে পুড়ে গেল।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, আমরা আকস্মিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শব্দ পাই। পরে সেখান থেকে পালিয়ে গেলে দেখতে পাই ধোঁয়ায় পুরো রাস্তা ঢেকে গেছে। তারপর আর কিছু দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, আমরা বাড়ির ভেতর ঢুকে কাউকে দেখিনি। তবে পরে সেখানে একজন বালিকা ও এক তরুণের ছিন্নভিন্ন লাশ দেখা গেছে। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা।