জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৫ পিএম
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ রেজুল্যুশন ‘প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তু এবং টেকসই উন্নয়ন’ গত মঙ্গলবার  নভেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাট, তুলা এবং সিসালের মতো প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অটল প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থনের স্বীকৃতি বহন করে এটি।

রেজুল্যুশনে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহারের জোরালো আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে, এটি জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে রাজনৈতিক সমর্থন জোগাতে এবং এ বিষয়ে  তাদের সক্ষমতা বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় সম্পদ 
আহরণে উৎসাহিত করে।

বিশ্বের প্রাচীনতম শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রেজুল্যুশনটি প্রাকৃতিক তন্তুকে কৃত্রিম এবং প্লাস্টিকভিত্তিক পণ্যগুলোর একটি উত্তম বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ বাস্তবায়ন তরান্বিত করতে প্রাকৃতিক তন্তুর উৎপাদন ও ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য অবদান তুলে ধরা 
হয় এই রেজুল্যুশনে। 

রেজুল্যুশন উপস্থাপনের সময় বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি জাতিসংঘের সকল সদস্যরাষ্ট্রকে রেজুল্যুশনের নেগোশিয়েশনে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহনের জন্য এবং এর বিভিন্ন প্রস্তাবে ঐকমত্য অর্জনে অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বপ্রথম এই রেজুল্যুশন পেশ করে এবং তারপর থেকে এই রেজুল্যুশনটি জাতিসংঘে দ্বি-বার্ষিকভাবে গৃহীত হয়ে আসছে।

রিয়াজ/ইসরাত/অমিয়/

১২ রোগের ঝুঁকিতে ষাটোর্ধ্ব নারীরা

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
১২ রোগের ঝুঁকিতে ষাটোর্ধ্ব নারীরা
মা দিবসে মহাখালীতে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) উদ্যোগে সেমিনার

ষাটোর্ধ্ব নারীরা ১২টি রোগের ঝুঁকিতে পড়েন। এসব রোগের ব্যাপারে পরিবারের অন্যদের সতর্ক ও সচেতন থাকা জরুরি। সেই সঙ্গে প্রয়োজনমতো তাদের যত্ন ও চিকিৎসার দিকেও নজর বাড়ানো দরকার। 

রবিবার (১২ মে) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। 

মা দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। 

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। সভাপতিত্ব করেন নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম সাদী।

আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যার অধ্যাপক ডা. ফাতেমা রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আঞ্জুমান আরা, জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, বেসরকারি সংস্থা প্রশিকার সিনিয়র রিসার্চার মিসেস স্বপ্না মুশতারীসহ অন্যরা।

সেমিনারে উপস্থাপিত তথ্যে জানানো হয়, দেশে পুরুষের তুলনায় নারীদের গড় আয়ু বাড়ছে। ফলে ষাটোর্ধ্ব নারীদের হার বাড়ছে। সেই সঙ্গে সামাজিক নানা ধরনের প্রেক্ষাপটে তাদের অনেকেরই মানসিক চাপ বাড়ে। তার সঙ্গে বাড়তে থাকে একাকিত্ব। 

বিশেষ করে ষাটোর্ধ্ব মায়েদের ওপর পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে বিষণ্নতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্নায়ুর সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া, রক্তশূন্যতা, আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস, পিত্তথলিতে পাথর, স্থূলতা ও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, মাতৃস্বাস্থ্য, প্রবীণ মায়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকি, মায়েদের জন্য প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। 

নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, সব বয়সী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমাজ ও পরিবার থেকে আরও সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। বিশেষ করে মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নকল্পে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

ট্রাফিক পুলিশের সপ্তাহব্যাপী অভিযানে পার্কিংমুক্ত গ্রিন রোড

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০১:০৪ এএম
ট্রাফিক পুলিশের সপ্তাহব্যাপী অভিযানে পার্কিংমুক্ত গ্রিন রোড
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট ও পান্থপথের সংযোগ সড়ক গ্রিন রোড। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দুই পাশে রিকশা মেরামতের একাধিক দোকান ছিল। এসব দোকান ঘিরে সড়ক দখল করে সারিবদ্ধভাবে রিকশা রাখা হতো। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় সেই চিত্র পাল্টে গেছে। সপ্তাহব্যাপী অভিযানে সড়কটিতে এখন রিকশা মেরামতের দোকান নেই। বন্ধ করা হয়েছে সারিবদ্ধ রিকশা পার্কিং।

রবিবার (১২ মে) তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) স্নেহাশীষ দাস এসব তথ্য জানান।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ জানায়, গত এক সপ্তাহব্যাপী অভিযানে ৬১টি রিকশার বিরুদ্ধে ডাম্পিংসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কেই রয়েছে পানি ভবন, আইবিএ হোস্টেল, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকসহ একাধিক কোচিং সেন্টার। জনবহুল এ রাস্তায় এতদিন শতাধিক রিকশার পার্কিংয়ের পাশাপাশি ছিল রিকশা মেরামতের একাধিক দোকান।

প্রায় স্থায়ী হয়ে যাওয়া এ রিকশা লেন ঘিরে ফুটপাতে ছিল আবার একাধিক ভাতের হোটেল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, ফুটপাতে মানুষের হাঁটার অবস্থাও ছিল না।

রবিবার গ্রিন রোডে সরেজমিনে ভিন্ন এক চিত্র চোখে পড়েছে। সেখানে চোখে পড়েনি সারিবদ্ধ রিকশা পার্কিং। ফুটপাতের চিত্রও ছিল ভিন্ন। অবস্থার এ উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পথচারীরা। 

তারা বলছেন, তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের এ কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে এটি যেন স্থায়ী হয়, সে প্রত্যাশা সবার।

ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমদ বলেন, প্রথমে আমরা মাইকিং করে রিকশা মেরামতের দোকান ও পার্কিং লেনের বিষয়ে সতর্ক করি। তারা ভেবেছিল, হয়তো পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেবে না।

তিনি বলেন, পরে আমরা অ্যাকশনে যাই, অবৈধ রিকশা পার্কিং বন্ধ এবং রিকশা মেরামতের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো সড়ক দখলমুক্ত স্বাভাবিক রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রাফিক বিভাগের কাজ ড্রাইভওয়ে দখলমুক্ত রাখা। আর ফুটপাত বা ওয়াকওয়ে দখলমুক্ত রাখতে কাজ করবে ক্রাইম ডিভিশন। আমরা সড়কের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইম ডিভিশনকে ফুটপাত দখলের বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) স্নেহাশীষ দাস বলেন, ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এ সড়ক রিকশার অবৈধ পার্কিংমুক্ত রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা প্রতিদিন সকাল-বিকেল রেকারসহ এ রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছি। সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

খাজা/এমএ/

সংসদীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করতে বিআইপিএস’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:২৯ এএম
সংসদীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করতে বিআইপিএস’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বে সংসদ সদস্যদের আপডেটেড তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজ (বিআইপিএস) সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ ও গতিশীল করতে বিআইপিএস’র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

রবিবার (১২ মে) সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজার কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজের পরিচালনা বোর্ডের সভায় স্পিকার এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেব স্পিকার এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।   

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজ আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। শুরুর দিকে এ ইনস্টিটিউটে কাজের সঙ্গে বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানরা জড়িত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমকে চলমান রাখার জন্য সচেষ্ট আছেন। 

স্পিকার বলেন, সংসদীয় কার্য সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে সংসদ সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এ ধরনের ইনস্টিটিউটের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংসদ সদস্যরা জটিল থেকে জটিলতর দায়িত্ব পালন করছে। এ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টারিয়ানদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বিপিএটিসি'র রেক্টর মো: আশরাফ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সভায় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/এমএ/

কুতুবদিয়ায় সোমবার রাতে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:১১ এএম
কুতুবদিয়ায় সোমবার রাতে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় সোমবার (১৩ মে) রাতে নোঙর করবে সোমালীয় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজের চুনাপাথর আনলোড করতে সময় লাগবে দুই দিন। তবে আগামী মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক চলে যেতে পারবেন পরিবারের কাছে। চট্টগ্রামের সদরঘাটের লাইটার জেটি হয়ে নাবিকরা ভূমিতে নামতে পারবেন। সেখানে নাবিকদের দেওয়া হবে এক উঞ্চ অভ্যর্থনা।

এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে রয়েছে। আজ সোমবার রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে মহেশখালীর কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে। গত ৯ মে রাতে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে। 

এদিকে ২৩ নাবিক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে উন্মুখ হয়ে আছেন। দীর্ঘসময় বন্দি থেকে পরিবারের কাছে পৌঁছবেন নাবিকরা। ফলে নাবিকদের মধ্যেই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। 

রবিবার (১২ মে) বিকেলে বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক চট্টগ্রামের কবীর গ্রুপের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকরা চট্টগ্রামের সদরঘাটের লাইটার জেটি দিয়ে চট্টগ্রামে পা রাখবেন। এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া নোঙর করার পর নাবিকদের নিয়ে আসা হবে। পরদিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে নাবিকরা চট্টগ্রামে পা রাখবেন বলে আশা করছি।’

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মো. আবদুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, সোমবার (আজ) রাতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উপকূলে নোঙর করবে জাহাজটি। দুবাই থেকে আনা ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর আনলোড করা হবে কুবুতদিয়াতে। তবে মঙ্গলবার ২৩ নাবিক এই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

ক্যাপ্টেনের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার এনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘যেহেতু অনেক দিন পর নাবিকরা পরিবারের কাছে আসছেন, সেহেতু সবাই উৎফুল্ল ও উচ্ছ্বসিত। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের ওপর এমনিতেই একটি বড় বিপদ গেছে। সে বিপদ থেকে কাটিয়ে দেশে আসছেন তারা। আমরা অবশ্যই আনন্দিত।’

আবদুস সাত্তার/এমএ/

চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাফল্য

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১১:২৭ পিএম
চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাফল্য
ছবি : সংগৃহীত

এবারও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় গৌরবময় ফলাফল অর্জন করেছে চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (১২ মে) ঘোষিত ফলাফলে এ বছর দাখিল সাধারণ, বিজ্ঞান ও কারিগরি শাখায় ২৯জন শিক্ষার্থী এ প্লাস, ৬২ জন এ গ্রেড ও ৬ জন এ মাইনাসসহ মোট ৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। 

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মাদরাসাগুলোর মধ্যে চরমোনাই মাদরাসা বরাবরই ঈর্ষণীয় ফলাফল করে আসছে।

ভালো ফলাফলের জন্য চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী মহান রব্বুল আলআমীনের মহান দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন।

ফলাফলের ঐতিহ্য ধরে রাখায় চরমোনাই মাদরাসার সকল ছাত্র, শিক্ষক, গভর্ণিং বডির সদস্য এবং সকল ছাত্র অভিভাবক, দাতাসদস্য, বিভিন্নভাবে সহযোগী ও শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিন্সিপাল।

উল্লেখ্য, এ মাদরাসার দাখিল শাখায় ভোকেশনাল (কারিগরি), আলিম জামায়াতে বিজ্ঞান, ফাযিলে আল কুরআন, আল হাদীস ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং কামিলে হাদীস, তাফসীর ও ফিকহ বিভাগ চালু আছে।