ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় নজর দেওয়ার আহ্বান টিআইবির । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় নজর দেওয়ার আহ্বান টিআইবির

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৭ পিএম
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় নজর দেওয়ার আহ্বান টিআইবির

উপাত্ত সুরক্ষার নামে যেন ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে না যায় সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৪-এর পর্যালোচনা ও সুপারিশে ৫ দফা দাবি তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানির ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন-এর যৌথ উদ্যোগে ‘খসড়া ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪ : পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

টিআইবির আউটটাচ এবং কমিউনিকেশন অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ তৌহিদ ইসলামের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আর্টিকেল-১৯-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর শেখ মানজুর ই আলম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও টিআইবির এক্সিকিউটিভ ম্যানেজমেন্টের অ্যাডভাইজার ড. সুমাইয়া কবির।

আইনটির খসড়া বিশ্লেষণ করে ৫টি বিষয় পরিবর্তন আনার দাবি জানান তারা। বিষয়গুলো হলো-

অধিকারের উপর ফোকাস করুন, নিয়ন্ত্রণ নয়: এ আইনের একটি মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন। গোপনীয়তা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর বিদ্যমান সাংবিধানিক বিধানগুলো উল্লেখ করা একটি অধিকার-ভিত্তিক ভিত্তি স্থাপন করে। স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত ব্যতিক্রম ডেটাসহ ‘ব্যক্তি’ এবং ‘ব্যক্তিগত ডেটা’র আরও সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা এবং শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষার উপর ফোকাস করাও গুরুত্বপূর্ণ।

ডেটা স্থানীয়করণ: বর্তমান পদ্ধতির মুক্ত বক্তব্য এবং তথ্য অ্যাক্সেসকে বাধাগ্রস্ত করার ঝুঁকি রয়েছে। মানবাধিকারের সঙ্গে আপস না করে ডেটা সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয় এমন বিকল্প অন্বেষণ করা উচিত।

স্বাধীন ডেটা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ: প্রস্তাবিত ডেটা সুরক্ষা আইনের ন্যায্য ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রভাব থেকে মুক্ত একটি স্বাধীন ডেটা সুরক্ষা কমিশন প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিচারিক তদারকি: ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় অযাচিত অনুপ্রবেশ রোধ করতে এবং ডেটা সুরক্ষা নীতিগুলোর সঙ্গে সম্মতি নিশ্চিত করতে ডেটা অ্যাক্সেসের জন্য বাধ্যতামূলক বিচারিক অনুমোদনের প্রয়োজন হওয়া উচিত।

স্ট্যাগার্ড এনফোর্সমেন্ট: এটি একটি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন পদ্ধতি। যা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিশেষ করে ছোট সংস্থাগুলোকে আরও কার্যকরভাবে প্রবিধানগুলো সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং মেনে চলতে দেয়।

এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উল্লেখ করে, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা আইন ২০২৪-এর বর্তমান খসড়া ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করা যেতে পারে বলে মনে করেন তারা।

সরকারকে এই সুপারিশগুলো বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করে এবং একটি ডেটা সুরক্ষা আইন নিশ্চিত করতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আরও সংলাপের ব্যাবস্থা জনগনের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত রাখতে এবং ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে আস্থা বাড়ায় বলে মনে করেন তারা।

তিথি/অমিয়/

ট্রাফিক পুলিশের সপ্তাহব্যাপী অভিযানে পার্কিংমুক্ত গ্রিন রোড

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০১:০৪ এএম
ট্রাফিক পুলিশের সপ্তাহব্যাপী অভিযানে পার্কিংমুক্ত গ্রিন রোড
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট ও পান্থপথের সংযোগ সড়ক গ্রিন রোড। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দুই পাশে রিকশা মেরামতের একাধিক দোকান ছিল। এসব দোকান ঘিরে সড়ক দখল করে সারিবদ্ধভাবে রিকশা রাখা হতো। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় সেই চিত্র পাল্টে গেছে। সপ্তাহব্যাপী অভিযানে সড়কটিতে এখন রিকশা মেরামতের দোকান নেই। বন্ধ করা হয়েছে সারিবদ্ধ রিকশা পার্কিং।

রবিবার (১২ মে) তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) স্নেহাশীষ দাস এসব তথ্য জানান।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ জানায়, গত এক সপ্তাহব্যাপী অভিযানে ৬১টি রিকশার বিরুদ্ধে ডাম্পিংসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কেই রয়েছে পানি ভবন, আইবিএ হোস্টেল, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকসহ একাধিক কোচিং সেন্টার। জনবহুল এ রাস্তায় এতদিন শতাধিক রিকশার পার্কিংয়ের পাশাপাশি ছিল রিকশা মেরামতের একাধিক দোকান।

প্রায় স্থায়ী হয়ে যাওয়া এ রিকশা লেন ঘিরে ফুটপাতে ছিল আবার একাধিক ভাতের হোটেল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, ফুটপাতে মানুষের হাঁটার অবস্থাও ছিল না।

রবিবার গ্রিন রোডে সরেজমিনে ভিন্ন এক চিত্র চোখে পড়েছে। সেখানে চোখে পড়েনি সারিবদ্ধ রিকশা পার্কিং। ফুটপাতের চিত্রও ছিল ভিন্ন। অবস্থার এ উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পথচারীরা। 

তারা বলছেন, তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের এ কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে এটি যেন স্থায়ী হয়, সে প্রত্যাশা সবার।

ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমদ বলেন, প্রথমে আমরা মাইকিং করে রিকশা মেরামতের দোকান ও পার্কিং লেনের বিষয়ে সতর্ক করি। তারা ভেবেছিল, হয়তো পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেবে না।

তিনি বলেন, পরে আমরা অ্যাকশনে যাই, অবৈধ রিকশা পার্কিং বন্ধ এবং রিকশা মেরামতের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো সড়ক দখলমুক্ত স্বাভাবিক রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রাফিক বিভাগের কাজ ড্রাইভওয়ে দখলমুক্ত রাখা। আর ফুটপাত বা ওয়াকওয়ে দখলমুক্ত রাখতে কাজ করবে ক্রাইম ডিভিশন। আমরা সড়কের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইম ডিভিশনকে ফুটপাত দখলের বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) স্নেহাশীষ দাস বলেন, ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এ সড়ক রিকশার অবৈধ পার্কিংমুক্ত রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা প্রতিদিন সকাল-বিকেল রেকারসহ এ রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছি। সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

খাজা/এমএ/

সংসদীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করতে বিআইপিএস’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:২৯ এএম
সংসদীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ করতে বিআইপিএস’র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্পিকার
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান পরিবর্তনশীল বিশ্বে সংসদ সদস্যদের আপডেটেড তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজ (বিআইপিএস) সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রকে সমৃদ্ধ ও গতিশীল করতে বিআইপিএস’র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

রবিবার (১২ মে) সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজার কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজের পরিচালনা বোর্ডের সভায় স্পিকার এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেব স্পিকার এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।   

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইনস্টিটিউট অব পার্লামেন্টারি স্ট্যাডিজ আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। শুরুর দিকে এ ইনস্টিটিউটে কাজের সঙ্গে বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানরা জড়িত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমকে চলমান রাখার জন্য সচেষ্ট আছেন। 

স্পিকার বলেন, সংসদীয় কার্য সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে সংসদ সদস্যদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য এ ধরনের ইনস্টিটিউটের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংসদ সদস্যরা জটিল থেকে জটিলতর দায়িত্ব পালন করছে। এ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টারিয়ানদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বিপিএটিসি'র রেক্টর মো: আশরাফ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ড. জিনাত হুদা ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সভায় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/এমএ/

কুতুবদিয়ায় সোমবার রাতে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:১১ এএম
কুতুবদিয়ায় সোমবার রাতে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় সোমবার (১৩ মে) রাতে নোঙর করবে সোমালীয় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজের চুনাপাথর আনলোড করতে সময় লাগবে দুই দিন। তবে আগামী মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক চলে যেতে পারবেন পরিবারের কাছে। চট্টগ্রামের সদরঘাটের লাইটার জেটি হয়ে নাবিকরা ভূমিতে নামতে পারবেন। সেখানে নাবিকদের দেওয়া হবে এক উঞ্চ অভ্যর্থনা।

এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে রয়েছে। আজ সোমবার রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে মহেশখালীর কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে। গত ৯ মে রাতে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে। 

এদিকে ২৩ নাবিক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে উন্মুখ হয়ে আছেন। দীর্ঘসময় বন্দি থেকে পরিবারের কাছে পৌঁছবেন নাবিকরা। ফলে নাবিকদের মধ্যেই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। 

রবিবার (১২ মে) বিকেলে বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক চট্টগ্রামের কবীর গ্রুপের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকরা চট্টগ্রামের সদরঘাটের লাইটার জেটি দিয়ে চট্টগ্রামে পা রাখবেন। এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া নোঙর করার পর নাবিকদের নিয়ে আসা হবে। পরদিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে নাবিকরা চট্টগ্রামে পা রাখবেন বলে আশা করছি।’

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মো. আবদুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, সোমবার (আজ) রাতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উপকূলে নোঙর করবে জাহাজটি। দুবাই থেকে আনা ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর আনলোড করা হবে কুবুতদিয়াতে। তবে মঙ্গলবার ২৩ নাবিক এই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

ক্যাপ্টেনের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার এনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘যেহেতু অনেক দিন পর নাবিকরা পরিবারের কাছে আসছেন, সেহেতু সবাই উৎফুল্ল ও উচ্ছ্বসিত। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের ওপর এমনিতেই একটি বড় বিপদ গেছে। সে বিপদ থেকে কাটিয়ে দেশে আসছেন তারা। আমরা অবশ্যই আনন্দিত।’

আবদুস সাত্তার/এমএ/

চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাফল্য

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১১:২৭ পিএম
চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাফল্য
ছবি : সংগৃহীত

এবারও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় গৌরবময় ফলাফল অর্জন করেছে চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (১২ মে) ঘোষিত ফলাফলে এ বছর দাখিল সাধারণ, বিজ্ঞান ও কারিগরি শাখায় ২৯জন শিক্ষার্থী এ প্লাস, ৬২ জন এ গ্রেড ও ৬ জন এ মাইনাসসহ মোট ৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। 

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মাদরাসাগুলোর মধ্যে চরমোনাই মাদরাসা বরাবরই ঈর্ষণীয় ফলাফল করে আসছে।

ভালো ফলাফলের জন্য চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী মহান রব্বুল আলআমীনের মহান দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন।

ফলাফলের ঐতিহ্য ধরে রাখায় চরমোনাই মাদরাসার সকল ছাত্র, শিক্ষক, গভর্ণিং বডির সদস্য এবং সকল ছাত্র অভিভাবক, দাতাসদস্য, বিভিন্নভাবে সহযোগী ও শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিন্সিপাল।

উল্লেখ্য, এ মাদরাসার দাখিল শাখায় ভোকেশনাল (কারিগরি), আলিম জামায়াতে বিজ্ঞান, ফাযিলে আল কুরআন, আল হাদীস ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং কামিলে হাদীস, তাফসীর ও ফিকহ বিভাগ চালু আছে।

আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানো হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১০:১২ পিএম
আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানো হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি : খবরের কাগজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই এ দেশে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘর্ষের ফলে এ দেশের রোহিঙ্গা শিবিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। সে দেশের সেনারা পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। গত কয়েক দিনে আরও ১৩৮ জন এসেছে। তাদেরও নিয়ম মেনে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে।’ 

রবিবার (১২ মে) বিকেলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে চমৎকার, এই সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছেন ডোনাল্ড লু। আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার।’ 

আওয়ামী লীগ নয়, অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিএনপি এক অদৃশ্য শক্তির ওপর টিকে রয়েছে। দলটির নেতারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচন বর্জনের পর তারা হতাশায় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে অদৃশ্য শক্তির ওপর বিশ্বাস শুরু করেছেন। কয়েক দিন পর তাদের কাছ থেকে তাবিজ-টুনাও নিতে পারেন।’ 

এ সময় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পরাজয় বলে দেয় নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হয়েছে। আমরা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।’

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবেন মাহবুব, হাবিবুর রহমান, নাহিম রাজ্জাক, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মুজানুর রহমানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আরআরআরসির প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, এনজিও, আইএনজিওর প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা। 

বিকেলে একই সেমিনার কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মো. জাহিদ আহসান রাসেল, শাহরিয়ার আলম, নিজাম উদ্দিন জলিলসহ কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সন্ধ্যায় সড়কপথে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। 

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় দুই দিনের সফরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা। মতবিনিময় সভার আগে রবিবার সকালে ক্যাম্প-৫ সিআইসি অফিসে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মিলিত হন তারা। পরে কমিটির সদস্যরা ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সকাল ১০টায় তারা ক্যাম্পে গিয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএফপি, আইওএমসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম দেখেন। এ সময় ক্যাম্প-৫-এর সিআইসি অফিসের কনফারেন্স রুমে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, ঘুমধুমের নতুন ট্রানজিট ক্যাম্প, ১৮ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার ও কুতুপালং সিআইসি অফিস পরিদর্শন করেন।