আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী

আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, সমাজের দরিদ্র-অসহায় নাগরিকদের আইনগত সহায়তা পাওয়ার সঙ্গে দেশের আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সামাজিক সমতা জড়িত। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল যে কোনো নাগরিক আইনগত সহায়তা পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। আইনগত সহায়তা পাওয়া তার প্রতি করুণা নয় বরং এটা তার অধিকার। কারণ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মূল সংবিধানেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও সমতার বিধানাবলিসহ বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের প্রবেশাধিকারের বিধান সন্নিবেশ করে গেছেন।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ একুশটি বছর আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাওয়ার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি প্রথমবার সরকার গঠন করেই ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল ও সহায়-সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে দুজনকে সেরা লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবীর পুরস্কার দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মূল উদ্দেশ্য- দরিদ্র অসহায় মানুষকে আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রদান করা। আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ যারা আইনি সহায়তা পাওয়ার যোগ্য তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আর তা করতে হলে উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিকে অধিকতর কার্যকর করতে হবে। কারাগারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

আইন সহায়তা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের দৃষ্টির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণকেও স্থান দেওয়া উচিত। পাশাপাশি আইনগত সহায়তার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বঃপ্রণোদিত, দ্রুত ও কার্যকর আইনিসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারীত্ব বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী।

এ বিষয়ে প্রত্যেক লিগ্যাল এইড কমিটি, লিগ্যাল এইড অফিসার ও প্যানেল আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মামলার সঠিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি’ বা এডিআর মামলাজট নিরসনের সহায়ক একটি পন্থা হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। জার্মান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা- জিআইজেড এর এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ৮৭ ভাগ মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে আগ্রহী এবং শতকরা ৩০ ভাগ নাগরিকের প্রাথমিক দ্বন্দ্বের কারণ প্রতিবেশির সঙ্গে ছোট-খাটো বিরোধ বা মারামারি যা স্থানীয়ভাবেই নিষ্পত্তিযোগ্য। এটি খুবই আশার কথা হলেও আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির হার অতি নগণ্য। এর মূল কারণ সামাজিক পরিবর্তন,সামাজিক উন্নয়ন, মানুষের ব্যস্ততা এবং মধ্যস্থতাকারীর প্রতি আস্থার অভাব।

আইন ও বিচার বিভাগের  সচিব  মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার পরিচালক মোহাম্মদ আল মামুন।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

কুতুবদিয়ায় সোমবার রাতে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১২:১১ এএম
কুতুবদিয়ায় সোমবার রাতে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় সোমবার (১৩ মে) রাতে নোঙর করবে সোমালীয় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজের চুনাপাথর আনলোড করতে সময় লাগবে দুই দিন। তবে আগামী মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক চলে যেতে পারবেন পরিবারের কাছে। চট্টগ্রামের সদরঘাটের লাইটার জেটি হয়ে নাবিকরা ভূমিতে নামতে পারবেন। সেখানে নাবিকদের দেওয়া হবে এক উঞ্চ অভ্যর্থনা।

এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে রয়েছে। আজ সোমবার রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে মহেশখালীর কুতুবদিয়ায় নোঙর করবে। গত ৯ মে রাতে জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে। 

এদিকে ২৩ নাবিক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে উন্মুখ হয়ে আছেন। দীর্ঘসময় বন্দি থেকে পরিবারের কাছে পৌঁছবেন নাবিকরা। ফলে নাবিকদের মধ্যেই আনন্দ ও উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। 

রবিবার (১২ মে) বিকেলে বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক চট্টগ্রামের কবীর গ্রুপের প্রধান নির্বাহী (সিইও) মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরের পর নাবিকরা চট্টগ্রামের সদরঘাটের লাইটার জেটি দিয়ে চট্টগ্রামে পা রাখবেন। এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া নোঙর করার পর নাবিকদের নিয়ে আসা হবে। পরদিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে নাবিকরা চট্টগ্রামে পা রাখবেন বলে আশা করছি।’

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মো. আবদুর রশিদ খবরের কাগজকে বলেন, সোমবার (আজ) রাতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উপকূলে নোঙর করবে জাহাজটি। দুবাই থেকে আনা ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর আনলোড করা হবে কুবুতদিয়াতে। তবে মঙ্গলবার ২৩ নাবিক এই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

ক্যাপ্টেনের স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার এনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘যেহেতু অনেক দিন পর নাবিকরা পরিবারের কাছে আসছেন, সেহেতু সবাই উৎফুল্ল ও উচ্ছ্বসিত। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের ওপর এমনিতেই একটি বড় বিপদ গেছে। সে বিপদ থেকে কাটিয়ে দেশে আসছেন তারা। আমরা অবশ্যই আনন্দিত।’

আবদুস সাত্তার/এমএ/

চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাফল্য

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১১:২৭ পিএম
চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাফল্য
ছবি : সংগৃহীত

এবারও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় গৌরবময় ফলাফল অর্জন করেছে চরমোনাই আহছানাবাদ রশীদিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (১২ মে) ঘোষিত ফলাফলে এ বছর দাখিল সাধারণ, বিজ্ঞান ও কারিগরি শাখায় ২৯জন শিক্ষার্থী এ প্লাস, ৬২ জন এ গ্রেড ও ৬ জন এ মাইনাসসহ মোট ৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। 

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মাদরাসাগুলোর মধ্যে চরমোনাই মাদরাসা বরাবরই ঈর্ষণীয় ফলাফল করে আসছে।

ভালো ফলাফলের জন্য চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী মহান রব্বুল আলআমীনের মহান দরবারে শুকরিয়া আদায় করেছেন।

ফলাফলের ঐতিহ্য ধরে রাখায় চরমোনাই মাদরাসার সকল ছাত্র, শিক্ষক, গভর্ণিং বডির সদস্য এবং সকল ছাত্র অভিভাবক, দাতাসদস্য, বিভিন্নভাবে সহযোগী ও শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিন্সিপাল।

উল্লেখ্য, এ মাদরাসার দাখিল শাখায় ভোকেশনাল (কারিগরি), আলিম জামায়াতে বিজ্ঞান, ফাযিলে আল কুরআন, আল হাদীস ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স কোর্স এবং কামিলে হাদীস, তাফসীর ও ফিকহ বিভাগ চালু আছে।

আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানো হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১০:১২ পিএম
আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই রোহিঙ্গাদের স্বদেশে পাঠানো হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি : খবরের কাগজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই এ দেশে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলা সংঘর্ষের ফলে এ দেশের রোহিঙ্গা শিবিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। সে দেশের সেনারা পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। গত কয়েক দিনে আরও ১৩৮ জন এসেছে। তাদেরও নিয়ম মেনে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে।’ 

রবিবার (১২ মে) বিকেলে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে চমৎকার, এই সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে বাংলাদেশে আসছেন ডোনাল্ড লু। আমাদের চেষ্টা থাকবে এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার।’ 

আওয়ামী লীগ নয়, অদৃশ্য শক্তি দেশ চালাচ্ছে- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিএনপি এক অদৃশ্য শক্তির ওপর টিকে রয়েছে। দলটির নেতারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। নির্বাচন বর্জনের পর তারা হতাশায় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে অদৃশ্য শক্তির ওপর বিশ্বাস শুরু করেছেন। কয়েক দিন পর তাদের কাছ থেকে তাবিজ-টুনাও নিতে পারেন।’ 

এ সময় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পরাজয় বলে দেয় নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হয়েছে। আমরা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।’

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবেন মাহবুব, হাবিবুর রহমান, নাহিম রাজ্জাক, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মুজানুর রহমানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আরআরআরসির প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, এনজিও, আইএনজিওর প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা। 

বিকেলে একই সেমিনার কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মো. জাহিদ আহসান রাসেল, শাহরিয়ার আলম, নিজাম উদ্দিন জলিলসহ কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সন্ধ্যায় সড়কপথে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। 

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় দুই দিনের সফরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা। মতবিনিময় সভার আগে রবিবার সকালে ক্যাম্প-৫ সিআইসি অফিসে সাধারণ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মিলিত হন তারা। পরে কমিটির সদস্যরা ক্যাম্পের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সকাল ১০টায় তারা ক্যাম্পে গিয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ডব্লিউএফপি, আইওএমসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম দেখেন। এ সময় ক্যাম্প-৫-এর সিআইসি অফিসের কনফারেন্স রুমে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, ঘুমধুমের নতুন ট্রানজিট ক্যাম্প, ১৮ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার ও কুতুপালং সিআইসি অফিস পরিদর্শন করেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগে ইতালির ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১০:০১ পিএম
বাংলাদেশে বিনিয়োগে ইতালির ব্যবসায়ীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ছবি : বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো রবিবার (১২ মে) গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। 

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইতালির রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, ইতালির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ছাড়াও বাংলাদেশের একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার ঘিরে বড় কেন্দ্রীয় বাজার হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের অঙ্গনে পা রাখবে।’

এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির জন্য দেশটির জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইতালির সহায়তা কামনা করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগগুলো খুঁজে বের করে তা ব্যবহার করতে হবে।’ 

ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো দেশে যেন কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সরকার সর্বাত্মক উদ্যোগ নিচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টাকালে বাংলাদেশিসহ বহু মানুষ মারা যাচ্ছে। তার সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিচ্ছে, যাতে কেউ অবৈধভাবে কোনো দেশে না যায়। এ লক্ষ্যে আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করছি।’

প্রধানমন্ত্রী ইতালিকে বৈধ উপায়ে আরও বাংলাদেশি জনবল নেওয়ার অনুরোধ জানান। শেখ হাসিনা ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রোর মাধ্যমে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও প্রতিরক্ষা ক্রয় এবং বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়নে সহায়তা করতে চায়। তিনি বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট প্রদানে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় উভয়েই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হন।

‘বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায়, তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা এআইকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষাব্যবস্থা নিতে হবে।’

রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে অ্যাপোস্টোলিক নুনসিও অব দ্য হোলি সির আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডালের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। আমরা সবাই মিলে আমাদের উৎসব উদযাপন করি।’ 

শেখ হাসিনা আর্চবিশপ কেভিন এস র‌্যান্ডালের মাধ্যমে পোপকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। আর্চবিশপ র‌্যান্ডাল জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

‘গরবিনী মা’ সম্মাননা পেলেন ১১ জন

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম
‘গরবিনী মা’ সম্মাননা পেলেন ১১ জন
ছবি : খবরের কাগজ

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে ১১ জন ‘গরবিনী মা-২০২৪’ সম্মাননা দিয়েছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রবিবার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসের রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে এ বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। ওই সম্মাননা তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে মায়ের প্রতি ভালোবাসা কমে যাচ্ছে। মোবাইল আসক্তির কারণে শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছে। আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। মা ও দেশকে যেন সন্তানরা ভালোবাসে। আমি শঙ্কাবোধ করি, পারিবারিক সৌজন্যবোধ কমে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘একসঙ্গে সবাই বসে খাওয়ার সময় পায় না। মোবাইল দেখা, টিভি দেখা, পড়াশোনা করা সবকিছুই এখনকার সন্তানরা নিজের রুমেই থাকতে বেশি পছন্দ করে। আমাদের উচিত, একসঙ্গে দিনের কিছুটা হলেও সময় কাটানোর চেষ্টা করা।’ মায়েদের ঋণ কখনো শোধ হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাবা সাপোর্ট দেয়। কিন্তু দেখাশোনা করে মা। তাই মায়ের প্রতি ভক্তি, সম্মানবোধ, দায়িত্ববোধ যেন থাকে। আমরা যেন সেটা করি এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও যেন সেটা শিখিয়ে যাই।’ অনুষ্ঠানে মায়েদের সম্মাননা দেওয়ার আগে প্রত্যেক সন্তান তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গরবিনী মা সম্মাননার প্রধান উদ্যোক্তা ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।

এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার ১১ জন সুনাগরিকের গরবিনী মাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তারা হলেন, ঢাকার বিশেষ জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) শেখ হাফিজুর রহমানের মা সাহারা রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) হায়াত-উদ-দৌলা খানের মা সাজেদা খাতুন, যশোরের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম-এর মা সুরুচি জোয়ারদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক, একাডেমিক প্রশাসক, শিক্ষাবিদ, কবি, অনুবাদক এবং কলাম লেখক ড. সামসাদ মর্তুজার মা সৈয়দা নাসরিন মর্তুজা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভীর মা নাফিজা বেগম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলামের মা হোসনে আরা, প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান পিয়াসের মা জেবুননেছা, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, সংগীত পরিচালক, মডেল ও অভিনেতা তাহসান রহমান খানের মা অধ্যাপক ড. জেড এন তাহমিদা বেগম, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদের মা আফরোজা নাহরীন, নন্দিত অভিনেত্রী ও মডেল মেহজাবীন চৌধুরীর মা গাজালা চৌধুরী এবং ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী তহবিল থেকে শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত অদম্য মেধাবী লাবণী আক্তারের মা বেবি বেগম।

গরবিনী মা-২০২৪ সম্মাননা হিসেবে মাদের সম্মাননা ক্রেস্ট, মেডেল, ফ্রি মাস্টার হেলথ চেক-আপ প্যাকেজ, উডেন পিকচার ও উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।

এমএ/