বিআইপির সংলাপ / রাজধানীতে সবুজ কমে ৯ শতাংশ, বাড়ছে কংক্রিট । খবরের কাগজ
ঢাকা ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, রোববার, ১৯ মে ২০২৪

বিআইপির সংলাপ রাজধানীতে সবুজ কমে ৯ শতাংশ, বাড়ছে কংক্রিট

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
রাজধানীতে সবুজ কমে ৯ শতাংশ, বাড়ছে কংক্রিট
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানী ঢাকায় কমছে সবুজ, বাড়ছে কংক্রিটের পরিমাণ। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৮ বছরে সবুজ এলাকা কমে ৯ শতাংশে নেমেছে। আর জলাভূমি নেমে এসেছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশে। অন্যদিকে ১৯৯৯ সালে কংক্রিটের পরিমাণ যেখানে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ ভাগ যা ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর প্ল্যানার্স টাওয়ারে ‘ঢাকায় তাপদাহ: নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় ও করণীয়’ শীর্ষক পরিকল্পনা সংলাপে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সবুজ যেমন কমেছে, তেমনি গত দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ। যা নগর এলাকায় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে মারাত্মক হারে। বাড়ছে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাব। ১৯৯৫ সালে সবুজ এলাকা ছিল ২০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ২০০৫ সালে হয় ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০১৫ সালে হয় ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে হয়েছে ৯ দশমিক ১২ শতাংশ।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পুরো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির কথা বলা হলেও ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এই তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি বেড়েছে। যার মূল কারণ ঢাকা শহরের আশপাশের প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার ও নগরায়নের নামে চালানো ধ্বংসযোগ্য।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিআইপির বোর্ড সদস্য (রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন) পরিকল্পনাবিদ হোসনে আরা, পরিকল্পনাবিদ আবু নাইম সোহাগ, পরিকল্পনাবিদ রেদওয়ানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও তাপদাহের প্রভাবের মূলে ভূমি আচ্ছাদনের (সবুজ, পানি ও ধূসর বা কংক্রিট আচ্ছাদন) মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট, কংক্রিটের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, ভবনের নকশায় পরিবেশ ও জলবায়ুর ধারণা অনুপস্থিত, কাচ নির্মিত ভবন ও এসিনির্ভর ভবনের নকশা তৈরি, খাল-পুকুর ভরাট, দখল ও ধ্বংস, সবুজ এলাকা নষ্ট করে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, বনায়ন না করাসহ সাতটি কারণ তুলে ধরা হয়।

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিআইপির পক্ষ থেকে ২৩টি প্রস্তাব রাখা হয়। সেগুলো হলো- বিদ্যমান প্রতিটি সবুজ ও জলাশয় এলাকা সংরক্ষণ; জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা অনুযায়ী নগর এলাকায় সবুজায়ন বাড়াতে বৃক্ষরোপণ; খাল-বিল, জলাশয়, জলাভূমি ও ধ্বংস হওয়া সবুজ পুনরুদ্ধার; ধ্বংসকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; কার্যকর নগর পরিকল্পনা ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনার মাধ্যমে সবুজ এলাকা, জলাশয় ও কংক্রিট এলাকার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা; নগর এলাকার প্রান্তে সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প গ্রহণ করা; সড়কের ধারে ও ফুটপাতের পাশে বৃক্ষায়নের উদ্যোগ বাড়ানো; ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জলাশয় ও জলাধার রক্ষা করা; আবাসিক এলাকা ও ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে সবুজায়ন ও বৃক্ষায়ন বাড়ানো; সরু রাস্তার পাশে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করবার বিদ্যমান প্রবণতা বন্ধ করা; বেসরকারি আবাসিক প্রকল্পের বিধিমালা সংশোধন করে সবুজ ও জলাশয় এলাকা, পার্ক, উদ্যান, খেলার মাঠ বাড়ানোর যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা; দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য ওয়ার্ড মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন; পার্ক, উদ্যান, খেলার মাঠ উন্নয়ন প্রকল্পে সবুজবান্ধব ডিজাইন নিশ্চিত করা; বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা; মেগা প্রকল্প ও উন্নয়ন প্রকল্পে জলাশয়, জলাধার, সবুজ এলাকা, পার্ক, উদ্যান, খেলার মাঠ ধ্বংস না করা; এনার্জি এফিশিয়েন্ট ভবন ও গ্রিন বিল্ডিং কোড প্রণয়ন করা; এসির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও নির্দেশনা প্রণয়ন করা; ভবনের ডিজাইনে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচল ও এনার্জি এফিশিয়েন্সির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ভবনের নকশা প্রণয়ন ও যথাযথ নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার; প্রান্তিক, নিম্ন আয় ও বস্তি এলাকার মানুষের আবাসন পরিকল্পনা, বসতির নির্মাণ উপাদান-উপকরণসমূহের বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা ও নীতিমালা প্রণয়ন করা; নগর এলাকায় সবুজ ও জলাশয় রক্ষা করতে কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠন সৃষ্টি ও নজরদারি বাড়ানো; তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহ বিবেচনায় নিয়ে নগর পরিকল্পনা ও ভবনের নকশা ও নির্মাণ নিশ্চিত করতে পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী, উদ্যানতত্ত্ববিদদের অন্তর্ভুক্তি ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা; জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে উদ্ধার পেতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার বিভাগ (সিটি করপোরেশন), পরিবেশ অধিদপ্তর, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ ঢাকা মহানগরীর পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা।

কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০১:০৬ এএম
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ
ছবি : সংগৃহীত

কিরগিজস্তানে দূতাবাস না থাকায় পাশের দেশ উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস দেশটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এ জন্য উজবেকিস্তান দূতাবাসের একটি জরুরি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (১৮ মে) উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে। কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে যেকোনো সমস্যার জন্য দূতাবাসের সঙ্গে +998930009780 নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এই নম্বরে সপ্তাহের সাত দিন এবং ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ করা যাবে বলে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সম্প্রতি কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে থাকা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করছে স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতিতে এ পরামর্শ দিল বাংলাদেশ দূতাবাস।

করোনায় আরও একজনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:৪১ এএম
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু ঘটেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (১৮ মে) এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ওই তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত ২০ লাখ ৫০ হাজার ২৩৪ জন। যাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৯৫ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৭০৭ জন। 

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:৩৫ এএম
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস

আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে চলমান তাপপ্রবাহের অঞ্চল কমে ৯ জেলায় বিরাজ করছে। একই সঙ্গে সিলেট জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির।

শনিবার (১৮ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মোংলায় ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, নোয়াখালী, কক্সবাজার, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ার ৪৪ স্টেশনের মধ্যে ১৬টিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ১০১ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাতের শ্রেণিতে যা অতি ভারী। 

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগ ছাড়া সব বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১২:১৬ এএম
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই। ছবি : সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রবিবার। ১৯৯১ সালের এই দিনে পঞ্চম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন মৃত্যুবরণ করেন তিনি। 

আড়িয়াল খাঁ নদ তীরবর্তী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মা ফাতেমা বেগম। জন্মের আগেই বাবা মারা যাওয়ায় মায়ের বিচক্ষণ শাসনে তিনি একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে ওঠেন। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মা চৌধুরী ফাতেমা বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। বিয়ে করেন খালাতো বোন ফিরোজা বেগম মায়া চৌধুরীকে। তাদের দুজনের রয়েছে সাত সন্তান। 

ইলিয়াস চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে তার মামা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন সম্মুখ সারির একজন যোদ্ধা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দাদাভাই। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি নারী শিক্ষার প্রসারে শিবচরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দাদাভাই ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-১৩ (বিলুপ্ত) আসন থেকে ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। তিনি একাধারে আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন। 

 

ভিসা পাননি আড়াই হাজারের বেশি হজযাত্রী

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১১:৫১ পিএম
ভিসা পাননি আড়াই হাজারের বেশি হজযাত্রী
ছবি : সংগৃহীত

নিবন্ধন করেও এখন পর্যন্ত ভিসা পাননি ২ হাজার ৬৫১ হজযাত্রী। ভিসা পেয়েছেন ৮২ হাজার ৬০৬ জন। শনিবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছে হজ অফিস। অন্যদিকে ঢাকায় ও মদিনায় দুই হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (১৮ মে) রাত আটটায় হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, পবিত্র হজ পালনের জন্য চলতি বছর নিবন্ধন করেছিলেন মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ভিসা পেয়েছেন ৮২ হাজার ৬০৬ জন।’ সে হিসাব অনুযায়ী এখনো হজ ভিসার অপক্ষোয় আছেন ২ হাজার ৬৫১ জন।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিটে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ১১১ হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। তার মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৭ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। শনিবার পর্যন্ত সর্বমোট ফ্লাইট পরিচালনা হয়েছে ৬৮টি। যার  মধ্যে বিমানের ফ্লাইট ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩ এবং ফ্লাইনাস এয়ালাইন্স ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেন। ওই বুলেটিনে আরো উল্লেখ করা হয়, সৌদি গিয়ে এ পর্যন্ত এক বাংলাদেশি হজযাত্রী (পুরুষ) মারা গেছেন।

এদিকে ঢাকায় মৃত হজযাত্রীর নাম মো. জুয়েল রানা। তিনি মো. শমসের আলী ও মোছা. জুলেখা বেগমের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর তানোর এর বাধাইর গ্রামে। শনিবার বিকাল ৬টা ১০মিনিটে ওই হজযাত্রী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি..রাজিউন)।

শনিবার রাত সাড়ে নয়টায় হজ অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

তার মৃত্যুতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও হজ অফিস, ঢাকার পক্ষ থেকে শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, হজযাত্রীদের মধ্যে কেউ সৌদিতে মারা গেলে সাধারণত তাকে ওখানেই দাফন করা হয়। সে অনুযায়ী যিনি মদিনায় মারা গেছেন তাকে ওখানেই দাফন করা হবে।