সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সম্প্রতি এ সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
রবিবার (৫ মে) এই বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটা প্রস্তাব আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। তবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কত হবে, এটি রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপিত হওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। যেকোনো বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত, একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। তিনি পরামর্শ দেবেন কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জায়গায় যাওয়া যায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিষয়গুলো উত্থাপিত হয়েছে। একাদশ সংসদের সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর আমি নিজে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীও সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর হবে, তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে দুই বছর বেশি অর্থাৎ ৩২ বছর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবেশের ক্ষেত্রেও বাড়িয়ে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছর হয়েছে। আমরা কিন্তু বাড়িয়েছি। এটা (প্রবেশের বয়স) বাড়ালে আবার ওই দিকটার (অবসরের বয়স) একটা ব্যাপার আছে। সরকার অবসরে যাওয়ার বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করেছে। তখন যে বাস্তবতা ছিল, বাস্তবতা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। বিষয়গুলো পরিষ্কার করেছেন।’
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ালে নিয়োগের নীতিমালার পরিবর্তন আনতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটার ওপর আমাদের বিশেষ কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলেই বলা যাবে এটি করা যাবে কী যাবে না, বা আমরা এটা কখন করব।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে এ বয়স ৩২ বছর। দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।