চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত
নিহত অসীম জাওয়াদ

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত পাইলট অসীম জাওয়াদ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে উইং কমান্ডার সোহান নেভি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন জহুরুল হক ঘাঁটির বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান (ওয়াইএকে-১৩০) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়ে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের কাছে ১১নং ঘাটের নতুন পতেঙ্গা টার্মিনালের বিপরীত পাশে এইচএম স্টিল ফ্যাক্টরির সামনে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে তলিয়ে যায়। তখন বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাশুট দিয়ে নেমে যান।

ওই বিমানে উইং কমান্ডার সুহান ও স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ ছিলেন। আহত সুহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়ার্ডনে (এসকিউএন) চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদকে গুরুতর অবস্থায় বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান। অসীম জাওয়াদ চট্টগ্রাম বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হক অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমা-১ ভবনে বাস করতেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আমানউল্লাহ।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলীম আহমেদ খবরের কাগজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সদরঘাট নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্ল্যাহ খবরের কাগজকে বলেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পাইলটের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতসহ আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।

তাছাড়া, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে আছেন। বিমানটি উদ্ধার করে নদীর কিনারে আনার কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তারেক মাহমুদ/পপি/অমিয়/

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, বাংলাদেশের উদ্বেগ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, বাংলাদেশের উদ্বেগ
ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দেশটির সরকারের কাছে উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা।’

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে রাজধানীর প্রেস ক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওকাব) অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি কোনো ছাত্র খুব জখম হয়েছে, আমাদের কাছে এমন খবর নেই। রাষ্ট্রদূতকে কিরগিজস্তানে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছি।’

মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজস্তানের দায়িত্ব পালন করে থাকে।

কিরগিজস্তানে মূলত কতজন বাংলাদেশি আছেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। দূতাবাসের ধারণা, শিক্ষার্থী ও শ্রমিক মিলিয়ে হাজার দুয়েক বাংলাদেশি কিরগিজস্তানে রয়েছেন।

কিরগিজস্তানে মিসরের কয়েকজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিদেশিদের ওপর হামলা শুরু করেছে স্থানীয়রা। এতে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও হামলার শিকার হয়েছেন। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা ১৫-২০ জনের গ্রুপ করে একটি রুমের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছেন। সেখানে এক ব্যক্তিকে নির্দয়ভাবে পেটানো হচ্ছে। একজন রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। 

তবে তিনি কোন দেশের নাগরিক, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন একসঙ্গে ২০-২৫টি গাড়ি করে শহরে টহল দিচ্ছেন।

তাপপ্রবাহে শ্রেণি কার্যক্রম নিয়ে মাউশির ৯ নির্দেশনা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৪ এএম
তাপপ্রবাহে শ্রেণি কার্যক্রম নিয়ে মাউশির ৯ নির্দেশনা

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাপপ্রবাহের সময় শ্রেণি কার্যক্রম নিয়ে ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্দেশনায় রয়েছে: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ বন্ধ রাখা, শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে শ্রেণিকক্ষের সব দরজা-জানালা খোলা রাখা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (যদি থাকে) সচল রাখা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা রাখা, শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করা, নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা, যেন কোনো শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়, প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা, শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করা এবং বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা যেন যথাসম্ভব সূর্যের আলো থেকে নিজেদের দূরে রাখে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।

কবির/এমএ/

 

উপজেলা নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট মঙ্গলবার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৩৪ এএম
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোট মঙ্গলবার

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬৩ জেলার ১৫৬ উপজেলায় ভোট আগামী মঙ্গলবার। সকাল ৮টায় শুরু হবে ভোট গ্রহণ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ধাপে ১০৬ পৌরসভার ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি ভোটার। এরই মধ্যে ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে ২১ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি নির্বাচনি অপরাধ দমনে মাঠে রয়েছেন ৬১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১০ জেলার ১৭ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

ভোট শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে রবিবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার বন্ধ রয়েছে। ভোটের আগের দিন আজ দূরবর্তী কয়েকটি উপজেলার ৬৯৭টি কেন্দ্রে আজই পাঠানো হচ্ছে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম। এ ছাড়া বাকি ১২ হাজার ৩২৩টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ সরঞ্জাম পাঠানো হবে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে এ পর্যায়ে ১৫৬ উপজেলায় ভোটের মাঠে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এই নির্বাচনে প্রথমে ১৬০ উপজেলায় ভোটের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। পরে মামলাসহ নানা কারণে স্থগিত হয়েছে চার উপজেলার নির্বাচন। সেগুলো হলো চট্টগ্রামের রাউজান, বান্দরবানের রুমা, মৌলভীবাজার সদর ও কুমিল্লা সদরের আদর্শনগর উপজেলা। এই ধাপে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে ২৪ উপজেলায়।

বিনা ভোটে জয়ী ২১ প্রার্থী 

একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এরই মধ্যে এ ধাপে নির্বাচিত হয়েছেন ২১ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান পদে- কুমিল্লা আদর্শ সদরে আমিনুল ইসলাম, জামালপুরের ইসলামপুরে মো. আ. ছালাম, ফরিদপুরের নগরকান্দায় মো. ওয়াহিদুজ্জামান, চট্টগ্রামের রাউজানে এ কে এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আবুল কাশেম চিশতী, সাভারে মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামাল হোসেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে- রাজশাহীর বাগমারায় শহীদুল ইসলাম, রাঙামাটির রাজস্থলীতে হারাধন কর্মকার, কুমিল্লা আদর্শ সদরে আহাম্মেদ নিয়াজ, চট্টগ্রামের রাউজানে নুর মোহাম্মদ, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে রফিকুল ইসলাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সুমন ও রূপগঞ্জে মিজানুর রহমান। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- রাঙামাটির রাজস্থলীতে গৌতমী খিয়াং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সাঈদা সুলতানা, কুমিল্লা আদর্শ সদরে হোসনে আরা বেগম, চট্টগ্রামের রাউজানে রুবিনা ইয়াছমিন রুজি, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় হোসনে আরা বেগম, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শাহিদা মোশারফ ও রূপগঞ্জে ফেরদৌসী আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬৩ জেলার ১৫৬ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অনিয়ম বন্ধে এসব ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিন মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের নিরাপত্তায় প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৮ থেকে ১৯ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে দুজন সশস্ত্র পুলিশ সদস্যও থাকছেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে তিন দিন মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে গতকাল মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে উচ্চপর্যায়ের একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসির স্মার্টকার্ড (আইডিইএ) প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে এই সেলে দায়িত্ব পালন করছেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা। 

এর আগে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট হয় গত ৮ মে। সেই ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। তার মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট পড়ে ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ভোট পড়ে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৬৩৫ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে প্রায় ১২ হাজার কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন প্রায় ৩ কোটি ১৪ লাখ।

এদিকে তৃতীয় ধাপে ১১১ উপজেলায় (২১টিতে ইভিএম) ভোট গ্রহণ আগামী ২৯ মে। এসব উপজেলায় ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৪৩৪ জন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪৮৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৭১ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৭৮ জন। এসব উপজেলায় তিন পদে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ছয়জন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে একজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। এসব প্রার্থী গত ১৩ মে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন। 

সর্বশেষ চতুর্থ ধাপের ৫৫ উপজেলায় (২টিতে ইভিএম) ভোট গ্রহণ হবে ৫ জুন। নির্বাচনে এসব উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেন ৭৩৭ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৭২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২৬৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এসব উপজেলায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয় গত ১২ মে, প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল চলে ১৩ থেকে ১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি হয় ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত। গতকাল ১৯ মে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। আজ ২০ মে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। 

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে এ পর্যায়ে ৪৭৬ উপজেলায় চার ধাপে নির্বাচন আয়োজন করেছে ইসি। বাকি ১৯ উপজেলায় নির্বাচনের সময় হলে এবং চার ধাপে যেসব উপজেলার ভোট স্থগিত হবে, সেসব উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন।

এলিস/এমএ/

বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ছবি : বাসস

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে এটাই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।’ 

রবিবার (১৯ মে) বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার লড়াইয়ের ইতিহাস, ত্যাগের ইতিহাস, প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করে বিজয়ী হওয়ার ইতিহাস গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে আমরা সবাই একসঙ্গে ব্যর্থ হয়ে যাব। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই শুধু বাংলাদেশে নয়, শুধু আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধুকন্যার লড়াইয়ের গল্প আমরা তুলে ধরব। পুনরায় জাগরণের গল্প আমরা তুলে ধরব।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে, অন্যায়ের কাছে পরাজিত না হয়ে, অন্যায়কে মোকাবিলা করে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ের শিক্ষা শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে, বাস্তবে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেটা ফিকশনকেও হার মানায়, গল্পকেও হার মানায়। বঙ্গবন্ধুকন্যার জীবনে লড়াই-সংগ্রামের, অন্যায়ের প্রতিবাদ এবং লড়াই করে অন্যায়কে পরাজিত করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার যে গল্প, সেই গল্প গোটা বিশ্বের সব শিশুর কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। সে জয়ের গল্প শুরু হয়েছে ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এ দিনটি আমাদের গোটা বাংলাদেশে উদযাপন করা উচিত। প্রতিটি স্কুলে, কলেজে, প্রতিটি শিশু ও আগামী প্রজন্মের সবাইকে নিয়ে উদযাপন করা উচিত। যাতে সবাই জানতে পারে, এটা শুধু গল্প নয়, এটা ফিকশন নয়, এটা সত্য।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ। প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।

 

 

গবেষণা প্রতিবেদন চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম ৪৬ শতাংশ মানুষ

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১০:১০ পিএম
চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম ৪৬ শতাংশ মানুষ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবার মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি সুবিধার ২০ শতাংশও ভোগ করতে পারে না। ৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে কোনো না কোনো অসুবিধার সম্মুখীন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের জন্য সরকারের বরাদ্দও অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে দেশের স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এসডিজি অ্যাকশন এলায়েন্স বাংলাদেশ।

রবিবার (১৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে আয়োজিত 'সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের অবস্থানপত্র' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসডিজি অ্যাকশন এলায়েন্স বাংলাদেশ, গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন এগেইনস্ট পোভার্টি ও নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এনআরডিএস)।

এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও এনআরডিএস'র প্রধান নির্বাহী আবদুল আউয়াল বলেন, কোভিডের আগের ধারাবাহিকতায় বাজেটে স্বাস্থ্য খাত অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। মহামারির সময়ই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুরবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছিল। কিন্তু এরপরও বাজেটে এই খাত প্রত্যাশিত মনোযোগ পাচ্ছে না। টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বাড়লেও বাজেট ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় বরাদ্দ খুব একটা বাড়ছে না। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় করে, যা বৈশ্বিক গড় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে অনেক কম। সবার জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতা তৈরির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে আব্দুল আউয়াল বলেন, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পেতে একজন বাংলাদেশির বছরে ৮৮ ডলার খরচ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে মাথাপিছু খরচ হয় ৫৮ ডলার, যার বড় অংশই নাগরিকরা নিজেরা সংস্থান করেন। বাংলাদেশের জনগণ তাদের স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ নিজেরাই সংস্থান করতে বাধ্য হন।

এসডিজি অ্যাকশন অ্যালায়েন্স ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় অভিগম্যতা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে নোয়াখালী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের ৬০০ নাগরিকের ওপর মতামত জরিপ পরিচালনা করে। এতে দেখা গেছে ৭৮.৭ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন, ২১.৩ শতাংশ কোনো টিকা নেননি। প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার জন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রান্তিক মানুষের অভিগম্যতার হার ৭০.৫ শতাংশ। কিন্তু অনেক প্রতিবন্ধকতার কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিল। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা খরচ মেটাতে কোনো না কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। সামাজিক সূরক্ষা কর্মসূচি সম্পর্কে প্রান্তিক মানুষের সচেতনতার হার ভালো উল্লেখ করে বলা হয় এ বিষয়ে সচেতনতা ৮৩ শতাংশ থাকা সত্বেও দুর্নীতি, স্বজনতোষণ, হয়রানির কারণে বিপদাপন্ন মানুষের তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি।

লিখিত বক্তব্যে বেসরকারি সংস্থা বন্ধনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুজ্জামান মিলন ৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরে বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্য সেবায় অভিগম্যতা সম্প্রসারণে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো অপরিহার্য। স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচির আওতা প্রসারিত করে এবং স্বাস্থ্যসেবা খরচের জন্য ভর্তুকি প্রদান করে স্বাস্থ্যের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যয় কমানো যায়। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নারী অধিকার জোটের সদস্য সচিব মনোয়ারা আক্তার মিনু।