![কৃত্রিম লিভার উদ্ভাবিত](uploads/2023/11/17/1700199884.l.jpg)
চীনা একদল গবেষক কৃত্রিম লিভার আবিষ্কার করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা স্টেম সেলভিত্তিক ‘কৃত্রিম লিভার’ তৈরি করেছেন। চীন সরকার কৃত্রিম লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। এই আবিষ্কারের সাফল্য বিশ্বব্যাপী লিভার জটিলতায় ভুগছেন এমন লাখ লাখ রোগীর জন্য আশার আলো হতে পারে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা একদল গবেষক কৃত্রিম লিভার তৈরি করেছেন। এটি লিভারে সঞ্চালিত ডিটক্সিফিকেশন তথা জীবাণুমুক্তকরণ ও প্রোটিন সংশ্লেষণের মতো কার্য সম্পাদন করতে পারে। কৃত্রিম লিভারটি শরীরের ভেতরে নয় বাইরে থেকে কাজ করতে পারে।
কৃত্রিম লিভারটি যেভাবে কাজ করবে
গবেষকরা বলছেন, যেভাবে বায়োরিঅ্যাক্টর সিস্টেম কাজ করে তা বেশ আকর্ষণীয়।
বায়োরিঅ্যাক্টর সিস্টেমের মধ্য দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়। যেখানে একটি ফাঁপা ফাইবার ঝিল্লি স্টেম সেল ও প্রয়োজনীয় পদার্থ প্রয়োগ করে। টিস্যু পুনরুৎপাদন ও প্রদাহের ফলে সৃষ্ট লিভারের ক্ষতি দমন করতে সাহায্য করার জন্য, এই পদার্থগুলো রোগীর রক্তপ্রবাহে সঞ্চালিত হয়। পূর্বে অন্যান্য চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় এই একই ধরনের ঝিল্লি ব্যবহার করা হয়েছে। স্টেম সেলে প্রথমবারের মতো এটি ব্যবহার করা হয়েছে। পদ্ধতিটি প্রাণীর মডেলগুলোতে দেখা গেছে, এটি বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।
সাউদার্ন মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ঝুজিয়াং হাসপাতালের ট্রানস্লেশনাল মেডিসিন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক গাও ই বলেন, ‘শূকর ও বানর জাতীয় প্রাণীর মডেলগুলোতে লক্ষ্য করেছি, আমাদের এই পদ্ধতিটি ১৭ শতাংশ প্রাণীর বেঁচে থাকার হার বাড়িয়েছে, যেমনটি প্রচলিত চিকিৎসার সঙ্গে দেখা যায় ৮৭.৫ শতাংশ।
স্টেম সেলভিত্তিক কৃত্রিম লিভার তৈরির লক্ষ্য হলো আক্রান্ত রোগীর লিভারকে সহায়তা করা, যে পর্যন্ত লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়া যায়। লিভার জটিলতায় একমাত্র কার্যকর চিকিৎসা লিভার প্রতিস্থাপন। জটিল অস্ত্রোপচার ও ব্যয়বহুল খরচের মতো বেশ কিছু সমস্যা লিভার প্রতিস্থাপনে থাকলেও এ ক্ষেত্রে বড় সমস্যা লিভারদাতার অভাব।
এর আগে ২০১৫ সালে গবেষণাগারে কৃত্রিম লিভার টিস্যু তৈরি করে সাড়া ফেলেছিলেন ভারতীয় তিন বিজ্ঞানী। বেঙ্গালুরুর গবেষণাগারে তারা দেখিয়েছেন, মানুষের লিভারের মতোই কাজ করবে কৃত্রিম লিভার টিস্যু। এই টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন আসার আলো দেখিয়েছে। সূত্র: উইন
জাহ্নবী