ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করে চীন: মুখপাত্র

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
আপডেট: ২৯ মে ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করে চীন: মুখপাত্র
মাও নিং

চীন বাংলাদেশের একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (২৯ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের এমন অবস্থানের কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের প্রতিলিপি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় প্রকাশ্যে তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন যে বিদেশি একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাকে বিনা বাধায় পুনর্নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন যদি তিনি তার বাংলাদেশে দেশের বিমানঘাঁটি করার অনুমতি দেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে দেশটি তাকে প্রথমবার প্রস্তাব দেয়নি এবং তিনি কখনোই ‘দেশের অংশ ভাড়া দিয়ে বা অন্য দেশের কাছে হস্তান্তর করে ক্ষমতায় আসবেন না।’ এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বক্তৃতা লক্ষ্য করেছি, যা স্বাধীনতা অনুসরণ করার এবং বিদেশি চাপে ভীত না হওয়ার বাংলাদেশি জাতীয় নীতি প্রদর্শন করে। কিছু দেশ তার স্বার্থ অন্বেষণের জন্য অন্য দেশের নির্বাচনকে দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্টভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ন করে। এটি সেই দেশের আধিপত্যবাদী এবং উৎপীড়নমূলক প্রকৃতিকে সম্পূর্ণরূপে উপস্থাপন করে।’ 

মুখপাত্র আরও বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দেশটিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ এবং আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি যৌথভাবে রক্ষার জন্য বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।’

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে টুর্ককে বিশ্বের ১৪০ বিশিষ্টজনের চিঠি

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে টুর্ককে বিশ্বের ১৪০ বিশিষ্টজনের চিঠি
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা ও বর্তমান ঘটনাপ্রবাহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষাবিদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবীরা। তারা গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ককে একটি চিঠি লিখেছেন। এতে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখক অমিতাভ ঘোষ জানিয়েছেন, ১৪০ জনের বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি ওই চিঠিতে সই করেছেন। চিঠিতে বাছবিচারহীন গ্রেপ্তার, কারণ দর্শানো ছাড়াই আটক, আটক বা গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার সুযোগ না দেওয়া, আহত করা, নির্যাতন-মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা থামাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অন্যদের হতাহত হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ওই ঘটনা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শনের মৌলিক অধিকারই শুধু খর্ব করেনি, বরং বাংলাদেশের সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীন মানুষের জীবনধারণের অধিকারের নিশ্চয়তাকে উপহাস করেছে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে ফলকার টুর্কের কাছে তারা এসব ঘটনায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানাচ্ছেন, যাতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী সহিংসতা ঘটানো এবং সংবাদ প্রকাশ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।

চিঠিতে সই করা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ক্রিগার-আইজেনহাওয়ার অধ্যাপক বীণা দাস, লেখক অমিতাভ ঘোষ, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস ১৯৩১ চেয়ার অব জিওগ্র্যাফি অ্যাশ আমিন, কলেজ দ্য ফ্রান্সের অধ্যাপক দ্যদিয়ার ফসিন, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড লুডেন, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক শেলডন পোলক ও পার্থ চ্যাটার্জি, লন্ডনের এসওএএস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাওমি হোসেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডায়ানা ইক, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু ব্র্যান্ডেল, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশুতোষ ভর্শনি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফয়সাল দেভজি, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্ঞান প্রকাশ, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইফতিখার দদি, ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দুয়ারা, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রুতি কপিলা, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর জয়া মিশ্র, জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রতীক্ষা বকসি, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থমাস ব্লম হ্যানসেন, জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেন বেনেট, কানেটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর বন্দনা পুরকায়স্থ, সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যানিয়েল জে মন্টি, দ্য জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এলিজাবেথ অ্যাংকার।

বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরও আছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্যাট্রিসিয়া ওবেরয়, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলি মস্তভ, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরান আসদার আলী, এমআইটির ইমেরিটাস অধ্যাপক নাইজেল উইলসন, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু সরতরি, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সাবেক উপহাইকমিশনার এনরিক টার হর্স্ট, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক ডেভিড লিউইস, ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডারকো সুভিন, বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজলি কিবরিয়া, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নয়নিকা মথুর, এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তোবিয়াস কেলি, অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দীপক মেহতা, ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফালগুনী সেন, ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা মুল্লা, অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিচার্ড এম ইটন, গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাঞ্চনা এন রুয়ানপুরা, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফরিদা সি খান, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক যোগিতা গয়াল, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরবিন্দ রাজাগোপাল, মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহনাজ দুয়ারা, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সানা হারুন, ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ সিদ্দিকী, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজরি জেইন, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিশেল চিউ, জেস ঘানম ও ক্রিস টিলি, ইবনে হালদুন বিশ্ববিদ্যালয় ইস্তাম্বুলের অধ্যাপক ইরফান আহমেদ, লেখক প্রদীপ জেগানাথান (শ্রীলঙ্কার কলম্বো), মেলবোর্ন ও সানফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পুরুষোত্তমা বিলিমোরিয়া, অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরিল্ড ইনজেলসেন রুড, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস বোবেল, লেখক ব্রঙ্কা ফুলানোভি প্রমুখ।

রিমান্ডে নুর কী তথ্য দিয়েছেন, জানালেন ডিবির হারুন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
রিমান্ডে নুর কী তথ্য দিয়েছেন, জানালেন ডিবির হারুন
ডিএমপি'র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে একজন নেতা চার লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা কীভাবে, কীজন্য খরচ করা হয়েছে সেসব বিষয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নুরকে আমরা রিমান্ডে নিয়েছিলাম। তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়েছি। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নুর একটা কথা স্বীকার করেছেন। আন্দোলন চলাকালীন একজন নেতা তাকে চার লাখ টাকা দিয়েছেন। আমরা সেই নেতাকেও নিয়ে এসেছি। তিনি চার লাখ টাকা নুরকে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।’

কী জন্য সেই নেতা নুরকে এ টাকা দিয়েছেন সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে ডিজিটাল যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি (বিজেপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন আমাদের কাছে। তার কাছ থেকে কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করছি।’

এদিকে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় নুরুল হক নুরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে নুরের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মদ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

খাজা/এমএ/

বিমানবন্দরে জমে থাকা কার্গো দ্রুত খালি করার নির্দেশ মন্ত্রীর

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
বিমানবন্দরে জমে থাকা কার্গো দ্রুত খালি করার নির্দেশ মন্ত্রীর
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ফাইল ছবি

ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ ও বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কার্গো দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

শনিবার (২৭ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর মোঃ সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম সহ মন্ত্রণালয়, বেবিচক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

মন্ত্রী আরও বলেন, যে সমস্ত কার্গো আমদানির পর দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে পড়ে আছে তা আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিলামের মাধ্যমে দ্রুত ডিসপোজ অফ করতে হবে। 

ফারুক খান বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কাস্টমস হাউস, বিমান, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সিএন্ডএফ এজেন্টসকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে আমদানিকৃত পণ্যের দ্রুততার সঙ্গে খালাস নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা সহ্য করা হবে না। কোন আমদানিকারক আমদানিকৃত পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাস না করালে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। 

এছাড়াও, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানিকৃত কার্গো খালাস নিশ্চিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে প্রতি মাসে বৈঠকের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী বিমানবন্দরের ব্যাগেজ এড়িয়া, লস্ট এন্ড ফাউন্ড শাখা এবং ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ পরিদর্শন করেন। 

তিথি/এমএ/ 

মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে কবে চালু হবে বলতে পারছি না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে কবে চালু হবে বলতে পারছি না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীজুড়ে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়েসহ সড়ক অবকাঠামো কবে নাগাদ চালু করা যাবে তা নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সহিংসতায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী ও মহাখালী টোল প্লাজা, বনানীর সেতু ভবন ও বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় এখন ব্যবহার অনুপযোগী। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল ভবনের বাইরে তাবু খাঁটিয়ে এখন অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করেছেন। সেতু বিভাগ ও বিআরটিএ সব ধরণের নাগরিক সেবা বন্ধ রেখে এখন ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছেন। 

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। মেট্রোরেলসহ বাকি সড়ক অবকাঠামো কবে নাগাদ চালু করা যাবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি সবকিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গেছেন। সব কিছুর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তার কাছে আছে। কী অবস্থায়, কখন, কোনটা চালু করা যাবে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’

মেট্রোরেল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের জানান, ‘মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছেন।’

বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ এনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতা অবসানের জন্য রাজনৈতিক মতলবে বিএনপি-জামায়াত ছাত্র আন্দোলনের ওপরে ভর করেছে। ২০১৮ সালে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনের আগে অক্টোবর মাসে তারা ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা অংশ নেয়নি—আজকে ক্ষমতার লিপ্সা তাদের পেয়ে বসেছে। এ জন্য আজকে এখন আর তারা গণতন্ত্র মানে না, তারা আগুন নিয়ে নেমেছে, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে। আজকে কত মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে পুরোপুরি হিসাব আসেনি।’

জয়ন্ত/এমএ/ 

সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সূচি পরিবর্তন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময়সূচি পরিবর্তন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর সরকারি-বেসরকারি অফিসের চলমান সময়সূচি (১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত) পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে অফিসের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়মে চলবে আগামী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পর্যন্ত।

শনিবার (২৭ জুলাই) এ তথ্য জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 

এর আগে সহিংসতা ও বিভিন্ন কারণে গত সপ্তাহের রবি, সোম ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলে দেওয়া হয় অফিস। তবে অফিসের সময়সূচি ছিল বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।

অমিয়/