ঢাকা ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে সাবেক বনমন্ত্রীর ভাগ্নে পরাজিত

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
উপজেলা নির্বাচনে সাবেক বনমন্ত্রীর ভাগ্নে পরাজিত
সাবেক বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে সোয়েব আহমদ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক বনমন্ত্রী এবং বর্তমান মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে সোয়েব আহমদ পরাজিত হয়েছেন। এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন আজির উদ্দিন।

বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, বড়লেখার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আজির উদ্দিন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩২ হাজার ৯১৬ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট পেয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে অন্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর আনারস প্রতীকে ১৯ হাজার ৬৩৫ ভোট এবং ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমদ হাসান উট প্রতীকে ৯১৪ ভোট পেয়েছেন।

পুলক পুরকায়স্থ/পপি/অমিয়

দুর্নীতি, লুটপাট প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে: বাসদ

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ১২:০২ এএম
দুর্নীতি, লুটপাট প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে: বাসদ
ছবি : সংগৃহীত

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি, লুটপাট আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতারা। তারা বলেছেন, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদের যে বিবরণ পত্রিকায় এসেছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। এমন বহু বেনজীরের অস্তিত্ব দেশে রয়েছে। দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, ঋণখেলাপি ও কালোটাকার মালিকদের নামের তালিকাসহ শ্বেতপত্র প্রকাশ, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার (৩১ মে) বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে নেতারা বলেন, বেনজীরের অবৈধ সম্পদ তো রাতারাতি হয়নি। রাষ্ট্র-সরকারের চোখের সামনেই এটি গড়ে উঠেছে। বেনজীর ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বিপিএম’ পাঁচবার পেয়েছেন। এমনকি ২০২১ সালে শুদ্ধাচার পুরস্কারও পেয়েছেন। আজিজ-বেনজীর-আনারের ঘটনার মধ্য দিয়ে দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতি ও রাজনীতির ভয়াবহ চেহারা ফুটে উঠেছে। প্রতিবছর দেশ থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুটপাটকারীদের বিচারের আওতায় না এনে দেউলিয়া ব্যাংকগুলোকে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে লুটপাটকারীরা আরও উৎসাহিত হবে। ১ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণের কথা সরকার বললেও বাস্তবে তা প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা হবে। পাচারকৃত টাকা ও খেলাপি ঋণ উদ্ধারের কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রতিবছর বাজেটে ১০ শতাংশ পরিশোধের মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। দেশে চরম অর্থনৈতিক সংকট চলছে। রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভোগবিলাসে সরকার যে অর্থ লগ্নি করছে তারও কঠোর সমালোচনা করেন নেতারা। তারা বলেন, একদিকে সরকার কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলছে, আরেকদিকে ডিসি ও ইউএনওদের জন্য ৩৮২ কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২৬১টি গাড়ি। আগামী ১ জুলাই থেকে ওয়াসার পানির দাম বোর্ডসভায় অনুমোদন না করে অবৈধভাবে ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান। 

বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও জোন-৬-এর সমন্বয়ক নিখিল দাস, কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।

মাংসের টুকরোর মতো রাষ্ট্রকে ছিন্ন করা হচ্ছে: শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১১:৫৫ পিএম
মাংসের টুকরোর মতো রাষ্ট্রকে ছিন্ন করা হচ্ছে: শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন
ফাইল ছবি

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, শুধুমাত্র একটি দলের ক্ষমতাকে রক্ষা করতে গিয়ে রাষ্ট্রকে মাংসের টুকরোর মতো ছিন্নভিন্ন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের এই অধঃপতন ৩০ লক্ষ মানুষের আত্মদানকে ন‌্যায্যতা দেয় না। অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সরকার দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের পরিবেশ ও ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিচ্ছে, আর তার বিনিময়ে প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারী অবৈধ নিষ্ঠুর ও নির্দয়প্রকৃতির স্বৈরশাসনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের প্রশ্রয় এবং আস্কারা ছাড়া বেনজীরদের ন্যায় ফ্রানকেইনস্টাইনদের উত্থান কোনক্রমেই সম্ভব নয়। সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে গিয়ে রাষ্ট্রকে লুণ্ঠনজীবীদের হাতে তুলে দিয়েছে।

দলীয় ও কায়েমি গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে সরকার রাষ্ট্রকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্ব এবং দুঃশাসনের যাঁতাকলে দেশের জনগণ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। হতাশায় জনগণের ক্ষোভ যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। দুর্নীতিবাজ সরকার এবং দুর্নীতি ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা দুটাকেই বিদায় করতে হবে;
সুতরাং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করতে পারলেই  বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট নিরসন হতে পারে ।

শুক্রবার (৩১ মে) উন্নয়নের নামে 'লুন্ঠন'এবং 'দুঃশাসনের' বিরুদ্বে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র বিক্ষোভ সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

সমাবেশে সিনিয়র  সহ-সভাপতি  তানিয়া রব বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে যারা ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে সেই ভয়ঙ্কর অপরাধীদের দ্রুত বিচারে সোপর্দ করুন। কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের চেয়ে বড় নয় এবং কেউ রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্যও নয়। রাষ্ট্র ও সমাজ এখন পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে।

আজ সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মুখে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।

আরও বক্তব্য রাখেন সহ- সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির,বীব মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, মোশারফ হোসেন, মোশারফ হোসেন মন্টু, আব্দুল মান্নান মুন্সী, কামরুল আহসান অপু, আজম খান, আবুল কালাম, মো. শাহাবুদ্দিন, ফারজানা দিবা, ছাত্রলীগ নেতা মোসলেহ উদ্দিন বিজয়, নাহিদুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। 

সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান মনির।

সমাবেশ শেষে  বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দৈনিক বাংলা মোড়ে গিয়ে শেষ।মিছিলে দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দও অংশগ্রহণ করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি 

সরকার দেশকে আবারও তলাবিহীন করেছে: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম
সরকার দেশকে আবারও তলাবিহীন করেছে: মির্জা আব্বাস
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উঠিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন করেছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম শুনলেই অনেকের গাত্রদাহ হয়। কারণ যেই কাজটা তাদের করার কথা ছিল, সেটা জিয়াউর রহমান করেছিলেন। 

শুক্রবার (৩১ মে) বাদ জুমা রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণদোয়া অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

এ দেশে লুটেরাদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আগে শুনতাম বর্গিরা দেশে এসে লুট করে নিয়ে চলে যেত। এখন বর্গিরাই ক্ষমতায় বসে গেছে। তারা লুট করে চলে যায় না, সম্পদ বিদেশে পাচার করে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকায় দেখলাম, এক লিটার জ্বালানি তেলের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক লিটার তেলের দাম যদি আড়াই টাকা বাড়ায়, এমনিতে তো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, আর লিটারে আড়াই টাকা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অর্থ হলো সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়া। বিদ্যুৎ-তেলের দাম বাড়লে, তা সমাজের শিরায় প্রবেশ করে, প্রতিটি জায়গায় এর অ্যাফেক্ট পড়ে।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যারা একসময় বলেছিল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নাই, বিএনপিও নাই। যারা ভাবে, বিএনপি থাকবে না, তাদের মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি আল্লাহর রহমতে টিকে আছে এবং বিএনপি টিকে থাকবে ইন্‌শাআল্লাহ। একমাত্র বিএনপিই একটি দল, যার হাতে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ, অন্য কোনো দলের হাতে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়।’ 

এ কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মির্জা ফখরুল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি দোয়ায় অংশ নিতে পারছেন না। এদিকে বিএনপির এই গণদোয়া কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।

সবুজ/এমএ/

গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করতে হবে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করতে হবে: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম আজ লুটেরা সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ শাসক শ্রেণির শাসন উচ্ছেদের সংগ্রামের সঙ্গে একই সূত্রে গ্রথিত। কোনো প্রকার সংস্কার নয়, জনগণের গণআন্দোলন গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরেই শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে তোপখানা রোডস্থ কার্যালয়ে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং টিমের এক বর্ধিত বৈঠক তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন শফী রহমান, হেমন্ত দাস, জিকো ত্রিপুরা, মিতু সরকার, সুমন মল্লিক, রফিক আহমেদ,শামসুল আলম প্রমুখ।

বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী, স্বল্প সুদে গৃহঋণ প্রদানসহ পুনর্বাসনের জোর দাবি জানানো হয়।

বৈঠকে ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনে সমাজে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রাম জোরদার করতে শ্রমিক কৃষক নিপীড়িত জাতিসত্তার জনগণের সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বম জাতিসত্তার জনগণের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা বন্ধের দাবি জানানো হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের মালয়েশিয়া প্রবেশে অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য দায়ী ব্যক্তি বা এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

গণতন্ত্রের কথা বলে আ.লীগ দেশে লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে: এবি পার্টি

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
গণতন্ত্রের কথা বলে আ.লীগ দেশে লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে: এবি পার্টি
ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর ও সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং তাদের লুটকরা অর্থ উদ্ধার করে ঘূর্ণিদুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে রাজধানীর পল্টন-বিজয়নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। 

তারা বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা বললেও বাস্তবে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রধান শক্তি। কথায় কথায় গণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে তারা দেশে একব্যক্তির শাসন ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। 

বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্ত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। দলের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান, যুবপার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ফারুক, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান প্রমুখ। 

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ পদে থেকে অপরাধ করেছেন তাকে সেনা আইন ও ফৌজদারী দুই আইনেই বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বেনজীর আহমেদের শুদ্ধাচার সনদ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, অশুদ্ধ ও রং হেডেড সরকার প্রধানের পক্ষেই এরকম চরম দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া সম্ভব। তিনি প্রতিবছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মন্ত্রী, এমপি, সকল বাহিনী প্রধান, আমলা, শীর্ষ ব্যাবসায়ী ও শিল্পপতির সম্পদের তালিকা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশের বাধ্যবাধকতা জাতীয় রাজস্ববোর্ডের এখতিয়ারে রাখার দাবি জানান। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন; আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের একসময় বলেছিলেন বেনজীর-আজিজ কোন দুর্নীতি করেনি এগুলো সব মিথ্যা গুজব। আর এখন তিনি বলছেন দুর্নীতির দায়ে বেনজীর-আজিজের বিচার করা হবে। ওবায়দুল কাদের যখন একথা বলছেন তাহলে বুঝতে হবে এর আড়ালে অনেক বড় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার কয়েক হাজার বেনজীর ও আজিজ তৈরি করেছে। এদেরকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুযোগ দিয়ে তার বিনিময়ে এদের কাছ থেকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সার্ভিস নিয়েছে সরকার। ফলে দেশের সর্বক্ষেত্রে আজ হাহাকার। তিনি ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্তি ও অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা লোপাটের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন; আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা বললেও বাস্তবে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রধান শক্তি। কথায় কথায় গণতন্ত্রের বুলি আওড়িয়ে তারা দেশে একব্যক্তির শাসন ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। তিনি অবিলম্বে সাবেক আইজি বেনজীর ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে গ্রেপ্তার এবং তাদের লুটকরা অর্থ উদ্ধার করে ঘূর্ণিদুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান। 

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ঘূর্ণিঝড় রিমেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, দেশে আবহাওয়ার এত আগাম সতর্কীকরণ সত্ত্বেও প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে কেন এত জান মালের ক্ষতি হয় তার কারণ জানতে হবে।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে তা সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর ও পল্টনসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি