সংগৃহীত
বিশ্বকাপ যাত্রার আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করা। অর্থাৎ সুপার এইটে খেলা। এখন পর্যন্ত গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচ খেলে দুটিতে জিতেছে টাইগাররা। আগামীকাল সোমবার ভোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে তারা। এই ম্যাচটায় সুপার এইটে খেলার ভাগ্য নিজেদের হাতে রেখেই নামবে শান্ত-সাকিবরা।
বাংলাদেশ সময় গতকাল শনিবার ভোরে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেপাল। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাত্র ১ রানে হেরেছে নেপাল। এই জয়ে প্রোটিয়ারা চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে।
আইডেন মার্করামের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য এক ম্যাচ হাতে থাকতেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল। গ্রুপের বাকি চার দলের মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তবে দ্বিতীয় দল হিসেবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সুপার এইটের পথে ছিল নেপালও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হারায় নেপালের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস আছে এই লড়াইয়ে।
নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ আছে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে। নিজেদের শেষ ম্যাচে তাদের শুধু হার এড়ালেই চলবে। অর্থাৎ মাত্র ১ পয়েন্ট হলেই চলবে। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসকে শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচে জিতলেই চলবে না। বাংলাদেশ ম্যাচের ফলও পক্ষে আসতে হবে। মানে বাংলাদেশকে হারতে হবে, সঙ্গে ডাচদের জিততে হবে বড় ব্যবধানে। তাই সুপার এইটের সমীকরণ তাদের জন্য বড্ড কঠিনই।
তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। এক জয় ও দুই হারে তিনে থাকা নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট ২। নিজেদের শেষ লঙ্কানদের হারাতে পারলে ডাচদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৪। যদি ম্যাচটা বড় ব্যবধানে জিততে পারে দলটি, তা হলে নেট রানরেটও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচের ফলটা পক্ষে এলেই তখন সুপার এইটে চলে যাবে তারা।
দুটি ম্যাচই অবশ্য শুরু হবে কাছাকাছি সময়ে। কিংসটাউনে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৫টায়। আর নেদারল্যান্ডস-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শুরু হবে সকাল সাড়ে ৬টায়। অর্থাৎ নিজেদের খেলার ফাঁকে ফাঁকে বাংলাদেশ ম্যাচের স্কোর কার্ডেও নজর থাকবে ডাচদের।
বাংলাদেশের এত ঝামেলা নেই। নেপালের বিপক্ষে তাদের জিতলেই হবে। ম্যাচটি যদি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়, তা হলে বাংলাদেশ পাবে এক পয়েন্ট। অর্থাৎ টাইগারদের পয়েন্ট হবে ৫। তখন নেদারল্যান্ডস জিতলেও বাংলাদেশকে ছুঁতে পারবে না। আর বাংলাদেশ যদি জিতে যায় তা হলে তো কথাই নেই। ৬ পয়েন্ট হবে তাদের। টেবিলের দুইয়ে থেকে তখন পরের পর্বে খেলবে বাংলাদেশ।
আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে এখন গ্রুপসেরার বিষয়টি নেই। কারণ পরের ধাপে গেলে কোন দল গ্রুপের ১ ও ২ নম্বরের মর্যাদা পাবে, তা আগে থেকেই নির্ধারণ থাকে। বাংলাদেশ সুপার এইটে খেললে আইসিসির সিডিং অনুযায়ী ‘ডি-২’ হয়ে খেলবে। সে ক্ষেত্রে শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান।