ঢাকা ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করবে সাইবার নিরাপত্তায়

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করবে সাইবার নিরাপত্তায়

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিকল্পনায় নতুনভাবে সাইবার নিরাপত্তা অন্তর্ভুক্ত করেছে। গুগলের নতুন সাইবার নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্মের নাম ‘গুগল থ্রেট ইনটেলিজেন্স’। এটি এআই ও মানব বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কাজ করে। এটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ভালোভাবে সাইবার হুমকি মোকাবিলায় সহায়তা করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি ‘মানডিয়ান্ট’, ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার স্ক্যানিং পরিষেবা ‘ভাইরাসটোটাল’ এবং ‘জেমিনাই ১.৫ প্রো’ এআই মডেলের সমন্বয়ে কাজ করবে।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত আরএসএ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি নতুন সাইবার নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম গুগল থ্রেট ইনটেলিজেন্সের ঘোষণা দেয়। জেনারেটিভ এআইকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য গুগল এই ক্ষেত্র বেছে নিয়েছে। এর আগে এআইকে সাধারণত জাল ছবি তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো। আশা করা হচ্ছে, থ্রেট ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদনগুলো আরও সহজে বোঝা যাবে।

গুগল দাবি করেছে, নতুন সাইবার নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্মটিতে জেমিনাই ১.৫ প্রো এআই মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। এই মডেল ম্যালওয়্যার আক্রমণের কোড বিশ্লেষণে সময় বাঁচাবে। কারণ এই এআই মডেল মাত্র ৩৪ সেকেন্ডে ২০১৭ সালের ‘ওয়ানাক্রাই’ (WannaCry) ম্যালওয়্যার হামলার ভাইরাসের কোড বিশ্লেষণ করে, তার নিষ্ক্রিয় করার উপায় খুঁজে বের করেছে। এআই মডেলের কোড পড়া ও লেখার দক্ষতা থাকায় এটা আশ্চর্যের কিছু নয়। এ ছাড়া থ্রেট ইনটেলিজেন্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সাইবার আক্রমণের হুমকির প্রতিবেদনগুলো সাধারণ ভাষায় সারাংশ করবে। এতে কোম্পানিগুলো সহজে বুঝতে পারবে কোন সাইবার আক্রমণের হুমকি কতটা গুরুতর এবং সে অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে।

গুগল জানিয়েছে, থ্রেট ইনটেলিজেন্সের একটি বিশাল ডেটা নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা সাইবার আক্রমণের আগেই সম্ভাব্য হুমকি শনাক্ত করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের সাইবার নিরাপত্তা পরিস্থিতির একটি বিস্তৃত চিত্র দেখতে এবং কোন বিষয়ে আগে কার্যক্রম নেওয়া উচিত, সে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

থ্রেট ইনটেলিজেন্সে ম্যান্ডিয়ান্ট কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য ক্ষতিকারক গোষ্ঠীগুলোকে নজরদারি করে এবং কোম্পানিগুলোকে সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে সহায়তা করে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মার্কিন সরকারকে লক্ষ্য করে সোলারউইন্ডস সাইবার আক্রমণের তথ্য উন্মোচন করেছিল সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যান্ডিয়ান্ট। ২০২২ সালে গুগল এই প্রতিষ্ঠানটিকে অধিগ্রহণ করে। সূত্র: দ্য ভার্জ

কলি

 

ক্যাস্পারস্কি সিকিউরিটি সল্যুশন ব্লক করেছে ৭ লাখের বেশি ওয়েব থ্রেটস

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
ক্যাস্পারস্কি সিকিউরিটি সল্যুশন ব্লক করেছে ৭ লাখের বেশি ওয়েব থ্রেটস
ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রতিনিয়ত জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে সাইবার হামলার সংখ্যা। আর এ ধরনের সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে অ্যান্টি-ভাইরাস। এ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে রাশিয়ান সাইবার নিরাপত্তা ক্যাস্পারস্কি। বাংলাদেশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সাত লাখের বেশি ওয়েব থ্রেটস শনাক্ত ও ব্লক করেছে ক্যাস্পারস্কি সিকিউরিটি সল্যুশন। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে থ্রেটস শনাক্তের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত বছর দেশের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক গড়ে দুই হাজারের বেশি অনলাইন হামলা চালিয়েছেন সাইবার অপরাধীরা। অনলাইন থ্রেটস এক প্রকার সাইবার নিরাপত্তাঝুঁকি, যার ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাক্টিভিটি বা ঘটনা সংঘটিত হতে পারে।  ইউজারের অসতর্কতা, ওয়েব সার্ভিস ডেভেলপার, অপারেটর বা ওয়েব পরিষেবা থেকে এমনটা হতে পারে। ওয়েব থ্রেটস ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান উভয়েরই ক্ষতি করতে পারে। ওয়েব থ্রেটসের এই সংখ্যা বিভিন্ন আকারের ব্যবসায় ইনস্টল করা ক্যাস্পারস্কির বিটুবি পণ্যগুলোর ভিত্তিতে হিসাব করা হয়েছে।

ক্যাস্পারস্কির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জেনারেল ম্যানেজার ইয়েও সিয়াং টিয়ং সম্প্রতি বলেছেন, ‘অর্থনীতিবিদরা এ বছর বাংলাদেশে ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করছে। ডিজিটাল অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের প্রচেষ্টা সফল করতে অনলাইনের গোপনীয় হুমকি থেকে রক্ষা পেতে ব্যবসাগুলোর সাইবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এগুলো ডিজিটালাইজেশনের সুফলকে কাজে লাগানোর প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইন থ্রেটস ঠেকাতে বেসিক ফায়ারওয়াল ও এন্ড পয়েন্ট সল্যুশন এখন আর যথেষ্ট নয়। তাই ২০২৪ সালে সাইবার সিকিউরিটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে সব ধরনের ব্যবসার বিস্তৃত ডেটাগুলো পরিচালনা এবং সাইবার হামলার ফলে প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ও আর্থিক ক্ষতি ঠেকাতে অ্যাডাপ্টিভ ও ইন্টেলিজেন্স লেড সিকিউরিটি সল্যুশন অ্যান্ড সার্ভিসেস পোর্টফোলিও তৈরির এখনই সময়।’

/আবরার জাহিন

ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার গ্রহণ করলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার ২০২৪ গ্রহণ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।

চলতি বছর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সিকিউর ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম (বৈঠক) তৈরির জন্য বিল্ডিং কনফিডেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন ইউস অব আইসিটি’স ক্যাটেগরিতে উইনার হিসেবে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

বৈঠক অ্যাপ তৈরিতে যুক্ত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রোগ্রামারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারি কর্তৃক সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করার জন্য বিসিসি উদ্ভাবিত ‘বৈঠক’ আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক-নির্দেশনায় খুব অল্প সময়ে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং এর ফলে আমাদের তরুণ উদ্ভাবকরা তথ্য প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জমা দেওয়া এক হাজার ৪৯টি প্রকল্প বা উদ্যোগ থেকে বাছাই করে ৩৬০টি প্রকল্পকে ভোটাভুটির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার নির্ধারণে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে একাধিক উদ্যোগ বা প্রোজেক্টকে ভোটের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে থেকে একটিকে উইনার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবছর ১৮টি প্রোজেক্টকে উইনার ও ৭২টি প্রোজেক্টকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
 
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ডব্লিউএসআইএস+২০ ফোরামে ডিপিআই হাই-লেভেল সেশন এবং মিনিস্ট্রিয়াল রাউন্ডটেবিলে অংশ নেন। সূত্র: বাসস

অমিয়/

নকিয়া ফাইভ-জি রেডিও সরঞ্জাম সরবরাহ করবে এমইও-কে

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
নকিয়া ফাইভ-জি রেডিও সরঞ্জাম সরবরাহ করবে এমইও-কে
ছবি: সংগৃহীত


পর্তুগালের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর এমইও-এর সঙ্গে ফাইভ-জি রেডিও সরঞ্জাম সরবরাহের চুক্তি করছে ফিনল্যান্ডের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান নকিয়া। আগামী মাসেই এ চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। ফিনল্যান্ডের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটির এক ব্লগ পোস্টের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এর আগে পর্তুগালের মোবাইল অপারেটরের কাছে টু-জি, থ্রি-জি ও ফোর-জি রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক (আরএএন) সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। এমইও ফ্রান্সের আলটিসের মালিকানাধীন, এটি আগে ‘টেলিকম পর্তুগাল’ নামে পরিচিত ছিল।

নকিয়ার মোবাইল নেটওয়ার্ক বিভাগের প্রেসিডেন্ট টমি উইটো এক ব্লগে লিখেছেন, ‘গত কয়েক বছরে এমইও শুধু রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম কিনেছে হুয়াওয়ের কাছ থেকে। চীনা প্রতিষ্ঠানটি টু-জি, থ্রি-জি ও ফোর-জি নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের শতভাগ বাজার দখল করেছে। বর্তমানে পর্তুগালের বাজারে হুয়াওয়ের জায়গাগুলো দখলে আমরা কাজ করছি।’

এ বাজারে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম সিংহভাগ সরবরাহ করে নকিয়া, হুয়াওয়ে ও সুইডিশ প্রতিষ্ঠান এরিকসন। তবে গত বছর থেকে টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর নতুন সরঞ্জামের চাহিদা কমে যাওয়ায় নকিয়া ও এরিকসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে।

গবেষণা সংস্থা ডেল-ওরো জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের বাজারের আকার ৫ থেকে ৮ শতাংশ কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। 
যদিও নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এখনো ইউরোপে কিছু দেশে চীনা প্রতিষ্ঠানটি এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।

অনেক বছর আগে হুয়াওয়ের কাছে এই বাজার হারিয়েছিল নকিয়া। এরপর থেকে পর্তুগালের কোনো টেলিযোগাযোগ সেবাদাতাকে এ ধরনের সরঞ্জাম সরবরাহ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অবশ্য সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে নকিয়া আবার পর্তুগালের রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক বাজার ফিরে পাবে।

/আবরার জাহিন

মেটার স্মার্ট চশমা দিয়ে ছবি পোস্ট করা যাবে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
মেটার স্মার্ট চশমা দিয়ে ছবি পোস্ট করা যাবে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটার তৈরি স্মার্ট চশমা ‘রে-ব্যান মেটা স্মার্ট গ্লাস’ দিয়ে সরাসরি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবি পোস্ট করা যাবে। স্মার্ট চশমাটিতে বেশ কিছু ‘হ্যান্ড ফ্রি’ ফিচার যুক্ত করার কথা জানিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ এসব ফিচার চালানোর জন্য হাতের ব্যবহার করতে হবে না। গত সপ্তাহে মেটা এ ঘোষণা দিয়েছে।

ব্যবহারকারীরা এখন থেকে ফোন না বের করেই এই স্মার্ট চশমা দিয়ে সরাসরি ছবির ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করতে পারবেন। স্মার্ট গ্লাস দিয়ে ছবি তোলার পর ‘হেই মেটা, শেয়ার মাই লাস্ট ফটো টু ইনস্টাগ্রাম’ এই কথা বলে নির্দেশ দিতে হবে। অথবা ‘হেই মেটা, পোস্ট আ ফটো টু ইনস্টাগ্রাম’ বলেও নির্দেশ দেওয়া যাবে। নির্দেশ দেওয়ার পর রে-ব্যান স্মার্ট চশমা থেকে সরাসরি ইনস্টাগ্রামে স্টোরি পোস্ট হয়ে যাবে।

স্ন্যাপচ্যাটেও ২০১৬ সালে এমন ধরনের ফিচার চালু করা হয়েছে। ‘স্ন্যাপ স্পেকট্যাকলস’ নামের ফিচার ব্যবহার করে ব্যবহারকারী তার স্মার্ট চশমা দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে স্ন্যাপচ্যাট স্টোরি দিতে পারেন। 

হ্যান্ড ফ্রি ফিচারের মাধ্যমে ফোন ব্যবহার না করেই রে-ব্যান ব্যবহারকারীরা অ্যামাজন মিউজিকে ভয়েস কমান্ড দিয়ে গান বাজাতে পারবেন। এ জন্য ‘হেই মেটা, প্লে অ্যামাজন মিউজিক’ এই ভয়েস কমান্ড দিতে হবে। ফোন পকেটে থাকাকালীন টাচ বা ভয়েস কন্ট্রোল দিয়ে অডিও প্লেব্যাক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। মেডিটেশন অ্যাপ ‘কাম’ এ রে-ব্যান স্মার্ট চশমা যুক্ত করা যাবে, যা ‘হেই মেটা, প্লে দ্য ডেইলি কাম’ বললেই চালু হয়ে যাবে। স্মার্ট চশমাগুলোয় এআই আপডেট দেওয়ার এক মাস পর এসব নতুন ফিচার চালু করা হলো। 

এই এআই আপডেটে মেটা স্মার্ট চশমায় মাল্টিমোডাল এআই যুক্ত করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যা দেখছেন, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করে জানতে পারবেন। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

/আবরার জাহিন

নতুন ফিচারে আসছে আইফোন এসই৪

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম
নতুন ফিচারে আসছে আইফোন এসই৪
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের মধ্যম বাজেটের স্মার্টফোন সিরিজ ‘আইফোন এসই’। প্রধান আইফোন সিরিজের চেয়ে অনেক কম দামের জন্য এই সিরিজ বেশ পরিচিত। এবার এই বাজেটের স্মার্টফোনের বাজার ধরতে ‘আইফোন এসই৪’ উন্মোচন করতে যাচ্ছে টেক জায়ান্টটি। এতে ফেসটাইম, আইমেসেজ, অ্যাপল টিভি ও অ্যাপল আর্কেডের মতো আইফোনের মূল মডেলগুলোর বিভিন্ন ফিচার থাকবে। এসই সিরিজের চতুর্থ প্রজন্মের ফোনটি আগামী বছরের শুরুর দিকে বাজারে আসবে।

অ্যাপলের বরাত দিয়ে টেকটাইমস জানিয়েছে, আসন্ন আইফোন এসই তৈরিতে কানাডিয়ান কোম্পানি ইলিসিসের কার্বন-মুক্ত অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা  প্রায় দুই বছর আগে অ্যাপলের তৃতীয় প্রজন্মের আইফোন এসই বাজারে এসেছে। বর্তমানে অনলাইন দুনিয়ায় চতুর্থ প্রজন্মের আইফোন এসই সিরিজ নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা চলছে। বর্তমানে গুগল পিক্সেল ও স্যামসাংয়ের এ সিরিজ মধ্যম বাজেটের  স্মার্টফোনের বাজার দখলে রেখেছে। আইফোন এসই৪  প্রতিযোগিতামূলক দাম ও উন্নত ফিচারের জন্য আবারও এ বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আসবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ধারণা করা হচ্ছে, এই ফোনের ডিজাইনে ২০১৮ সালের অন্য আরেকটি আইফোনের ডিজাইনের ছাপ থাকতে পারে। টেক জায়ান্টটির তথ্য প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাকরিউমার জানিয়েছে, স্মার্টফোনটিতে ফেসআইডির পরিবর্তে আইফোন ১৪-এর মতো টাচআইডির হোম বাটন যুক্ত করা হবে। সিপিইউ হিসেবে আইফোন ১৩-এর মতো এ১৫ বায়োনিক চিপ থাকবে। এতে ব্যবহার করা হবে ওএলইডি প্রযুক্তির ৬ দশমিক ১ ইঞ্চির ডিসপ্লে। তৃতীয় প্রজন্মের এসই স্মার্টফোনের ক্যামেরা ছিল ১২ মেগাপিক্সেলের। এসই৪-এ যুক্ত করা হবে সিঙ্গেল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

বাজারে আসতে যাওয়া নতুন ফোনটির মূল্য এর আগের তৃতীয় প্রজন্মের মতোই থাকবে বলে জানা গেছে। রেভেগনাসের তথ্য অনুযায়ী, এসই৪-এর দাম হতে পারে ৪২৯ ডলার, যা তৃতীয় প্রজন্মের ফোনের চেয়ে মাত্র ১০ শতাংশ বেশি। আইফোন ১৫ যে দামে শুরু হয়, তার থেকে ৩২০ ডলারেরও বেশি কমে চতুর্থ প্রজন্মের আইফোন এসই৪ বাজারে আসতে পারে।

/আবরার জাহিন