ঢাকা ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি প্রস্তুতি

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তিযুদ্ধ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ মে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এ এবং বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষায় শেষ সময়ে পরীক্ষার্থীরা কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন, সে বিষয়ে লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ (ওএসএল) বিভাগের শিক্ষার্থী লাবিব হাসান রাব্বি এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন

প্রস্তুতির বিকল্প নেই
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় গোছানো প্রস্তুতির বিকল্প নেই। কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনে প্রয়োজন বিষয়ভিত্তিক যথাযথ প্রস্তুতি এবং মূল পরীক্ষায় তা প্রয়োগ করা। সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ভালো প্রস্তুতির জন্য পাঠ্যবইয়ের বিকল্প নেই। তাছাড়া বিগত বছরের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি। কেননা প্রতিবছর প্রায় একই প্যাটার্নের প্রশ্ন কিছুটা পরিবর্তিত রূপে ভর্তি পরীক্ষায় থাকে।

পরীক্ষায় উত্তর করার ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক ক্রম অনুসরণ করা জরুরি। অর্থাৎ এমন কোনো বিষয় দিয়ে পরীক্ষা শুরু করবেন না, যে বিষয়ে আপনি দুর্বল বা যে বিষয়ে উত্তর দিতে অধিক সময় প্রয়োজন হয়। যেসব বিষয় আপনি খুবই ভালো পারেন সেসব বিষয় দিয়েই উত্তর লেখা শুরু করবেন। পরীক্ষার শুরুর দিকে কোনোভাবেই কঠিন প্রশ্ন নিয়ে ভাববেন না বরং পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করবেন। পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রথমে পুরো প্রশ্নপত্রটি পড়বেন, এরপর যেসব প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা আছে সেগুলো লিখবেন।

আবেদনকারী, আসনসংখ্যা ও নম্বর বিভাজন
২০২৪ সালের গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন ৪০ হাজার ১১৬ শিক্ষার্থী। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্য বিভাগের জন্য আসন রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৫০টি আসন রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাড়ে ৩ হাজার আসনের প্রতিটি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেবেন প্রায় ১২ জন শিক্ষার্থী।

সি ইউনিটের ক্ষেত্রে চারটি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। হিসাববিজ্ঞানে ৩৫, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনায় ৩৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং বাংলা বিষয়ে ১৫ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি

হিসাববিজ্ঞান
হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ভালো প্রস্তুতির জন্য অনুশীলনের বিকল্প নেই। প্রতিবছর হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের কিছু প্রশ্ন রিপিট হয়, ফলে বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করার মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে রাখতে হবে। হিসাববিজ্ঞানে সাধারণত কয়েকটি অঙ্ক সমাধান করতে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অঙ্ক-সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকে আরও ৪-৫টি। এর বাইরে অধিকাংশ প্রশ্নই থাকে তত্ত্বীয়।

পরীক্ষায় গাণিতিক সমস্যা দ্রুত সমাধান করার জন্য বাসায় বারবার অনুশীলন করতে হবে এবং শর্টকাট নিয়ম জেনে রাখতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধানে গুরুত্ব দিতে হবে।

হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ পারদর্শিতা না থাকলে পরীক্ষায় উত্তর করা কষ্টকর হয়ে যায়। যেহেতু হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে হয়, তাই হিসাববিজ্ঞানে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা যাবে না।

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভালো করার জন্য পাঠ্যবইয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি টপিক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। সবগুলো অধ্যায় সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। এই বিষয়ের কিছু তথ্য প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। সাম্প্রতিক দেশীয় বা বৈদেশিক ব্যবসা প্রবাহ থেকে কিছু প্রশ্ন আসে। এজন্য এসব বিষয় সম্পর্কিত সাম্প্রতিক তথ্য নিয়মিত পড়তে হবে।

বাংলা
ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমে উত্তর করার জন্য বাংলা একটি আদর্শ বিষয়। বাংলা প্রথম পত্রে ভালো প্রস্তুতির জন্য মূল বই গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। গদ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে, কাব্যের ভাবার্থ বুঝে পড়তে হবে। উপন্যাস ও নাটক থেকেও প্রশ্ন থাকে, এজন্য সহপাঠেও ভালো প্রস্তুতি থাকা জরুরি। প্রথম পত্রের প্রায় সবগুলো গদ্য, পদ্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য কোনো গদ্য বা পদ্য পড়ার ক্ষেত্রে অবহেলা করা যাবে না। বিশেষত গদ্য, কবিতা এবং উপন্যাসের মূল বিষয়, লেখক পরিচিতি, তার সাহিত্যকর্ম, জীবনী পড়তে হবে।

বাংলা প্রথম পত্রে যেসব গুরুত্বপূর্ণ গদ্য বা পদ্য রয়েছে তার মধ্যে অপরিচিতা, আমার পথ, বায়ান্নর দিনগুলো, রেইনকোট, নেকলেস, ঐকতান, সাম্যবাদী, তাহারেই পড়ে মনে, সেই অস্ত্র, ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ উল্লেখযোগ্য। এই গদ্য ও পদ্যগুলো আয়ত্ত করতে পারলে, প্রথম পত্রে ভালো করা যাবে। ব্যাকরণ অংশের জন্য ৯-১০ শ্রেণির ব্যাকরণ বই অপরিহার্য। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক চাকরি পরীক্ষায়ও এই বই থেকে হুবহু প্রশ্ন থাকে। এজন্য এই বইয়ের সবগুলো টপিক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। তবে কিছু টপিক যেমন: ভাষা, বাংলা ভাষা, ব্যাকরণ, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, কারক, সমাস, সন্ধি, বিভক্তি, বচন, বাক্য সংকোচন, বাগধারা, উপসর্গ, অনুসর্গ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে এবং বাংলা বিষয়ের যেসব টপিকে দুর্বলতা রয়েছে তা খুঁজে বের করে ওইসব টপিকে আলাদা নজর দিতে হবে।

ইংরেজি
অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ইংরেজি-ভীতিতে ভুগে এবং ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে আশানুরূপ ফল অর্জন করতে পারে না। এজন্য ইংরেজি বিষয়ে আগে থেকেই ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সি ইউনিটের ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্রশ্ন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র থেকে হয়ে থাকে। এজন্য এই অংশে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। ইংরেজি ব্যাকরণ অংশে ভালো প্রস্তুতির জন্য ‘TOEFL’ বইটি বেশ কার্যকর।

বইটি সহজ ইংরেজিতে লেখা। এই বইয়ে প্রতিটি টপিক খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা করা আছে এবং অধ্যায়ে শেষে প্র্যাকটিস করারও সুযোগ আছে। দ্বিতীয় পত্রের যে বিষয়গুলোর প্রতি জোর দিতে হবে তা হলো- Parts of speech, Article, Tense, Voice, Sentence Correction, Spelling, Right form of verb, Preposition, Translation, Synonyms, Antonyms, Idiom, Joining sentence, Comprehension। ইংরেজিতে ভালো করতে আপনাদের নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘ওয়ার্ড স্মার্ট ও I & II’ বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ শব্দসমূহ এবং ‘ব্যারনস-এর গুরুত্বপূর্ণ ৩০০ শব্দ’ বইটি পড়বেন। তাছাড়া ইংরেজি প্রথম পত্র সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে। ইংরেজিতে ভালো করার জন্য অবশ্যই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।

কলি

 

রাবির ভর্তি পরীক্ষা হবে ৪ বিভাগীয় শহরে

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
রাবির ভর্তি পরীক্ষা হবে ৪ বিভাগীয় শহরে
ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন। 

সভায় সিদ্ধান্ত হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং খুলনা এ চার শহরে নেওয়া হবে ভর্তি পরীক্ষা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক চিন্তাভাবনা থেকে এটি করা হয়েছে। আমাদের অনেক চাওয়া থাকে কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয় না। দীর্ঘদিন ধরেই একাডেমিক কাউন্সিল চেষ্টা করছে পরীক্ষাটা বিভাগীয় শহরে নেওয়ার। আপাতত চার বিভাগে পরীক্ষামূলকভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরপর সংখ্যা সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হবে।’

দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ভর্তিচ্ছু এবং অভিভাবকদের দাবি ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে নেওয়া হোক।

সুমন/পপি/

প্রয়াত শিক্ষক শিল্পী খানমের আর্টিকেল নিয়ে বই প্রকাশ করবে জবি

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
প্রয়াত শিক্ষক শিল্পী খানমের আর্টিকেল নিয়ে বই প্রকাশ করবে জবি
ড. শিল্পী খানম

সদ্য প্রয়াত বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিল্পী খানমের সবগুলো আর্টিকেল নিয়ে আগামী বইমেলায় বই প্রকাশ করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা দপ্তর, যা উৎসর্গ করা হবে তার দুই ছেলেকে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে একথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

শিল্পী খানমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক শিল্পী খানম যত আর্টিকেল লিখেছেন সেগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা সংস্থা থেকে বই বের করা হবে এবং সে বই সামনের বইমেলায় প্রদর্শনীতে যাবে। বইটি উৎসর্গ করা হবে তার দুই ছেলেকে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা মানুষ হিসেবে ধর্মের কথা যতই বলি, কিন্তু মনের ভেতর নৈতিক মূল্যবোধের একটা দীনতা দেখা যায়। এ মুহূর্তে যদি বলে দেশে সবচেয়ে বড় সংকট কোথায়, তাহলে আমি বলব মনে। কারণ আমাদের মন হিংসাত্মক, এর থেকে আমরা বের হতে পারছি না।’

এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মুজাহিদ বিল্লাহ/সালমান/

বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৬ শিক্ষার্থী, নতুন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
বৃত্তি পেলেন ঢাবির ৬ শিক্ষার্থী, নতুন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত ছয় বিভাগের ছয় জন মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে ‘আমিনুর রহমান খান স্মারক ট্রাস্ট ফান্ড’ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের দুইজন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে ‘অধ্যাপক শাহীন আহমেদ ও কাজী আনোয়ার আহমেদ ট্রাস্ট ফান্ড’ নামে ঢাবিতে আরেকটি নতুন ফান্ড গঠন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে আয়োজিত পৃথক দুই অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির চেক ও সনদ বিতরণ করা হয়। পরবর্তী সেশনে নতুন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনে ২০ লাখ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শাহীন আহমেদ ও তার স্বামী কাজী আনোয়ার আহমেদ।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই বৃত্তি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী, উৎসাহ ও উদ্দীপনা যোগাবে। কর্মজীবনে মানুষ, সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করার প্রেরণা যোগাবে। লেখাপড়ায় উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে ট্রাস্ট ফান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় শক্তি। দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে সমাজের বিত্তশালী ও অ্যালামনাইরা এই জাতীয় অনুদান দিয়ে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন।’

বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন- হুসাইন আহমেদ (ইতিহাস বিভাগ), নুরেজান্নাত আফরিস (সংগীত বিভাগ), মো. আব্দুল আলিম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ), ছাব্বির হোসেন (মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ), মো. শাহ্ জামাল হোসেন (জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ) এবং শেখ নাফিস হায়দার (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসনরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ
ছবি : খবরের কাগজ

নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কর্মকর্তা-কার্মচারীরা। সেই সঙ্গে দাবি পূরণ না হলে ৪ জুন কর্মবিরতি ডেকেছেন তারা এবং ঈদুল আজহার আগে সরকার এই দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার না করলে, লাগাতার কর্মবিরতিসহ অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ওই বিক্ষোভ শুরু করে। 

বিক্ষোভে কর্মচারীরা পে-স্কেল চালুসহ সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়। বিক্ষোভ মিছিলটি ভিসি চত্বর, কলাভবন, টিএসসি, কেন্দ্রীয় মসজিদ, মধুর ক্যান্টিন, মলচত্বর হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চরম বৈষম্যে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।’

অবিলম্বে নতুন পেনশন স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আমাদের বর্তমান ব্যবস্থায় পেনশন বহাল রাখার দাবি জানিয়ে ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘দাবি পূরণ না হলে আগামী ৪ জুন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে জরুরি খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবেন। সেই সঙ্গে ঈদুল আজহার পূর্বে সরকার এই দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার না করলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রার মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

এ সময় ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মিজি, কর্মচারীদের নেতা শাহজাহান, কর্মচারী সমিতির সোহেল রানা, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ঢাবিতে দিনব্যাপী গবেষণা মেলা

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
ঢাবিতে দিনব্যাপী গবেষণা মেলা
ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বোস সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস-এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘গবেষণা মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে এই গবেষণা মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাবিসহ দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মেলায় ৬৯টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। 

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সত্যেন বোস তার জ্ঞান, মেধা ও গবেষণাকর্ম দিয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি শুধু একজন বিজ্ঞানী ছিলেন না, লেখক ও সম্পাদক হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনসহ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তার গবেষণাকর্ম যুগে যুগে তরুণ শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে আসছে।

বোস সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. রতন চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, বোস সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শামীমা কে চৌধুরী, আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঞা।

খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন বোসের জীবন, কর্ম, অবদান এবং তার সমসাময়িক গবেষণাকর্মকে কেন্দ্র করে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। মেলায় অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অবস্থিত বোস মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন।