![প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন](uploads/2024/05/26/DU-1716734539.jpg)
নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য সম্প্রতি চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
রবিবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলেন, আগামী ২৮ মের মধ্যে দাবি না মানলে ওই দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আগামী ৩ জুনের মধ্যে দাবি না মানা হলে পরদিন ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। যদিও এ সময়ে পরীক্ষা চলমান থাকবে। এর পরও দাবি না মানা হলে ১ জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা চলবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য যে প্রত্যয় স্কিম আরোপ করা হয়েছে তা আমাদের পারিবারিক সুরক্ষা নষ্ট করছে। এই প্রত্যয় স্কিমের ফলে মেধাবীরা আর শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহী হবেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাহলে কারা সেই শক্তি সেটি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনে করে ঢাবি শিক্ষক সমিতি। সব শিক্ষক আজ সংগ্রামে আছেন, বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আছেন।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর (শিক্ষকরা) প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই তাদের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ১ হাজার ৬১ জন শিক্ষক এই প্রত্যয় স্কিমের বিপক্ষে স্বাক্ষর দিয়েছেন। তবুও কেউ এই ধরনের বৈষম্যমূলক স্কিম গ্রহণ করবেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আজকে এই মানববন্ধন পালন করছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই এই স্কিমকে গ্রহণের পক্ষে নেই। অবিলম্বে দাবি না মানা হলে পর্যায়ক্রমে আমরা কঠোর আন্দোলন এবং কর্মবিরতিতে যাব।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, শফিউল আলম ভূঁইয়া, ড. এম ওয়াহেদ, দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ মোস্তফা কাওসার আবুলউলায়ী, জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুর রহিম, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, ফার্মেসি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সামাদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।