
বিএনপির সমর্থক হওয়ায় ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (কেবি) কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমানকে ২০১৬ বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় আইনি লড়াই শেষে টানা ৮ বছর পর গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর স্বপদে ফিরেছেন তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে।
জানা যায়, অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান দায়িত্বে থাকাকালে ২০০৬ সালে ক্যাম্পাস থেকে কলেজটি ৩ একর জায়গা নিয়ে নতুন ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেন এবং নবনির্মিত নতুন ভবনে কলেজে শাখা সম্প্রসারণসহ ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু করেন। বর্তমানে কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৬০ জন। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ সংশোধন করে কেবিআই কলেজের জায়গায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (কেবি) নামকরণ করেন।
তার প্রচেষ্টায় কলেজের চারপাশে নিরাপত্তাপ্রাচীর নির্মাণ, কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবন, দৃষ্টিনন্দন প্রধান গেট, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য পূর্ব গেট, যাতায়াতের জন্য বাস কেনা, খেলার উপযোগী মাঠ তৈরি, শহিদ মিনার, আধুনিক ল্যাব, লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠাসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করেন। শিক্ষকদের কল্যাণে শতভাগ বেতন-ভাতা, বাড়ি ভাড়া দেওয়া, আপগ্রেডেশন নীতিমালা প্রণয়ন, অবসরকালীন পেনশন, গ্র্যাচুইটি দেওয়াসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করেন।
প্রীয়ন্ত পাল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কোনো শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না থাকলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা ফলাফল ভালো করতে বিভিন্ন সময় অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকরা কথা বলেন।’
জীববিজ্ঞানের শিক্ষক মো. আনোয়ার মাসুদ বলেন, ‘বর্তমানে কলেজের সব ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের ওপরে, যা এক বছর আগেও ছিল অনেক কম। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বিজ্ঞান ক্লাব, ভাষা ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব ও রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম আবার চালুর প্রক্রিয়াধীন আছে।’
কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ইংরেজি শিক্ষক বি এম আব্দুল্লাহ রনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ডিসকাশন, লেকচার শিট দেওয়া, পরিকল্পিত ক্লাস রুটিন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ও কাউন্সেলিং কার্যক্রম গতিশীল করাসহ নানা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন বর্তমান অধ্যক্ষ।’
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান আমার কাছে সন্তানতুল্য। এর সাফল্য, ব্যর্থতার দায় বা অর্জন আমার এবং প্রতিষ্ঠানের সবার। আমি চাই, প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে সবাই কাজ করুক।’