
ঈদের আগে বেতন-ভাতা পরিশোধ, অবিলম্বে প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে তিন দফা দাবিতে খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মঙ্গলবার (৩ জুন) শেষ কর্মদিবসেও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কুয়েট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতি যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে কুয়েটে ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার কথা।
এদিকে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও কুয়েটবান্ধব একজন ভিসি নিয়োগ, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বন্ধ থাকা বেতন ও ঈদের বোনাস দ্রুত দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত সচল করার ৩ দফা দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, তারা এক গভীর সংকট ও চরম হতাশার মধ্যে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন। কুয়েটের মতো একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ভিসি নিয়োগ না দেওয়ায় অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে। এতে প্রশাসনিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং সর্বোপরি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। ঈদুল আজহা সামনে অথচ প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক হাজার ১০০ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন-ভাতা দেওয়া হয়নি। যা কুয়েটের ইতিহাসে এবারই প্রথম। সে জন্য তাদের পরিবারগুলো হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। এটি শুধু একটি আর্থিক সংকট নয়, এটি তাদের মর্যাদা, সম্মান ও ন্যায্য অধিকার হরণ করার এক নির্মম উদাহরণ।
মানববন্ধনের মাধ্যমে বক্তারা শিক্ষার পরিবেশ দ্রুত ফিরিয়ে এনে সৃষ্ট সংকটের সুষ্ঠু সমাধানে চ্যান্সেলর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন। এসব ঘটনায় ধারাবাহিক টানাপোড়েনে কুয়েটের ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অব্যাহতি ও পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী ভিসি ড. মো. হযরত আলী পদত্যাগ করেন।