ঢাকা ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
English

ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪ এএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম
ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ শিশুর মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

ঠাকুরগাঁওয়ে পৃথক দুর্ঘটনায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন পানিতে ডুবে এবং একজন সড়ক দুর্ঘটনায়।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) পুলিশ জানায় রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের খঞ্জনা গ্রামের কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। 

দুই শিশু হলো- খঞ্জনা গ্রামের ইব্রাহিমের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (১০) এবং দিনাজপুর সদরের ইউসুফ আলীর মেয়ে মুসলিমা (৮)। 

এলাকাবাসী জানান, ইয়াসমিন ও মুসলিমা নদীতে গোসল করতে গেলে পানিতে তলিয়ে যায়। অনেকক্ষণ তাদের না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয়রা নদী থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

অন্যদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের জনগাঁও গেন্ডাবাড়ি এলাকায় অটোরিকশার চাপায় পূর্ণচন্দ্র রায় (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে গেন্ডাবাড়ি এলাকার সুভাষ রায়ের ছেলে।

নবীন হাসান/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

বিএমডিএ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের ইন্তেকাল

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
বিএমডিএ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের ইন্তেকাল
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। 

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ড. আসাদুজ্জামান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তবে তার আগেই তিনি মারা গেছেন।’ 

ড. আসাদুজ্জামান স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার দুই সন্তানই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ছেলে জাতিসংঘের বড় পদে চাকরি করেন। সন্তানরা দেশে ফেরার পর দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে। 

 

 

তৃণমূল থেকে ফুটবল খেলোয়াড়দের উন্নয়ন করা হবে: বাফুফে সভাপতি

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
তৃণমূল থেকে ফুটবল খেলোয়াড়দের উন্নয়ন করা হবে: বাফুফে সভাপতি
যশোর সদরের হামিদপুরে ‘এএফসি গ্রাসরুটস ফুটবল ডে ও বিশ্ব ফুটবল সপ্তাহ’ এবং শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির ‘ভাষা সৈনিক মুসা ভবনের’ উদ্বোধন। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আওয়াল বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে ফুটবল খেলোয়াড়দের উন্নয়ন করতে চাই। গ্রাসরুটস ফুটবল দিবস ও বিশ্ব ফুটবল সপ্তাহে তৃণমূল থেকে ছয় শ’ ফুটবলার অংশ নিয়েছে। এটা একটি বড় রেকর্ড। বাফুফের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে ২২২টি একাডেমি। প্রতিটি একাডেমির পেছনে বাফুফে কোনো না কোনোভাবে সাপোর্ট দিয়ে থাকে। কারণ গ্রাসরুটস লেভেলে আমাদের খেলোয়াড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরা এসব ফুটবলারের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই। এই মাঠে তৃণমূল পর্যায় থেকে অনেক খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ যা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আজকে এখান থেকে আমি যে উৎসাহ নিয়ে যাচ্ছি এটা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে দিবো।

শুক্রবার (২৩ মে) যশোর সদরের হামিদপুরে ‘এএফসি গ্রাসরুটস ফুটবল ডে ও বিশ্ব ফুটবল সপ্তাহ’ এবং শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির ‘ভাষা সৈনিক মুসা ভবনের’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এএফসি গ্রাসরুটস ফুটবল ডে ও বিশ্ব ফুটবল সপ্তাহ’ বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন  আর্জেন্টিনার অ্যাম্বাসাডর মি. মারসেলো কারলোস সিসা।

এই সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মি. মারসেলো কারলোস সিসা বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে ফুটবল খেলা হয়। এখানে ধনি-গরিব, ছোট-বড় সব স্তরের মানুষই ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে আসে। ফুটবল খেলার আনন্দ সকলেই ভাগাভাগি করে নেয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশে ফুটবলের সফলতা আসবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি নাসের শাহারিয়ার জাহেদী, ওহেদ উদ্দীন চৌধুরী, ফাহাদ কবীর, নির্বাহী সদস্য ইকবল হোসেন, গোলাম দাউদ, কামরুল হাসান, সাখাওয়াত হোসেন শাহিন, সাইদুর রহমান মনি প্রমুখ।
বাফুফে সভাপতি আরও বলেন, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি আছে দুই দেশের ফুটবল উন্নয়নের জন্য। একইসাথে দুই দেশের সমর্থকদের ভালোবাসা রয়েছে। আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত নিজেই বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলারদের দেখতে ছুটে এসেছেন। যা খেলোয়াড়দের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা চাই, শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি যা করছে, তাতে গ্রামপর্যায় থেকে ফুটবলের উন্নয়ন হবে। ফুটবলের উন্নয়নে আমরা এমন মাঠই চাই।

এরপর একাডেমি মাঠে ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সী ফুটবলাররা একটি সংক্ষিপ্ত ম্যাচে অংশ নেয়। অতিথিরা তাদের ক্রীড়ানৈপূণ্য উপভোগ করেন।

সৌদিতে গাজীপুরের দুই ভাই খুন, দালালকে সন্দেহ

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
সৌদিতে গাজীপুরের দুই ভাই খুন, দালালকে সন্দেহ
খুনের শিকার দুই ভাই কামরুজ্জামান কাকন ও কামরুল ইসলাম সাগর। ছবি: সংগৃহীত

সৌদিতে একটি ফ্ল্যাটে গাজীপুরের আপন দুই ভাই খুন হয়েছে। বুধবার (২১ মে) সৌদি পুলিশ দাম্মাম শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ হত্যাকাণ্ডের খবর রাতে গাজীপুরে তাদের পরিবারের কাছে এসে পৌঁছায়। আর এ খবর পেয়েই শোকের মাতম চলছে গাজীপুর মহানগরীর উত্তর ভুরুলিয়ার লম্বরি বাড়িতে।

খুন হওয়া দুই ভাই হলেন- কামরুজ্জামান কাকন (২৬) ও কামরুল ইসলাম সাগর (২২)। তারা উত্তর ভুরুলিয়ার আদর্শপাড়ার ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন লম্বরির ছেলে।

নিহদের বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, দুই ছেলে ছাড়া তার আর কোনো সন্তান নেই। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই তাদের কানাডায় পাঠাতে চেয়েছিলেন। কানাডা পাঠানোর স্বপ্নই কাল হয়ে তার পরিবারের। বুধবার রাত ১২টার পর এক বাংলাদেশি ফোন করে দুই ছেলের হত্যাকাণ্ডের খবর দিয়েছে। পরে সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টার দিকে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে দুই ভাই। দুপুরের পর দরজার নীচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখে ফ্ল্যাট মালিক পুলিশে খবর দেয়। সিসি ফুটেজ দেখে মঞ্জু নামে বাংলাদেশি এক যুবককে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাকে দিয়েই বাহার তার দুই সন্তানকে খুন করে থাকতে পারে ধারণা মোশারফ হোসেনের। তিনি দ্রুত সন্তানদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সাহায়তা কামনা করেন।  

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কামরুজ্জামান কাকন একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরির খোঁজ করছিলেন। ঢাকার নয়াপল্টনের সামিয়া ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক বাহার উদ্দিন ২১ লাখ টাকা চুক্তিতে জব ভিসায় কাকনকে কানাডায় পাঠানোর প্রস্তাব দেন বাবা মোশারফ হোসেন লম্বরির কাছে। ৩ লাখ টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও তিনি কাকনকে কানাডা পাঠাতে পারেননি। পরে বাহার উদ্দিন ভালো বেতনে ছোট ছেলে সাগরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকায় সৌদি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। রাজি হলে গত বছরের অক্টোবর মাসে সৌদি যায় সাগর। কিন্তু কাজের পরিবর্তে তাকে দাম্মামে একটি ঘরে আটকে রেখে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয় বাবা মোশরফ হোসেনের কাছে। ছেলের কথা ভেবে আরও ৪ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। টাকা নিয়েও ছেলেকে ভালো চাকরি না দিয়ে খাবার ডেলিভারির কাজ দেয়। কানাডা পাঠানো জন্য নেওয়া ৩ লাখ টাকা ফেরত চাইলে বড় ছেলে কাকনসহ দুই ছেলেকে সৌদির মদিনা ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ বেতনে চাকরির প্রস্তাব দেন বাহার উদ্দিন। নতুন করে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর কাকনকে সৌদি নিয়ে যান বাহার। সেখানে কাজ না দিয়ে দুই ভাইকে একটি ঘরে আটকে রাখেন। 

বিষয়টি জানার পর বাহার উদ্দিন কাকন ও সাগরের বাবা মোশারফ হোসেনকে ওমরা ভিসায় সৌদি গিয়ে ছেলেদের দেখে আসার প্রস্তাব দেন। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বাহার উদ্দিনের সঙ্গে সৌদি আরব যান মোফারফ হোসেন। এ সময় দুই ছেলেই জানান, তাদের খাবার ডেলিভারির কাজ দেওয়া হয়েছে। ঠিমত খেতে দেওয়া হয় না। রাখা হয়েছে ছোট্ট ঘরে। ২২ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরেন। ছেলেদের কাগজপত্র ঠিক করার কথা বলে থেকে যান বাহার। আসার সময় বাহার একটি পলিথিন মোড়ানো একটি ব্যাগ দিয়ে ঢাকার ঠিকানায় পৌঁছে দিতে বলেন মোশারফ হোসেনকে। ব্যাগে কী ছিল তিনি দেখেননি।  সৌদি বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তল্লাশী করে একটি পুটলি উদ্ধার করে। পরে পুটলি রেখে তাকে ছেড়ে দেয়। তিনি ফিরে আসার পরদিন বাহার উদ্দিন বাংলাদেশে চলে আসেন। এসেই ব্যাগে থাকা পুটলি ফেরত চান। ইমিগ্রেশন পুলিশ রেখে দিয়েছে জানালে পুটলিতে ১৩ লাখ টাকার সোনা ছিল দাবি করে টাকার জন্য চাপ দেন। কয়েক দফা হুমকি দেন। বলেন টাকা না দিলে সৌদিতে থাকা ছেলেদের ক্ষতি হবে। এসব ঘটনায় তিনি নগরীর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সর্বশেষ ৯ মে একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে একদল গুন্ডা নিয়ে এসে অস্ত্র উচিয়ে মোশারফকে খুঁজতে থাকে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোশারফরের বৃদ্ধ বাবা আবুল কাশেম লম্বরিকে তুলি নিয়ে যায় এবং দুই ছেলেকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার সময় মোশরফ বাড়িতে ছিলেন না। ৯৯৯ ফোন দিলে সদর থানা পুলিশ আবুল কাশেমকে উদ্ধার করে।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

 

ভেদরগঞ্জে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
ভেদরগঞ্জে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ও শুক্রবার এই চাল বিতরণ করা হয়। প্রতি কার্ডে ৮০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় জেলে ও পরিষদের একাধিক মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় বিএনপি নেতারা এ কার্ড বিতরণ করেছেন। বিএনপি নেতারা তাদের পছন্দের মানুষজনকে এ কার্ড দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন জেলেরা। অনেকে নিবন্ধিত জেলে না হলেও তাদের স্লিপের মাধ্যমে এ চাল দেওয়া হয়েছে, আর নিবন্ধিত অনেক জেলেরা এ চাল থেকে বঞ্চিত  হয়েছেন। এতে স্থানীয় জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার  সকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার কাঁচিকাটা  ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে চাল দেওয়া হলেও সেখানে নেই কোনো চাল পরিমাপের যন্ত্র। বালতি করে চাল পরিমাপ করে দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় স্থানীয়রা জানান, জেলেদের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। জনপ্রতি ৮০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে দেওয়া হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে। এ নিয়ে স্থানীয় জেলেদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জেলেই স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। এ অনিয়মের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব লুৎফর রহমান জড়িত রয়েছেন বলে জানান অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে বলেন,  ‘যারা জেলে না, তাদের জেলে কার্ড দেওয়া হয়েছে।  আপনারা সাংবাদিকরা যতক্ষণ সামনে ছিলেন, ততক্ষণ সঠিকভাবে চাল দিয়েছে। আপনারা চলে গেলে এ চাল অর্ধেকে নেমে আসে।’

কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলম দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আমাদের পরিষদে কোন মিটিং ডাকা হয়না। বিএনপির লোকজন মিলে পরিষদের কার্ড বিতরণ করে। প্রত্যেক জেলেকে ৩৫ কেজি করে মোট ৭০ কেজি চালের মত দিয়ে থাকে।’

কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘সঠিক পদ্ধতিতে চাল বিতরণ করা হয়েছে। চাল বিতরণে কোন অনিয়ম নেই।’

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, ‘জেলেদের চাল কম দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাজিব হোসেন/সুমন/

কালিহাতীতে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাসের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
কালিহাতীতে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দিলে বাসটি উল্টে গিয়ে ২ জন নিহত হয়। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দিলে বাসটি উল্টে আব্দুস সালাম ও এস এম আলম নামে দুইজন নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার মুলিয়া নামক স্থানে ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আব্দুস সালাম ঘাটাইল উপজেলার গুসাইবাড়ি এলাকার মজিবর রহমানের এবং এস এম আলম মির্জাপুর উপজেলার ছাটিয়াচুরা এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে । 

ওসি জাকির হোসেন বলেন, ‘টাঙ্গাইল থেকে ময়মনসিংহগামী প্রান্তিক বাস মুলিয়া নামক স্থানে এসে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। এ ছাড়া এই দুর্ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’ 

জুয়েল রানা/সুমন/