ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কালুরঘাটে ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
কালুরঘাটে ৪ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
কালুরঘাটে চার শতাধিক স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাধারণ সভায় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার ইউনিলিভার সড়ক, দেশ গার্মেন্ট সড়ক ও এফআইডিসি সড়ক থেকে চার শতাধিক স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।

চসিকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ অভিযানে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম। অভিযানকালে রাস্তা, ফুটপাত ও নালার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত প্রায় চার শতাধিক স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।

ঈদের পর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত চসিকের সাধারণ সভায় ফের সড়ক ও ফুটপাত হতে অবৈধ দোকানপাটসহ সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এর আগে পবিত্র রমজানের আগে কঠোরভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও রমজান মাসে অনেকটা শিথিল ছিল সংস্থাটি। বলতে গেলে সিয়াম সাধনার মাসে অভিযান পরিচালনা করেনি। ঈদের পর অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় মেয়র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি খাল-নালায় আবর্জনা নিক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন।

চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল আজহা

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল আজহা
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এর অনুসারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।

৯৭ বছর ধরে এই দরবার শরীফসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে এভাবেই উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।

শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দরবার শরীফের দুটি ঈদগাঁহ্ মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীরা ঈদের নামাজে অংশ নেন।

ঈদের নামাজের প্রথম জামাত সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় অনষ্ঠিত হয়। এই জামাতে ঈমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী।

এরপর দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা মাঠে সকাল ৮টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা মুফতি আরিফ চৌধুরী।

ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের শান্তি ও সুরক্ষা এবং দেশের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। 

পরে দরবার শরীফ ও আশপাশের এলাকায় আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করেন লোকজন।

গোপালগঞ্জে থেকে প্রথমবারের মতো চাঁদপুর দরবার শরীফে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে আসা মুসল্লি সাইফ বলেন, আমি সাদ্রা দরবার শরীফে এই প্রথম ঈদের নামাজ আদায় করেছি। আমার এখানে এসে ভালোই লাগছে।

ঈদ জামাতে আসা স্থানীয় যুবক ইমাম হোসেন বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিনটি ছিল সারা পৃথিবীর জন্য আরাফার দিন। যা বাংলাদেশের জন্য বা অন্য কোনো দেশের জন্য আলাদা নয়। যেমন কেয়ামত সারা দুনিয়ায় একদিনেই হবে। সে হিসেবে গতকাল ছিল আরাফার দিন, আর আজ ঈদুল আযহার দিন। সেই কারণে আমরা ঈদ উদযাপন করছি।

এদিকে পাশের উপজেলা ফরিদগঞ্জের টোর মুন্সীর হাট, সাচনমেঘ ও উভরামপুর গ্রামের একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়াও হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তর উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে এই দরবার শরীফের অনুসারীদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

তবে এসব এলাকায় সরকার ঘোষিত তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন এমন মুসল্লির সংখ্যাও কম নয়। তারা শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ ও কোরবানি দেবেন।

স্থানীয় তথ্য মতে, ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রথা চালু করেন। এই রীতি তার অনুসারী মুসল্লিরা চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় একইসঙ্গে উদযাপন করে আসছেন। যার ফরে এখন সারাদেশেই এই পীরের অনুসারী সংখ্যা বাড়ছে।

চাঁদপুর জেলায় যেসব গ্রামে আজ ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে সেগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানি এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলাসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম।

ফয়েজ আহমেদ/অমিয়/

গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাপড়ীগঞ্জ এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দম্পতি হলেন- মো.আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও তার স্ত্রী শারমিন বেগম (৩৩)।

তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলকুরী গ্রামে।

তারা ঢাকার গাজীপুরে এলাকায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। চাপড়ীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে সড়কের বিটে ঝাঁকুনি লেগে রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় একটি ট্রাক তাদের দুইজনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।

ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ মানুষ ট্রাকটি আটক করেন। পরে তারা ঢাকা-রংপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে অন্তত ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় সড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানযটের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে একই স্থানে অন্তত ১৫টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অন্তত ৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালেও ওই এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, নিহতদের পরিবারের কাছে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা এলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ট্রাকটি আটক করে থানায় আনা হয়েছে। 

রফিক খন্দকার/অমিয়/

প্রাণের টানে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:২৫ এএম
প্রাণের টানে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদযাত্রায় দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে আজও নিজ গন্তব্যে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। পদ্মা সেতুর কল্যাণে এই পথে এবারের ঈদযাত্রাও বিড়ম্বনাহীন ও নিবিঘ্ন।

শুক্রবার (৬ জুন) ভোর থেকে ওই এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের অধিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। 

যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় যানবাহনগুলোকে টোল পরিশোধ করতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

মাওয়া প্রান্তের টোলপ্লাজায় কিছুটা বিলম্ব হলেও টোল পরিশোধ করে নিবিঘ্নে যানবাহনগুলো পদ্মা সেতু পারি দিতে পারছে।

দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্যও দেখা গেছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে নিজ গন্তব্যে ছুটছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। এ যেন এক অন্য অনুভূতি।

অমিয়/

সাতক্ষীরায় ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:১৪ এএম
সাতক্ষীরায় ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন
ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার ২০টিরও বেশি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে জেলার বিভিন্ন মসজিদে ঈদুল আজাহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
 
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালী আহলে সুন্নাত আল জামায়াত জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান। একই সময়ে বাওখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ইমামতি করেন মাওলানা মো. মোহাব্বত আলী।

ইসলামকাটি, গোয়ালচত্বর, ভাদড়া, ঘোনা, মিরগিডাঙ্গাসহ আশপাশের অন্তত ২০টি গ্রামের মুসল্লিরা এসব জামাতে অংশ নেন।

পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ঈদের জামাতে শরিক হন।
 
স্থানীয় মুসল্লি রবিউল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা জেলায় ২০টির অধিক গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছেন এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয় মুসল্লিদের মতে, বিগত এক যুগ ধরে তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সৌদি আরবের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ি শুক্রবার ঈদ উদযাপন করছেন তারা।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি দেন।

নাজমুল শাহাদাৎ/অমিয়/

বিছনাকান্দি সীমান্তে পাথর উত্তোলন ঠেকাতে বিএসএফের সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:০১ এএম
বিছনাকান্দি সীমান্তে পাথর উত্তোলন ঠেকাতে বিএসএফের সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি
খবরের কাগজ (ফাইল ফটো)

সিলেটের গোয়াইনঘাটের বিছনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় জিরো পয়েন্টে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় ভয়ে পালাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে সাতজন বাংলাদেশি পাথরশ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিছনাকান্দি নদীর পূর্বপাড়ে সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।

স্থানীয় লোকজন ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বিছনাকান্দি পর্যটনকেন্দ্রের ওপাশের জিরো পয়েন্টে রাতে পাথর উত্তোলন করেন শ্রমিকরা। বুধবার রাতে ১৫ থেকে ২০ জন শ্রমিক বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বারকি নৌকা নিয়ে পাথর তুলতে যান। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিছনাকান্দি সীমান্ত ফাঁড়ির টহলরত সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে পাথরশ্রমিকদের ধাওয়া দেন। বিজিবির বাঁশি শুনে বিএসএফও শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। শ্রমিকরা ভয়ে পালাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে কয়েকজন আহত হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিছনাকান্দির স্থানীয় এক বারকি শ্রমিক জানান, বিজিবির বাঁশি ও বিএসএফ ফাঁকা গুলির শব্দে আক্কাস মিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সঙ্গে থাকা শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে আনলে ঘণ্টা দুয়েক পর প্রাথমিক চিকিৎসায় তার জ্ঞান ফিরে। এ সময় পালাতে গিয়ে পাথরের আঘাতে আরও অন্তত পাঁচ-ছয়জনের হাত-পা কেটে যায়।

যোগাযোগ করলে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক ঘটনাটি নিশ্চিত করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাথরশ্রমিকরা রাতে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে জিরো পয়েন্ট অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে গিয়েছিল। বিজিবি খবর পেয়ে বাঁশি বাজিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। একই সময় বিএসএফ শ্রমিকদের ভয় দেখাতে দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং একটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

অমিয়/