বরিশালে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার (৪ মে) দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। অবশ্য রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশি পাহারায় দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল শুরু হয়। সংঘর্ষে আহতদের নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বাস টার্মিনাল সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা ১২টার দিকে হর্ন বাজানো নিয়ে বাসচালক ও হেলপারকে মারধরের জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত। তবে পুলিশ জানিয়েছে, নথুল্লাবাদ টার্মিনাল-কেন্দ্রিক পরিবহন সেক্টরের শ্রমিক নেতাদের মধ্যে দুটি দল রয়েছে। এদের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরেই টার্মিনালের ভেতরে ও বাইরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবির বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে ঘটনার সমাধান করে বাস চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় আবার বাস ও থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এ নিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফারুক হোসেন জানান, নথুল্লাবাদে শ্রমিক ইউনিয়নের দুপক্ষের মধ্যে অনেক দিন ধরে সমস্যা আছে। পাল্টাপাল্টি কমিটি থাকলেও বর্তমানে তাদের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। এখানে শ্রমিক ইউনিয়নের যে অফিস ছিল, সেটি মে দিবস উপলক্ষে একপক্ষ খুলে দেয়। এতে অন্য পক্ষে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে টার্মিনালের ভেতরেও দুপক্ষের মারামারি হয়। একপর্যায়ে তারা সড়ক অবরোধ করে।
বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান বালেন, ‘শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ ঘটনাকে উসকানি দিয়ে তৃতীয় পক্ষ সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। আমরা পুরো ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’