নাটোরের সিংড়া উপজেলায় চোখে টর্চের আলো পড়ার জেরে নবীন আলী নামে ১২ বছরের এক শিশুকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীকে গত শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে। সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নির্যাতনের শিকার শিশু নবীন সিংড়া পৌরসভার নিংগইন এলাকার আবদুস সালাম ও আশেদা বেগমের ছেলে। সে নিংগইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। অপরদিকে অভিযুক্ত রাসেল সরদার রুবেল একই এলাকার বাসিন্দা।
নবীন আলীর মা আশেদা বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নবীন দোকান থেকে হাতে টর্চলাইট নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় মাথায় ধান নিয়ে যাওয়া শ্রমিকরা পথ চলার সুবিধার্থে নবীনকে টর্চের আলো জ্বালাতে বলে। নবীন আলো জ্বালালে তার সামনে থাকা রাসেলের চোখে পড়ে। এতে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাসেল নবীনকে কিল-ঘুষি, চড়-লাথি মেরে জখম করে। পরে আশেদা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে বাসায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় আশেদা বেগম থানায় অভিযোগ দেন। বিষয়টি বেশি বাড়াবাড়ি করলে রাসেল তাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাসেল সরদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা জানান, ঘটনাটি জানার পর অভিযুক্ত রাসেলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিংড়া থানার ওসি আবুল কালামকে রাসেলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইউএনও আরও জানান, রাসেলকে করোনার সময় অতিরিক্ত মাস্টাররোলে অনেকটা মজুরিভিত্তিক শর্তে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত নয়। তার কৃতকর্মের কোনো দায় উপজেলা প্রশাসন নেবে না। সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন বিচারাধীন।