নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ওই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন।
রবিবার (৫ মে) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল যাচাই-বাছাইকালে মনোনয়নপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী শাহাদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
শাহাদাত হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক মামলাগুলোর বিষয়ে আমি অবগত নই। এ ছাড়া এসব মামলা অনেক আগে আদালতে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রভাবশালী মহল থেকে জেলা প্রশাসককে চাপে রেখে আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে আপিল করব। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক আমার আপিল গ্রহণ না করলে প্রয়োজনে আমি উচ্চ আদালতে যাব।
এ উপজেলায় তিন পদে মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে বৈধ হওয়াদের মধ্যে আছেন চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কাতার প্রবাসী মো. মামুন হোসেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বিন্দ্বিতা করবেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার (মুরাদ ভাবী), সহসভাপতি রেহানা আক্তার (শিউলী হাজারী) ও সাবেক কাউন্সিলর ফাতেমা বেগম পারুল।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা তিন পদে তিন প্রার্থী দিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। তিনি চেয়ারম্যান পদে গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পারভীন আক্তারকে সমর্থন জানিয়ে মাঠে-ময়দানে কাজ করছেন এবং অন্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে, আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এমএ/