আমাদের ১৮ কোটি লোক কিন্তু কৃষি জমি অনেক কমে গেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, আমাদের উন্নত ধান, কৃষকদের ও বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে আমাদের উৎপাদন অনেক বেড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ঢেলপীরে ইরি বোরো মৌসুমের পাকা ব্রি ৮৮ ধান কাটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন,‘গত বছর আমাদের খাদ্যের ইমপোর্ট (আমদানি) করতে হয় নাই। বন্যায় ধানের উৎপাদন ক্ষতি হওয়ায় কিছু ইমপোর্ট করতে হলেও এবছর আল্লায় দিলে আমাদের প্রোডাকশন অনেক ভালো হয়েছে ইমপোর্ট করতে হবে না।
তিনি এক প্রশ্নের জবাব বলেন, আমাদের দেশের বর্ডার সম্পূর্ণরূপে সিক্রুট রয়েছে। আমাদের এখানে কোন রকমের কোন সমস্যা নেই। ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার ইরি বোরো পাকা ধান চাষিরা রোপন করেছে। এখন তা পেকে গেছে তারা এখন ভালোভাবেই ধান কাটতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর চাষিরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় এবং বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের ডিজি মহোদয়কে নির্দেশ দিয়ে বলেন, কৃষকদেরকে যেন পানির বিল কমিয়ে আনা যায়। কৃষকদের যেন উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা যায় এ ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
দিনাজপুর বিরলের কৃষক-কৃষাণীদের সরাসরি মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রশ্ন শুনেন এবং উত্তর দেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আর উপরে যারা চাকরি করেন তাদের দুর্নীতিটা কমাতে হবে।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কৃষি জমি ব্যবহারের নীতিমালা দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রণয়ন করার হবে বলেও তিনি ব্যক্ত করেন। কৃষি জমি সুরক্ষা আইন নতুনভাবে করার পরিকল্পনার কথাও রয়েছে বলেও জানান কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
দিনাজপুর ভারতীয় বর্ডার সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এই এলাকায় মাদকের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, যারা মাদক কারবারীদের সঙ্গে জড়িত বা আইন-শৃঙ্খলার কোন সদস্যরা যদি এই মাদক সেবীদের মাদক কারবারিদের ধরে ছেড়ে দেয়, তাহলে একদিন তারা তাদের পরিবারের সদস্যরা যদি মাদকাসক্ত হয় সেদিন তারা বুঝবে মাদকের ভয়াবহতা কী?
দিনাজপুরের বেদনা লিচুকে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই স্বীকৃতি প্রদান করায় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশ্ন করলে যে লিচুর বাগানে মাত্রাতিরিক্ত স্প্রে করা হয়। এটি কৃষি অফিসারের মাধ্যমে কমিয়ে আনা যায়। এই বিষয়ে উঠান বৈঠক করার প্রস্তাব করা হলে তিনি কৃষি কর্মকর্তাদেরকে উদ্দেশে বলেন, উঠান বৈঠকের জন্য সরকার নির্ধারিত টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা যেন কৃষি কর্মকর্তারা নিজের পকেটে না ঢুকিয়ে উঠান বৈঠক করে। কৃষকদেরকে সচেতন করে এমন নির্দেশনা তিনি প্রদান করেন।
পরে তিনি দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা ও কৃষি উন্নয়নে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন।
সুলতান মাহমুদ/এমএ/