![জয়পুরহাটে পিডিবিএফ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ](uploads/2024/05/28/Jaipurhat-1716867618.jpg)
জয়পুরহাটে শতাধিক গ্রাহকের প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের সহকারী মাঠ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নিজের কষ্টের আমানতের টাকা ফেরত না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন এসব দরিদ্র মানুষ।
এদিকে ভুক্তভোগী সদস্যরা সদর উপজেলার দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি অফিসে এসে তাদের অর্থ ফেরত চান। টাকা ফেরত না পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তারা। যদিও সংস্থাটির কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত রাইসুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা গেছে, দরিদ্র মানুষের আর্থিককভাবে সাবলম্বী করতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় জেলার সদর উপজেলায় দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কর্মসূচি চালু করা হয়। এ কর্মসূচির অধীনে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৭৮টি সমিতি খোলা হয়। প্রতিটি সমিতিতে ২০ থেকে ৩০ জন সদস্য তাদের ও পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য আমানত জমা করেন। এর মধ্যে সহকারী মাঠ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম ১৬টি সমিতির সঞ্চয়সহ বিভিন্ন আমানতের টাকা উত্তোলন কাজের দায়িত্বে ছিলেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাইসুল এসব সমিতির শতাধিক সদস্যের প্রায় ২০ লাখ টাকা তুলে ফেলেন। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন, অফিসের মূল রেজিস্টারে টাকা জমার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া সেই সব টাকাও কোনো ব্যাংকে জমা হয়নি।
ভুক্তভোগী মালা রানী বলেন, ‘চার বছর ধরে অনেক কষ্ট করে দারিদ্র্য বিমোচনের সমিতিতে দুই লাখ টাকা জমা রাখি। পরে জানতে পারি আমার টাকা জমা হয়নি। আমরা গরিব মানুষ, আমাদের টাকা ফেরত চাই।’
সুমাইয়া নামে আরেক সদস্য বলেন, ‘দুটি পাস বইয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা জমা হয়েছে। অফিসে এসে টাকার কথা বলায় কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন। তিন মাস ধরে টাকা না দিয়ে শুধু ঘোরাচ্ছেন।’
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত রাইসুলের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা সুফিয়া বেগম জানান, প্রাথমিকভাবে রাইসুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা অফিসে বদলি করে ক্লোজড করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। রাইসুলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।