প্রণোদনা দিলে ফ্যান রপ্তানি সম্ভব । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

প্রণোদনা দিলে ফ্যান রপ্তানি সম্ভব

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫০ পিএম
প্রণোদনা দিলে ফ্যান রপ্তানি সম্ভব
এফবিবিসিআইয়ের পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

একসময় আমদানি করে ফ্যানের পুরোটাই চাহিদা মেটাতে হতো। কিন্তু যুগের হাওয়া পাল্টে গেছে। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত ফ্যানেই ৮০-৯০ শতাংশ চাহিদা মেটানো হচ্ছে। বর্তমানে দেশে উন্নতমানের ফ্যান তৈরি হচ্ছে এবং রপ্তানির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সরকার পোশাক, পাটসহ অন্যান্য শিল্পে যেভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে, তেমনি এই খাতে প্রণোদনা দিলে ফ্যান রপ্তানি করে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি গরম বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর ফ্যানের চাহিদা বেড়ে গেছে। সঙ্গে দামও বাড়ছে। ফ্যান শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে খবরের কাগজ কথা বলেছে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খন্দকার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিবিসিআইয়ের পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাহাঙ্গীর আলম

খবরের কাগজ: বছরে ফ্যানের চাহিদা কত? সব চাহিদা পূরণের সক্ষমতা আছে কি বাংলাদেশের?
খন্দকার রুহুল আমিন: অন্য পণ্যের মতো বাংলাদেশে ফ্যানের চাহিদা বাড়ছে। বছরে প্রায় ৫ লাখ পিস চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা পূরণের সক্ষমতাও বাংলাদেশ অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, চাহিদার দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০ লাখ পিস উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। 

খবরের কাগজ: বাংলাদেশে কত কোম্পানির ফ্যান রয়েছে? সবচেয়ে জনপ্রিয় কোন কোম্পানির ফ্যান।
খন্দকার রুহুল আমিন: বাংলাদেশের নামিদামি বিভিন্ন কোম্পানিসহ ৩০০-৪০০টি কোম্পানি ফ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নাম করা হলো যমুনা গ্রুপের যমুনা ফ্যান, বিআরবি গ্রুপের বিআরবি ফ্যান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ক্লিক, ভিশন এবং খন্দকার গ্রুপের খন্দকার সিলিং ফ্যান। এ ছাড়া আরও কিছু গ্রুপের ফ্যান বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তারাও ভালো করছে।

খবরের কাগজ: দেশের চাহিদা মিটিয়ে অন্য পণ্যের মতো ফ্যান রপ্তানি হচ্ছে কি? না হলে সমস্যা কোথায়? 
খন্দকার রুহুল আমিন: অন্যান্য পণ্যের মতো দেশে এখন ভালো ভালো কোম্পানির ফ্যান উৎপাদন হচ্ছে। দেশের চাহিদাও মেটানো হচ্ছে। কিন্তু রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এর কারণ হলো প্রণোদনা না দেওয়া। বর্তমানে উৎপাদন পর্যায়ে যে খরচ তাতে লাভ থাকে না। তাই প্রণোদনা দিলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব। বর্তমানে সিলিং ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যানের মতো চার্জার ফ্যানও উৎপাদন করে ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। 

খবরের কাগজ: এই খাতে অনেক বড় বড় কোম্পানি চলে এসেছে। সব মিলে বিনিয়োগ কত হবে। সবচেয়ে বেশি কোন কোম্পানি বিনিয়োগ করেছে। 
খন্দকার রুহুল আমিন: গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে এই খাতের বিনিয়োগ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হবে। ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সম্ভাবনাও রয়েছে। একসময় পাকিস্তানি ফ্যান জিএফসি আমদানি হতো। সেই জায়গায় এখন দেশি বিএফসি চাহিদা পূরণ করছে। বিআরবি গ্রুপ সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে। 

খবরের কাগজ: হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়া ফ্যানের দামও বেড়ে গেছে। এর কারণ কী?
খন্দকার রুহুল আমিন: এবারে ফ্যানের বিক্রি বেড়েছে। দামও বেড়েছে, এটা ঠিক। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি করা প্রায় জিনিসের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আগের ৬৮০ টাকার কপার ১ হাজার ২২০ টাকায় কিতে হচ্ছে। তবে ডলারের মূল্য যেভাবে বেড়েছে, সে তুলনায় ফ্যানের মূল্য বাড়েনি। 

খবরের কাগজ: নবাবপুরের অনেক পাইকারি বিক্রেতা বিদেশি ফ্যান বিক্রি করার সময় মেমো দিচ্ছেন না। যে যার মতো দাম নিচ্ছেন। এটা কেন হচ্ছে। 
খন্দকার রুহুল আমিন: কেউ পণ্য বিক্রি করলে অবশ্যই তাকে মেমো দিতে হবে। এটা আইনে আছে। তা মানতে হবে। কেউ না মানলে ভোক্তা অধিদপ্তর তাদের শান্তির আওতায় আনুক। আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে নজর রাখা হবে। ধরতে পারলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

খবরের কাগজ: এই খাতের সম্ভাবনা কেন রয়েছে? তা কাজে লাগা সম্ভব কি?
খন্দকার রুহুল আমিন: তৈরি পোশাকশিল্পের মতো এই খাতেরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। কারণ এই অল্প সময়ে ৮০-৯০ শতাংশ চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে। বিআরবি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেবল রপ্তানি করছে। অন্যরাও অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে কাঁচামালে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে শুল্কহার জিরো করতে হবে। অন্যদিকে প্রস্তুতকৃত ফ্যান আমদানিতে শুল্কহার বাড়াতে হবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে যাচ্ছি। এ যাত্রায় আমদানি-নির্ভরতা কমিয়ে দেশকে ফ্যানে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। এ খাতে বর্তমানে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার টার্নওভার হচ্ছে।

পাওয়ার গ্রিডের ২৫০ কোটি প্রিফারেন্স শেয়ার অনুমোদন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
পাওয়ার গ্রিডের ২৫০ কোটি প্রিফারেন্স শেয়ার অনুমোদন
প্রতীকী ছবি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রায় ২৫০ কোটি প্রিফারেন্স শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

রবিবার (১৯ মে) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯১০তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কমিশন সভায় পাওয়ার গ্রিডের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৫০ কোটি ৫৪ লাখ ০৪ হাজার ৯৭৬টি নন কিউমুলেটিভ প্রিফারেন্স শেয়ারের প্রস্তাব অনুমোদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উক্ত প্রিফারেন্স শেয়ার সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ইস্যু করা হবে।

প্রিফারেন্স শেয়ার কোম্পানির সাধারণ শেয়ারজনিত পরিশোধিত মূলধনের অংশ হবে না

সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা বাদে অন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পিজিসিবি। লোকসান হওয়ার কারণে কোম্পানিটি সংরক্ষিত আয় থেকে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ফলে আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সংরক্ষিত আয় কমে ১০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৭৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ১৯৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ৩৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা নিট লোকসান হয়েছিল কোম্পানিটির।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে আসা পাওয়ার গ্রিডের অনুমোদিত মূলধন ১৫ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮ হাজার ৫৫৪ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭৫ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

রবিবার কোম্পানিটির সবশেষ শেয়ার দর ছিল ৪৩ টাকা ১০ পয়সা। 

পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত

দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। পতনের মধ্যে পড়ে প্রতিদিন বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। এর ফলে দিন যত যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর আতঙ্ক তত বাড়ছে।

লোকসান কমাতে অনেকেই দিনের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করছেন। এতে সূচকের যেমন পতন হচ্ছে, তেমনি কমে আসছে লেনদেনের গতি।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো গতকাল রবিবারও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ দিনের সর্বনিম্ন দামে বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান। এতে ক্রেতাসংকটে পড়ে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান। ফলে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সব কটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স এবং দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দেওয়া নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজারের ওপর আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বাজারে টানা দরপতন হচ্ছে। 

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব কটি খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামে ঢালাও পতন হয়েছে। বাজারটিতে ৮৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক দেড় শতাংশের ওপর কমে গেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন কমে ৫০০ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে।

এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা কমে যায়। আর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১৪৩ পয়েন্ট।

এ পরিস্থিতিতে রবিবার (১৯ মে) পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৬০ পয়েন্ট পড়ে যায়।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কও বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে বিক্রির চাপ। এতে বাড়তে থাকে সূচকের পতনের মাত্রা। স্বাভাবিকভাবেই সব কটি মূল্যসূচকের বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের। আর ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স ৮৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সব কটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে ২৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৭৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল, এর চেয়েও কম ৩৬৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়।

রবিবার টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিচ হ্যাচারির শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ই-জেনারেশনের ১৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।

এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, লাভেলো আইসক্রিম, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এবং রিলায়েন্স ওয়ান দ্য ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৬৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬টির এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের বিষয়ে শহিদুল ইসলাম নামে এক বিনিয়োগকারী খবরের কাগজকে বলেন, ‘কিছুদিন বাজার ভালো ছিল। এখন দিন যত যাচ্ছে, লোকসানের পাল্লা তত ভারী হচ্ছে। এমনকি লোকসানে দিনের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করেও বিক্রি করতে পারছি না।’ 

আরেক বিনিয়োগকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লেনদেনের শুরুর দিকে বাজারে বড় দরপতন দেখে হাতে থাকা দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রির আদেশ দিই। কিন্তু আমার আগে আরও অনেকেই একই দামে বিক্রির আদেশ বসান। তাই লেনদেনের পুরো সময় পার হয়ে গেলেও আমার শেয়ার বিক্রি হয়নি।’

ইউনিক্রেডিটের ৪৬ কোটি ইউরোর সম্পদ জব্দ রাশিয়ার

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
ইউনিক্রেডিটের ৪৬ কোটি ইউরোর সম্পদ জব্দ রাশিয়ার

ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানি ইউনিক্রেডিটের ৪৬ কোটি ৩০ লাখ ইউরো মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে রাশিয়া। সম্প্রতি সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি আদালত সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের।

আদালতের নথির বরাত দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলোর অনেকেই রাশিয়া থেকে নিজেদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সরিয়ে নিতে শুরু করে। এরপর থেকে পশ্চিমা ব্যাংক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে মস্কো। 

সম্প্রতি ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক জানায়, ইউরোজোনের ঋণদাতা সংস্থাগুলোর উচিত রাশিয়া থেকে দ্রুত তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া। ইসিবির এমন ঘোষণার পরই ইতালির মিলানভিত্তিক ব্যাংকটির বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের খবর সামনে এল।
ইউনিক্রেডিটের প্রধান রাশিয়ান সাবসিডিয়ারির সর্বশেষ আর্থিক বিবরণ অনুসারে, জব্দ করা অর্থ দেশটিতে ইউনিক্রেডিটের মোট সম্পদের প্রায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে রাশিয়ার ইউনিক্রেডিটের সহযোগী সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন শেয়ার ও তহবিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গত শুক্রবার রাশিয়ান তেল ও গ্যাস খাতের বড় কোম্পানি গ্যাজপ্রমের একটি সহযোগী সংস্থা রুস্কিম্যালিয়েন্সের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইউনিক্রেডিট রাশিয়ার বৃহত্তম ইউরোপীয় ঋণদাতাদের একটি। দেশটিতে তাদের সহায়ক সংস্থার মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি মানুষ কাজ করে। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইতালীয় ব্যাংকটির প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের রাশিয়ান ইউনিট প্রথম প্রান্তিকে ২০ কোটি ৩০ লাখ ইউরো নিট মুনাফা করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৯ কোটি ৯০ লাখ ইউরো। 

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ গোটা বিশ্বকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। ইউরোপেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাশিয়া ইউরোপের প্রধান প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল সরবরাহকারী। যুদ্ধের কারণে এই সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে জ্বালানির দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের দুটি প্রধান শস্য উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারী দেশ। যুদ্ধের কারণে শস্য উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ইউরোপের জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ এটি খাদ্য আমদানির জন্য অনেকাংশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল।

জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে ইউরোপের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিচ্ছে। ব্যবসাগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে এবং ভোক্তারা কম খরচ করছে। এটি বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষতির দিকে ধাবিত করছে। এ ছাড়া যুদ্ধের কারণে ইউরোপে অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বেড়েছে। এটি বিনিয়োগ হ্রাস করছে এবং ব্যবসায়িক আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।

সংকটাপন্ন আবাসন খাতে বিশাল অর্থ ঢালছে চীন

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
সংকটাপন্ন আবাসন খাতে বিশাল অর্থ ঢালছে চীন
চীনের নিংবোতে একটি নির্মাণধীন সাইটে কাজ করছেন এক শ্রমিক। ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির আবাসন খাতে যে সংকট চলছে, তা মোকাবিলা করার জন্য চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো সামনে এনেছে। এরই অংশ হিসেবে আবাসন খাতে বিশাল পরিমাণ অর্থ ঢালছে সরকার। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যমটির খবরে বলা হয়, আবাসন খাত বাঁচাতে, চীন সরকারের নতুন ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- বাড়ির ক্রেতাদের জন্য প্রয়োজনীয় আমানতের পরিমাণ কমিয়ে আনা এবং অবিক্রীত সম্পত্তি কিনতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে উৎসাহিত করা।

বিবিসি বলছে, চীনের আবাসন বাজারের সমস্যাগুলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে একটি বড় প্রভাব ফেলছে। কারণ, সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত শিল্পটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ছিল।

পিপলস ব্যাংক অব চায়না (পিবিওসি) বলেছে, এটি আবাসন খাতকে জনসাধারণের নাগালে নিতে ৩০ হাজার কোটি (৩০০ বিলিয়ন) ইউয়ানের (৪১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বা ৩২ দশমিক ৮০ বিলিয়ন পাউন্ড) একটি সুবিধা দেবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর তাও লিং বলেছেন, এই অর্থ বিনিয়োগের উদ্দেশ্য হবে, অবিক্রীত বাড়ি কেনার জন্য স্থানীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলোকে (প্রতিষ্ঠান) সহায়তা করা।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া অনুসারে, চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হে লাইফেং সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকারগুলো ‘যুক্তিসঙ্গত মূল্যে’ সম্পত্তি কিনতে পারবে এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন হিসেবে সেগুলো বিক্রি করতে পারবে।

তবে কোন প্রতিষ্ঠান কতগুলো সম্পত্তি ক্রয় করতে পারবে বা এই উদ্যোগটি কোন সময়কাল পর্যন্ত চলবে- তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি হে লাইফেং।

খবরে বলা হয়, দেশের (চীন) কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যকরভাবে বন্ধকি সম্পত্তির ন্যূনতম সুদহার বাতিল করেছে এবং প্রথমবার বাড়ি কেনা ক্রেতাদের জন্য ন্যূনতম ডাউন পেমেন্ট ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। দ্বিতীয় বাড়ির জন্য ন্যূনতম আমানত ৩০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

শুক্রবারের আগে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এপ্রিলে টানা দশম মাসে নতুন বাড়ির দাম কমেছে। এপ্রিল মাসের দশমিক ৬০ শতাংশ হ্রাস, ২০১৪ সালের নভেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ মাসিক পতনের রেকর্ড।

শুক্রবার পৃথক একটি পরিসংখ্যানে দেখে গেছে, ধুঁকতে থাকা চীনের রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কোম্পানি কান্ট্রি গার্ডেনের সম্ভাব্য লিকুইডেশ নিয়ে হংকং আদালতের একটি শুনানি আগামী ১১ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, লিকুইডেশন হলো একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি কোম্পানির কার্যক্রম শেষ করা হয়। কোম্পানিটির সম্পদ ও সম্পত্তি পুনরায় পাওনাদারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।

মূলত, কান্ট্রি গার্ডেন চীনের বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু চীনের রিয়েল এস্টেট বাজারে মন্দার কারণে কোম্পানিটি অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। কান্ট্রি গার্ডেনের অনেক ঋণ রয়েছে এবং তারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হচ্ছে না। এ কারণে হংকং আদালত কান্ট্রি গার্ডেনের লিকুইডেশনের আবেদন বিবেচনা করছে। যদি আদালত লিকুইডেশনের আদেশ দেয়, তাহলে কান্ট্রি গার্ডেনের সব কর্মী তাদের চাকরি হারাবেন এবং কোম্পানির সব গ্রাহক তাদের অর্থ হারাতে পারেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কান্ট্রি গার্ডেনের লিকুইডেশন চীনের রিয়েল এস্টেট বাজারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে। এটির কারণে অন্যান্য রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের আরও ধুঁকতে হতে পারে এবং বাজারে আরও মন্দা তৈরি করতে পারে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, চীনের আবাসন খাতের ডেভেলপাররা ২০২১ সাল থেকে একটি বড় আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন। কারণ সে বছর (২০২১ সালে) চীনা কর্তৃপক্ষ বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ ঋণ নিতে পারে, সেটি রোধ করার জন্য ব্যবস্থা চালু করেছিল। তারপর থেকে বেশ কিছু বড় ডেভেলপার কোম্পানি ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে।

জানুয়ারিতে এভারগ্রান্ডে নামের বিশ্বের সবচেয়ে ঋণী ডেভেলপার কোম্পানিকে, হংকংয়ের একটি আদালত কর্তৃক লিকুইডেশনের আদেশ দেওয়া হয়।

চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু ২১ হাজার বেশি

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু ২১ হাজার বেশি
ছবি : খবরের কাগজ

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খুলনায় কোরবানিযোগ্য পশুর পরিচর্যা ও প্রস্তুতি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খামারিরা। এ বছর খুলনা জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৩টি। প্রস্তুত আছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৮টি। বেশি আছে ২১ হাজার ৮৩৫টি। আর কোরবানির জন্য প্রস্তুতের বাইরেও মজুত পশুর মধ্যে গরু আছে ৬৭ হাজার ৫৪টি, ছাগল ও ভেড়া আছে ৯৮ হাজার ১৯৮টি। জেলায় এবার গরুর চাহিদা ৫৮ হাজার ২৫৬টি।

ইতোমধ্যে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য খুলনায় ৩৭টি হাটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি অস্থায়ী ও বাকি ৩১টি স্থায়ী হাট। খুলনার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসবে নগরীর জোড়াগেট এলাকায়।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর খুলনায় কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি। ফলে কোরবানির পশুর জন্য কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সঙ্গে বৈঠক করি এবং তাদের সচেতন করি।’

জানা গেছে, এবার ডুমুরিয়া উপজেলার খামারিরা সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৪৭৯টি ষাঁড়, ১০ হাজার ৬০৭টি বলদ ও ৯ হাজার ৭৫০টি গাভি প্রস্তুত করেছেন। ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া বিসমিল্লাহ্ অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার কামাল হোসেন সুজন বলেন, ‘প্রাকৃতিক উপায়ে উৎকৃষ্ট মানের বড় ষাঁড় ও বলদ গরু লালন-পালন করা হয়। এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খামারে ৬৭টি কোরবানিযোগ্য ষাঁড় আছে। আকার ভেদে যার দাম ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।’ তিনি বলেন, ‘গরুর খাদ্যের দাম বাড়তি এতে লালন-পালনের খরচ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আশা করি এবার কোরবানির পশুর হাটে ভালো দাম পাব।’

বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ‘২০২৩ সালে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১১ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৮টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে খুলনায় ছিল প্রায় ৯২ হাজার ৪০০টি, বাগেরহাটে ১ লাখ ২ হাজার ৩০০, সাতক্ষীরায় ১ লাখ ১৫ হাজার, যশোরে ৮০ হাজার ১০০, ঝিনাইদহ জেলায় ২ লাখ ৫ হাজার, মাগুরায় ২৬ হাজার ৮০০, নড়াইলে ৫৪ হাজার ৯০০, কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৪৮, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০, মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু ছিল। খুলনা বিভাগে গত বছর ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১টি পশু কোরবানি করা হয়।

খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা খামারিদের প্রস্তুত করা পশুকে স্টেরয়েড হরমোন ও কেমিক্যাল না খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছি। গবাদিপশুকে পোলট্রি ফিড বা বয়লার ফিড খাওয়ানো যাবে না। গরুর পরিচর্যায় পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। 

এ ছাড়া খুলনা মহানগরী ও ৯টি উপজেলায় কোরবানি উপলক্ষে ৩৭টি পশুর হাটের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ছয়টি অস্থায়ী ও বাকি ৩১টি স্থায়ী হাট।’ খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, ‘নির্দিষ্ট হাটের বাইরে এবার কোরবানির ঈদে রাস্তা বন্ধ করে পশুর হাট স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে না।’