ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

সমাজকর্ম পেশার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ১ম পত্র

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
সমাজকর্ম পেশার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

দ্বিতীয় অধ্যায় : সমাজকর্ম পেশার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর-৪

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

শিল্পবিপ্লবের ফলে উৎপাদনব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি জটিল ও পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বহুমুখী সমস্যা সৃষ্টি হয়, যা অর্থ ও বস্তুগত সেবার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব হচ্ছিল না। শিল্পবিপ্লবোত্তর আধুনিক সমাজব্যবস্থায় সৃষ্ট এ সমস্যা সমাধানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিনির্ভর ও বুদ্ধিভিত্তিক পেশাদার সেবা কার্যক্রমের প্রয়োজন দেখা দেয়।

ক. প্রথম ‘শিল্পবিপ্লব’ প্রত্যয়টির নামকরণ করেছিলেন কে?
খ. সমাজকর্ম শিক্ষা বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে শিল্পবিপ্লবের ফলে কোন পেশার উদ্ভব ও বিকাশ হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পেশাটির বিকাশে শিল্পবিপ্লবের ভূমিকা আলোচনা করো।

উত্তর: ক. প্রথম ‘শিল্পবিপ্লব’ প্রত্যয়টির নামকরণ করেছিলেন Arnold Toynbee.

খ. সমাজকর্ম শিক্ষা বলতে সাধারণত সমাজকর্মের ওপর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বা প্রশিক্ষণকে বোঝায়। একজন পেশাদার সমাজকর্মী হওয়ার জন্য যে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন হয় তাকে সমাজকর্ম শিক্ষা বলে। সমাজকর্ম শিক্ষা দুটি অংশের সমন্বয়। পাঠ গ্রহণ ও তত্ত্বাবধায়কের অধীনে মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ।

আরো পড়ুন : সমাজকর্ম পেশার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, ৪র্থ পর্ব

গ. উদ্দীপকে শিল্পবিপ্লবের ফলে সমাজকর্ম পেশার উদ্ভব ও বিকাশ হয়েছে।
প্রাক-শিল্প যুগে মানুষের চাহিদা ছিল সীমিত এবং সমস্যাও ছিল সরল ও অর্থনির্ভর। দানশীলতা, মানবতাবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসন তথা সনাতন সমাজকল্যাণের দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হতো। কিন্তু শিল্পবিপ্লবের ফলে সমাজজীবনে সৃষ্টি হয় বহুমুখী জটিল সমস্যার। এ ধরনের সমস্যার সমাধানে ধর্মীয় মূল্যবোধ, দানশীলতা ও মানবতাবোধ দিয়ে অনুপ্রাণিত স্বেচ্ছামূলক কার্যক্রম ব্যর্থ হলে বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণে নতুনভাবে চিন্তা ও গবেষণা শুরু হয়। এ বিজ্ঞানভিত্তিক ও বাস্তবসম্মত সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমেই সমাজকল্যাণ আধুনিক রূপ ধারণ করে। জন্ম হয় পেশাদার সমাজকর্মের। সমস্যার জটিলতা থেকে উদ্ভব হয় সমাজকর্ম পেশার পদ্ধতিসমূহের। যথা- ব্যক্তি, দল ও সমষ্টিগত সমাজকর্মের। কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজন হয় প্রশিক্ষণ। উদ্ভব হয় সমাজকর্ম শিক্ষার। বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, পদ্ধতি ও কলাকৌশলকে কেন্দ্র করে বিকাশ লাভ করে সমাজকর্ম পেশা। সুতরাং সমাজকর্ম পেশার উদ্ভব এবং বিকাশের ভিত্তি হিসেবে শিল্পবিপ্লব মূল ভূমিকা পালন করে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমাজকর্ম পেশাটির বিকাশে শিল্পবিপ্লবের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সমাজকর্ম পেশার পটভূমি রচিত হয় শিল্পবিপ্লবের হাত ধরে। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবতাবোধ দিয়ে পরিচালিত স্বেচ্ছামূলক কার্যক্রম শিল্পবিপ্লবের ফলে সৃষ্ট জটিল সমাজব্যবস্থা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এ কারণে বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণে নতুনভাবে চিন্তা ও গবেষণা শুরু হয়। জন্ম হয় পেশাদার সমাজকর্মের। শিল্পবিপ্লবের ফলে উদ্ভূত বহুমুখী ও জটিল সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে সমাজকর্মীরা অনুধাবন করতে সক্ষম হন যে, সমস্যা তিন পর্যায়ে প্রভাব বিস্তার করে। ফলে উদ্ভব হয় সমাজকর্মের মৌলিক তিনটি পদ্ধতির। যথা- ব্যক্তি সমাজকর্ম, দল সমাজকর্ম ও সমষ্টি উন্নয়ন ও সমষ্টি সংগঠন। শিল্পায়নের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে নতুন পরিস্থিতিতে নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, দক্ষ ও উৎসাহী সমাজকর্মীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় সমাজকর্ম শিক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়। জটিল সমস্যা সমাধানে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়া শিল্পবিপ্লবের ফলেই সম্ভব হয়। সর্বোপরি সমাজকর্ম পেশাকে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, পদ্ধতি ও কলাকৌশলের ওপর প্রতিষ্ঠায় শিল্পবিপ্লবের অবদান সুস্পষ্ট। সুতরাং উদ্দীপকে উল্লিখিত সমাজকর্ম পেশার বিকাশে শিল্পবিপ্লবের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।

লেখক : প্রভাষক, সমাজকর্ম বিভাগ
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কবীর

মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
কম্পিউটারের সাহায্যে মানুষ অনেক জটিল কাজ সহজে সমাধান করছে। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

প্রবন্ধ রচনা

মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/দৈনন্দিন জীবনে 
বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান

(৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশের পর)

চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান: একজন বিজ্ঞানী বলেছেন, ‘Our every share of life is attached to the gift of science’ অর্থাৎ আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। তেমনি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। বিজ্ঞানীরা আজ চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন আবিষ্কার করেছেন। আগে যেসব রোগে মানুষকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হতো আজ যেসব রোগব্যাধির নিরাময়ের জন্য উন্নততর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। কঠিন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিও আজ আরোগ্য লাভ করে নতুন আশার সঞ্জীবনী মন্ত্রে উজ্জীবিত হচ্ছে। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিও আজ বাঁচার অধিকার রাখে। অধ্যাপক মাদাম কুরি ও পিয়েরে কুরির আবিষ্কৃত ‘রেডিয়াম’ ক্যানসার নিরাময়ে সহায়ক। বিজ্ঞান এখন মরণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে মানুষ ইচ্ছামতো চেহারা তৈরি করছে। পেনিসিলিন আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানের অগ্রগতি আরও এক ধাপ এগিয়েছে। অধ্যাপক রল্টগেট রঞ্জনের আবিষ্কৃত রঞ্জনরশ্মি বা এক্স-রের মাধ্যমে মানুষের দেহের ভেতরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কিডনি সংযোজন, ওপেন হার্ট সার্জারি, আল্ট্রাসনোগ্রাফির আবিষ্কার এখন চিকিৎসা ক্ষেত্রের অন্যতম সাফল্য। বর্তমানে বিজ্ঞানের নিত্যনতুন আবিষ্কারের ফলে মৃত্যুর হার অনেক কমে আসছে।

কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান: আমাদের খাদ্য সংস্থানের জন্য আমরা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই একটি দেশের কৃষি উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। এজন্য প্রয়োজন বাড়তি খাদ্য। আর সে কারণেই বিজ্ঞান কৃষিক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি সাধন করেছে। চাষাবাদের জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে কলের লাঙল, পাওয়ার ট্রিলার, আগাছা নিড়ানির জন্য হস্তচালিত নিড়ানি, ধান কাটার কল হারভেস্টার, অধিক ফসল ফলানোর জন্য রাসায়নিক সার, কীটপতঙ্গ দমনে কীটনাশক ইত্যাদি বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞান কৃষিক্ষেত্রে এনেছে বিপ্লব, শিল্পে অচিন্তনীয় সাফল্য। পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের সাহায্যে মরু অঞ্চলকে শস্য শ্যামল করে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই রিঅ্যাক্টরের সুবিধা হলো, একে বিমানযোগে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে গিয়ে চালানো যায়। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলাবদ্ধ ভূমির পানি নিষ্কাশন ও মরু অঞ্চলে পানি সেচ করে লাখ লাখ একর ভূমিকে কৃষিযোগ্য করা যায়। তা ছাড়া শীতপ্রধান দেশে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ‘গ্রিন হাউজ’ নামে এক বিশেষ ঘর ব্যবহার করা হয়। 

শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান: বিজ্ঞানের কল্যাণে পাঠ্যপুস্তক সহজলভ্য হয়েছে। লেখার কলম ও কাগজ, জ্ঞানার্জনের জন্য সংবাদপত্র ও পুস্তক আবিষ্কার করেছে এ বিজ্ঞান। ছাত্র সমাজের পরম বন্ধু বিজ্ঞান তাদের লেখার কাগজ বহন করে আনছে রেল স্টিমারে, আর তা ছাপা হচ্ছে ছাপাখানার বিদ্যুতের সাহায্যে। ক্লাসে মাথার ওপরে ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। অন্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য আবিষ্কার হয়েছে ব্রেইল পদ্ধতি। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিজ্ঞান করছে নানা ব্যবস্থা। ইলেকট্রনিক্সের কল্যাণে হয়তো একবিংশ শতাব্দীতে ছাত্রছাত্রীদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ঘরে বসেই টিভির পর্দায় শিক্ষকের বক্তব্য শুনতে পারবে। টর্চ লাইট, বৈদ্যুতিক বাল্ব যেমন অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোতে চলার পথ করে দিয়েছে তেমনি কাগজ, কলম ইত্যাদি আবিষ্কারের ফলে মানুষ অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে মুক্তি ও আলোর পথনির্দেশ পেয়েছে।

আরো পড়ুন : মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ১ম পর্ব

অবসর বিনোদনে ও আমোদ-প্রমোদে বিজ্ঞানের অবদান: অবসর বিনোদনেরও মানুষের একান্ত আপনজন বিজ্ঞান। জীবনকে সুখী ও সুন্দর করার কাজে বিজ্ঞান নানাভাবে সাহায্য করছে মানুষকে। বিচিত্র পণ্যের বিস্ময়কর সমাবেশ, সিনেমা, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদির আবিষ্কার সমাজের চেহারাই বদলে দিচ্ছে। রেডিও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার  সিনেমা। অন্যান্য আমোদ-প্রমোদের উপকরণের সঙ্গে সিনেমার পার্থক্য আছে। সিনেমা গতিশীল এবং বাঙ্ময়। সিনেমা একই সঙ্গে আমাদের দর্শন এবং শ্রবণ শক্তিকে উদ্দীপ্ত করে। এখানে টেলিভিশনের কথা উঠতে পারে। বহু দূরের ও স্থানের বিভিন্ন ছবি সিনেমা ও টেলিভিশনে দেখানো হয়। এ সব উপকরণ সময় ও দূরত্বের বন্ধনকে যেভাবে অতিক্রম করে, আমোদ-প্রমোদের অন্য কোনো উপকরণই তা পারে না। এ কারণেই আমোদ-প্রমোদের ক্ষেত্রে সিনেমা ও টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ সর্বজনবিদিত। বিজ্ঞানের কারণে সিনেমা, রেডিও টেলিভিশন ছাড়াও আজ বহু ধরনের আনন্দের উপকরণ আমাদের সামনে দেখতে পাওয়া যায়।

বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার: বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষের অভাব দূর হয়েছে, তারা আনন্দ লাভ করেছে, স্বাচ্ছন্দ্য পেয়েছে। সুতরাং প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞানের অবদান অনেক। কিন্তু এত কিছুর পরও মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই, তার তৃষ্ণা মেটেনি। ফলে মানুষ আবিষ্কার করেছে নানা ধরনের যন্ত্র ও মহাশূন্যে যাওয়ার  যান, যা বিজ্ঞানের অন্যতম কৃতিত্ব। দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে মানুষ আকাশের বহু গোপন রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বস্তু দেখতে পারছে। আর কম্পিউটারের সাহায্যে এমন সব কাজ করছে, যা  কিছুদিন আগে কল্পনাও করা যেত না। আর রোবট সে যেন মানুষের গোলাম। সে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের নানা কাজ করে দিচ্ছে। এভাবেই মানুষ বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মাধ্যমে মানব সভ্যতার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষ প্রকৃতির ওপর উড়িয়েছে বিজ্ঞানের বিজয় কেতন। বিজ্ঞানের অবদান সম্পর্কে বারট্রান্ড রাসেল বলেছেন, 

‘Science is our guidence
Science is our animation’.

বিজ্ঞানের ক্ষতিকর দিক: ‘There is no any rose without thorn’ অর্থাৎ কাঁটা ছাড়া যেমন গোলাপ হয় না। তেমনি প্রত্যেকটি জিনিসের ভালোমন্দ উভয় দিক আছে। আমাদের জীবনে বিজ্ঞান শুধু আশীর্বাদ আনেনি, অভিশাপও এনেছে। যন্ত্রের ওপর নির্ভর করতে করতে মানুষের জীবনে এসেছে যন্ত্রনির্ভরতা, কর্মবিমুখতা। দিন দিন মানুষের সঙ্গে ঘনীভূত হচ্ছে কৃত্রিমতা ও অসৎ প্রবৃত্তি বেড়ে উঠছে । এক ফোঁটা অ্যাসিডের জন্য ঝলসে যাচ্ছে কত ফুলের মতো নিষ্পাপ মুখ। অবৈধ রিভলবারের মুখে হারিয়ে যাচ্ছে কত তাজা প্রাণ, নিঃশব্দে ঝরে যাচ্ছে কত মানুষ। কম্পিউটার এনেছে বেকার সমস্যা। টেলিভিশন, ভিসিআর, ভিসিডি, সিনেমা, রেডিও এনেছে আমাদের সমাজে অপসংস্কৃতি আর এজন্য  যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংস হয়েছে এই দুটি  শহরের জনপদ, প্রাণ হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ, লাখ লাখ একর জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়েছে। ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ধ্বংসের কারণে তা থেকে নির্গত তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার ফলে অনেক এলাকার ফসল নষ্ট হয়ে যায় এবং লাখ লাখ একর উর্বর জমি সম্পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। টেলিভিশনের প্রতিফলিত রশ্মি মানুষের চোখের ক্ষতি করছে। অস্ত্রের ঝংকারে আজ প্রকম্পিত হচ্ছে পৃথিবীর আকাশ বাতাস। এতে বিজ্ঞানের অনেক ক্ষতিকর দিক স্পষ্ট হয়ে উঠছে। 

উপসংহার: ভালোর পরশে মন্দের উপস্থিতি আলো আঁধারের মতো লুকোচুরি খেলবেই। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান তাই ভালোর সঙ্গে অপ্রীতিকর কিছু বৈকি। আর এজন্যই হয়তো বিজ্ঞানী হলডেন বলেছেন, ‘We need science more than ever beofore’ বাতাস ছাড়া যেমন জীবন চলতে পারে না তেমনি বিজ্ঞান ছাড়াও বর্তমান সভ্যতা নিষ্প্রাণ, নিস্পন্দন। তাই বর্তমান যুগে প্রতি মুহূর্তে এবং প্রতি পদক্ষেপে সভ্য জগৎ বিজ্ঞানের কাছে দায়বদ্ধ। বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে আজ জীবন ও সমাজের মুখচিত্র কল্পনাও করা যায় না।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর

নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ অধ্যায়ের ৮টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, এইচএসসি জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ অধ্যায়ের ৮টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, এইচএসসি জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র
আবৃতবীজী/গুপ্তবীজী উদ্ভিদের শস্যকলা হলো ট্রিপ্লয়েড। ছবি- সংগৃহীত

সপ্তম অধ্যায় : নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

নিচের চিত্রটি লক্ষ করো এবং ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

২৪। চিত্রের C চিহ্নিত অংশটির নাম কী?
(ক) অ্যাপোফাইসিস     (খ) পিনিউল 
(গ) সোরাস                  (ঘ) ডিম্বক

২৫। চিত্রটি যে উদ্ভিদের অংশ তাকে বলা হয়-
i. জীবন্ত জীবাশ্ম ii. লিভার ওয়ার্ট iii. পামফার্ন
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii      (খ) i ও iii 
(গ) ii ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

২৬। সাইকাসের ডিম্বাণু তৈরির সঠিক ধারাক্রম কোনটি?
(ক) ডিম্বক- স্ত্রীরেণু- মাতৃকোষ- স্ত্রীরেণু -ডিম্বাণু
(খ) ডিম্বক - আর্কিগোনিয়াম - স্ত্রীরেণু - ডিম্বাণু
(গ) ডিম্বক - স্ত্রীরেণু - মাতৃকোষ স্ত্রীরেণু - আর্কিগোনিয়াম - ডিম্বাণু
(ঘ) আর্কিগোনিয়াম -ডিম্বক -স্ত্রীরেণু - ডিম্বাণু

২৭। উদ্ভিদকূলের সর্ববৃহৎ শুক্রাণু পাওয়া যায় কোনটিতে? অথবা, বৃহৎ ও বহুফ্লাজেলাযুক্ত শুক্রাণু কোথায় পাওয়া যায়?
(ক) Mangifera     (খ) Pteris 
(গ) Cycas             (ঘ) Sequoia

২৮। আবৃতবীজী / গুপ্তবীজী উদ্ভিদের শস্যকলা-
(ক) হ্যাপ্লয়েড     (খ) ট্রিপ্লয়েড 
(গ) ডিপ্লয়েড       (ঘ) টেট্টাপ্লয়েড

আরো পড়ুন : নগ্নবীজী ও আবৃতবীজী উদ্ভিদ অধ্যায়ের ৯টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব

২৯। টেপাল কার অংশ-
(ক) দলমণ্ডল     (খ) পুষ্পপুট 
(গ) বৃতি             (ঘ) উপবৃতি

নিচের চিত্রের আলোকে ৩০ ও ৩১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

৩০। উদ্দীপকের চিত্র C ও Y-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-
i. সরল ii. উপপত্রযুক্ত iii. লিগিউলবিশিষ্ট
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii      (খ) i ও iii 
(গ) ii ও iii     (ঘ) i, ii ও iii

৩১। উভয় চিত্রের ক্ষেত্রে নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) বীজ উৎপন্ন করে          (খ) দ্বিনিষেক ঘটে 
(গ) এন্ডোস্পার্ম ট্রিপ্লয়েড     (ঘ) আর্কিগোনিয়াম উপস্থিত

উত্তর: ২৪. খ, ২৫. খ, ২৬. গ, ২৭. গ, ২৮.খ, ২৯.খ, ৩০.খ, ৩১.ক।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, জীববিজ্ঞান বিভাগ
সরকারি মুজিব কলেজ, সখিপুর, টাঙ্গাইল

কবীর

Unit-6, Lesson-4-এর ১০টি প্রশ্নোত্তর, ১ম পর্ব, এইচএসসি ইংরেজি ১ম পত্র

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
Unit-6, Lesson-4-এর ১০টি প্রশ্নোত্তর, ১ম পর্ব, এইচএসসি ইংরেজি ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

Unit-6, Lesson-4

1. Read the passage and answer question A.

When Shilpi heard about those risks, she invited her husband, Rashid, to discuss pregnancy with a counsellor. After hearing about the risks, Rashid agreed to delay having children for five years despite pressures from his parents and neighbours to produce an offspring. Together, the couple met with a female health care provider, who informed them about the various family planning options available. Shilpi’s mother-in-law and neighbours continued to pressurize the newlyweds. Deeply rooted cultural practices and traditions caused a rift between Shilpi and Rashid and their extended family, some of whose members insulted and criticized the couple. Unable to convince their close relatives of the risks, Shilpi and Rashid returned to the counsellor. They took the help of a parent peer who has been trained to speak to other parents about adolescent issues. Shilpi’s mother-in-law and neighbours eventually came to understand the harmful effects of early pregnancy on mother and child.
Today the village no longer pressurizes the couple; their parents and neighbours now support them and speak out against early marriage and pregnancy.

A. Choose the correct answer from the alternatives.  
                                             
(a)  Rashid agreed to --- having children for five years.
i. wait ii. pass iii. use  iv. see  
Ans: i. wait.

(b)  His parents and neighbours were --- to see an offspring.
i. willing ii. ready iii. patient iv. impatient
Ans: iv. impatient.

আরো পড়ুন :Unit-6, Lesson-2-এর ৫টি প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব

(c)  After her marriage, Shilpi had to --- pressures.
i. meet ii. face iii. undergo  iv. see
Ans: iii. undergo.

(d)  The female health care provider --- the couple.
i. discouraged     ii. assisted 
iii. ushered     iv. inspired 
Ans: ii. assisted.

(e)  A synonym of ‘options’ may be ---. 
i. choice ii. plan iii. right iv. possibility
Ans: i. choice.

(f) An antonym of ‘various’ may be ---. 
i. different ii. similar iii. unique iv. diverse
Ans: ii. similar.

(g) The word ‘rift’ in the passage refers to ---.     
i. uniqueness     ii. diversity 
iii. breach      iv. union
Ans: iii. breach.

(h) Shilpi and Rashid at first could not --- their relatives.
i. encourage     ii. persuade 
iii. motivate     iv. understand
Ans: ii. persuade.

(i) Shilpi’s mother-in-law and neighbours eventually --- their mistakes.
i. understood     ii. discovered 
iii. found         iv. came across
Ans: i. understood.

(j) Today the village --- early marriage and pregnancy.
i. supports    ii. helps 
iii. opposes     iv. fights
Ans: iii. opposes.

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ
ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা

কবীর

‘গ’ ইউনিট, ব্যবসায় নীতি ও প্রযোগ বিষয়ের ৮টি প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
‘গ’ ইউনিট, ব্যবসায় নীতি ও প্রযোগ বিষয়ের ৮টি প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছে । ছবি- সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট : ‘গ’ ইউনিট-ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

৯. সম্প্রতি নিচের কোন ব্যাংককে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে?
(ক) রূপালী ব্যাংক     (খ) পূবালী ব্যাংক     
(গ) সোনালী ব্যাংক    (ঘ) সাইথ ইস্ট ব্যাংক    
(ঙ) যমুনা ব্যাংক

উত্তর: (গ) সোনালী ব্যাংক।

১০. বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের নাম-
(ক) রবার্ট জোয়েলিক    (খ) পি রবিনস    
(গ) আল-গোর              (ঘ) ফ্রাঙ্কলিন    
(ঙ) রবার্ট ম্যাকনামারা

উত্তর: (ক) রবার্ট জোয়েলিক।

১১. ট্রেজারি বিল ইস্যু করে-
(ক) সরকার              (খ) বিনিয়োগ ব্যাংক    
(গ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক    (ঘ) ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান    
(ঙ) বাণিজ্যিক ব্যাংক

উত্তর: (গ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

১২. ক্ষতিপূরণের নীতি কোন ধরনের বিমায় প্রযোজ্য নয়?
(ক) জীবন বিমা    (খ) অগ্নি বিমা    
(গ) নৌ-বিমা        (ঘ) দায় বিমা    
(ঙ) দুর্ঘটনা বিমা

উত্তর: (ক) জীবন বিমা।

১৩. প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে-
(ক) বাংলাদেশ ব্যাংক    
(খ) আইএমএফ 
(গ) বাণিজ্যিক ব্যাংক    
(ঘ) ইমপোর্টার্স ব্যাংক    
(ঙ) এক্সপোর্টার্স ব্যাংক

উত্তর: (গ) বাণিজ্যিক ব্যাংক।

আরো পড়ুন : ‘গ’ ইউনিট, ব্যবসায় নীতি ও প্রযোগ বিষয়ের ৮টি প্রশ্নোত্তর, ৪র্থ পর্ব

১৪. যখন কোনো চুক্তি প্রতারণার মাধ্যমে করা হয়, তখন তাকে কী বলে?
(ক) অবৈধ চুক্তি    
(খ) নিষ্ক্রিয় চুক্তি    
(গ) বাতিলকৃত চুক্তি    
(ঘ) বাতিলযোগ্য চুক্তি    
(ঙ) বাতিল চুক্তি

উত্তর: (ক) অবৈধ চুক্তি।

১৫. বিবরণপত্র প্রচারের কত দিনের মধ্যে ন্যূনতম মূলধন অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে?
(ক) ১২০ দিন    (খ) ১৪০ দিন    
(গ) ১৬০ দিন    (ঘ) ১৮০ দিন    
(ঙ) ২১০ দিন

উত্তর: (ঘ) ১৮০ দিন।

১৬. কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করার জন্য কত দিনের নোটিশ প্রয়োজন হয়?
(ক) ১০ দিন    (খ) ১৫ দিন    
(গ) ১৮ দিন    (ঘ) ২১ দিন    
(ঙ) ১৪ দিন

উত্তর: (ঙ) ১৪ দিন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

বাস্তব সংখ্যা অধ্যায়ের ৯টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, এসএসসি গণিত

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
বাস্তব সংখ্যা অধ্যায়ের ৯টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ১ম পর্ব, এসএসসি গণিত
শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে বসে পড়াশোনা করছে। ছবি- খবরের কাগজ

প্রথম অধ্যায় : বাস্তব সংখ্যা

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১। ক্ষুদ্রতম মৌলিক সংখ্যা কত?
ক. ২        খ. ৩
গ. ৪        ঘ. ৫

২। ১, ২, ৩, ৪...... ইত্যাদি সংখ্যাগুলোকে কী সংখ্যা বলে?
ক. মৌলিক সংখ্যা     খ. যৌগিক সংখ্যা
গ. স্বাভাবিক সংখ্যা    ঘ. অমূলদ সংখ্যা

৩। সর্বপ্রথম শূন্য ও দশভিত্তিক স্থানীয় মান পদ্ধতির প্রচলন করেন কারা?
ক. ইউরোপের গণিতবিদরা
খ. আফ্রিকার গণিতবিদরা
গ. ভারতবর্ষের গণিতবিদরা
ঘ. গ্রিসের গণিতবিদরা

৪। শূন্য অপেক্ষা বড় সব পূর্ণ সংখ্যাকে কী বলা হয়?
ক. স্বাভাবিক সংখ্যা        খ. পূর্ণবর্গ সংখ্যা
গ. অমূলদ সংখ্যা           ঘ. মূলদ সংখ্যা

৫। সব পূর্ণ এবং ভগ্নাংশ সংখ্যাকে কী বলে?
ক. ধনাত্মক সংখ্যা        খ. ঋণাত্মক সংখ্যা
গ. পূর্ণসংখ্যা                 ঘ. মূলদ সংখ্যা

৬। শূন্যসহ সব ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অখণ্ড সংখ্যাগুলোকে কী বলা হয়?
ক. স্বাভাবিক সংখ্যা        খ. ধনাত্মক সংখ্যা
গ. অমূলদ সংখ্যা           ঘ. পূর্ণসংখ্যা

৭। p ও q পূর্ণসংখ্যা এবং q=0 হলে, p/q আকারের সংখ্যাকে কী বলা হয়?
ক. অমূলদ সংখ্যা         খ. মূলদ সংখ্যা
গ. ঋণাত্মক সংখ্যা        ঘ.স্বাভাবিক সংখ্যা

৮। a ও b দুটি স্বাভাবিক সংখ্যা হলে-
i. a+b স্বাভাবিক সংখ্যা 
ii. a-b স্বাভাবিক সংখ্যা
iii. a x b স্বাভাবিক সংখ্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii        খ. i ও iii
গ. ii ও iii        ঘ. i, ii, iii

৯। ০, ১, ২, ৩.......ইত্যাদি সব সংখ্যাগুলোই কী ধরনের সংখ্যা?
ক. স্বাভাবিক সংখ্যা          খ. মৌলিক সংখ্যা 
গ. অঋণাত্মক সংখ্যা        ঘ. অমূলদ সংখ্যা

উত্তর: ১. ক, ২. গ, ৩. গ, ৪. ক, ৫. ঘ, ৬. ঘ, ৭. খ, ৮. খ, ৯. গ।

লেখক :  সিনিয়র শিক্ষক
গবর্নমেন্ট সায়েন্স হাই স্কুল, তেজগাঁও, ঢাকা

কবীর