
গল্প : প্রত্যুপকার
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: খলিফা মামুন এই গল্পে কেমন চরিত্রের অধিকারী বলে প্রতীয়মান হন?
উত্তর: খলিফা মামুন ছিলেন ন্যায়পরায়ণ এবং বুদ্ধিমান শাসক। যদিও প্রথমে তিনি বন্দি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে কঠোর ছিলেন, আলী ইবনে আব্বাসের আন্তরিকতা এবং যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা তাকে খুশি করে। তিনি উপলব্ধি করেন যে, বন্দি ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে একজন মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। এরপর তিনি শুধু তাকে মুক্তিই দেননি, বরং সম্মানিত করেন। খলিফার এই সিদ্ধান্ত তার ন্যায়বিচার এবং মানবিকতার পরিচায়ক।
প্রশ্ন: ‘প্রত্যুপকার’ গল্প থেকে উপকার ও কৃতজ্ঞতার মূল্যবোধ কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর: এই গল্পে উপকার এবং কৃতজ্ঞতার মূল্যবোধ অত্যন্ত গভীরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আশ্রয়দাতা একসময় আলী ইবনে আব্বাসকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন, যা তিনি কখনো ভুলেননি। পরবর্তী সময়ে যখন আশ্রয়দাতা বন্দি অবস্থায় পড়েন, তখন আলী ইবনে আব্বাস কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার মুক্তির জন্য কাজ করেন। ‘প্রত্যুপকার’ গল্পটি শেখায় যে উপকার করা এক মহৎ গুণ এবং তার প্রতিদান দেওয়া মানবিকতার অন্যতম সেরা প্রকাশ।
প্রশ্ন: আলী ইবনে আব্বাসের মতো একজন নেতা সমাজে কী প্রভাব ফেলতে পারেন?
উত্তর: আলী ইবনে আব্বাসের মতো মহৎ গুণের অধিকারী একজন নেতা সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তার দৃষ্টান্ত অন্যদের উপকার করতে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করে। এমন নেতারা শুধু আইন ও নিয়মের শাসন করেন না, বরং মানুষকে সহমর্মিতা, কৃতজ্ঞতা এবং নৈতিকতার শিক্ষা দেন।
আরো পড়ুন :প্রত্যুপকার গল্পের ৬টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, নবম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র
প্রশ্ন: বন্দি ব্যক্তিকে মুক্ত করতে আলী ইবনে আব্বাসের সিদ্ধান্তের পেছনে কী নৈতিক শিক্ষা লুকায়িত রয়েছে?
উত্তর: আলী ইবনে আব্বাসের সিদ্ধান্ত শেখায় যে উপকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ান, যা মানবতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। এ সিদ্ধান্ত আমাদের শেখায় যে, সঠিক কাজ করতে কখনো ভয় পাওয়া উচিত নয়।
প্রশ্ন: গল্পের দুই প্রধান চরিত্রের মধ্যে কী কী গুণ বিদ্যমান এবং সেগুলো সমাজের জন্য কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: গল্পের দুই প্রধান চরিত্র আলী ইবনে আব্বাস এবং তার আশ্রয়দাতা মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আশ্রয়দাতা ছিলেন দয়ালু, সহানুভূতিশীল এবং নিঃস্বার্থ। অন্যদিকে আলী ইবনে আব্বাস ছিলেন কৃতজ্ঞ, দয়াশীল এবং সাহসী। এ ধরনের গুণাবলি সমাজে পারস্পরিক সহানুভূতি, ন্যায়বিচার এবং মানবিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা
কবীর