নির্মাতার হাতে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন বলিউড তারকা অদিতি রাও হায়দারি। কারণ নির্মাতা যখন সঞ্জয় লীলা বনশালি, তার নির্দেশনা মানতেই হবে! নানা চরাই-উতরাই পেরিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’র মতো সিরিজ। এখন তার ফল পাচ্ছেন অদিতি। সার্থকভাবে নিজেকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন তিনি।
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। সঞ্জয় লীলা বনশালির বানানো প্রথম ওটিটি সিরিজ। তার ফ্রেম মানেই ক্যানভাস, যেখানে কস্টিউম থেকে সেট সব থাকে নিখুঁত তুলির আঁচড়ের মতো। এতকাল বড়পর্দায় নিজের নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেছেন বনশালি। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এই সিরিজের শুটিংয়ের নানা ঘটনা ভাগাভাগি করেছেন অদিতি।
জানিয়েছেন, সেটে কতটা নিষ্ঠাবান এবং কড়া একজন শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন বনশালিকে। সঞ্জয় লীলা বনশালি জানিয়েছিলেন, ‘হীরামাণ্ডি’ তার স্বপ্নের ধারাবাহিক। অনেক পরিকল্পনা, প্রস্তুতির ফসল এটি। এই সিরিজে বারবনিতাদের জীবনের চিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি। তাই শুটিংয়ের সময়েও কোনো কৌশল বাকি রাখেননি তিনি। অদিতি বলেছেন, ‘হীরামাণ্ডি’র একটি দৃশ্যে শুটিংয়ের আগে পরিচালক তাকে উপোস থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কারণ, বনশালির মনে হয়েছিল, ক্ষুধার্ত থাকলেই অদিতির চোখেমুখে ওই দৃশ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ছাপ ফুটে উঠবে। নির্দেশকের আদেশ মেনেছিলেন অদিতি। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বনশালি স্যারের কড়া নির্দেশ ছিল ‘আজ তুমি কিচ্ছু খাবে না।’ তার ওই টিপস ওই দৃশ্যের অভিনয় ফুটিয়ে তুলতে দারুণ কাজে দিয়েছিল।”
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। সিরিজটি নিয়ে দর্শক মহলে আগ্রহের শেষ নেই। ১৯৪০ সালের প্রেক্ষাপটে লাহোরের বারবনিতাদের জীবন কেমন ছিল, কীভাবে রানির মতো জীবন কাটিয়েছেন তারা? ইংরেজদের সামনে দাঁড়িয়ে কীভাবে এই গণিকারা জোর কণ্ঠে বলেছেন, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’ এসবের জবাব পাওয়া যাবে এই ধারাবাহিকে। চলতি বছর অদিতিকে পাওয়া যাবে আরও একটি সিনেমায়, নাম ‘গান্ধী টকস’।
কলি