ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

পিএমএল-এন ও পিপিপি মতৈক্য প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বিলাওয়াল!

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:১০ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০ এএম
প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বিলাওয়াল!
ছবি : ডননিউজ টিভি

পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার তিন দিন পর অবশেষে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। পার্লামেন্টে ২৬৬টি আসনের মধ্যে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে ২৬৪টি আসনে। দুটি আসনের ফলাফল অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। কারণ এর মধ্যে একটি আসনের প্রার্থী গুলিতে নিহত হওয়ায় সেখানে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে এবং আরেকটি আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হবে এই মাসের শেষের দিকে। সেই হিসাবে নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ন্যূনতম ১৩৩টি আসনের প্রয়োজন।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জিতেছে। এরমধ্যে ৯৩ জনই ইমরান খান ও তার দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী। নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসন পেয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৪টি আসন। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট -এমকিউএম ১৭টি, জামিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই-এফ) তিনটি। এবং বাকি আসন বিভিন্ন ছোট দল জিতেছে।

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৩টি আসন কোনো দলই পায়নি। ফলে জোট সরকার গঠনের আর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এটি নিয়েই দেখা দিয়েছে জটিলতা। গণমাধ্যমগুলোতে ১৭ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম-পি) সঙ্গে নওয়াজের দলের প্রাথমিক ঐক্যমতের খবর প্রচার করেছিল খোদ পিএমএল-এন। কিন্তু এমকিউএম-পির আহ্বায়ক খালিদ মকবুল বলেছেন, সরকার গঠন ইস্যুতে পিএমএল-এনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি তার দলের। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এমকিউএম-পি সরকারে যাবে কিনা তা পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।  

যদি জোট সরকার গঠনে এমকিউএম-পি দলকে নওয়াজের দল রাজিও করায়- এরপরেও সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় আসনের সঙ্গে বিস্তর তাদের ফারাক রয়েছে। তাদেরকে পিপিপির দিকেই চেয়ে থাকতে হবে। সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোট সরকারের প্রশ্নে নওয়াজের কাছে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদ চেয়েছে পিপিপি। দলের নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে প্রধানমন্ত্রী করলে নওয়াজের মুসলিম লীগের সঙ্গে জোট সরকার গঠনে সম্মত পিপিপি। পিএমএল-এনের চেয়ারম্যান শাহবাজ শরিফ গতকাল এ কথা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে আজ সোমবার সরকার গঠন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক ডেকেছে পিপিপি। জোট সরকার গঠিত হলে তারা প্রায় পিএমএল-এনের মতোই প্রভাব দাবি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি এখনও কোন দিকে যায় সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বিলাওয়ালকে পদ ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না সেটা দেখার বিষয়। এ অবস্থায় দর কষাকষি করতে আরও সময় লাগতে পারে।

ফলে সরকার গঠন ইস্যুতে দৃশ্যমান কোনো ফায়সালা এখনও হয়নি বলা যায়। যদিও পিএমএল-এনের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব দাবি করেছেন, দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে তাদের। তবে এমকিউএম-পির সঙ্গে তাদের বক্তব্য না মেলায় প্রকৃতঅর্থে কী হচ্ছে তা এখনই বলা মুশকিল। 

এখন পিএমএল-এন যদি পিপিপির সমর্থন পায় এবং এমকিউএম-পি যদি নিজেদের জোট সরকারে যোগদান থেকে বিরত রাখে- তাহলেও পিএমএল-এন সরকার গঠন করতে পারবে না। এর জন্য অন্ততপক্ষে ছোট কোনো দল বা ২ জনের বেশি স্বতন্ত্রের সমর্থন লাগবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পিএমএল-এনের জন্য এটিও কঠিন হয়ে যেতে পারে। কারণ সরকার গঠনের বিবেচনায় না থাকলেও রাজনীতির ময়দানে ইমরান এখনও বড় শক্তি।  

তবে ইমরানের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কার্যত সরকার গঠন সম্ভব নয়। তবে ইমরান খানের বোন আলিমা খান নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেন, তার ভাই কারাগারে থেকেও পাকিস্তানের বর্তমান বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একই অভিযোগ এনে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। শনিবার বেলুচিস্তান প্রদেশের বেশ কয়েকটি মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভও করেছে দলটির সমর্থকরা। লাহোরে বেশ কয়েকজন পিটিআই কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। 

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারচুপির অভিযোগ আসায় ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন করে ৫২টি ভোটকেন্দ্রে পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া তিনটি আসন পাওয়া রাজনৈতিক দল জামায়াত উলেমা-ই-ইসলামও (জেইউআই-এফ) নির্বাচনি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। কারচুপির অভিযোগ এনে দলটির সমর্থকরা রবিবার করাচির রাস্তায়ও নেমেছে। জেইউআই-এফের মুখপাত্র সামি সোয়াতি সংবাদ পত্রিকা ডনকে জানিয়েছেন, তাদের সমর্থকরা শহরের একটি মহাসড়ক অবরোধ করেছে। 

পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বিকল্প কী?

পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সেটা এককভাবে সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। কোন দলই এককভাবে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এক্ষেত্রে দলগুলোর জোট করা ছাড়া সরকার গঠনের আর কোন বিকল্প নেই।

পাকিস্তানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ইচ্ছা করলে স্বতন্ত্র হিসেবে জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদে থাকতে পারেন। আবার তাদের রাজনৈতিক দলে যোগদানের ক্ষেত্রে কোন আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে থাকেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক রফিউল্লাহ কাকারের মতে, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী কয়েকটি কারণে রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে থাকেন। প্রথমত, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে, দ্বিতীয়ত নিজেকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে যুক্ত করতে এবং সবশেষে পার্লামেন্টে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে। তবে বিজয়ী হওয়ার পর এই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাতে তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টা সময় থাকে যে সময়ের মধ্যে তাদের কোন একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কেবল সেই দলে যোগ দিতে পারবেন যাদের নির্বাচনী প্রতীক ব্যালটে দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে অযোগ্য ঘোষণা করায় কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী এই দলে যোগ দিতে পারবেন না। তাই পিটিআইকে সমর্থন দেয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোন দলে যোগদান করবেন তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিস্ময়কর সাফল্যের ফলে, তারা দুটি প্রধান বিরোধী দল অর্থাৎ নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি থেকে যোগদানের প্রস্তাব পাচ্ছেন। ওই দুই বিরোধী নেতারাও বলেছেন যে তাদের দলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে কোনও সমস্যা নেই। 

সূত্র: বিবিসি, ডন, ট্রিবিউন, হিন্দুস্তান টাইমস

বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য দিল্লির কড়া বার্তা পেয়ে জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ মমতা

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১০ এএম
দিল্লির কড়া বার্তা পেয়ে জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ মমতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে ঢাকা থেকে ভারত সরকারের কাছে আপত্তি জানানো হয়। সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এরপরই বাংলাদেশের বিষয়টি একটি সার্বভৌম দেশের বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। রাজ্য সরকারের ওই প্রসঙ্গে কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই বলেও জানান জয়সওয়াল। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিল্লি যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, ‘আমাকে কিছু শেখাবেন না।’

দিল্লিতে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমি খুব ভালো জানি। আমি সাত বারের এমপি, দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। বিদেশনীতি অন্য কারও চেয়ে ভালো জানি। তাদের আমাকে শেখানো উচিত নয়। বরং তাদের পরিবর্তিত ব্যবস্থা থেকে শেখা উচিত।’

গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ধর্মতলায় রাজনৈতিক সমাবেশে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, পড়শি দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। তবে সেই সঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ। এ নিয়ে কিছু বলার থাকলে ভারত সরকার বলবে। সেই মন্তব্যের পরই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মমতার বিরুদ্ধে সরব হয়। ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি, মমতার এমন কথা বলার কোনো এখতিয়ার নেই।

মমতার মন্তব্যে আপত্তি জানায় ঢাকাও। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার ওই বক্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি এও জানান, এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দেওয়া হয়েছে।

পরে গত বৃহস্পতিবার জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া ‘আপত্তিবার্তা’র কথা স্বীকার করেন। অন্যদিকে মমতাকেও কার্যত সংবিধানের পাঠ দিয়ে জানানো হয়েছে, অন্য কোনো দেশ বা বৈদেশিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। সংবিধান সেই অধিকার দেয়নি রাজ্যকে। এ নিয়ে বলার এখতিয়ার শুধু ভারত সরকারেরই আছে। সেই প্রসঙ্গেই মমতা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আক্রমণ করেন।

‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০১ এএম
‘সময় হয়েছে যুদ্ধ শেষ হওয়ার’
ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তার এ অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রাজনৈতিক অবস্থানের মিল রয়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে হ্যারিস বলেন, এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সময় হয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো বাইডেন। তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা রয়েছে কমলা হ্যারিসের। আগামী মাসেই ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে পারেন হ্যারিস। 

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বিবৃতিতে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা দুর্ভোগের কারণে অসাড় হয়ে যেতে পারি না এবং আমি নীরব থাকব না।’ 

হ্যারিসের মন্তব্য তীক্ষ্ণভাবে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স। নভেম্বরের ৫ তারিখ তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এ রকম কড়া মনোভাব দেখাবেন কি না, সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে তেমন বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।   

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল। তারা ঘোষণা দিয়েছে হামাসকে নির্মূল করার। মূলত ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও প্রায় ১২০০ মানুষের কারণেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। 

কিন্তু যুদ্ধে ইসরায়েল নির্বিচার হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে। যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ।

আন্তর্জাতিক মহল থেকে এ নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তোলা হলেও তাতে কর্ণপাত করেনি ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ। উল্টো নেতানিয়াহু বরাবরই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, যুদ্ধ জিইয়ে রেখে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অক্ষুণ্ন রাখতে চাইছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির দায়ে নিজ দেশে তার যে বিচার হওয়ার কথা, সেটি এড়ানোর চেষ্টা করছেন।

এরই মধ্যে একাধিকবার ইসরায়েলি মিত্র যুক্তরাষ্ট্র গাজার যুদ্ধ নিয়ে তাদের সতর্ক করেছে। শুরু থেকে তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসলেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গোটা বিষয়টির সমাধান চাইছে। 

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষকে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আলাপ করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন দুই পক্ষই যুদ্ধবিরতি খুব কাছে রয়েছে।

উল্টো গাজায় হামলার মাত্রা বেড়েছে। বিগত দিনগুলোতে প্রচুর আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার খান ইউনিস থেকে মানুষকে সরে যেতে বলে। তারা দাবি করে, ওই এলাকা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। 

এরপর যথেষ্ট সময় না দিয়েই শুরু করা হয় আক্রমণ। মানুষ ভয়ে পালাতে শুরু করে এবং অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারায়। খান ইউনিসে এটি ইসরায়েলের দ্বিতীয় অভিযান। এর আগে চলতি বছরের শুরুতেও খান ইউনিসে হামলা চালিয়েছিল তারা। 

বাইডেন এর আগে নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, তার (নেতানিয়াহু) যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় শূণ্যস্থান পূরণে ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কাজ শুরু করা উচিত।

নেতানিয়াহু কমলা হ্যারিসের রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করবেন। তবে হ্যারিস কী চাইছেন, তা পুরোপুরি স্পষ্ট। নিজ বক্তব্যে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা কীভাবে, সে বিষয়টি আমলে নিতে হবে।’ সূত্র: রয়টার্স

জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
জাপানে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধস
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি থেকে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শত শত বাসিন্দাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দেখা দেওয়া ওই বন্যা ও ভূমিধসে অঞ্চলটির পরিবহনব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এরই মধ্যে জাপানের ইয়ামাগাতা ও আকিতা অঞ্চলের কয়েকটি পৌরসভায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার ও কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্যের ওপর মনোযোগ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর বলছে, বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নৌকায় করে ১১ জনকে সরিয়ে নিয়েছেন শহরের উদ্ধারকর্মীরা। ইয়ামাগাতা প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউজা ও সাকাতা শহর। বৃহস্পতিবার শহর দুটিতে এক ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটারের (৪ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হয়।

ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাকে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কতজন সে পরামর্শ মেনেছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে, আকিতা প্রদেশের ইউজাওয়া শহরে একটি সড়ক নির্মাণ সাইটে ভূমিধস হয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। সূত্র: এপি 

পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
পাকিস্তান 'সন্ত্রাস' দিয়ে আলোচনায় থাকতে চায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পাকিস্তান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রক্সি যুদ্ধের মাধ্যমে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আরও বলেছেন, তাদের সেই ‘অপবিত্র পরিকল্পনা’ কখনো সফল হবে না।

পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক দশক ধরেই ভালো সম্পর্ক নেই ভারতের। কাশ্মীরে ইসলামি উগ্রপন্থিদের তহবিল জোগান দেয় পাকিস্তান– এমন অভিযোগ তারা বহু আগে থেকেই করে আসছে। তবে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। তাদের কথা হলো– পাকিস্তান শুধু কাশ্মীরিদের কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।

কারগিল সংঘাতের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তান সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন মোদি। হিমালয় অঞ্চল কারগিলে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য সংঘাতে জড়িয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত। এ ছাড়া দুই দেশ মোট তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে বিভিন্ন সময়। তার মধ্যে দুটি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। চলতি বছরেও জম্মু ও কাশ্মীরে উগ্রবাদী হামলা হয়েছে। সে হামলায় প্রায় এক ডজন ভারতীয় সেনা মারা গেছে।

মোদি দাবি করেন, পাকিস্তান যখনই নিজ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চেয়েছে, তখনই বিব্রত হয়েছে। দেশটি নিজ ইতিহাস থেকে কোনোকিছু শেখেনি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয়নি। 

২০১৯ সালের আগস্ট থেকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। এখনো সে অবস্থাই রয়েছে। কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার জেরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল সেবার। 

কাশ্মীরে ভারতীয় সামরিক বহরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। সেটির সঙ্গে পাকিস্তানভিত্তিক উগ্রবাদীদের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। পরে এর জেরে বিমান হামলাও চালায় ভারত।  

চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তান দাবি করে, তাদের হাতে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে ভারতীয় গুপ্তচররা পাকিস্তানের মাটিতে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। তবে ভারত সে দাবি অস্বীকার করে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানায়াম জয়শঙ্কর গত মাসে জানান, ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের সমাধান খুঁজছে। এটি ভালো প্রতিবেশীর লক্ষণ হতে পারে না। সূত্র: বিবিসি 

ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
ওবামা দম্পতির সমর্থন পেলেন কমলা হ্যারিস
কমলা হ্যারিস ও বারাক ওবামা

কমলা হ্যারিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। শুক্রবার (২৬ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে তাকে ওই সমর্থন জানান তারা।

ওই বিবৃতিতে বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা জানান, কমলা হ্যারিসের ‘নিজস্ব দর্শন, স্বকীয়তা এবং শক্তি’ রয়েছে যা সংকটময় মুহূর্তে একজন প্রেসিডেন্টের থাকাটা খুব জরুরি।

কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এরই মধ্যে বেশির ভাগ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধির সমর্থন পেয়েছেন। আগস্টে দলীয় সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বাইডেন শুরুতেই সমর্থন দিয়েছেন কমলাকে। তবে এতদিন ওবামা কোনো সমর্থন দেননি। বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এর মধ্যে এমন কথাও শোনা গেছে যে কমলা অন্যদের সমর্থন পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওবামা। কারণ তিনি মনে করছিলেন, কমলা হ্যারিস জিততে পারবেন না।

তবে সেসবের অবসান ঘটিয়েই এলো সমর্থনের খবর। সেখানে ওবামা দম্পতি জানিয়েছেন, কমলাকে জয়ী করতে ‘সম্ভাব্য সবকিছু’ করবেন তারা। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে একমত। তিনি কমলাকে বেছে নিয়ে সেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ সূত্র: বিবিসি