![রাহুল-মোদি বিতণ্ডতা দক্ষিণ ভারতেও](uploads/2024/04/17/1713320587.Rahul-Modi.jpg)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিতণ্ডতার পরিসর গিয়ে ঠেকেছে দক্ষিণাঞ্চলে। সেখানে আসন বাড়াতে মাঠে নেমেছেন মোদি। তিনি কেরালার পালাক্কাড ও তিরুঅনন্তপুরমে দুটি জনসভায় রাহুল গান্ধীর নাম সরাসরি উল্লেখ করে সমালোচনা করেন। এ সময় রাহুলকে ‘যুবরাজ’ বলে সম্বোধন করেন তিনি। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীও পৃথক জনসভায় সমালোচনা করেন মোদির।
দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের মৈত্রী আর কেরালায় যুদ্ধ- এই বিষয়টি তুলে ধরে গত সোমবার রাহুলের সমালোচনা করেন মোদি। অন্যদিকে ওই রাজ্যেরই ওয়ানাড়ে রোড শো ও কোঝিকোড়ের জনসভায় রাহুল বলেন, এক দেশ, এক নেতা, এক ভাষার তত্ত্ব আমদানি করে দেশকে আসলে অপমানই করছেন মোদি।
এ ছাড়াও নিজের নির্বাচনিকেন্দ্র ওয়ানাড়ের সবাইকে নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবেও উল্লেখ করেন রাহুল। সিপিএমের নেতা-কর্মীর সঙ্গেও তিনি অশালীন ব্যবহার করতে পারবেন না। রাহুলের নাম উল্লেখ না করে মোদি কেরালার জনসভায় বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে নিজেদের খানদানি আসনে সম্মান বাঁচানো মুশকিল বলে কংগ্রেসের এক বড় নেতা কেরালায় এসে নতুন ঘাঁটি গড়েছেন। এমন সংগঠনের রাজনৈতিক শাখার সঙ্গে খিড়কির দরজা দিয়ে যোগাযোগ করেছেন- যাদের দেশবিরোধী বলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কংগ্রেসের যুবরাজ এসে এখানে আপনাদের কাছে ভোট চাইবেন। কিন্তু আপনাদের দাবিদাওয়া নিয়ে, আপনাদের বিষয়গুলো নিয়ে একটি শব্দও বলবেন না তিনি।’
দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য নিষিদ্ধ সংগঠন বলতে মোদি এসডিপিআই-এর রাজনৈতিক শাখার কথা বলেছেন। তিনি জানান, ওই দলের সঙ্গে পেছনের দরজা দিয়ে যোগাযোগ রাখছে কংগ্রেস।
মোদি বলেন, কংগ্রেস কেরালায় বাম নেতা-কর্মীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেন। অথচ দিল্লিতে সেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গেই তারা একসঙ্গে ঘুরে, ফিরে, খাওয়াদাওয়া করে, নির্বাচনের কৌশল তৈরি করে।
মোদি নিজ বক্তব্যে দলের প্রশংসাও করেন, ‘বিজেপির শক্তিতে দেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। অথচ দেখা যাচ্ছে, এলডিএফ ও ইউডিএফ কেরালাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই এলাকার বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার লাগাতার চেষ্টা করে গেলেও রাজ্য সরকার তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এরা জাতীয় সড়ক প্রকল্পেও বাধা দিতে চায়।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা