ইউনেস্কোর গণমাধ্যম পুরস্কার পেলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

ইউনেস্কোর গণমাধ্যম পুরস্কার পেলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৪, ০৮:১৪ এএম
ইউনেস্কোর গণমাধ্যম পুরস্কার পেলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা
প্রতীকী ছবি

হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালীন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দায়িত্ব পালন করা ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের এবারের ইউনেস্কোর প্রেস ফ্রিডম প্রাইজে ভূষিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক এই সংস্থাটি বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় এমনটাই জানিয়েছে।

ইউনেস্কোর গণমাধ্যম পেশাদারদের আন্তর্জাতিক জুরির চেয়ারম্যান মাউরিসিও ওয়েইবেল ঘোষণার সময় বলেন, ‘অন্ধকার ও আশাহীনতার এই সময়ে, আমরা সেইসব ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে সংহতি জানাতে চাই। যারা এই ধরনের বিপজ্জনক নাটকীয় পরিস্থিতিতেও আমাদের সামনে সংকটকে তুলে ধরছে।’

এই পুরস্কার জয় উপলক্ষে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে রাফায় কর্মরত আল-জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজম বলেন, ‘আমি পুরো ভূখণ্ড জুড়ে সব ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের অভিবাদন ও ধন্যবাদ বার্তা পাঠাতে চাই। শুধু গাজাতেই কর্মরতরা নন, যারা পুরো বিশ্বে সত্যকে পৌঁছে দিতে অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকেও কাজ করছেন।’

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের (সিপিজে) তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম অফিস বলছে, নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৪০ জনেরও বেশি।

এদিকে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবারও গাজার রাফা শহরের এক আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি সেনাদের বোমা হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪ জনই শিশু।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা শহর যুদ্ধে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমনটা দেখেনি পৃথিবীবাসী। পুরো শহরকে পূর্ণনির্মাণ করতে ৪ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ লাগবে। এ ছাড়া সময় লাগবে ৮০ বছর।

এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডার টরেন্টো ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও অটোয়া ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। তারা সেখানে অস্থায়ী ক্যাম্পও তৈরি করেছে। গত বৃহস্পতিবার কুইবেক রাজ্যের প্রিমিয়ার ফ্রাঁসোয়া লেগল্ট পুলিশকে এসব ক্যাম্প ভেঙে ফেলার অনুরোধ করেছেন। সূত্র: আল-জাজিরা

জান্তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বিদেশিরাও

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫৩ এএম
জান্তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বিদেশিরাও

মায়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান-বিরোধীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেন বিদেশিরাও। তাদের মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ সেনাও রয়েছেন। এ রকম স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধারা জানিয়েছেন, তারা মায়ানমারের বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ দেখে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।

অতীতে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর হয়ে লড়াই করা জেসন (ছদ্মনাম) চলত বছরের এপ্রিলেও লড়েছেন মায়ানমারের মাটিতে। তিনি নিজে থেকেই যোগ দিয়েছিলেন দেশটির ভেতরে চলমান লড়াইয়ে। আট সপ্তাহ সম্মুখভাগে যুদ্ধ করার পর নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরেছেন।

জেসন বলেছেন, ‘প্রতিরোধে ব্যস্ত যোদ্ধারা নিজেদের লক্ষ্য পূরণে জীবন দিতেও প্রস্তুত। এটি আমি অন্যান্য যেসব জায়গায় লড়াই করেছি, সেসব স্থান থেকে ভিন্ন। ওই সব স্থানে আপনি মানুষের চোখে ভয় বেশি দেখবেন। আর এখানের যোদ্ধারা সাহসী মানুষ।’ 

মায়ানমারের সীমান্ত এলাকার জাতিগোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র দল কয়েক দশক ধরেই সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কখনো কখনো তারা বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তাও পেয়েছেন। তবে বর্তমানে যা হচ্ছে তা ভিন্ন।

এ দৃশ্যপট শুরু হয় ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর। সীমান্ত এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোতে সংঘাত পৌঁছে যায়। মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। গ্রামের পর গ্রামও তারা জ্বালিয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব কর্মকাণ্ডকে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

এদিকে মায়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্রমেই নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে দেশের ভেতরে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন বলছে, মায়ানমারের ৫০ শতাংশেরও বেশির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। সেগুলো এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

অন্যদিকে আল-জাজিরার খবর বলছে, জান্তা বাহিনীর জেনারেলরা দেশের ভেতরের বিদ্রোহ দমাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই প্রতিরোধের কারণে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং বড় মাপে এলাকাও হারাতে হয়েছে। অথচ বিদ্রোহীদের নির্ভর করতে হয় এয়ারগান ও স্লিংশটের মতো হালকা অস্ত্রের ওপর। আর জান্তা বাহিনীর হাতে রয়েছে চীন ও রাশিয়ার সরবরাহ করা শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র।  

ইউক্রেন ও সিরিয়ার যুদ্ধের ক্ষেত্রে যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বেচ্ছাসেবকদের দলে দলে যোগ দিতে দেখা গেছে, সে রকমটা মায়ানমারের যুদ্ধের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। এমনকি কোনো পক্ষকে বিদেশি নাগরিদের দলে টানার চেষ্টাও করতে দেখা যায়নি। তার পরও লড়াই জোরেশোরেই চলছে।

নিজের যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জেসন বলেন, ‘আমি ভাড়াটে সেনা নই। আমি এটি করছি সঠিক পক্ষে থাকার জন্য।’ ছয় থেকে দশ সাবেক সেনাসদস্য নিয়ে একটি দল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সামরিক বাহিনীতে কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিরা থাকবেন সে দলে। ওই দল নিয়ে জেসন ফিরে যাবেন মায়ানমারে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের চারটি ভিন্ন ধরনের সামরিক বাহিনীর জ্ঞান রয়েছে, যা ব্যবহার করে আমরা তাদের শেখাতে পারি। তাদেরকে সাহায্য করার মানসিকতা আমার আরও দৃঢ় হয়েছে সেখানে গিয়ে। তারা (বিদ্রোহীরা) শুধু তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র চায়।’

তবে এই দল আলাদাভাবে কাজ করবে না বলেও উল্লেখ করেন জেসন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভিন্ন সত্তা হওয়ার বদলে তাদের বিদ্যমান ব্যবস্থার অধীনে কাজ করব।’ জেসন আরও বলেন, ‘আমরা এটি বিনামূল্যে করব। সদস্যদের নিজ কাজ থেকে সময় বের করতে হবে এটি করার জন্য।’ সূত্র: আল-জাজিরা

এবার ভারতের মসলা নিষিদ্ধ করল নেপাল

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৯:০১ এএম
এবার ভারতের মসলা নিষিদ্ধ করল নেপাল
কীটনাশকের উপস্থিতি থাকায় ভারতীয় মসলার ব্র্যান্ড এমডিএইচ ও এভারেস্ট নিষিদ্ধ করেছে নেপাল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মসলা নিষিদ্ধ করেছে নেপাল। এমডিএইচ ও এভারেস্ট ব্র্যান্ডের সব মসলাই নিরাপত্তাজনিত কারণে আপাতত দেশটিতে নিষিদ্ধ থাকবে। এর আগে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়েও নিষিদ্ধ হয়েছে ওই দুই ব্র্যান্ডের মসলা। 

ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ওই মসলাগুলোর উপাদান পরীক্ষা করে দেখছে দেশটির খাদ্যপ্রযুক্তি এবং মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। আপাতত নেপালে ওই ব্র্যান্ড দুটির মসলা খাওয়া, কেনা এবং বিক্রি করা যাবে না।

নেপাল সরকারের খাদ্যপ্রযুক্তি এবং মাননিয়ন্ত্রক বিভাগের মুখপাত্র মোহনকৃষ্ণ মহার্জন এএনআইকে বলেছেন, ‘এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মসলার আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের এখানে বাজারে ওই মসলা বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি। ওই মসলাগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এই পদক্ষেপ।’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

মোহনকৃষ্ণ আরও বলেন, ‘নির্দিষ্ট দুটি ব্র্যান্ডের মসলায় ক্ষতিকর রাসায়নিক আছে কি না, ঠিক কী ধরনের রাসায়নিক রয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় পরীক্ষা করা হয়েছে ভারতীয় ওই দুই ব্র্যান্ডের মসলা। তবে ওই দেশগুলোতে এখনো মসলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। এনিয়ে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন, তা জানানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও অব্যাহত রয়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর বলছে, মসলার মধ্যে মূলত এথিলিন অক্সাইড নামক কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সেটিই মূল উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই রাসায়নিক মসলা জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষের শরীরের পক্ষে মসলাটি অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর কারণে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। 

গত এপ্রিল মাসে এ অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারতের ওই দুই ব্র্যান্ডের মসলাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সিঙ্গাপুর। তার কয়েক দিনের মধ্যে একই সিদ্ধান্ত নেয় হংকংও। এবার তৃতীয় দেশ হিসেবে নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটল নেপাল। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

টেক্সাসে ঝড়ে চার ব্যক্তির মৃত্যু

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম
টেক্সাসে ঝড়ে চার ব্যক্তির মৃত্যু
টেক্সাসে ঝড়বৃষ্টিতে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে শুক্রবার (১৭ মে) ঝড়বৃষ্টিতে চারজন মারা গেছেন। বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে ছিটকে পড়েছে প্রায় ১০ লাখ বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। টেক্সাসের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে ঘটেছে এ ঘটনা।

হিউস্টনের মেয়র জন হুইটমায়ার বলেছেন, ‘আমাদের এখানে ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে ঝড় হয়েছে, যেটি ঘূর্ণিঝড় আইকের সমতুল্য। ডাউনটাউনে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।’

গাছ উপড়ে পড়ে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। আরেক ব্যক্তি মারা গেছেন ক্রেনের নিচে চাপা পড়ে। টেক্সাসের ওপর দিয়ে ঝড় চলে যায় পার্শ্ববর্তী লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের দিকে। গালফ কোস্টের জন্যও বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

হিউস্টনে ট্রাফিক বাতি নিভে গিয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। তীব্র বাতাসে অনেক অফিসের জানালা উড়ে গেছে, ভাঙা কাচ ছড়িয়ে পড়েছে শহরের রাস্তায় রাস্তায়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ই টেক্সাসের বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার জন্য সতর্ক করেছিলেন মেয়র। তিনি সতর্কবার্তায় বলেছিলেন, ‘আজ রাতে বাড়িতেই থাকুন। জরুরি কর্মী না হলে কাল কাজে যাবেন না।’ সূত্র: বিবিসি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে শুনানি শুরু

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৮:৪২ এএম
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজেতে শুনানি শুরু
আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে (আইসিজে ) চলছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শুনানি। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি আবারও শুরু করেছে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনের ওই শুনানি কার্যক্রম। গণহত্যার অভিযোগের পাশাপাশি ইসরায়েল অভিযানের ওপর জরুরি স্থগিতাদেশ চেয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাটি দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ইসরায়েল শুরু থেকেই এ মামলাকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ এবং ‘নৈতিকতাবিরোধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। গত জানুয়ারিতে আইসিজে একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিল। সে রায়ে আদালত ইসরায়েলকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ইসরায়েল তা করেনি। উল্টো বৃহস্পতিবার দেশটি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের শুনানিতে নিজ সামরিক প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সাফাই গেয়েছে। ইসরায়েলি বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা গিলাদ নোয়াম বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের বিরুদ্ধে যে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে তার সঙ্গে বাস্তবতা ও চলমান পরিস্থিতির মিল নেই। সেটি বাস্তবতা-বিবর্জিত একটি দাবি। নোয়াম আরও বলেন, ‘গণহত্যার মতো ঘৃণ্য অভিযোগকে উপহাসে পরিণত করেছে এ মামলা।’

ইসরায়েলের বক্তব্য উপস্থাপনের আগে ইসরায়েলপন্থি প্রতিবাদকারীরা আদালতের বাইরে উপস্থিত হয়েছিল। তাদের হাতে ছিল হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের ছবি। এ সময় তারা জিম্মিদের মুক্তি দাবি করেন।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামলা করে হামাস। এতে মারা যান প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি। পাশাপাশি হামাস ২৫৩ জন জিম্মিকেও সঙ্গে করে নিয়ে আসে। পরে এর জেরে ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। তারা জানায়, হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে তারা।  

কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক এবং নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ।

গত বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার দূত ভুসিমুজি ম্যাডোনসেলা অনুরোধ জানান, আদালত যাতে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে, পুরোপুরি এবং নিঃশর্তভাবে সম্পূর্ণ গাজা উপত্যকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার আইনি দল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানকে গণহত্যা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অভিহিত করেছে। অতীতে আইসিজে ইসরায়েলের অনুরোধে সাড়া দিয়ে মামলা খারিজ করে দিতে রাজি হয়নি। তবে সেবার গণহত্যা থামানোর নির্দেশ দিলেও ইসরায়েলকে অভিযান থেকে সরে আসার কোনো নির্দেশনা দেননি আদালত। 

এদিকে, আইসিজের কাছে সর্বশেষ আবেদনে দক্ষিণ আফ্রিকা উল্লেখ করেছে, ইসরায়েল যাতে আগামীতে গাজায় সহায়তাকর্মী, সাংবাদিক ও তদন্তকর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার দেয়।

ইসরায়েল রাফায় ১১ দিন আগে অভিযান শুরু করেছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা এ অভিযান শুরু করা থেকে বিরত থাকতে বলেছিল ইসরায়েলকে। কিন্তু তারা সে অনুরোধ শোনেনি। ইসরায়েলের অভিযানের কারণে রাফায় আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ মানুষের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ রাফা থেকে পালিয়েছে। 

তবে রাফা থেকে পালানো মানুষের যাওয়ার মতো কোনো স্থান আর গাজায় অবশিষ্ট নেই। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পুরো উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।

গাজায় সহায়তার ট্রাক প্রবেশ করেছে
গাজায় সহায়তা প্রবেশের জন্য অস্থায়ী বন্দর তৈরি করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই বন্দর দিয়ে উপত্যকায় সহায়তা প্রবেশ করেছে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানান, ট্রাকগুলো গাজার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে রওনা হয়। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক সপ্তাহ ধরেই ওই ঘাঁটি তৈরি করছিল। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

ফ্রান্সে উপাসনালয়ে আগুন, পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৪:০২ পিএম
ফ্রান্সে উপাসনালয়ে আগুন, পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত
ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের রুয়েন শহরে উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘ফ্রান্সের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রুয়েনে একটি উপাসনালয়ে আগুন দেওয়া এক সশস্ত্র ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।’ তিনি পুলিশের সাহস ও কর্মতৎপরতার প্রশংসা করেন।

রুয়েন শহরের মেয়র নিকোলাস মায়ার-রসিগনোল বলেন, ‘উপাসনালয়ে হামলা পুরো শহরকে হতবাক করে দিয়েছে। দমকলকর্মীরা সময়মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শুক্রবার ভোর পৌনে ৭টার দিকে উপাসনালয় থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ধোঁয়া দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ উপাসনালয়ের ভেতরে ছুরি ও লোহার দণ্ড নিয়ে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। 

রুয়েনের ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রধান নাতাচা বেন হাইম বলেন, ‘আমি সত্যিই বিচলিত, এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। উপাসনালয়ের ভেতরে ছোট একটি জানালা দিয়ে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আগুনে ভেতরের দেয়াল ও আসবাবপত্র কালো হয়ে গেছে।’

পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই ঘটনায় দুটি তদন্ত চলমান রয়েছে। একটি উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগ এবং অন্যটি উপাসনালয়ের বাইরে একজনের মৃত্যুর বিষয়ে।’

ফ্রান্সের কাউন্সিল অব ইহুদি প্রতিষ্ঠানের প্রধান (ক্রিফ) ইয়োনাথন আরফি বলেন, ‘ইহুদিদের ভয় দেখানোর জন্য উপাসনালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।’

ফ্রান্সের মতো পশ্চিম ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইহুদিদের প্রতি বিদ্বেষ বেড়েছে। সূত্র: বিবিসি

সাদিয়া নাহার/