চরম বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাটতিতে রয়েছে মায়ানমার। থাইল্যান্ডভিত্তিক মায়ানমারবিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য ইরাবতিতে শুক্রবার (৩ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে প্রতিদিনের চাহিদার মাত্র অর্ধেক বিদ্যুৎ গ্রিডে যোগ হচ্ছে।
ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে শিল্প উৎপাদন। রাজধানী নেপিদোর অনেক এলাকাতেও রাতে বিদ্যুৎ থাকছে না।
দেশটির জান্তা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র ও বিভিন্ন অবকাঠামোতে বিদ্রোহী সেনাদের হামলা, প্রাকৃতিক গ্যাসের কম উৎপাদন এবং পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও উৎপাদন সংকটের ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও গ্যাসের ঘাটতির পরেও জান্তা কর্তৃপক্ষ প্রতি মাসে চীন ও থাইল্যান্ডে গ্যাস রপ্তানি করে ৩০ কোটি ডলারের মতো আয় করে থাকে।
বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন দেশটির বিদ্যুৎ চাহিদা ৫ হাজার ৪৪৩ মেগাওয়াট। সেখানে বিদ্যুৎ গ্রিড উৎপাদন করছে মাত্র ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দৈনিক ক্ষমতার চেয়ে ৪৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন করছে। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রেও সক্ষমতার তুলনায় ঘাটতি ৩৫০ মেগাওয়াট।
তবে এ সংকট সমাধানে জান্তা সরকারের সামনে তেমন কোনো পথ খোলা নেই। কারণ দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে এরই মধ্যে জান্তা সেনারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। প্রায় অর্ধেকের মতো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ তারা হারিয়েছে। বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও গ্যাস ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ এখন বিদ্রোহীদের হাতে। তাই জান্তা সেনাদের এখন মূল মনোযোগ যুদ্ধ ক্ষেত্রের দিকে।
এদিকে রাখাইনে চলমান লড়াইয়ের মধ্যেই নতুন করে ৫০০ চীনা নাগরিক রাজ্যটিতে এসেছে। নারিনজারার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন থেকে আসা একটি জাহাজে করে চীনা নাগরিকরা সরাসরি মাদায় দ্বীপে এসেছেন। তারা কাইউকফিউর গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এলাকার কাছে ভারানাসি হোটেলে রয়েছেন। সূত্র: দ্য ইরাবতি/নারিনজারা