যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলোর পর এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষর্থীরাও গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় শুক্রবারের এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন শত শত শিক্ষার্থী। এর আগে গত সপ্তাহে সিডনি ইউনিভার্সিটির প্রধান হলের বাইরে একটি ছাউনি স্থাপন করেছিলেন ফিলিস্তিনিপন্থি শিক্ষার্থীরা। এমন ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে মেলবোর্ন, ক্যানবেরার মতো বড় শহরগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।
যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি তারা দাবি তুলেছেন ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে সম্পর্ক ছিন্ন করে। বিক্ষুব্ধরা দাবি করেছেন, গাজায় যুদ্ধ থামাতে পর্যাপ্ত কাজ করছে না অস্ট্রেলীয় সরকার।
আন্দোলনগুলো ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক হলেও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশপাশের বাসিন্দারাও এতে যোগ দেন। সিডনি ইউনিভার্সিটির সামনে জড়ো হওয়া তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীর মধ্যে একজন হলেন ৩৯ বছর বয়সী ম্যাট। তিনি তার দুই বছর বয়সী ছেলেকে কাঁধে নিয়ে এসেছিলেন। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে যে কেবল ছাত্ররাই ক্ষুব্ধ নয়- তা দেখাতেই আমি এখানে এসেছি। একবার যখন আপনি বুঝতে পেরেছেন কী ঘটছে, তখন সচেতনতা বাড়াতে সংহতি দেখানো আপনার দায়িত্ব।’
যুক্তরাষ্ট্রে যেমন পুলিশ ক্যাম্পাসগুলোতে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের জোরপূর্বক সরিয়ে দিয়েছে। গ্রেপ্তার ও মারধরের ঘটনাও হয়েছে, অস্ট্রেলিয়াতে তেমনটা হয়নি। ক্যাম্পাস শান্তিপূর্ণই ছিল। কেবল বিক্ষোভস্থলে অল্পসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিল। ইউনিভার্সিটি অব সিডনির ভাইস চ্যান্সেলর মার্ক স্কট বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের মতো এখানে কোনো সহিংসতা হয়নি।’
তবে সিডনি ইউনিভার্সিটি থেকে কয়েক শ মিটার দূরে বিক্ষোভ ও নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনীতে অবস্থান নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন শত শত ইসরায়েলপন্থি। তারা অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলের পতাকা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। তারা দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনিপন্থি বিক্ষোভকারীদের কারণে তারা ক্যাম্পাসে অনিরাপদ বোধ করছেন। সূত্র: রয়টার্স