কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর (৪৫) হত্যার অভিযোগে তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) কানাডার আলবার্টার এডমন্টন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান স্থানীয় পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট মনদীপ মুকার।
গ্রেপ্তাররা হলেন- করণ ব্রার (২২), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং ২৮ বছর বয়সী করণ প্রীত সিং।
মনদীপ মুকার জানান, তাদের বিরুদ্ধে ফার্স্ট-ডিগ্রি হত্যা (পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা) অর্থাৎ, হত্যার বিষয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানায়, তারা সবাই তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে কানাডায় বসবাস করছিলেন।
এ ঘটনায় ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগসহ তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা দেখা হচ্ছে বলে জানায় কানাডার পুলিশ।
২০২৩ সালের ১৯ জুন কানাডার ভ্যানকুভার শহরতলি সারে-তে একটি গুরদোয়ারার পার্কিং লটে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন হারদীপ সিং নিজ্জর। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
হারদীপের ঘনিষ্ঠরা জানায়- মৃত্যুর আগে তিনি হিট লিস্টে রয়েছেন বলে সতর্ক করেছিলেন কানাডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা।
এ ঘটনায় ভারত সরকার জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যদিও দিল্লি সরকার দৃঢ়ভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এরপর দুই দেশের কূটনৈতিক বিরোধ আরও প্রকট আকার ধারণ করে।
নিজ্জর ছিলেন একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা, যিনি প্রকাশ্যে খালিস্তানের পক্ষে প্রচার করেছিলেন।
হরদীপ সিং নিজ্জর ভারত সরকারের কাছে একজন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন। তিনি ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’ বা কানাডাতে ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র (এসএফজে) মতো একাধিক সংগঠনেরও প্রধান ছিলেন।
যদিও তার সমর্থকরা সে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছে। সূত্র: বিবিসি
ইসরাত চৈতী/অমিয়/