মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর একজন ডেপুটি ডিভিশন কমান্ডারসহ শত শত সেনা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে আত্মসমপর্ণ করেছেন।
মায়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নারিনজারাতে মঙ্গলবার (৭ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মসমর্পণকারীরা জান্তা বাহিনীর ১৫তম মিলিটারি অপারেশন (এমওসি-১৫) কমান্ডের সেনা।
তবে এই ইস্যুতে জান্তা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এই কমান্ডের সদরদপ্তরে গত কিছুদিন আগেই তীব্র আক্রমণ চালিয়েছিল আরাকান আর্মি। পরে তারা সদরদপ্তরটি অবরোধ করে রাখে। আরাকান আর্মির দাবি, দপ্তরের ভেতরে থাকা সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গত সোমবার আত্মসমর্পণ করেছে। অনেক সেনা আবার পালিয়েও গেছেন। আরাকান আর্মি সামরিক সদরদপ্তরটির পুরোপুরি দখলে নিয়েছে।
এই ইস্যুতে আরাকান আর্মি গত সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যারা আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে যারা পালিয়ে গেছে- তাদের তাড়া করছে আরাকান আর্মি।
ভিডিওতে আরাকান আর্মি আরও দাবি করেছে, আত্মসমর্পণকারী অনেকেই মুসলিম। যাদের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল। তাদের বিষয়ে আরাকান আর্মি কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা নিতে যাচ্ছে- সেই ইস্যুতে ভিডিওতে কিছু বলা হয়নি। সম্প্রতি রাখাইনের মুসলিমদের সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জান্তা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, শুধু এমওসি-১৫-এর সদর দপ্তরই নয়। সাম্প্রতিক সময়ে তারা বুথিডংয়ের হালকা পদাতিক ব্যাটালিয়নের বেশ কয়েকটি ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ ছাড়া মংডুর কিছু কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিও তারা দখল করেছে।
রাখাইনের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বরাতে নারিনজারা বলছে, আরাকান আর্মির হাতে খুব শিগগিরই বুথিডং ও মংডু দুই অঞ্চলেরই পতন ঘটবে। সূত্র: নারিনজারা