সবচেয়ে তপ্ত এপ্রিল দেখেছে বিশ্ব । খবরের কাগজ
ঢাকা ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সবচেয়ে তপ্ত এপ্রিল দেখেছে বিশ্ব

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৪:৩০ এএম
সবচেয়ে তপ্ত এপ্রিল দেখেছে বিশ্ব
ছবি : খবরের কাগজ

সবচেয়ে তপ্ত এপ্রিল দেখেছে বিশ্ব। রেকর্ড হওয়া ইতিহাসের মধ্যে এটিই ছিল তপ্ততম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ সংস্থা কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস) বুধবার (৮ মে) এ তথ্য জানিয়েছে।

সি৩এস-এর তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের জুন থেকে প্রতিটি মাস আগের বছরের তুলনায় উত্তপ্ত তাপমাত্রায় রেকর্ড করেছে। এল নিনো দুর্বল হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ব্যতিক্রমধর্মী এই উষ্ণ পরিস্থিতি দেখা গেছে।

এল নিনো মূলত আবহাওয়ার এমন এক পরিস্থিতি যা প্রশান্ত মহাসাগরকে উষ্ণ করে তুলে ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। গোটা পরিস্থিতির জন্যই গবেষকরা মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন।

সি৩এস বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে পূর্ব ইউরোপ ও আফ্রিকার বেশির ভাগ অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। দক্ষিণ সুদানে তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। স্লোভাকিয়ার মতো বেশ কিছু দেশ দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। সেসব দেশে বসন্তে তাপমাত্রার পারদ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর পার করেছিল।

এ ছাড়া বন্যা, খরা সবদিক থেকেই আলোচনায় ছিল এপ্রিল। একদিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অংশবিশেষ- বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম পর্যন্ত ব্যাপক তাপপ্রবাহ দেখা গেছে। অন্যদিকে ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কেনিয়া ও তানজানিয়ার মতো পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো ভুগেছে বৃষ্টি ও বন্যায়।

পাকিস্তানে এপ্রিলে স্বাভাবিক যে বৃষ্টিপাত হয়, এবার তার দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে আর্দ্রতম মাস দেখেছে দেশটি।

১৮৫০-১৯০০ সালের প্রাক-শিল্প যুগের এপ্রিল মাসগুলোর তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ১ দশমিক ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল বলেও জানিয়েছে সি৩এস। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রাখার যে কথা বলা হয়েছিল, সে মাত্রা গত ১২ মাসে পার করে ফেলেছে বিশ্ব।

২০১৫ সালে বিশ্বের প্রায় ২০০ সরকারের স্বাক্ষরিত সমঝোতায় বলা হয়, শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ নাগাদ নবায়নযোগ্য শক্তি আনার লক্ষ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসা হবে। তবে গত বছর জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিশ্বের দেশগুলো সে লক্ষ্য পূরণের পথেও নেই। সূত্র: আল-জাজিরা

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ সব আরোহী নিহত

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:৩০ এএম
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ সব আরোহী নিহত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) ইরানের আধাসরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ অ্যাজেন্সি ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মেহর নিউজ বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ সব যাত্রী ‘শহিদ’ হয়েছেন।

আল-জাজিরা জানায়, ইরানি কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু মরদেহ এমন ভাবে পুড়েছে যে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি এবং পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেমসহ আরও বেশ কয়েকজন আরােহী ছিলেন।

কয়েক ঘণ্টার তল্লাশি অভিযানের পর ইরান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইআরসিএস) প্রধান পিরহোসেইন কোলিভান্দ সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির অবস্থান দেখা গেছে। রেড ক্রিসেন্টের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যাত্রীদের বেঁচে থাকার কোনো চিহ্ন নেই।

মেহর নিউজ আরও জানায়, ৭৩টি উদ্ধারকারী দল উন্নত এবং বিশেষ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত হয়ে অনুসন্ধান এলাকায় উপস্থিত রয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সত্ত্বেও গতকাল সন্ধ্যা থেকে অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে সকালে দুর্ঘটনাস্থলের ছবি দিয়েছে রয়টার্স। তাতে দেখা যাচ্ছে, কুয়াশাঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। এটি আগুনে পুড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটির কেবিন। হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

৬৩ বছর বয়সি রাইসি ২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি গতকাল রবিবার পূর্ব আজারবাইজানের একটি ঘন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। এমন সময় এ দুর্ঘটনা ঘটল, যখন গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।

> ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই!
> ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

অমিয়/

ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই!

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১০:০২ এএম
ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই!
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে সেখানে ‘জীবিত কাউকে এখনও দেখা যায়নি’ বলে জানাচ্ছে ইরানের সংবাদমাধ্যম। ফলে ইরানের প্রেসিডেন্টের বেঁচে থাকার আশা আরও ক্ষীণ হয়ে গেছে।

সোমবার (২০ মে) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্ট রইসি যে হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি পাওয়া গেছে। 

দুর্ঘটনাস্থলের ছবিও দিয়েছে রয়টার্স। তাতে দেখা যাচ্ছে, কুয়াশাঘেরা পাহাড়ের বুকে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়েছে। এটি আগুনে পুড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটির কেবিন। হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন বলে জানা গেছে।

বিস্তারিত আসছে...

কাশ্মীরে হামলায় বিজেপি নেতা নিহত, আহত পর্যটক দম্পতি

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
কাশ্মীরে হামলায় বিজেপি নেতা নিহত, আহত পর্যটক দম্পতি
নিহত বিজেপি নেতা আইজাজ আহমাদ শেখ

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে পৃথক দুটি জঙ্গি হামলায় এক বিজেপি নেতা নিহত ও রাজস্থানের জয়পুর থেকে ঘুরতে যাওয়া এক দম্পতি আহত হয়েছেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে স্থানীয় এক আসনে ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে গত শনিবার এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৮ মে) রাতে প্রথমে পহেলগাঁওয়ে একটি পর্যটক ক্য়াম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় গুরুতর আহত হন জয়পুর থেকে বেড়াতে যাওয়া তাবরেজ এবং তার স্ত্রী ফারহা। এরপর রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দ্বিতীয় হামলাটি হয় সোপিয়ানে বিজেপি নেতার বাড়িতে। 

জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় আইজাজ আহমাদ শেখ নামে ওই বিজেপি নেতার।

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি। দলীয় নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বিজেপি।

ভারতে ছয় সপ্তাহব্যাপী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাত পর্বের এ নির্বাচনে চার পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে, আরও তিন পর্ব বাকি আছে। আজ পঞ্চম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৪ জুন ভোট গণনার পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সূত্র: রয়টার্সের

গৃহযুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তিতে তামিলদের স্মরণসভা

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
গৃহযুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তিতে তামিলদের স্মরণসভা
ছবি : সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায় একটি আবেগঘন স্মরণসভার মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ সমাপ্তির ১৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে। দেশটির কর্তৃপক্ষের স্মরণসভা বানচালের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও সফলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করেছে তারা।

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী তামিল টাইগার্সকে উদ্দেশ করে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে যারা একটি সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক যুদ্ধ করেছিল। কর্তৃপক্ষ এই ধরনের সভাগুলো অবৈধ হিসেবে গণ্য করে বিধায় তারা এদিন পুরোনো স্মৃতিসৌধগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল।

সাবেক যুদ্ধ অঞ্চলগুলো এই ধরনের স্মরণসভাগুলো অনেক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে পণ্ড এবং অংশগ্রহণকারীদের ধরপাকড় করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কড়া নজরদারি এবং ব্যাপক ভয়ভীতি প্রদর্শন সত্ত্বেও শনিবার সভার আয়োজন করা হয়।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ভুক্তভোগীদের স্মরণ করতে এই আয়োজন করা হয় বলে জানায় তামিলরা। 

টাইগার্সদের সর্বশেষ দুর্গে সামরিক হামলার মাধ্যমে ২০০৯ সালে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

জাতিসংঘের ধারণামতে, যুদ্ধের শেষ মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। বেসামরিক লোকদের ওপর নির্বিচারে বোমা হামলার জন্য এই সামরিক অপারেশনটি আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দিত হয়েছিল।

পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ৪১ বছর বয়সী এক তামিল কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগের দিন এখানে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়, এখানে অসংখ্য আহত মানুষ সাহায্যের জন্য কাঁদছিল, দৃশ্যটি আমাকে সারা জীবন তাড়িত করবে।’ 

‘সম্মিলিত ব্যর্থতা’
কয়েক হাজার তামিল যুদ্ধকবলিত গ্রামগুলোতে সফর করে মৃতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করে। এই বছর এই স্মরণসভায় অংশ নেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বৈশ্বিক প্রধান আগনেস ক্যালামার্ড, যিনি এই ধরনের সভায় অংশ নেওয়া সর্বোচ্চ উচ্চপদস্থ বিদেশি। তিনি তামিলদের পর চলা এই নিধনযজ্ঞকে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করেন। 

এ ছাড়া আল-জাজিরাকে পাঠানো এক মেইল বার্তায় তিনি তিন দশক ধরে চলা এই সশস্ত্র সংঘাতে ভুক্তভোগীদের স্বপক্ষে সুষ্ঠু বিচারের জন্য শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

কৌশলগত চুক্তির দ্বারপ্রান্তে সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ০৮:২৬ এএম
কৌশলগত চুক্তির দ্বারপ্রান্তে সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান-যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান

সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত চুক্তির একটি ‘সেমিফাইনাল’ সংস্করণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের বৈঠকে ওই আলোচনা হয়। 

সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর দাহরানে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (১৯ মে) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর রয়টার্স ও এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে চুক্তিগুলোকে বিবেচনা করা হয়। গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে এ প্রচেষ্টা অনেক জটিল হয়ে পড়েছে। তবে যুবরাজ মোহাম্মদ এবং সুলিভানের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত চুক্তির সেমিফাইনাল সংস্করণ পর্যালোচনা করা হয়েছে, যা প্রায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের একটি গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে কী কাজ করা হচ্ছে তারা সেটি নিয়েও আলোচনা করেন। বৈঠকে গাজার পরিস্থিতি ও যুদ্ধ বন্ধের প্রয়োজনীয়তা এবং সেখানে মানবিক সাহায্য প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তার ব্যাপারে ওয়াশিংটন ও রিয়াদ একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার খুব কাছে পৌঁছেছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রেক্ষাপটে চুক্তির বাস্তবায়নকে ধরা হয় ব্যাপক আকারের দর-কষাকষির ক্ষেত্র হিসেবে। সেটি এখনো রয়ে গেছে নাগালের বাইরে।

এই চুক্তির আওতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অধরা থাকলেও পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন ও সৌদি সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিশ্বাসযোগ্য পথ খুঁজে বের করতেও আলোচনা করেছেন সৌদি যুবরাজ এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ নিরাপত্তা সহকারী। 

হোয়াইট হাউস জানায়, যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনার জন্য রবিবার সন্ধ্যার দিকে সুলিভানের ইসরায়েল সফর করার কথা রয়েছে।

ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।

এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। এদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক।