হিরো আলমের ওপর হামলা মামলার প্রতিবেদন ২ জুন । খবরের কাগজ
ঢাকা ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

হিরো আলমের ওপর হামলা মামলার প্রতিবেদন ২ জুন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
হিরো আলমের ওপর হামলা মামলার প্রতিবেদন ২ জুন
ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ছবি : সংগৃহীত

ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা এক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। সদ্যসম্পন্ন একাদশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় এই মামলা করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের এই দিন ধার্য করে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ আদেশ দেন। এ দিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্যই ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

রাজধানীর বনানী থানায় ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। এতে অভিযোগ করা হয়, ওই বছর ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করে বলেন, ‘এর ধারাবাহিকতায় হিরো আলম এবং আমিসহ প্রতিনিধিরা বেলা সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই। প্রার্থীসহ আমরা পাঁচ-ছয়জন ওই কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন।

একপর্যায়ে বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রার্থী হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন এবং অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান। তখন অন্য বিবাদীরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং টানাহিঁচড়া করেন। ওই সময়ে আমি এবং অন্যরা মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা আমাকে ও পরান সরকার, রাজীব খন্দকার, রনি ও আল-আমিনকে মারধর করে জখম করেন। এ সময় কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’

জামিন মেলেনি মিল্টন সমাদ্দারের

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ১০:২২ পিএম
জামিন মেলেনি মিল্টন সমাদ্দারের

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মানব পাচার আইনের মামলায় সোমবার (১৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

আদালতে দায়িত্বরত মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এদিন মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দা এম রাকিব গত ১ মে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মিরপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি শেরে বাংলা নগর থানার ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের এক শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি থানায় ফোন করেন। কিন্তু থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’-এ ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার ওই শিশুকে নিয়ে যান। তখন বাদী নিজেও তাদের সঙ্গে যান। মিল্টন সমাদ্দার তাকে অজ্ঞাতনামা শিশুর অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে’ ভর্তি করা হয়। এরপর মিল্টন সমাদ্দার জানান, আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেওয়া যাবে। কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন ফোন করে মিল্টন সমাদ্দার রাকিবকে গালিগালাজ করেন এবং বলেন, তিনি যেন তার প্রতিষ্ঠানে আর না যান, শিশুটির খোঁজখবর না নেন। এরপর আরও বেশ কয়েকজন ফোন করে তাকে হুমকি দেন ও ভয়ভীতি দেখান। প্রাণভয়ে তিনি আর সেখানে যাননি। সম্প্রতি একটি খবর চোখে আসার পর গত ২৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। শিশুটি কোথায় আছে, সে ব্যাপারেও সদুত্তর মেলেনি। বাদীর অভিযোগ, শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গত ১ মে রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যুসনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষ নির্যাতন ও মানব পাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরদিন ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে মৃত্যুসনদ তৈরির মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৫ মে মানব পাচার আইনের মামলায় আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৯ মে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

খতনা করাতে গিয়ে আয়হামের মৃত্যু : মামলার প্রতিবেদন পেছাল

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
খতনা করাতে গিয়ে আয়হামের মৃত্যু : মামলার প্রতিবেদন পেছাল
আহনাফ তাহমিন আয়হাম

খতনা করাতে গিয়ে রাজধানীতে শিশু আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

সোমবার (১৩ মে) ওই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের সময় ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ২৬ জুন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মতিঝিল আইডিয়ালের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল আহনাফ তাহমিন। 

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার খাতনা করানোর জন্য তার বাবা ফখরুল আলম হাতিরঝিল থানাধীন জেএস হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরের কাছে নিয়ে যান।

তিনি ওই সময় কিছু টেস্ট লিখে দেন। ওই হাসপাতালেই টেস্টগুলো করে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে চিকিৎসক ফোন করে জানান, রিপোর্টগুলো ভালো আছে। খতনা করতে কোনো সমস্যা নেই।

পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৮টায় ছেলের খতনা করানোর জন্য স্ত্রী খায়রুন নাহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে ছেলেকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়া হয়। আসামিরা জানান তাদের ২০-২৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন আহনাফের মা-বাবা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ৩০-৩৫ মিনিট পর ওটি রুমের দরজায় নক করলে তারা জানান আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। এভাবে এক ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর আহনাফের বাবা ফখরুল ওটি রুমে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে নিষেধ করে এবং আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলেন। 

একপর্যায়ে সন্দেহ হলে ফখরুল জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করে দেখতে পান, তার ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করা হচ্ছে। নাকে ও মুখে নল দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখেন। তখন চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি। ছেলের এই অবস্থা দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা কর্ণপাত না করে নিজেরাই ছেলের বুকে চাপাচাপি, হাত-পা মালিশ করতে থাকেন।

তখন জোর করে তাকে ওটি রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও তারা ছেলের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরবর্তী সময় জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করে ফখরুল জানতে পারেন তার ছেলে আহনাফ তাহমিন মারা গেছে।

এ ঘটনায় ফখরুল আলম হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় দুই চিকিৎসকসহ তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়। 

শিশু মেহেদীকে মামার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
শিশু মেহেদীকে মামার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ছবি : খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশু মেহেদী হাসানকে মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৩ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি এম আর হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরীর বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

মনজিল মোরসেদ খবরের কাগজকে জানান, দুর্ঘটনার বিষয়ে ভালুকা মডেল থানায় করা মামলাটি তদন্ত করে গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল, সুরতহাল রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। শিশুটির তত্ত্বাবধান ও হেফাজতের জন্য তার মামার কাছে অস্থায়ীভাবে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ৯ মে শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলেও কোল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় দেড় বছরের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে এ ঘটনা প্রকাশের পর গত রবিবার তাদের স্বজনরা হাসপাতালে আসে। নিহত জায়েদার লাশ তার বড় ভাই রবিন মিয়াকে হস্তান্তর করা হলেও শিশুটিকে হস্তান্তর করেনি পুলিশ।

অভিনেত্রী হিমুর মৃত্যু : মামলার প্রতিবেদন আবার পেছাল

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
অভিনেত্রী হিমুর মৃত্যু : মামলার প্রতিবেদন আবার পেছাল
অভিনেত্রী হুমায়রা নুসরাত হিমু

অভিনেত্রী হুমায়রা নুসরাত হিমুর আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আরেক দফা পিছিয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ জুলাই নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

সোমবার (১৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত এই নির্দেশ দেন।

আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নওশের আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোমবার দিন ধার্য ছিল। তবে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর তার খালা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এই মামলা করেন। এরপর হিমুর বন্ধু জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় বলা হয়, রুফি (৩৬) ছিল হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝেমধ্যে রাত্রিযাপন করতেন। গত ২ নভেম্বর বেলা ৩টার দিকে রুফি হিমুর বাসায় যান এবং সেখানে তাদের বাগবিতণ্ডার পর বিকেল ৫টার দিকে হিমু সিলিং ফ্যানের হুকে রশি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় ওই বাসায় হিমুর সহযোগী মিহির ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

মৃত্যুদণ্ডের আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) এক রিটের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।

শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। 

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গেল বছরের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট করেন। অপর দুই বন্দি হলেন- সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। 

রিটে মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

মতলু মল্লিক/অমিয়/