ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা এক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। সদ্যসম্পন্ন একাদশ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন স্বতন্ত্র এই প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় এই মামলা করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের এই দিন ধার্য করে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ আদেশ দেন। এ দিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্যই ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
রাজধানীর বনানী থানায় ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। এতে অভিযোগ করা হয়, ওই বছর ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করে বলেন, ‘এর ধারাবাহিকতায় হিরো আলম এবং আমিসহ প্রতিনিধিরা বেলা সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই। প্রার্থীসহ আমরা পাঁচ-ছয়জন ওই কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশ্যে প্রার্থী হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকেন। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন এবং অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান। তখন অন্য বিবাদীরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং টানাহিঁচড়া করেন। ওই সময়ে আমি এবং অন্যরা মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা আমাকে ও পরান সরকার, রাজীব খন্দকার, রনি ও আল-আমিনকে মারধর করে জখম করেন। এ সময় কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’