অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন । খবরের কাগজ
ঢাকা ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন
ছবি : খবরের কাগজ

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ দিন ধার্য করেন।

এ দিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা পূর্বশর্তে জামিনের আবেদন করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

সালমান/

চেয়ারম্যান পদ অবৈধ, ফেরত দিতে হবে ৫ বছরের বেতন-ভাতা

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
চেয়ারম্যান পদ অবৈধ, ফেরত দিতে হবে ৫ বছরের বেতন-ভাতা
মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের বিগত ৫ বছরের দায়িত্ব পালনকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নেওয়া বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা বাবদ ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৬১৯ টাকা ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে মেজবাউল হায়দার চৌধুরীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি স্বেচ্ছায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ না করলে টাকা আদায় করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে অপর প্রার্থী মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদার। এ ছাড়া রিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০১৯ সালেই এসব বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গ্যাজেট স্থগিত হয়। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। গ্যাজেট না হওয়ায় আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়েও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রিটের নিষ্পত্তি করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।

ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন পেছাল

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন পেছাল
ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ

ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামী ২৪ জুন নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিমুদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় করা এই মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে এই নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই নির্দেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আদালত থেকে বের হওয়ার পর তিনি জানান, এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্যই বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিল। কারাগারে আটক থাকা চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহকে সে অনুসারে আদালতে হাজিরও করা হয়। তবে ট্রাইব্যুনাল শুনানি চলাকালে আসামি পক্ষের আইনজীবী না থাকায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

চাকরিচ্যুত জিয়াসহ মামলার অপর চার আসামি আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। সেইসঙ্গে পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালত পলাতক ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই দিন ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন ৭ এপ্রিল রাজধানীর সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল, জরিমানা

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৭:২৬ পিএম
সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল, জরিমানা
সেলিম প্রধান

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। একই সঙ্গে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার দায়ে তার বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

শুনানিতে সেলিম প্রধানের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আলম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান।

শুনানির শুরুতে সেলিম প্রধানের আবেদনটি নন-প্রসিকিউশনের (মামলা না চালানো) জন্য আদালতের কাছে আরজি জানান অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আলম। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, ‘আপনাদের জরুরি কথা বিবেচনা করে আবেদনটি আপিল বিভাগের লিস্টে আনা হয়েছে। এখন বলছেন নন-প্রসিকিউশন করবেন। সবকিছুর একটা সীমা থাকা দরকার।’ এরপর আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় সেলিম প্রধানের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আবেদন খারিজ করে তার প্রার্থিতা স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান আসন্ন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে গত ২৩ এপ্রিল তার মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন সেলিম প্রধান। ২৮ এপ্রিল আপিল খারিজ করেন জেলা প্রশাসক। এ বিষয়ে রিট করলে গত ৩০ এপ্রিল তার প্রার্থিতার বৈধতা দিয়ে ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদন করেন সেলিম প্রধান।

সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছাল

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
সাগর-রুনী হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছাল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আবারও নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এই নিয়ে বহুল আলোচিত এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১০৮ বার পেছাল। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ জুন নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এই নির্দেশ দেন।

আদালতে দায়িত্বরত রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনী ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন। পরের দিন ১২ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শুরুতে মামলার তদন্তে ছিল ওই থানা। তবে চার দিন পর এ মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি ডিবি। এ পর্যায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি র‌্যাব।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় রুনীর বন্ধু তানভীর রহমানসহ আসামি আটজন। মামলার অন্য সাত আসামি হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী দম্পতির আয়কর নথি জব্দের আদেশ

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলার আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আজিজ ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বলেন, গত ৭ মে আসলাম চৌধুরীর প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা ও তার স্ত্রী জামিলা নাজনীনের সাড়ে চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে দুদকের পক্ষ থেকে তাদের আয়কর নথি জব্দের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের ওই আবেদন নিয়ে আজ বুধবার শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন। 

১৫ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৪১৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখার অভিযোগে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় গত ৫ মে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ওই মামলায় আসলাম চৌধুরীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আদালত। 

দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০০৪ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা ১৩ কোটি ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। এর মধ্যে নাজনীনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় চার কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩ টাকায়। মামলাটি এখন তদন্তাধীন। 

২০১৬ সালের ১৫ মে গ্রেপ্তার হন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী। ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ-নাশকতা-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে কারাবন্দি আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা আছে।

ইফতেখারুল/ইসরাত চৈতী/অমিয়/