ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ
ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে। আগামী ২৪ জুন নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিমুদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় করা এই মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে এই নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত থেকে বের হওয়ার পর তিনি জানান, এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্যই বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিল। কারাগারে আটক থাকা চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহকে সে অনুসারে আদালতে হাজিরও করা হয়। তবে ট্রাইব্যুনাল শুনানি চলাকালে আসামি পক্ষের আইনজীবী না থাকায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
চাকরিচ্যুত জিয়াসহ মামলার অপর চার আসামি আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। সেইসঙ্গে পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালত পলাতক ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই দিন ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন ৭ এপ্রিল রাজধানীর সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।