ঢাকা ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
English

ঢাবির বিবিএর শিক্ষার্থীদের সিএ পড়াকালীন ৩ কোর্স মওকুফ

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট: ২০ মে ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
ঢাবির বিবিএর শিক্ষার্থীদের সিএ পড়াকালীন ৩ কোর্স মওকুফ
ছবি: খবরের কাগজ

চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি বা সিএ পড়তে তিন কোর্স মওকুফের সুবিধা পাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিএ শিক্ষা ও গবেষণার প্রসার এবং এ বিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাবির ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ এবং দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় এমন সুযোগ পেতে যাচ্ছেন ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন এফসিএ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এই স্মারকের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিবিএ পড়াকালেই ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ভর্তির সুযোগ পাবেন। সিএ পড়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি কোর্স মওকুফ করা হবে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।

এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ, আইসিএবির সিইও শুভাশীষ বোস এফসিএ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এম বি এম লুৎফুল হাদী এফসিএ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার এফসিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

আরিফ জাওয়াদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০২:২০ পিএম
নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৩
ছবি:খবরের কাগজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তারা হলেন- তারেক, আহাদ ও শামীম।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তিনজন হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, কক্সবাজারে এদের মতো দেখতে তিনজনের সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। সেই ‘সন্দেহে’ মূলত হামলার ঘটনা ঘটায় তারা।

ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা আরও কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

পুলিশের এই পদক্ষেপের আগে রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে শিক্ষার্থীরা ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। এর আগেই পুলিশ অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়।

১২ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ফেরার পথে নোবিপ্রবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিমেষ দেবনাথ ও তার দুই সহপাঠী হামলার শিকার হন।

হামলার পরদিনই শিক্ষার্থীরা বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সাত-আটজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

ঘটনার দুই দিন পর অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তারের খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

কাউসার আহমেদ/মৌসুমী/

জাবি ছাত্রদলের সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচিতে সন্ত্রাসীকেই পুনর্বাসনের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
জাবি ছাত্রদলের সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচিতে সন্ত্রাসীকেই পুনর্বাসনের অভিযোগ
চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাসেল খন্দকার। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল কর্তৃক আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাসেল খন্দকারকে দেখা গেছে। এ নিয়ে ছাত্রদল কর্তৃক তাকে পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ চত্বর থেকে একটি সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল বের করে শাখা ছাত্রদল। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সেখানেই বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী রাসেল খন্দকার, ওরফে 'ট্যারা রাসেল'কে সামনের সারিতে দেখা যায়। এর আগেও শাখা ছাত্রদলের কয়েকটি প্রোগ্রামে তাকে দেখা গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ সেশনের (৪১ তম ব্যাচ) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা যায়, ২০২২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিঅ্যান্ডবি এলাকায় তৎকালীন কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক ছিনতাইয়ের শিকার হন। তাকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয় রাসেল ও তার সহযোগীরা। ঘটনার পরে মামলা হলে পুলিশ রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।

এছাড়া, বিকাশের সার্ভার হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় ছিনতাই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে রাসেলের বিরুদ্ধে। ইতোপূর্বে আশুলিয়ার আমবাগান এলাকা থেকে ২৫ লাখ টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ছাত্রদলের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, বহিষ্কৃত হওয়ার পর রাসেল বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করেন এবং আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ছাত্রদলের কয়েকটি অংশের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে কোনো অংশেই তিনি স্থায়ী হতে পারছেন না। শাখা ছাত্রদলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের থেকে ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটিতে তাকে রাখার সুপারিশ এসেছে বলেও জানায় সূত্রটি। 

সমাবেশে সম্মুখ সারিতে রাসেলের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেল সমাবেশে কিভাবে আসছে সেটা আমরা কেউ জানি না। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের সভা-সমাবেশে অংশ নিতে তাকে আগেই নিষেধ করা হয়েছে। ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটিতে তাকে রাখার সুপারিশ যদি এসেও থাকে, আমরা তার বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাইয়ের অভিযোগ থাকায় কমিটিতে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ 

আমানউল্লাহ/রিফাত/

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি
ছবি:খবরের কাগজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, হত্যাচেষ্টা এবং লাশ গুমের হুমকির ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার মূল সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তারা বিক্ষোভ শুরু করে এবং এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সঙ্গে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শনিবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিমেষ দেবনাথ ও তার দুই সহপাঠী চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা তাদের মধ্যে একজনের গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেন এবং অন্যদের কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করেন। হামলাকারীরা ছয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পরপরই নিকটস্থ থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলায় সাত-আটজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

বক্তব্যে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ACCE) বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।”

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদুল জান্নাত মারিয়া বলেন, “এক জুলাইয়ে আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, প্রয়োজনে আবারও সন্ত্রাসীদের পতন ঘটাব। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।”

বিজিই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন মহসিন বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বসে থাকার জন্য নয়, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বেতন দেওয়া হয়। তারা যদি ব্যর্থ হয়, ছাত্র-জনতা এর জবাব দিতে জানে।”

ফলিত গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল করিম বলেন, “ঘটনার পরেও কোনো বিচার না হওয়া এবং প্রশাসনের দুর্বল অবস্থানের কারণেই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। আমি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি - হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনুন।”

সবশেষে শিক্ষার্থীরা ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, এই সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন। এরপরই তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

কাউসার আহমেদ/মৌসুমী/

ঢাবি হলের ছাদ থেকে লাফিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৫১ এএম
ঢাবি হলের ছাদ থেকে লাফিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) জগন্নাথ হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম সানজু বাড়াইক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সোমবার (১৪ জুলাই) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হলটির ১০তলা বিশিষ্ট রবীন্দ্র ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

হল সূত্রে জানা যায়, ভোর ৪টার দিকে তিনি হলের ছাদে যান, সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার অধিক সময় অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে ছাদ থেকে লাফ দেয় সানজু। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

এ নিয়ে সোমবার রাত ১২টা ৮ মিনিটে ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন সানজু। 

তার আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেবাশীষ পাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘সাধারণ সকালেই আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজে আসেন। পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে এসে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিকট শব্দ পেলে এগিয়ে গিয়ে দেখেন এক ছাত্র পড়ে রয়েছে। পরে তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা  মৃত ঘোষণা করেন।’

আরিফ জাওয়াদ/অমিয়/

শেকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবসায়ীদের হামলা, আহত ২

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:১৩ এএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:১৫ এএম
শেকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবসায়ীদের হামলা, আহত ২
ব্যবসায়ীদের মারধরে আহত শিক্ষার্থী। ছবি: খবরের কাগজ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজারের ব্যবসায়ীরা।

রবিবার (১৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শেকৃবির দুই শিক্ষার্থী আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজারে মাছ কিনতে গেলে এক দোকানদারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা জেরে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। পরে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের ওপরও হামলা চালিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়, এতে কয়েকজন রক্তাক্ত হন এবং একজন শিক্ষার্থীকে বাজারে আটকে রাখা হয়।

ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বাজার ঘেরাও করেন। এ সময় দোকানদার ও কর্মচারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এর আগে পুলিশ বাজার থেকে ঐ  শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা নগর থানা হেফাজতে নেয়।

শিক্ষার্থীরা এ খবর জানতে পেরে থানা ঘেরাও করে এবং আক্রমনে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যর্থ হলে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় শিক্ষার্থীরা হামলাকারী ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে থানার সামনে অবস্থা নেন।

এ ঘটনায় রাত ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। 

 আরাফাত রহমান/সুমন/