ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪

আজ থেকে আইনজীবীদের আবার কোট-গাউন পরতে হবে

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১০:২০ এএম
আজ থেকে আইনজীবীদের আবার কোট-গাউন পরতে হবে
প্রতীকী ছবি

এক মাস পর আবারও নিয়মিত কোট-গাউন পরতে হবে আইনজীবীদের। শনিবার (১৮ মে) সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রচণ্ড গরমে দেশের অধস্তন আদালতের পর উচ্চ আদালতে মামলার শুনানির সময় আইনজীবীদের পোশাক পরিধানে শিথিলতা জারি করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর ফলে আজ রবিবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলার শুনানির সময় আইনজীবীদের কোট-গাউন উভয়ই পরিধান করতে হবে। 

দেশজুড়ে প্রচণ্ড গরমে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরা বাধ্যতামূলক নয়, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে গত ২০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়। বিজ্ঞপ্তি জারির পর ২১ এপ্রিল আইনজীবীরা শুনানির সময় গাউন পরতেন না। ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করায় আইনজীবীদের আবার গাউন পরে শুনানিতে অংশ নিতে হবে। 

পিবিআইয়ের তদন্তেও মুশতাক-ফাওজিয়াকে অব্যাহতির সুপারিশ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
পিবিআইয়ের তদন্তেও মুশতাক-ফাওজিয়াকে অব্যাহতির সুপারিশ
মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদী

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সাবেক অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর অব্যাহতির আবেদন করে এক মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। 

কলেজছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সম্প্রতি তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করে। 

বাদী পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

ফারুকী জানান, ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য রবিবার (২ জুন) দিন ধার্য ছিল। তবে ধর্ষণের অভিযোগ আনা এই মামলার বাদী এবং ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করবেন বলে আদালতকে অবহিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৩ জুন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে অধিকতর শুনানি ও নারাজির বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার এক বছর কারাদণ্ড

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার এক বছর কারাদণ্ড
ছবি : সংগৃহীত

চেক জালিয়াতির মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাসেল ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম ৭ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন এ রায় দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এম এস হোসেন সাহেদ। 

তিনি জানান, ২০২১ সালে বাদী জসিম উদ্দিন আবিদ ইভ্যালির সিইও রাসেল ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীনের বিরুদ্ধে চেক বাউন্স বা অসম্মানের অভিযোগে মামলা করেন। বিজ্ঞ বিচারক তাদের উভয়কে এক বছরের কারাদণ্ড এবং বাউন্স হওয়া চেকের পরিমাণের সমপরিমাণ জরিমানা করেন।

রাসেল ও শামীমাকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এক গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং বিস্তর তদন্তের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। ইভ্যালির অ্যাকাউন্ট পুনর্গঠনের সুবিধার্থে শামীমাকে এক বছর পর শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। আর রাসেলকে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি দেওয়া হয়।

চেক জালিয়াতি এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কার্যকলাপের অভিযোগে এই দম্পতি সারা দেশে সাড়ে ৩’শ টিরও বেশি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে আদেশ ১২ জুন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে আদেশ ১২ জুন
আদালত প্রাঙ্গণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : খবরের কাগজ

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন প্রশ্নে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় এই আদেশের জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে। 

ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এই মামলায় অভিযোগ গঠন প্রশ্নে শুনানি নিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত রবিবার (২ জুন) এই আদেশ দেন। কমিশন ও ড. ইউনূসের পক্ষে করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এই নির্দেশ দেন আদালত।

এদিন সকালে ড. ইউনূসসহ আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। নিয়ম অনুযায়ী তখন হাজিরা ডেকে ডেকে আসামিদের আদালত কক্ষে অবস্থিত লোহা দিয়ে ঘেরা ডকে ঢুকতে বলা হয়। তবে ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে ডকের বাইরে থাকতে বলা হলেও তিনি স্বেচ্ছায় ডকে প্রবেশ করেন। যদিও কিছুক্ষণ পর এ মামলায় ড. ইউনূসসহ সব আসামিকে ডক থেকে বের করে আদালত কক্ষের বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয়। তাদের উপস্থিতিতে মামলার শুনানি সম্পন্ন হয়।

আদালতে কমিশনের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল আর ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানি করেন। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

এর আগে গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস্ সামছ জগলুল হোসেন। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ মামলাটি বদলির আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি নেন আদালত।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুর্নীতিবিরোধী কমিশন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে আসামি ছিলেন ১৩ জন। পরে নতুন করে একজন আসামি যুক্ত হয়ে এই সংখ্যা হয় ১৪। নতুন যুক্ত হওয়া আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান। দুদক ২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি করে।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড শিমুল-তানভীর-শিলাস্তি আবারও রিমান্ডে

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
শিমুল-তানভীর-শিলাস্তি আবারও রিমান্ডে
ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করার মামলায় তিন আসামির আরও পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৩১ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত এই আদেশ দেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া তিন আসামি হলেন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান।

শুনানিতে তিন আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শুরু হওয়ার আগে কয়েকজন আইনজীবী আসামিদের পক্ষে মামলায় লড়ার জন্য ওকালতনামায় তাদের স্বাক্ষর নিতে চান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিত সদস্যরা আইনজীবীদের বলেন আদালতের (বিচারক) সামনে আবেদন করে স্বাক্ষর নিতে। শুনানিতে বিচারক শিলাস্তি রহমানের কাছে জানতে চান, তিনি আইনজীবী নিয়োগ করতে চান কি না? উত্তরে তিনি আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান না বলে জানান। অন্য দুই আসামিকে জিজ্ঞেস করলে তারা একে অপরের দিয়ে চাওয়া-চাওয়ি করে পুলিশ সদস্যদের জানান তাদের পক্ষে আইনজীবী নেই, তবে মামলায় লড়তে আইনজীবী চান তারা। পরে শুনানি নিয়ে আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আট দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান শুক্রবার তিন আসামিকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলেন। এ সময় তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের আরও আট দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এমপি আনারকে খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা করা হয়। 

মামলা সূত্রে এবং এই ঘটনার পর দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, গত ১২ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান এমপি আনার। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলকাতায় তার পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরের দিন ১৩ মে চিকিৎসক দেখাতে হবে জানিয়ে বেলা ১টা ৪১ মিনিটে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন তিনি। সন্ধ্যায় ফিরবেন বলেও জানান। পরে বিধান পার্কের কাছে কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন।

আনার সন্ধ্যায় গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন এবং সেখানে পৌঁছে ফোন করবেন। গত ১৫ মে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তায় বন্ধু গোপালকে জানান, তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন এবং ভিআইপিদের সঙ্গে আছেন। তাকে ফোন করার দরকার নেই। একই বার্তা পাঠান বাংলাদেশে তার ব্যক্তিগত সহকারী রউফের কাছেও।

এক দিন পর ১৭ মে আনারের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে গোপালকে ফোন করে। ওই সময় তারা গোপালকে জানান, তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিনই ঢাকায় থানায় অভিযোগ করা হয়। এর পর থেকে এমপি আনারের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

২০ মে এমপি আনারের খোঁজ করতে গিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে। তারা জানতে পারেন, কলকাতায় বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার মোবাইলের লোকেশন একবার পাওয়া গিয়েছিল সেখানকার নিউ মার্কেট এলাকায়। পরে ১৭ মে তার ফোন কিছুক্ষণের জন্য সচল ছিল বিহারে।

পরে ২২ মে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় যে, ওই দিন সকালে তার খুনের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় দেশটির পুলিশ। এদিকে ওই দিনই বাংলাদেশে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে এই মামলা করেন এমপি আনারের মেয়ে ডরিন।

মামলা তদন্তকালে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম
মামলা তদন্তকালে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

২০১২ সালে সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকাকালীন একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মামলাসংশ্লিষ্ট এক নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম চৌধুরী। পরে ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে চাকরি হারান সুনামগঞ্জের ছাতক থানার তৎকালীন এই উপপরিদর্শক (এসআই)। 

সাজাপ্রাপ্ত আজিজুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সদরে। প্রায় ১২ বছরে মামলার বিচারকাজ শেষে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ধর্ষণ মামলার রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রুকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নান্টু রায় খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার পর আজিজুল ইসলামকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার বিচারকাজ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।