ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বেনজীরের আরও ১১৯ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
বেনজীরের আরও ১১৯ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এ নির্দেশ দেন। 

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ২৩ মে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের নির্দেশ এবং তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলোও অবরুদ্ধ করতে আদেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে, গত ২২ এপ্রিল বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টে রিট করেন।

সম্প্রতি ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। আর তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানি থাকার কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে চিঠি দেন জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন)। 

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অস্বাভাবিক।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, চিঠিতে জানান সুমন। 

এমন পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম নগরীতে ১৮ মামলায় আসামি ৩৭ হাজার

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
চট্টগ্রাম নগরীতে ১৮ মামলায় আসামি ৩৭ হাজার

নানা সহিংসতার ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগরীর থানাগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে মামলা। সেই সঙ্গে বাড়ছে গ্রেপ্তারের সংখ্যাও। সর্বশেষ ৩১ জনকে আসামি করে নগরীর ডবলমুরিং থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৭ জুলাই থেকে শুক্রবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত সিএমপিতে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮টিতে। আর এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৭ হাজারের বেশি জনকে। 

অন্যদিকে জেলা পুলিশের আওতাধীন ১৬টি থানায় মামলা হয়েছে ১১টি। এসব মামলায় জেলা পুলিশ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জনসহ গ্রেপ্তার করেছে ৩৫৪ জনকে। আর সিএমপির থানাগুলো গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনসহ গ্রেপ্তার করেছে ৪৪৯ জনকে। সব মিলিয়ে জেলা ও মহানগরে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৮০৩ জন। আর মামলা হয়েছে ২৯টি। 

নগরীর বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র কাজী তারেক আজিজ বলেন, ডবলমুরিং থানায় আরও একটি নতুন মামলা হয়েছে। সব মিলিয়ে মামলা ১৮টি। আর গ্রেপ্তার ৪৪৯ জন। 

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ১১টি মামলা হয়েছে জেলার বিভিন্ন থানায়। এসব মামলায় ৩৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে গত ১৬ ও ১৮ জুলাই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। এই দুই দিন দফায় দফায় নগরীর মুরাদপুরে ও বহদ্দারহাটে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া নগরের কোতোয়ালি, নিউ মার্কেট, নতুন ব্রিজ, বাকলিয়া এলাকাও রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজনকে অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এই দুই দিনে তাৎক্ষণিক পাঁচজন ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনসহ ছয়জন মারা যান। এদের মধ্যে একজন দিনমজুর। বাকিরা শিক্ষার্থী। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই শতাধিকের বেশি। যাদের বেশির ভাগই গুলিবিদ্ধ।

পরদিন ১৯ জুলাই শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ শুরু হলে নগরীতে থেমে যায় সংঘর্ষের ঘটনা। এরপর আন্দোলনকারীদের আর সড়কে দেখা যায়নি। তখন থেকে বাড়তে থাকে নগরীর থানাগুলোতে মামলার সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনিই মামলা হচ্ছে কোনো না কোনো থানায়। সর্বশেষ ৩১ জনের নামে ও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ডবলমুরিং থানায় আরও একটি মামলা করেছে পুলিশ।

ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুল করিম পাটোয়ারী খবরের কাগজকে বলেন, ‘গতকাল রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে বিশেষ ক্ষমতা আইনে। তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এর আগে বৃহস্পতিবার হালিশহর থানায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও একটি মামলা হয়। এতে ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।’ হালিশহর থানার ওসি কায়সার হামিদ খবরের কাগজকে বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেছে। এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

তার আগে বুধবার নগরের চান্দগাঁও থানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা, মোটরসাইকেলে আগুন, বিস্ফোরকের ব্যবহার ও ক্ষতিসাধনের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তার আগে নগরীর পাঁচলাইশ, খুলশী, কোতোয়ালি, বাকলিয়াসহ অন্যান্য কয়েকটি থানায় ১৫টি মামলা হয়।

নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইদ্রিস আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই পর্যন্ত আমাদের নগর বিএনপির সাড়ে ৩০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি রাতে নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গত পরশু নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর বাসায় তল্লাশি করতে যায় পুলিশ। কিন্তু পরে ব্যর্থ হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে, তবে অংশ নেয়নি। এর পরও নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এলাকার কর্মীদের নির্যাতন করা হচ্ছে।

৬৬৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির মামলা ড. ইউনূসের রিটের রায় ৩০ জুলাই

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
ড. ইউনূসের রিটের রায় ৩০ জুলাই
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

গ্রামীণ কল্যাণের বিরুদ্ধে ৬৬৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি মামলা বাতিল চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা রিটের রায় ঘোষণা হবে আগামী ৩০ জুলাই।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার ও বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। 

২০১১ থেকে ২০১৬-১৭ সাত করবর্ষে গ্রামীণ কল্যাণের আয়কর দ্বিতীয়বার মূল্যায়ন করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৬৬৬ কোটি টাকা কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় মূল্যায়নের বিরুদ্ধে আপিল ও রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করা যায়। তবে রিভিউ আবেদন করা হলে আপিল করা হবে না মর্মে অঙ্গীকার করতে হয়। গ্রামীণ কল্যাণ কর্তৃপক্ষ আপিল না করে রিভিউ আবেদন করে। ওই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর রিভিউ আবেদন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে দুটি রিট করা হয়। হাইকোর্ট এসব রিটের শুনানি শেষে রিভিউ খারিজের আদেশ বাতিল করেন এবং গ্রামীণ কল্যাণকে আপিল করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আবেদনের শুনানি শেষে গত ১১ মার্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গ্রামীণ কল্যাণের রিট দুটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার ও বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ শুনানি শেষে ২৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ধার্য দিনে রায় ঘোষণা পিছিয়ে আগামী ৩০ জুলাই নির্ধারণ করা হয়। 

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলী। গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও সরদার জিন্নাত আলী।

৫ দিনের রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থ

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
৫ দিনের রিমান্ডে আন্দালিব রহমান পার্থ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দীন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ব্যারিস্টার পার্থকে

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

সালমান/

মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম
মামলা বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ
হাইকোর্ট

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ খারিজ আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
 
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। 

দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এ মামলায় প্রাথমিক তথ্য প্রমাণের সত্যতার ভিত্তিতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মামলাটি বাতিলে আসামিপক্ষ কোনো উপাদান দেখাতে পারেননি। উভয়পক্ষে শুনানি নিয়ে মামলা বাতিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এক বছরের মধ্যে মামলার বিচার সম্পন্ন করতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ড. ইউনূসের পক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলা বাতিলে আনা হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন। সেইসঙ্গে বিচার শুরুর জন্য গত ১৫ জুলাই দিন ধার্য ছিল। সে অনুয়ায়ী সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

মামলার কার্যক্রম বাতিলে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ছাড়া ছয় আবেদনকারী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

অমিয়/

কোটা আন্দোলনে নিহত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে বিচার বিভাগীয় কমিটি

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে বিচার বিভাগীয় কমিটি
প্রতীকী ছবি

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে মোট ৬ জনের মৃত্যুসহ সংঘর্ষ ও সহিংসতা তদন্তে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।

গত রবিবার (২১ জুলাই) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেন।

সোমবার (২২ জুলাই) সাধারণ ছুটি থাকায় কমিটির কোনো কার্যক্রম হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এখন দেশব্যাপী কারফিউ ও সাধারণ ছুটি চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে তদন্ত কমিটি। তদন্তের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য গ্রহণ, আলামত সংগ্রহ ও যাচাই এবং পারিপার্শ্বিক সকল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।   

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই ৬ জনের মৃত্যু, সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা তদন্তে সরকারের প্রস্তাবে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। গত ১৮ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আজ মঙ্গলবারও সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগসহ দেশের অধস্তন আদালতসমূহ বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।