ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বেনজীরের আরও ১১৯ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
বেনজীরের আরও ১১৯ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও ১১৯টি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এ নির্দেশ দেন। 

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ২৩ মে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের নির্দেশ এবং তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলোও অবরুদ্ধ করতে আদেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে, গত ২২ এপ্রিল বেনজীরের দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টে রিট করেন।

সম্প্রতি ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। আর তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানি থাকার কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে চিঠি দেন জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (সুমন)। 

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অস্বাভাবিক।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, চিঠিতে জানান সুমন। 

এমন পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

বোদায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১০ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন, খালাস ১০

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
বোদায় স্ত্রী হত্যার দায়ে ১০ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন, খালাস ১০
ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী সফিকুল ইসলামকে (৪৬) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে মামলার অন্য ১০ আসামিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সফিকুল ইসলাম জেলার বোদা উপজেলার কাজলদিঘী তরঙ্গীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

আদালত সূত্র জানায়, প্রায় ১৬-১৭ বছর আগে সফিকুল ইসলামের সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ বেগমের বিয়ে হয়। সংসারে তাদের দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সফিকুল প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে দাম্পত্য কলহ ও নির্যাতন শুরু হলে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বসে। কিন্তু তাতে নির্যাতন থামেনি। সফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই মমতাজকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। পরে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই রাতে সফিকুল ও মমতাজের মধ্যে আবারও তুমুল ঝগড়া হয়। অভিযোগ আছে, ওই সময় মমতাজকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরদিন ৯ জুলাই সকালে নিজ ঘরে মমতাজের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরে প্রাথমিকভাবে বোদা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।

এরপর নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ইয়াসিনুল হক দুলাল বলেন, ময়নাতদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, মমতাজ বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আদালত তাই মূল আসামি সফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আমরা এই রায়ে ন্যায়বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

রনি/মেহেদী/

রাশেদ খান মেনন আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
রাশেদ খান মেনন আরও ৫ দিনের রিমান্ডে
রাশেদ খান মেনন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে রিমান্ডে নিয়ে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (২ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

শুনানির জন্য মেননকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। 

তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। 

মেননের আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

মামলার বিবরণে জানা গেছে,  ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যান ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির।
 
পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যায় মামলা করেন।

গত বছরের ২২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা ও হত্যা চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। 

উজ্জ্বল/পপি/

মেজর সিনহা হত্যা ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১১:২৫ এএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
হাইকোর্ট

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তাছাড়া বাকি ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত।

সোমবার (২ জুন) সকালে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টে এ মামলার আপিলের শুনানি শুরু হয়।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও সাবেক পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এই হত্যা মামলার বিচার শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাসের রায় দেন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্সসহ মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

অমিয়/

সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিবারের ১৪১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিবারের ১৪১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার স্ত্রী ফজলুতুননেসাসহ আটজনের ১৪১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১১টি বিও অ্যাকাউন্ট জব্দেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

এই আটজনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা গোলাম কুদ্দুসের মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ছেলে মোস্তফা কামরুল সোবহান, কামরুলের স্ত্রী শাফিয়া সোবহান, নূর-ই-হাফজা, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক সিএফও ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমান রয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

আবেদনে বলা হয়, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, তার পরিবারের সদস্য ও কোম্পানির পরিচালক ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, মোস্তফা কামরুস সোবহান, শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ফজলুতুননেসা, নূর-ই-হাফজা ও কোম্পানির সাবেক সিএফও মীর রাশেদ বিন আমান সুপরিকল্পিতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিধিবর্হিভূতভাবে একই পরিবারের সাতজন সদস্য কোম্পানির বোর্ড পরিচালক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ গ্রহণ করে একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয়ে জাল চুক্তিনামা সৃজন করার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের তহবিল থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন শেয়ারিং এর মাধ্যমে ওই অর্থ তাদের নামীয় বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করায় মামলা করা হয়।

আবেদনে আরও বলা হয়, তদন্তকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, আসামিদের মালিকানাধীন ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। আসামিদের মালিকানাধীন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য অর্থিকপ্রতিষ্ঠানের হিসাব/শেয়ার অবরুদ্ধ করা না হলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে আসামিদের মালিকানাধীন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। 

পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন। সূত্র: বাসস

অমিয়/

গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুন ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল
শেখ হাসিনা

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

রবিবার (১ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন এ অভিযোগ দাখিল করে।

এর আগে শনিবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সেমিনারে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে জুলাই আগস্টের হত্যাযজ্ঞের বিচার দৃশ্যমান হবে। বিচার এমনভাবে করা হবে কেউ যেন মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে। বিচারের কাজ পুরোদমে এগোচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ করতে যুক্তিসংগত সময় লাগবে। এ সময় ১০ থেকে ১৫টি উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। জুনের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে।’
 
গত ১২ মে শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত শেষ হয়। ওই দিন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নির্বিচারে ১৪০০'র বেশি মানুষ হত্যার দায় শেখ হাসিনার।

মেহেদী/