ঢাকা ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
English

আপিলেও জামিন পেলেন না ডেসটিনির রফিকুল আমীন

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আপিলেও জামিন পেলেন না ডেসটিনির রফিকুল আমীন
ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন

ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে জামিন দেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তার আবেদনের শুনানি ৬ মাসের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। 

সোমবার (২৭ মে) আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

শুনানিতে রফিকুল আমীনের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে অর্থ পাচারের মামলায় রফিকুল আমীনের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন রফিকুল আমীন। সেটি আংশিক শুনানি নিয়ে ৬ মাসের জন্য মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। ৬ মাস পর আবার আবেদনটি কার্য‌তালিকায় এলে শুনানি হবে।’

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় রফিকুল আমীনসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ট্রি প্ল্যান্টেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, এমডি রফিকুল আমীন ও পরিচালক কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম। জামিনে আছেন তিনজন। বাকিরা পলাতক। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই টাকার মধ্যে এলসি (ঋণপত্র) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার করেছে আরও ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার।

বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ
ফাইল ছবি

দিনাজপুরে বিরামপুর উপজেলার অচিন্ততপুর সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৫ জনকে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বহিনী বিএসএফ।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ২টার দিকে বিরামপুরের বিনাইল ইউনিয়নের অচিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে পাঠানো হয়। 

অচিন্তপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাত আড়াইটার দিকে সীমান্ত ২৮৫ মেইন পিলার এলাকায় বিএসএফ সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন বিদ্যুতের আলো বন্ধ করে দেন। ঘটনা দেখে তাৎক্ষণিক দ্বায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা সেখানে ওঁত পেতে অবস্থান করে। পরে অন্ধকারে মধ্যে ভারত থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৫ জনকে আসতে দেখেন তারা। এ সময় তাদের আটক করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। তাদের মধ্যে তিন পুরুষ, তিন নারী এবং ৯ শিশুটি রয়েছে।

কুদ্দুস/পপি/

সুব্রত বাইন কারাগারে

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
সুব্রত বাইন কারাগারে
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন

শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে অস্ত্র আইনের মামলায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ, সুব্রতকে আদালতে হাজির করেন। রিমান্ডে আট দিনের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে জানিয়ে তদন্তের জন্য তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। 

এদিকে আদালতে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ওই আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। 

তবে শুনানিতে তাকে আদালতের এজলাসে উপস্থাপন করা হয়নি বলে জানান আদালত সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ-পরিদর্শক মোকছেদুল ইসলাম।

গত ২৮ মে সুব্রতকে আট দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ এবং দুই সহযোগী আরাফাত ইবনে নাসির ওরফে শ্যুটার আরাফাত ও এম এ এস শরীফের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। 

রিমান্ড শেষে গত মঙ্গলবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়। 

গত ২৭ মে আনুমানিক ভোর ৫টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া থেকে সুব্রত ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার হয়। 

এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।

উজ্জ্বল/পপি/

সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নূর মোহাম্মদ এবং তার স্ত্রী ইসমত আরা বেগমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ উপসহকারী পরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ মামলাগুলো করেন।

দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নূর মোহাম্মদের মামলায় বলা হয়, ২০০৭ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে নূর মোহাম্মদ নিজ নামে ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৪৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি নিজের ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ১৩৪ টাকার সন্দেহজন লেনদেন করেছেন। তিনি ওই সব অর্থসম্পদ অর্জনের উৎস গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।   

ইসমত আরা বেগমের মামলায় বলা হয়, ২০০৬ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ইসমত আরা বেগম তার স্বামীর সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি নিজের ২১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৭ হাজার ৮৭৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তিনি ওই সব অর্থসম্পদ অর্জনের উৎস গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

এ মামলায় নূর মোহাম্মদকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।  

অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার কামাল মজুমদার

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার কামাল মজুমদার
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দেওয়ায় দায়ের করা অস্ত্র মামলার সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৪ জুন) ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিজে অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে থানায় জমা দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য না থাকায় এবং অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লিখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে কাউকে না পাওয়ায় অস্ত্র আইনে করা মামলার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুনানি উপলক্ষে দুপুর ১২টার দিকে হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় তাকে এজলাসে হাজির করা হয়। 

শুনানির সময় কামাল মজুমদার বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মাননীয় আদালত এ বিষয়ে আমার কিছু বলার ছিল’। 

তবে বিচারক তার কোনো কথা না শুনেই এজলাস ত্যাগ করেন। পরে তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমাদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ তারিখের মধ্যে কোন অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা না দেওয়া হলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি তার দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিজে অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে রাজধানীর বনানী থানায় বা অন্য কোন থানায় জমা দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানাকে অবহিতও করেননি। তার অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লিখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে  কাউকে পাওয়া যায়নি। 

এ ঘটনায় অস্ত্র আইনের ১৯ (১) ধারায়  মামলা করেন বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. জানে আলম দুলাল।

শুনানি শেষে হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত কামাল মজুমদারকে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে  রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন কামাল আহমেদ মজুমদার। এর পর থেকে বিভিন্ন হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।

জলিল/মেহেদী/

তারিক সিদ্দিক ও তার পরিবারের স্থাবর সম্পত্তি জব্দ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
তারিক সিদ্দিক ও তার পরিবারের স্থাবর সম্পত্তি জব্দ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তার স্ত্রী শাহীন সিদ্দিক এবং তাদের সন্তান নুরিন সিদ্দিকের ২৪ দশমিক ৮০ বিঘা জমিসহ পাঁচটি প্লট ও পাঁচটি ফ্ল্যাট জব্দ (ক্রোক) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

ক্রোকের আদেশ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে, বারিধারার ডিওএইচএসের ৭ তলা দালান বাড়ি, একই এলাকার ৭ তলা ভবনের ৫ থেকে ৭ তলার ৩টি ফ্ল্যাট, ৩ হাজর ৬০০ বর্গফুটের ৪টি কার স্পেসসহ দুটি ফ্ল্যাট, পূর্বাচল নতুন শহরে ২০ কাঠা জমির চারটি প্লট এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি প্লট। এ ছাড়া, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ২৪ দশমিক ৮০ বিঘা জমি। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, তারা স্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা একান্ত আবশ্যক মর্মে আবেদনে বলা হয়েছে।

সাবেক এমপি বকুলের দুই বাড়ি ক্রোক, ১০ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
নাটোর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের নামে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের রাজাবাজারে থাকা ৪ তলাবিশিষ্ট দুইটি বাড়ি ক্রোক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে থাকা ১০টি হিসাবের ১ কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার ৭৪৫ টাকা অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, দুদকের সহকারী পরিচালক মেহেদী মুসা জেবিন এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে বিপুল অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এসব স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হাতবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।