![চাঁদাবাজি মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩ জনের কারাদণ্ড](uploads/2024/05/27/CMM_Court-1716819378.jpg)
চাঁদাবাজির মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে সাড়ে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রায় দেন। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. নিরব হাসান সজিব নামে একজনকে আদালত খালাস দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার তৎকালীন এসআই মো. মনিরুল ইসলাম, কনস্টেবল এস এম জুলফিকার আলী এবং মো. নূর উদ্দীন আহমেদ।
আদালত সূত্র জানায়, আদালত এই তিন আসামিকে দুটি ধারায় এই কারাদণ্ড দেন। এর মধ্যে দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারায় তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৩৮৮ ধারায় চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের চার হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও চার মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী খন্দকার নুরুজ্জামান রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবারের সঙ্গে কাজ করেন। ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে উবারের মাধ্যমে মালিবাগ গুলবাগ রোড থেকে আসা একটি কল গ্রহণ করেন।
রাস্তা কাটা বিধায় কল দেওয়া ব্যক্তি জানান, ‘তার ছোট ভাই নিরব হাসান সজিব মালিবাগ মোড়ের স্বপ্ন সুপারশপের সামনে থেকে খন্দকার নুরুজ্জামানকে পথ দেখিয়ে পিকআপ পয়েন্টে নিয়ে যাবেন।’ এরপর নুরুজ্জামান স্বপ্নের সামনে গেলে সজিব মালিবাগ কালসির গলির শেষ প্রান্তে নিয়ে যান। নুরুজ্জামান সেখানে পুলিশের পোশাকে মনিরুল ও জুলফিকারকে দেখতে পান।
তারা তখন নুরুজ্জামানের পরিচয় জানতে চান। এ সময় তারা নুরুজ্জামানের গাড়ি তল্লাশি করেন। ড্রাইভিং সিটের পেছনে হাত বুলিয়ে ৪-৫টি ট্যাবলেটসদৃশ কিছু একটা নুরুজ্জামানকে দেখান। সেই সময় এসআই মনিরুল ও জুলফিকার বাদীকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে হাতকড়া পরিয়ে আটক করেন।
বাদী অভিযোগে বলেন, একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সমঝোতা করতে চাপ প্রয়োগ করেন। বাদী টাকা দিতে না চাইলে ২০০ পিস ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন পুলিশ সদস্যরা। শেষমেশ ২৫ হাজার টাকায় দফারফা হয়।
ওই অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে খন্দকার নুরুজ্জামান শাহজাহানপুর থানায় মামলাটি করেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত।