
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের সহযোগী আবু রাসেল ওরফে মোল্লা মাসুদসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকার এডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান ওই আদেশ দেন।
অন্যরা হলেন— এম এ এস শরিফ (২৫) ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদ (৪৩)।
এর আগে হাতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে ছয়দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রিয়াদ আহমেদ।
এক প্রতিবেদনে দাখিল করে আসামিদের কারাগার আটক রাখার আবেদন করেন।
তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করলে তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত ২৮ মে তাদের আদালতে হাজির করে দশদিন রিমানন্ডে নেওয়ার আবেদন করা হলে তিনজনের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের আটদিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। সুব্রত বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে হাতিরঝিল থানাধীন নতুন রাস্তা এলাকা থেকে একইদিন বিকাল ৩টার দিকে আসামি এম এ এস শরীফ ও মো. আরাফাত ইবনে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষণা করে। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তারা সন্ত্রাসী বাহিনী সেভেন স্টার গ্রুপ পরিচালনা করতো।
এম এ জলিল উজ্জ্বল/এমএ/